নিজের সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে করেছেন দশ সহস্রাধিক রান, বল হাতে আছে ২৯১ উইকেট। দ্য ক্রিকেট মান্থলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে শেন ওয়াটসন কথা বলেছেন তার টেকনিক্যাল আর মানসিক দক্ষতার যোগ নিয়ে, আইপিএলের ফাইনালে তাঁর অসাধারণ সেঞ্চুরি নিয়ে এবং সতীর্থ ফিল হিউজের মর্মান্তিক বিদায় নিয়ে।
২০১৮ আইপিএলের ফাইনাল নিয়ে কথা বলা যাক। আপনাদের সামনের লক্ষ্যমাত্রাটা খুব বড় না হলেও বেশ কঠিন ছিল, আর শুরুর দশ বল মোকাবেলা করেও আপনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। ভুবনেশ্বর কুমার আপনার বিরুদ্ধে একটি মেইডেন ওভার করলেন, আপনাকে দু’বার পরাস্তও করলেন। এমন পরিস্থিতি থেকে সেঞ্চুরি করা, চেন্নাই সুপার কিংসকে ফাইনাল জেতানো – পুরো ব্যাপারটাতে কতটা মানসিক শক্তির প্রয়োজন ছিল?
২০১৬ থেকে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে ভালোভাবে আয়ত্ত্বে আনতে শুরু করি, আর ‘১৮-এর ঐ ইনিংসটা ছিল আমার যাবতীয় শিক্ষার চূড়ান্ত প্রতিফলন। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মনে হবে ঐ ইনিংসের সবকিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু মানসিক শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ঐ ইনিংসটা ছিল ২০১৫তে আমার অর্জিত একটা শিক্ষা।
২০১৫ ছিল আমার ক্যারিয়ারের এমন একটা সময় যখন আমার চারপাশে খুব দ্রুত একের পর এক ঘটনা ঘটছিল। ২০১৪-এর শেষের দিকে ফিল হিউজের ঐ বিয়োগান্তক ঘটনাটা আমার মধ্যে প্রবল ব্যাটিং-ভীতির জন্ম দিয়েছিল। তবে আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। জ্যাকস ডালেইর নামক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ডাক্তার আমাকে মানসিকভাবে সাহায্য করেছিলেন। তিনি আমাকে খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়েছিলেন, কীভাবে মানুষের মন কাজ করে, কীভাবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়, কীভাবে ঐ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়, এবং কীভাবে সঠিক মানসিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। ব্যাপারগুলো বোঝার পরে আমি টেকনিক্যাল স্কিলের পাশাপাশি মানসিক স্কিল নিয়েও কাজ করা শুরু করেছিলাম, প্রত্যেকটা ম্যাচে প্রত্যেকটা বলের মুখোমুখি হওয়ার আগে।
এরপরে, ২০১৬ আইপিএলের ফাইনাল, যেখানে আমি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছিলাম, ছিল আমার জীবনের অন্যতম বাজে ম্যাচ, বিশেষত বোলিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে। আমার চার ওভারে এসেছিল ৬১ রান। আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল, কিন্তু কিছু কিছু কারণে আমি আমার সামর্থ্যের পুরোটা দিতে পারিনি, খুব বাজেভাবে এর ফল মেটাতে হয় আমাকে।
তাই ২০১৮ এর ফাইনালের আগে আমার আলাদা একটা প্রেরণা ছিল। আমি টেকনিক্যাল ও মানসিক – দুই দিক দিয়েই অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিলাম। এই ফাইনালটা ছিল আমার কাছে আগের দুই বছরের কাজের চূড়ান্ত পরীক্ষাস্বরূপ, তাই আমি চেষ্টা করছিলাম টেকনিক্যাল ও মানসিক দিক দিয়ে সেরা অবস্থায় থাকার। ঐ ইনিংসের প্রত্যেকটা বলে, এমনকি প্রথম ওভারে আমি যখন ভুবির (ভুবনেশ্বর কুমার) মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখনও, আমি আমার টেকনিক্যাল ও মানসিক চেকলিস্টে টিক দিতে দিতে এগোচ্ছিলাম।
ঐ চেকলিস্টে কী কী বিষয় ছিল?
আমার টেকনিক্যাল চেকলিস্টে আমার মাথার এবং আমার হাতের অবস্থান ছিল। এছাড়া আমি নিশ্চিত করতে চাইছিলাম, যেন আমার প্রি-মুভমেন্ট সোজা ডাউন দ্য উইকেট বরাবর হয়, এবং একটু তাড়াতাড়িই হয়, যেন আমাকে পরে তাড়াহুড়া করতে না হয়। এছাড়া বোলারের বল ছোঁড়ার মুহূর্তে আমার মাথা যেন একেবারে সোজা থাকে, যেন আমি ফোকাস ঠিক রাখতে পারি, এবং দ্রুত বলের গতিপথ বুঝে নিতে পারি।
অপরদিকে, আমার বলটা যখন আমার দিকে ধেয়ে আসছিলো, তখন আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল? প্রতিটা বলের পরে আমি নিজের সাথে কথা বলছিলাম, ভাবছিলাম, আমি আসলে কী করতে চাই। প্রথম ওভারের দুটো বলে আমি আমার টেকনিকের যথযথ প্রয়োগ ঘটাতে পারিনি, একটু তাড়াহুড়া করে ফেলেছিলাম। বলটাও ভালো সুইং করছিল, ভুবি যেমনটা করায়, আমিও একটু বিভ্রান্ত হয়েছিলাম তাতে। সম্ভবত আমার মনে এমনটাও ঘুরছিল, “যতক্ষণ বলটা সুইং করছে, ততক্ষণ একটু দেখেশুনে খেলি”। এ কারণেই আমি অল্পক্ষণের জন্য আমার খেলার স্বাভাবিক ধরন হারিয়ে ফেলেছিলাম, একটা কাট শটও মিস করেছিলাম। বলের সুইংয়ের কারণে আমি একটু রক্ষণাত্মক ব্যাটিংও করছিলাম, রান করার কয়েকটা সুযোগও হারিয়েছিলাম।
প্রথম দশ বল খেলার পরে আমি চেষ্টা করছিলাম প্রতেকটা বলের আগে মানসিক ও টেকনিক্যাল প্রস্তুতি নেওয়ার। আর যেহেতু আমি আগের দুই বছর ধরে এই প্রস্তুতির ভেতরেই ছিলাম, তাই এই ব্যাপারটা আমাকে খুব বেশি ভাবাচ্ছিল না, বরং আমি আমার মানসিক শক্তির ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। পাশাপাশি নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নিতে তাগাদা দিচ্ছিলাম।
আমার সংগ্রহ যখন দশ বলে শূন্য, ওদিকে প্রয়োজনীয় রান রেটও বাড়ছে তরতরিয়ে, সন্দ্বীপ শর্মার বলে ফাফ ডু প্লেসি আউট হয়ে গেলেন। শটটা খেলার খুব প্রয়োজন হয়তো তার ছিল না, কিন্তু এপাশে যেহেতু আমি দশ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারিনি, সেই চাপটা হয়তো তাকে পেয়ে বসেছিল। আর ফাফের এমন বিদায়ে আমিও একটু অপরাধবোধে ভুগতে থাকলাম, আমার কাঁধের ওপর থেকে একটা কণ্ঠ যেন আমাকে দোষারোপ করতে থাকলো। আমি বুঝলাম যে এই অপরাধবোধটা বেশিরভাগ থাকতে দেওয়া যাবে না, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। প্রতিটা বলে নতুন করে ফোকাস করতে হবে। একবার নয়, বারবার।
এরপর ম্যাচের পরিস্থিতি বদলাল, দুটো ম্যাচ-আপ আমার পক্ষে এলো। পাওয়ারপ্লে’তে সন্দ্বীপ যখন তার তৃতীয় ওভারটা করতে এলো, আমি জানতাম বলটা খুব বেশি সুইং করবে না। আমি তাই ঐ ওভারের প্রথম বল থেকেই ওর ওপর চড়াও হই। সিদ্ধার্থ কৌলও পরপর দুটো ওভার করছিল, আমি বুঝতে পেরেছিলাম সে কেমন বল করতে পারে, তাই তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল থেকেই আমি মারমুখী হয়েছিলাম। ততক্ষণে পিচের অবস্থাও আমি বুঝে গেছি।
আগে থেকে ভেবে আমি শট খেলছিলাম না। মানে আমি জানতাম যে আমি বোলারের ওপর চড়াও হতে চাই, কিন্তু আমি বিশ্বাস রেখেছিলাম আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার ওপর। অর্থাৎ বোলার বল করার পরই আমি শট ঠিক করছিলাম। তবে হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমার কিছু মিসহিট ফাঁকা স্থানে পড়েছিল। কিন্তু আমি আমার খেলাটা থামিয়ে দিইনি। আমি আমার মাইন্ডসেটের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলাম।
আমি চেষ্টা করছিলাম চাপের মুখেও নিজেকে ঠিক রাখতে, নিজের শক্তির জায়গায় অনড় থাকতে। আমি আমার মানসিক শক্তির পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করছিলাম নিজের চারপাশে একটা বাবল তৈরি করতে, এবং ঐ বাবলের মধ্যে পুরোটা সময়ে অবস্থান করতে। আর এটাই প্রথম, যখন আমি নিজে সজ্ঞানে এই কাজটা করতে পেরেছিলাম – টেকনিক্যালি এবং মানসিকভাবে। তাই এমন একটা ইনিংস খেলার পরে সন্তুষ্টিও বেশি ছিল। নিজেকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে নিজের সর্বোচ্চটা বের করে এনে একটা বড় ইনিংস খেলার ব্যাপারটা আসলেই অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।
আপনি আপনার কাঁধের ওপরে একটা অদৃশ্য কণ্ঠের কথা বলছিলেন। আপনি সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর জন্য আপনাকে ঠিক কী কী কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে?
আমি একটা সহজ কৌশলই অবলম্বনের চেষ্টা করেছি। প্রথমে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি যে মস্তিষ্কের দুটো অংশ, একটা চেতন অংশ, অপরটা অবচেতন অংশ। চেতন অংশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো কোনো চিন্তার ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনের অনুশীলন করা, এবনং কর্তৃত্ব স্থাপন করা। কিন্তু আমরা অনেকেই সেটা পারি না, আমরা আমাদের আশেপাশের পরিবেশকে আমাদের চিন্তার ওপরে ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ দিই। ফলে আমাদের চিন্তার ওপরে আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
আমার তাই চাইছিলাম নিজের মধ্যে একটা কথা ভালোভাবে গেঁথে নিতে, যদি আমি চাই, তবেই আমি নিজের ওপরে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবো। তাই যখনই আমি কাঁধের ওপরে অদৃশ্য কণ্ঠের উপস্থিতি অনুভব করেছি, তখনই নিজেকে বলেছি যে এটা ভুল বলছে। পাশাপাশি নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছি, ফোকাস করতে হলে আমাকে ঠিক কী কী করতে হবে।
এই অদৃশ্য কণ্ঠকে বন্ধ করার একটা উপায় ছিল নিজের মাথায় কোন একটা গান বাজিয়ে দেওয়া। কিছু মানুষ হয়তো জোরে শ্বাস নেওয়া, বা নিজস্ব কোনো কৌশলের কথা বলবে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কৌশলটা ছিল গান বাজানো। গানটা আমার মনকে একটা নিউট্রাল অবস্থায় আনতো, তবে বোলার দৌড় শুরু করতেই আমি আমার সর্বোচ্চ মনোযোগটা দিতে পারতাম। এইটাই আমার কৌশল, আর তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হবে নিঃসন্দেহে।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটার হিসেবে আপনার স্কিল লেভেলও সর্বোচ্চ পর্যায়ের। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু দিকে, এই ধরনের পরিস্থিতি (দশ বলে শূন্য) থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনি কোন পন্থা অবলম্বন করতেন?
দেখুন, আমি হয়তো কোন না কোন উপায়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতাম, এবং মানসিক-স্কিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগেও সেটা আমি করেছি, কিন্তু তখনও আসলে আমি নিজের ওপরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে পারিনি। আমার চারপাশের পরিবেশের কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো, আর যেমনটা বললাম, কোন না কোন ভাবে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতাম।
তবে হ্যাঁ, এখন আমি যা জানি, সেটা আরো আগে জানতে পারলে আমার ক্যারিয়ার আরো সুন্দর হতো। আমি আরো কম মানসিক চাপ নিয়ে বড় ম্যাচগুলোতে নামতে পারতাম, অথবা দশ বলে শূন্যের মতো পরিস্থিতিতে আরো কম দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরতো। তবে দেরিতে হলেও আমি আমি এই তথ্যগুলো জানতে পেরেছি, নিজের টেকনিক্যাল দক্ষতাকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি, আর আপাতত এটা নিয়েই খুশি।
আপনি বলছিলেন যে ফিল হিউজের মৃত্যুর ঘটনাটা একটা ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনার ওপর মানসিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। ঐ সময়ে ব্যাটিং ক্রিজে দাঁড়ালে আপনার মনের অবস্থাটা ঠিক কেমন হতো?
আমি ঐ সময়ে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে ভয় বিষয়টা অনুভব করেছি। আমি এমনিতে সবসময়ই ভয়ডরহীন প্রকৃতির। আমার শক্তির জায়গা ওপেনিং ব্যাটিং। সেরা ফাস্ট বোলারদের ওপর চড়াও হতে পছন্দ করি, নিজের দিনে এই বোলারদের আনতে পারি পাড়ার বোলারের কাতারে। আমি জানতাম যদি কখনো গায়ে বল লাগে, সেক্ষেত্রে একটু বিপদে পড়তে পারি। কিন্তু সেই বিপদের গভীরতা যে এতটা বেশি হতে পারে, ফিল হিউজের মতো বিয়োগান্তক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, ভাবিনি কখনো।
এরপর থেকে শর্ট বল মোকাবেলা করার ভয়টা আমার মনে ঢুকে পড়ে। আমার মানসিক অবস্থাতেও ব্যাপক পরিবর্তন আসে। যেকোন ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই এটা সত্য, যখন আপনি শর্ট বলের মুখোমুখি হতে ভয় পাবেন, আর সেই মুহূর্তে আপনার দিকে একের পর এক বাউন্সার দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসবে, প্রত্যেকটা বলেই আপনি স্বাভাবিক অবস্থানের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হবেন।
আমি জানি, এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া প্রথম বা একমাত্র ব্যক্তি আমি নই। কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি, কিন্তু অনেকেই এটার মুখোমুখি হয়েছেন। মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতিই এটা। আপনার অন্যতম প্রিয় বন্ধুকে আপনি হারিয়েছেন, এবং সেটাও এমন এক উপায়ে, যেটা হয়তো আপনি কখনোই ভাবেননি। আপনার মনোজগতে পরিবর্তন আসতে বাধ্য।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কত দিন লেগেছিল আপনার?
২০১৫ এর অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় লেগেছিল। আমি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তার ডালেইরের শরণাপন্ন হয়েছিলাম, তিনিই আমাকে পুরো ব্যাপারটার একেবারে গোড়া থেকে, ভেঙে ভেঙে বোঝালেন। তখনই আমি বুঝতে পারলাম যে এমন মানসিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। আমি নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখলাম, যেন মনের অবাধ্য ভাবনাগুলো পারফরম্যান্সে প্রভাব না ফেলে। আমি ডাক্তার ডালেইরের সাথে মাত্র দুইদিন কাজ করেছি, তাতেই পরিবর্তনটা বুঝতে পেরেছি।
[সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে ওয়াটসন কথা বলেছেন তাঁর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং, পাওয়ার হিটিং, এবং স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটিংয়ের কৌশল নিয়ে।]