তার অভিধানে ‘ব্যাটিং’ আছে, ‘বিরক্তি’ নেই
সিডনি টেস্টের প্রথম দিন সকালে চেতেশ্বর পুজারা যখন ক্রিজে এলেন, ম্যাচের বয়স তখন সবে নয় বল। বিশ্বসেরা টেস্ট দলটির ‘নাম্বার থ্রি’ ব্যাটসম্যান ব্যাটে নামার আগে একটু ড্রেসিংরুমে বসে উইকেটের চরিত্র বুঝে নেয়ার আশা করতেই পারেন। কিন্তু সেই বিলাসিতার সুযোগ পুজারার নেই। শুধু এই ম্যাচেই নয়, গোটা সিরিজজুড়েই ভারতীয় ওপেনারদের ব্যর্থতায় তড়িঘড়ি করে ব্যাটে নামতে হয়েছে তাকে। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটে নেমেছিলেন ১২ বল পর, পার্থের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৮ এবং ৪ বল শেষে।
সে যাই হোক, অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন অংকের ঘরে পৌঁছাতে পুজারা সময় নেন পাক্কা পাঁচ ঘণ্টা। দু’হাত শূন্যে তুলে যখন শতক উদযাপন করছেন, অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন তার কাছে এসে প্রশ্ন করলেন,
“তুমি কি এখনও বিরক্ত নও?”
মিতভাষী পুজারা লিওনের সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। কেবল মৃদু হেসেছেন। কিন্তু মনে মনে নির্ঘাত তিনি অট্টহাস্যে ফেটে পড়ছিলেন সেই সময়টায়। আর লায়নেরও বলিহারি যাই! এই সিরিজের আগের তিন ম্যাচ দেখেও কি তিনি পুজারাকে এতটুকুও চিনতে পারেননি? অ্যাডিলেডের ওই ইনিংসসহ গোটা সিরিজে পুজারা সাত ইনিংসে ব্যাট করেছেন। এবং ওই সাত ইনিংসে সাকুল্যে তিনি ক্রিজে কাটিয়েছেন ১,৮৬৭ মিনিট, মোকাবেলা করেছেন ১,২৫৮টি বল।
একবার এই সংখ্যাগুলোর দিকে ভালো করে নজর দেয়ার পরও কি কারও মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকতে পারে যে, ব্যাটিং করতে করতে পুজারা বিরক্ত হন কিনা? বিরক্তি আর ব্যাটিং, এই দুইটি শব্দের অস্তিত্ব যে পুজারার অভিধানে একই সাথে থাকার সুযোগই নেই!
চার বছরের ব্যবধান : একই মাঠ, একই পুজারা, ভিন্ন ছবি
চার বছর আগেকার কথা। ২০১৫ সালের ‘নিউ ইয়ার্স টেস্ট’। অংশগ্রহণকারী দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ভেন্যু সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
মহেন্দ্র সিং ধোনির আকস্মিক অবসরের ফলে সদ্যই টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব চেপেছে বিরাট কোহলির কাঁধে। এসেই সাহসী একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। একাদশ থেকে ছেঁটে ফেললেন দলের একমাত্র টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান পুজারাকে। কারণ? ধীরগতির ব্যাটিং, যা নাকি আধুনিক ক্রিকেটের সাথে একেবারেই যায় না।
সেটাই কিন্তু পুজারার দল থেকে বাদ পড়ার একমাত্র দৃষ্টান্ত নয়। এমনকি গত বছর এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও তিনি বাদ পড়েছিলেন অভিন্ন কারণে। এবং যারা সদ্য সমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজটি গভীরভাবে অনুসরণ করেছেন, তাদের জানা থাকার কথা একইরকম পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টির সুযোগ ছিল।
সিরিজের তৃতীয় তথা ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করেছিলেন পুজারা, কিন্তু সেজন্য খরচ করেছিলেন ৩১৯টি বল। তার এমন ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল অসামান্য শতকটি। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন এমন একটি শতকের কার্যকারিতা নিয়ে। সেই দলে ছিলেন সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংও। তার ভাষ্যমতে, পুজারার এই শতক তার দলকে যেমন ম্যাচ জেতাতে পারে, তেমনি ম্যাচ হারার প্রধান কারণেও পরিণত হতে পারে। আর যদি সত্যিই দ্বিতীয়টি হতো, তাহলে হয়তো আরো একবার দল থেকে বাদ পড়তে হতো তাকে, শতক হাঁকানোর পরের ম্যাচেই!
কিন্ত না, ওই ম্যাচে জয় হাতছাড়া হয়নি ভারতের, হেসেখেলেই ম্যাচটি জিতেছিলো তারা। আর তাই খলনায়ক নয়, নায়কের সম্মাননাই পেয়েছিলেন পুজারা। তাই তো চার বছর পর সেই সিডনিতেই যখন আরও একবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামলো ভারত, দর্শক হিসেবে ম্যাচটি দেখতে হলো না পুজারাকে। যেমনটি শুরুতেই বলেছিলাম, মাত্র নয় বল বয়স থেকেই তিনি সরাসরি সম্পৃক্ততার সুযোগ পেলেন।
এবার তিনি খেললেন ১৯৩ রানের এক অনবদ্য ইনিংস, এবং সেজন্য এবারও তিনি খরচ করলেন ৩৭৩টি বল। অর্থাৎ এবারও যে তার স্ট্রাইক রেটের খুব বেশি উন্নতি হলো, তেমনটি নয়। পঞ্চাশের একটু উপরে। তবু এবার তার এই ইনিংসের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেলো না কেউ। কেননা তার এই ১৯৩ রানের সাথে ঋষভ পান্টের অপরাজিত ১৫৯ রান যোগ হলে ভারত ইনিংস ঘোষণা করতে পারলো সাত উইকেটে ৬২২ রানের এক বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে।
সেই সূত্র ধরেই প্রথম ইনিংস শেষে ভারত পেল ৩২২ রানের বিশাল লিড (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, প্রথম অবস্থানে ২০০০ সালে কলকাতায় ৪০০ রানের লিড), এবং তার চেয়েও বড় ব্যাপার: ৩১ বছর ও ১৭২ ম্যাচ বাদে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে ফলোঅন করানোর সুযোগ। তবে এই সব সাফল্যকেই তুচ্ছ মনে হবে, যখন আপনি আরও বৃহত্তর একটি সাফল্যের ব্যাপারে শুনবেন। সেটি হলো: ৭১ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলার পর প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করেছে ভারত। আর এমন অর্জনে এশিয়ার প্রথম দলও ভারতই।
ভারতের এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে সবচেয়ে বেশি অবদান কোন মানুষটির? ঠিকই ধরেছেন, তিনি অতি অবশ্যই পুজারা। চার টেস্টের সাত ইনিংসে তিনি ৭৪.৪৩ গড়ে রান করেছেন ৫২১, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট (৪১.৪১) ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের (৪৬.৪৪) থেকেও পুরো পাঁচ কম। কিন্তু তাই বলে কি আরও একবার বাদ পড়বেন পুজারা? মোটেই নয়! বরং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবার মাথায় তুলে রাখবে তাকে।
ছায়া থেকে কায়া
কীভাবে মাথায় তুলে রাখবে, সে প্রসঙ্গে না হয় কিছুক্ষণ পর আসি। আগে একটি ব্যাপার আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
রাহুল দ্রাবিড় পুরোপুরি কবে শচীনের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, মনে পড়ে? ২০০২ সালে, ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনটি শতক হাঁকানোর বদৌলতে। তার যোগ্য উত্তরসূরী পুজারাও কিন্তু প্রায় অভিন্ন চিত্রনাট্যই মানলেন। তবে ইংল্যান্ডের বদলে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে, এইটুকুই যা তফাৎ আরকি!
অ্যাডিলেডে ভারত ম্যাচ জিতেছে, সেখানে পুজারা করেছেন ১২৩ ও ৭১। মেলবোর্নে ভারত ম্যাচ জিতেছে, সেখানে পুজারা দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মারলেও, প্রথম ইনিংসে করেছেন ১০৬। সিডনিতে আলোক স্বল্পতার কারণে ভারতের নিশ্চিত জেতা ম্যাচটি হাতছাড়া হলেও, ড্র তারা করেছে ঠিকই, আরও বড় কথা সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে, আর সেখানে পুজারার অবদান ১৯৩। অর্থাৎ পুরো সিরিজটিই পুজারাময়।
তাই সোয়া আট বছরের ক্যারিয়ারে ৬৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলার পর এবার যে তিনি সত্যি সত্যিই কোহলি কিংবা অন্যদের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠলেন, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে!
সিডনি টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলীয় দর্শকরা দুয়োধ্বনি দিয়েছিলো কোহলিকে। প্রতিপক্ষ শিবিরের সবচেয়ে বড় নামটিকে দুয়ো দেয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই তারাই আবার পুজারা প্রতিটি মাইলফলক স্পর্শ করতেই হাততালি দিয়েছে। সাত রানের জন্য দ্বিশতক মিস করে পুজারা যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছেন, তখনও প্রতিপক্ষ শিবিরের সমর্থকগোষ্ঠীর থেকে পেয়েছেন ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’! কারণ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পুজারার মত একজন ‘সত্যিকারের টেস্ট ব্যাটসম্যানের’ ব্যাটিং চাক্ষুষ করা যে আক্ষরিক অর্থেই বিরলতম সৌভাগ্য অর্জনের সামিল। শুধু ভারতীয় দলই কেন, অস্ট্রেলিয়া কিংবা বিশ্বের অন্য কোনো দলেও যে এখন আর পুজারার মত এমন ‘বিরক্তিকর কিন্তু কার্যকর’ টেস্ট ব্যাটসম্যান নেই।
একজন ‘বিরক্তিকর’ ব্যাটসম্যানের ইতিবৃত্ত
পুজারাকে বিরক্তিকর বললাম বলে আবার যেন কেউ তেড়ে আসবেন না! পুজারাকে ছোট করার কোনো অভিসন্ধিই আমার নেই। কিন্তু এ কথা তো মানতেই হবে যে, পুজারা কোনো শচীন বা লারা নন। এমনকি তিনি হালের কোহলি কিংবা স্মিথও নন। তার ব্যাটিংশৈলী নান্দনিক নয়, তার ব্যাটে সৌন্দর্যের ফুল ফোটে না। তার ব্যাটিং দর্শকদের চোখে তৃপ্তির কারণ হয় না, বরং অনেক পাঁড় ভারতীয় সমর্থকও তার ব্যাটিং দেখতে দেখতে হাই তোলেন।
কেননা, বাস্তবিকই পুজারা বাইশ গজে নেমে শ্রীচারুতার চাষাবাদ করেন না। তাকে বরং ক্রিকেটের কৌটিল্য বলা যায়, যার কাছে ফলাফলই শেষ কথা। দিনশেষে স্কোরকার্ডে নিজের এবং দলের নামের পাশে কত রান যোগ হলো, সেটিই তার কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। এজন্য তিনি একটার পর একটা বল ছেড়ে গেলেন কিনা, কিংবা তার রক্ষণকৌশল কাকের মত কদর্য কিনা, এগুলোতে সত্যিই কিছু যায় আসে না।
পুজারাকে যেই দ্রাবিড়ের সাথে তুলনা করা হয়, সেই দ্রাবিড়ের ক্যারিয়ারের দেয়ালেও কিন্তু হাবিজাবি দেয়ালিকা সাঁটা ছিল না, সেখানে ছিল রঙ-বেরঙের গ্রাফিতি। রক্ষণকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে, ক্রিজে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চেয়ে তিনি সৌন্দর্যবোধের সাথে কখনও আপোষ করেননি। কিন্তু পুজারা দ্রাবিড়ের মতো নন, পুজারা সৌন্দর্যের পূজারী নন।
তবু পুজারাই ‘দৃষ্টান্ত’
পুজারার ব্যাটিং সে অর্থে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ না হলেও তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার উপায় নেই, আর তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখারও উপায় নেই। এতদিন হয়তো বিসিসিআই ঘুমিয়ে ছিল, তাই তাদের হিসেব ছিল না। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় পুজারা যা করে দেখালেন, তাতে তাদের হুঁশ ফিরতে বাধ্য। শুধু পুজারার জন্যই তারা এমনকি বিদ্যমান নিয়ম ভাঙতেও প্রস্তুত।
এতদিন বিসিসিআইয়ের নিয়ম ছিল, বোর্ডের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ গ্রেড এ প্লাসের আওতাধীন হবেন কেবল সেই সকল খেলোয়াড়ই, যারা তিন ফরম্যাটেই খেলে থাকেন। এই মুহূর্তে বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাই আছেন কেবল কোহলি, রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও শিখর ধাওয়ান। এমনকি তিন ফরম্যাটেই সক্রিয় না হওয়ায় সেখানে জায়গা হয়নি ধোনিরও।
কিন্তু পুজারার জন্য সেই নিয়ম শিথিলের কথাও ভাবছেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষ মহল। তাদের মতে, ভারতীয় ক্রিকেটকে কেবল এক ফরম্যাটে খেলেই যে সার্ভিস দিচ্ছেন পুজারা, অনেক ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটে খেলেও ততটা দিচ্ছেন না। তাই এ গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বছরে পাঁচ কোটি নয়, পুজারা দাবিদার একজন এ প্লাস গ্রেডার হিসেবে সাত কোটি রুপি প্রাপ্তির। আর এর মাধ্যমে ভারতের উঠতি ক্রিকেটারদের কাছে এমন বার্তাও পৌঁছে দেয়া যাবে যে, বর্তমান যুগে যতই সাদা বলের ক্রিকেটের জয়জয়কার হোক না কেন, দিনশেষে সবচেয়ে বেশি সম্মান সাদা পোশাকেই!
এবার পালা শীতনিদ্রার
পরিহাসের বিষয় কী, জানেন? বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে হয়তো পুজারার পদোন্নতি সময়ের ব্যাপার মাত্র, কিন্তু তার হাতে আইপিএলের কোনো চুক্তি নেই। গত মাসে যখন আইপিএলের নিলাম হলো, পুজারার ভিত্তিমূল্য ছিল মাত্র পঞ্চাশ লক্ষ রুপি। তাতেও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি তাকে দলে নিতে। এমনকি তিনি ভারতীয় পঞ্চাশ ওভারের দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারও অন্তর্ভুক্ত নন।
কিছুদিন পরই বসবে আইপিএলের জমকালো আসর। এরপর ভারত উড়াল দেবে ইংল্যান্ডে, বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের মিশনে। কিন্তু সেসবের কোনোখানেই খুঁজে পাওয়া যাবে না পুজারার মুখ। দেশে ফিরে তিনি হয়তো কিছু প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবেন। আইপিএল চলাকালীন যাবেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। খুব সম্ভবত বিশ্বকাপটাও তিনি দেখবেন নিজের বাড়ির ড্রয়িংরুমে বসেই।
আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেতে পুজারাকে অপেক্ষা করতে হবে ছয় মাসেরও বেশি সময়। ঠিক কী কারণে সতীর্থদের সুযোগ না দিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সিংহভাগ বল তিনি নিজেই খেললেন, এবার মাথায় ঢুকলো তো? শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে এভাবেই তো শক্তি সংরক্ষণ করতে হয়!
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/