গত ১৬ জুলাই পর্দা নেমেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের। জাতীয় পর্যায় বাদে ক্লাব থেকে সবসময় নতুন প্রজন্মের ফুটবলার উঠে আসে কিন্ত জাতীয় পর্যায় বা দেশের হয়ে জ্বলে উঠে পরিচিতি পাবার ব্যাপারটা সেভাবে দেখা যায় না। কিন্ত প্রতি চার বছর পরপর বিশ্বকাপে দেশের হয়ে নজর কেড়ে নেওয়া ফুটবলারের সংখ্যা অগণিত। গত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন হামেস রদ্রিগেজ। পল পগবা পেয়েছিলেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের খেতাব। এছাড়াও কেইলর নাভাসের পুনর্জাগরণ যেমনভাবে হয়েছিলো এবার ক্যাসপার স্মাইকেল তা করে দেখালেন। তবে এবারের বিশ্বকাপের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করার আগে তারা যেন সমর্থকদের মাঝে একটু বেশিই অপরিচিত ছিলেন। হয়ত কিলিয়ান এমবাপে বিশ্বকাপের আগেই তারকা খেতাব নিয়ে রাশিয়াতে এসেছিলেন। কিন্তু লোজানো, চেরিশেভ বা গোলেভিনকে ক’জন চিনতো?
আন্তে রেবিচ (ক্রোয়েশিয়া)
২৪ বছর বয়সী এ উইঙ্গার খেলতেন জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফুর্টে। তাদের সমর্থক বাদে রেবিচকে চেনার কথা নয়। কিন্ত বিশ্বকাপ যেন বদলে দিলে রেবিচের ভাগ্য। আর্জেন্টিনার সাথে ম্যাচে উইলি ক্যাবায়েরোর বোকামিতে বিশ্বকাপে একমাত্র গোল করেছিলেন রেবিচ। তবে নজর কেড়েছেন অন্য জায়গায়। জ্লাৎকো দালিচের ট্যাকটিসে তিনি খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন দারুণভাবে। মাঠের বাম উইংয়ে নিয়মিত হলেও দুপাশেই লক্ষ্য করা গেছে তার উপস্থিতি। উইং এ যেমন আক্রমণে সহায়তা করেছেন তেমনই মধ্যমাঠের সাথে উইংয়ের সম্পর্ক জুড়তে তার পাসগুলো বিশেষ ভুমিকা পালন করেছে। বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচে সাবলীল খেলা উপহার দেবার ফলও পেয়ে গেছেন রেবিচ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে নিতে চায় এ ক্রোয়েট উইঙ্গারকে।
সিমে ভার্সালকো (ক্রোয়েশিয়া)
২৬ বছর বয়সী এ ক্রোয়েশিয়ান নজরে এসেছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত একটি সিজন পার করে। সাসুয়েলো থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিস ২০১৪ সালে কিনলেও মাঠে নিয়মিত হয়েছেন গত মৌসুমেই। সিমিওনের মত দালিচও তাকে রাইট-ব্যাক পজিশনে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। ভার্সালকোর জন্য প্রতিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার ডানপাশ দিয়ে সেভাবে আক্রমণ কখনোই করতে পারেনি। ভার্সালকোর গতি আর ড্রিবলিং করার দক্ষতা থাকার জন্য পেরেসিচ, রেবিচের সাথে সরাসরি আক্রমণেও সহায়তা করতে পেরেছেন। বিশ্বকাপের পর ভার্সালকোর প্রতি নজর পড়েছে ইন্টার মিলানের। তবে সিমিওনে নিশ্চয়ই তাকে বিক্রি করে দিতে এখনই রাজি হবেন না।
ডেনিশ চেরিশেভ (রাশিয়া)
ডেনিশ চেরিশেভ নামটি ফুটবল দুনিয়াতে বেশ পরিচিত। রুশ খেলোয়াড় বা সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় হিসেবে নয়, তাকে সবাই চেনে কুখ্যাত রিয়াল মাদ্রিদ ফ্লপ হিসেবেই। তবে সে দিকে না যাই। রিয়াল মাদ্রিদের ঐ ঘটনা এবং একের পর এক ইনজুরির কারণে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলেন তিনি। কিন্ত শেষ একবার সুযোগ পেয়ে ঘুরে দাড়ালেন দারুণভাবে। বিশ্বকাপে রাশিয়া দলে বেঞ্চে স্থান ছিলো তার। কিন্ত সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই চোট পেলেন জাগোয়েভো। চেরিশেভ সে ম্যাচে নেমে করলেন জোড়া গোল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বাদ হবার আগে করেছেন মোট ৪ গোল, বিসেশ করে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে করা গোলটি এখনও সবার চোখে লেগে আছে।
আলেক্সজান্ডার গোলেভিন (রাশিয়া)
বিশ্বকাপের মাধ্যমে কিলিয়ান এমবাপের পর বর্তমানে সবথেকে বেশি আলোচিত তরুণ ফুটবলার সম্ভবৎ গোলেভিন। রাশিয়ান ক্লাব সিএসকেএ মস্কোতে খেলা এ ২২ বছর বয়সী খেলোয়াড় খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে। রাশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপেও একই পজিশনে নেমেছিলেন তিনি। ৪ ম্যাচে করেছেন ১ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট। গোল বা অ্যাসিস্ট ছাপিয়ে গোলেভিন নজর কেড়েছেন তার আক্রমণ ও গোল সুযোগ তৈরি করার দক্ষতা দিয়ে। বিশ্বকাপে ৭১% সফল পাস দেয়া গোলেভিন গোল সুযোগ তৈরি করার রেটিংয়ে বেশ এগিয়ে। ইউরোপের বড় কিছু ক্লাব আগে থেকেই তার প্রতি আগ্রহী ছিলো। বিশ্বকাপের পর যেন সেটা আরও বেড়েছে। বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি ও চেলসির মত বড় ক্লাব তাকে নিতে আগ্রহী। তবে তাকে দলে পেতে চেলসিই বর্তমানে বেশি এগিয়ে। তাই আসন্ন মৌসুম থেকে হয়ত স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেই দেখা যাবে সম্ভবনাময়ী এ মিডফিল্ডারকে।
হারভিং লোজানো (মেক্সিকো)
জার্মানি বনাম মেক্সিকো ম্যাচ। সে ম্যাচে প্রথম থেকেই মেক্সিকোর আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে নুয়ে পড়েছে জার্মান বাহিনী। হারভিং লোজানো নামক অখ্যাত এক বালক একাই নাচিয়েছে জার্মানিকে। পুরো ম্যাচে জার্মানিকে ডান পাশ দিয়ে টানা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখা লোজানো বিশ্বকাপে খেলা চার ম্যাচেই সফলতার দেখা পেয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই তার গোলমুখে শট, সাকসেসফুল ড্রিবলিং ও পাসিং অ্যাকুরেসি ছিলো নজরকাড়া। বিশ্বকাপে লোজানোর সাফল্যের মাত্রাটা আরও একটু বড় হতে পারত যদি না কার্লোস ভেলা ও হাভিয়ে হার্নান্দেজ তার বানিয়ে দেওয়া গোল সুযোগগুলো বাজেভাবে মিস না করতেন। তবে লোজানোর সামনে উজ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। হয়ত এবারই কোন বড় ইউরোপিয়ান ক্লাব তাকে দলে নেবে নয়তো পরের কোনো মৌসুমে। তখন তার সামনে সুযোগ থাকবে ইউরোপের মত বড় মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার।
বেঞ্জামিন পাভার (ফ্রান্স)
দুই বছর আগেও তাকে ইউরো দেখতে হয়েছে বন্ধুদের সাথে টিভির সামনে। কিন্তু সেই বেঞ্জামিন পাভার এখন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য! স্টুর্টগার্টের হয়ে খেলা পাভারের বিশ্বকাপে দলের স্কোয়াডে থাকার কথা ছিলো না। সে পজিশনে আগে থেকেই দেশমের প্রথম পছন্দ ছিলো জিব্রিল সিদিবে। কিন্ত বিশ্বকাপের আগে সিদিবে ইনজুরিতে পরায় ভাগ্য খুলে যায় পাভারের। তিনি এতোটাই ভালো খেলেন যে সিদিবে সুস্থ হলেও পাভারই খেলেছে প্রায় প্রতিটি ম্যাচ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দারুণ একটি গোল করেছেন যেটা স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বকাপের সেরা গোল হিসেবে। বিশ্বকাপের সময় ধারণা করা হচ্ছিল, পাভারকে দলে নিতে ইউরোপের বড় দলগুলো বিশাল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তাকে কেনার রেসে লেগে যাবে। তেমনটা কিন্তু হয়নি। শুধুমাত্র বায়ার্ন মিউনিখ পাভারকে কেনার দৌড়ে এগিয়ে আছে।
ইয়েরি মিনা (কলম্বিয়া)
বিশ্বকাপে ৩ গোল। আবার সেই তিন গোল যদি কোন ডিফেন্ডারের হয় তাহলে চোখ কপালে তোলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না! তবে ইয়েরি মিনা এটাই করে দেখিয়েছেন। সেট পিস থেকে ৩ গোল করে বিশ্বকাপে কলম্বিয়াকে একাই টেনেছেন তিনি। বাক্কা, মুরিয়েলরা যেখানে গোল এনে দিতে পারেননি, মিনা সেখানে ঠিকই গোল এনে দিয়েছেন পরপর ৩ ম্যাচে। রক্ষণেও তিনি ছিলেন অটুট। ডিফেন্ডার হয়েও তার পাসিং অ্যাকুরেসি দারুণ। নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে ট্যাকলগুলোও এতো নিখুঁত করতে পারেন যে, তিন ম্যাচে একটা হলুদ কার্ডও তিনি দেখেননি। ইয়েরি মিনাকে বার্সেলোনা কিনেছিলো গত মৌসুমে। হয়ত দলে সেভাবে সুযোগ করে নিতে পারেননি মিনা। কিন্ত বিশ্বকাপের পর অনেকগুলো দলই মিনাকে দলে নিতে আগ্রহী। সেখানে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ বার্সা পেতে পারে এই কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারের দৌলতে।
হ্যারি ম্যাগুয়ের (ইংল্যান্ড)
বিশ্বকাপের পূর্বে হ্যারি ম্যাগুয়েরকে ক’জন চিনতেন? খেলেন লেস্টার সিটিতে। গ্যারি কাহিল, ফিল জোনস, জন স্টোনসদের ভীড়ে সবসময় স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া হয় না তার। এবার ইংল্যান্ড দলে ছিলেন নিয়মিত মুখ। গোল দিয়ে ইংল্যান্ডকে তুলেছেন সেমিফাইনালে। গ্যারেথ সাউথগেটের ট্যাকটিক্সে পুরো বিশ্বকাপে অন্যতম আস্থা হয়ে ছিলেন সবসময়। বিশ্বকাপ দিয়ে হ্যারি ম্যাগুয়ের নিজের ভবিষ্যত বদলে ফেলেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ম্যাগুয়েরের শক্তপোক্ত গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে মিডিয়াজুড়ে। আর দামটা? বর্তমান ফুটবলের যে বাজার, তাতে ম্যাগুয়েরের দাম ১৭ মিলিয়ন থেকে ৫০ মিলিয়নও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
লুকাস তোরেইরা (উরুগুয়ে)
উরুগুয়ের পকেট ডিনামাইট। এ নামেই হয়ত তোরেইরাকে বেশি বিশ্লেষণ করা হয়। বর্তমান ফুটবলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের রোলটা বেশ পাল্টে গেছে। শুধু রক্ষণে সহায়তা করার সেই মানসিকতা এখন আর নেই। শুধু গায়ের জোরে নয়, মস্তিষ্কের সাহায্যে রক্ষণের সহায়তার পাশাপাশি পাসের সাহায্যে আক্রমণেও সহায়তা করতে হবে, এমন মনোভাব থাকে বর্তমান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। সার্জিও বুসকেটস, মার্কো ভেরাত্তি, জর্জিনহো বা জুলিয়ান ভাইগেলের পর এবার নতুন সংযোজন লুকাস তোরেইরা। সাম্পদোরিয়াতে তার প্রতিভা বিকশিত করার পাশাপাশি এ বিশ্বকাপেও আলো ছড়িয়েছেন তোরেইরা। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিতে একদমই কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। এমনকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও তার স্বাভাবিক ফুটবলটা খেলতে দেননি এই মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপের পরপরই উনাই এমেরি তোরেইরাকে আর্সেনালে নিয়ে এসেছেন তার দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের দায়িত্ব দেবার জন্য। আশা করি তোরেইরা প্রিমিয়ার লিগের সাথে মানিয়ে নিয়ে তার স্বভাবত খেলাটা খেলে যাবেন।
থমাস মুনিয়ে (বেলজিয়াম)
৩-৪-৩ ফর্মেশনে রবার্তো মার্টিনেজের স্কোয়াডে থমাস মুনিয়ে ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ উইং-ব্যাকের দায়িত্ব পালন করেছেন পুরো বিশ্বকাপে। যেমনটা সহায়তা করেছেন আক্রমণে ততটাই রক্ষণে। ফ্রান্সের বিপক্ষে মুনিয়ে ছিলেন না বেলজিয়ামের স্কোয়াডে। এতে করে তার শূন্যতায় ভুগতে হয়েছে বেলজিয়ামকে। তেমনি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ফিরে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন বেলজিয়াম দলে তাকে বেশি প্রয়োজন। ৫ ম্যাচ খেলে মুনিয়ে গোল করেছেন ১ টি, ২টি অ্যাসিস্টও আছে তার নামের পাশে। ক্লাবে খেলেন পিএসজির হয়ে, সেখানে গত মৌসুমে হয়ে ছিলেন স্কোয়াডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে।
জর্দান পিকফোর্ড (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের হয়ে জো হার্ট যে এবার থাকবেন না তা অনুমেয় ছিলো। পিকফোর্ড, বাটল্যান্ড এবং নিক পোপের ভেতর থেকে পিকফোর্ডই যে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের বেশি পছন্দ সেটাও বিশ্বকাপের আগে থেকেই পরিষ্কার ছিলো। কিন্ত ইংল্যান্ডে দলে জর্দান পিকফোর্ড থাকাটা অনেকের জন্যই স্বস্তিদায়ক ছিলো না। কিন্ত পিকফোর্ড ভুল প্রমাণ করলেন সবাইকে। বিশ্বকাপে কোর্তোয়া, সুবাসিচ ও লরিসের পাশাপাশি অন্যতম সেরা গোলরক্ষক তিনি। ৭ ম্যাচে সেভ করেছেন ১৫ টি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেই করেছেন ৫ টি সেভ। ১ ম্যাচে ছিলো ক্লিনশিট। এবারের বিশ্বকাপের পারফর্মেন্সেই প্রমাণ করে দিলেন ইংল্যান্ডের গোলবার সামলানোর জন্য একদম উপযুক্ত তিনি।
লুকাস হার্নান্দেজ (ফ্রান্স)
লুকাস হার্নান্দেজের গল্পও কিছুটা বেঞ্জামিন পাভারের মত। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের লেফট-ব্যাক পজিশনে খেলার কথা ছিলো বেঞ্জামিন মেন্দির। কিন্ত বিশ্বকাপের শুরুতে মেন্দি ইনজুরিতে পড়ায় সুযোগ পেয়ে যান লুকাস। সুযোগ পেয়ে এতোটাই ভালো খেলেন যে মেন্দিই আর মাঠে নামার সুযোগ পাননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে আগেই নজর কেড়েছিলেন লুকাস। জাতীয়তায় স্প্যানিশ হলেও দেশমের প্রবল আগ্রহের পাশাপাশি ফ্রান্সের হয়ে ফুটবল খেলার সিদ্ধান্ত নেন লুকাস। ২২ বছর বয়সেই বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য লুকাস, যেখানে বিশ্বকাপ জিততেও তার ভূমিকা আছে।
কিয়েরান ট্রিপিয়ার (ইংল্যান্ড)
একটা সময় টটেনহ্যাম হটস্পারের বেঞ্চেই সময় কেটেছে তার। কাইল ওয়াকারের প্রথম পছন্দের রাইট-ব্যাক থাকার কারণে মৌসুমে সবমিলিয়ে ১০ টি ম্যাচও পেতেন না তিনি। কাইল ওয়াকার ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমালে স্পার্সদের রাইট-ব্যাকের হাল ধরার দায়িত্ব আসে তার ঘাড়ে। এতে করে গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে তার। সে ধারা বজায় রাখলেন রাশিয়া বিশ্বকাপেও। একজন ফুল-ব্যাক হবার পরও বিশ্বকাপে ৬ টি বড় ধরণের গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। দারুণ একটি ফ্রি-কিকে গোলও পেয়েছেন। বিশ্বকাপে তার ট্যাকল ও ড্রিবলের রেটিংও চমক জাগানো। একটু বেশি বয়সেই নজরে আসলেন ট্রিপিয়ার। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। স্পার্সের মত ক্লাবের প্রথম পছন্দের খেলোয়াড় তিনি। হয়ত এ মৌসুমে ইউরোপের অন্য কোন ক্লাবে খেলার সুযোগও এসে যেতে পারে।
ফিচার ইমেজ: Getty Images