বর্ণবাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট থেকে প্রায় ২২ বছর নির্বাসিত ছিল। এখনও পুরোপুরিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নির্মূল হয়নি। স্কুল পর্যায়ে বাধ্যতামূলকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের দলে জায়গা দিতে হয়, যার ফলে অনেক প্রতিভাবান শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার শুধুমাত্র কোটা পদ্ধতির কারণে দলে জায়গা পাচ্ছে না। গত কয়েক বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার অসময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এছাড়া এমন অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছেন, যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মালেও বেড়ে উঠেছেন আরেক দেশে, এবং ঐ দেশের হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিল। ঐ সময়েও অনেকে দেশত্যাগ করেছিলো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সপরিবারে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করে। ইংল্যান্ডে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার না, আরও অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভূত ক্রিকেটাররাও খেলে আসছে। বর্তমানে তাদের ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়োন মরগান তো আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, এমন অনেক তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন, যাদের জন্ম ইংল্যান্ডে না। এই তারকা ক্রিকেটাদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত পাঁচ তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে আজকের লেখা।
ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা
বর্ণবাদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অলিভেইরার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তার মতো দৃষ্টিনন্দন ক্রিকেটার নিজের সেরা সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগই পাননি। তিনি দুর্দান্ত ফর্মে থাকার পরও শুধুমাত্র কালো বলে কখনও দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পাননি। তিনি ছাড়াও আরও অনেক বিশ্বমানের ক্রিকেটার বর্ণবাদের মতো একটি ঘৃণ্য কর্মকান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত অলিভেইরা ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ১৯৬৪ সালে উস্টারশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সেখানে ইংল্যান্ডের জাতীয়তা নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন তিনি। এর দুই বছর পর ১৯৬৬ সালে ৩৫ বছর বয়সী অলিভেইরার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ক্যারিয়ারের শেষ বয়সে এসেও দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৪টি টেস্টে ৫টি শতক এবং ১৫টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪০.০৬ ব্যাটিং গড়ে ২,৪৮৪ রান এবং ৪৭ উইকেট শিকার করেছিলেন।
ব্যাসিল লুইস ডি’অলিভেইরা ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে শুধুমাত্র গায়ের রঙ শ্বেতাঙ্গ না হওয়ার কারণে নিজ জন্মভূমির হয়ে কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি। দুর্দান্ত এই ক্রিকেটার সারাজীবন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসে থেকে আফসোস করেননি। শেষমেশ ২৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। বয়সটা ২৯ না হয়ে যদি ১৯ হতো, তাহলে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো।
টনি গ্রেগ
ধারাভাষ্যকার হিসেবে টনি গ্রেগের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। তার ভরাট কন্ঠস্বর সাক্ষী হয়ে আছে বহু ঐতিহাসিক মুহূর্তের। ধারাভাষ্যকার হিসাবে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করার আগে ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ সফল ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্সটাউনে। তার মা দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত হলেও বাবা ছিলেন স্কটল্যান্ডের অভিবাসী। তাই জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও তার শৈশব কেটেছে ইউরোপে। যদি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে যেতেন, তাহলে হয়তো ক্রিকেটবিশ্ব তার মতো ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকারের খোঁজ পেতো না। কারণ যে বছর তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিলো, এর দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
টনি গ্রেগ ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মাত্র পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে ৫৮টি টেস্ট এবং ২২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। দীর্ঘদেহী এই অলরাউন্ডার ৫৮টি টেস্টে আটটি শতক এবং ২০টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪০.৪৩ ব্যাটিং গড়ে ৩,৫৯৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মিডিয়াম পেস এবং অফ স্পিন, দু’ভাবেই বল করতে পারতেন তিনি। বোলার হিসেবেও বেশ সফল ছিলেন গ্রেগ। ইনিংসে ছয়বার পাঁচ উইকেট এবং ম্যাচে দু’বার দশ উইকেট শিকার করে মোট ১৪১ উইকেট পেয়েছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ইংল্যান্ডের হয়ে সব ধরনের ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি বেশ সফল ছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫০টি টেস্ট এবং ৬২টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। টেস্টে ২৩টি জয়ের বিপরীতে ১১ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে তার নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। ওয়ানডেতে তার সাফল্য তুলনামূলকভাবে কম। তার নেতৃত্বে ৬২ ম্যাচে ২৭টিতে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান এই শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। অ্যালেস্টার কুকের সাথে তার জুটি বেশ জমতো। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০০টি টেস্ট খেলে ২১টি শতক এবং ২৭টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪০.৯১ ব্যাটিং গড়ে ৭,০৩৭ রান সংগ্রহ করেছেন। ওয়ানডে ফরম্যাটেও ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি বেশ সফল ছিলেন। ওয়ানডেতে ১২৭ ম্যাচ খেলে ছয়টি শতক এবং ২৭টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৫.৬৩ ব্যাটিং গড়ে ৪,২০৫ রান করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৭৭ সালের ২রা মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর মাত্র ছয় বছর বয়সে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তিনি তার শৈশবের বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এবং অ্যাডিলেডে কাটিয়েছিলেন। সেখানে ব্রেট লি’র সাথে কিছুদিন ফার্স্ট-গ্রেডের ম্যাচ খেলেন। এরপর ১৯৯৮ সালে কাউন্টিতে মিডলসেক্সের হয়ে প্রথম ইনিংসের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। পাঁচ বছর কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পর ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই ব্যাটসম্যানের।
কেভিন পিটারসেন
আধুনিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেন কেভিন পিটারসেন। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি আর কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র দশ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ৩২টি শতক হাঁকিয়েছেন, গড়েছেন অনেক কীর্তি। দলীয় কোন্দলের কারণে অসময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাদ না পড়লে তার নামের পাশে যোগ হতো আরও অনেক শতক।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ১০৪টি টেস্টে ২৩টি শতক এবং ৩৫টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪৭.২৮ ব্যাটিং গড়ে ৮,১৮১ রান সংগ্রহ করেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও তিনি সমানভাবে সফল। ১৩৬টি ওয়ানডেতে ৯টি শতক এবং ২৫টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪০.৭৩ ব্যাটিং গড়ে ৪,৪৪০ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ ম্যাচে ৭টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৩৭.৯৩ ব্যাটিং গড়ে ১,১৭৬ রান করেছেন।
ইংল্যান্ডের জার্সিতে দুর্দান্ত ক্যারিয়ারের মালিক কেভিন পিটারসেনের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি ১৯৮০ সালের ২৭শে জুন নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণ করেন।
আফ্রিকান বাবা এবং ইংলিশ মায়ের ঘরে জন্ম হয়েছিলো পিটারসেনের। তার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে নাটালের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু অদ্ভুত কোটা সিস্টেমে পড়ে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ার কারণে ২০০০ সালে ইংল্যান্ডে এসে নটিংহ্যামশায়ারের সাথে যোগ দেন। সেখানে চার বছর ক্রিকেট খেলার পরপরই ইংল্যান্ড দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে তার চার বছর ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হলো। তা না হলে আরও আগেই ইংল্যান্ডের হয়ে ডাক পেতেন এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ২০০৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিলো। ঐ বছর ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। সেই সাথে ২০০৫ সালের বর্ষসেরা উদীয়মান এবং বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিলেন।
এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বেড়ে উঠলেও তার ক্রিকেটীয় সব অর্জন ইংল্যান্ডের হয়ে।
জোনাথন ট্রট
মানসিক অবসাদের কারণে অসময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন জোনাথন ট্রট। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে মাঝপথেই ফিরে আসেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ফলে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ট্রট।
জোনাথন ট্রটের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজে শতক হাঁকানোর মধ্য দিয়ে। ওয়ানডেতেও শুরুটা করেছিলেন অসাধারণভাবে। মাত্র ২১টি ওয়ানডেতেই সহস্রাধিক রান করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনবার অ্যাশেজ জেতার পাশাপাশি ২০১১ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন ট্রট। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২টি টেস্ট খেলে ৯টি শতক এবং ১৯টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪৪.০৮ ব্যাটিং গড়ে ৩,৮৩৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ছয় হাঁকানো ছাড়াই সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের রেকর্ডটিও তার দখলে।
তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ৪৫১টি চার মারলেও কখনো ছয় হাঁকাননি। টেস্টের তুলনায় ওয়ানডেতে তার পারফরম্যান্স আরও উল্লেখযোগ্য ছিল। ৬৮টি ওয়ানডেতে চারটি শতক এবং ২২টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫১.২৫ ব্যাটিং গড়ে ২,৮১৯ রান সংগ্রহ করেছেন।
জোনাথন ট্রটও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার। ১৯৮১ সালের ২২শে এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার হলেও দাদা-দাদী ছিল ইংলিশ। তাই তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল।
ট্রট দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনুর্ধ্ব-১৫ এবং অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেললেও ২০০২ সালে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন। কাউন্টিতে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করার সুবাদে সবসময় নির্বাচকদের নজরে ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এবং ২০০৯ সালে কাউন্টিতে চারটি শতকের সাহায্যে ৮০.৪৬ ব্যাটিং গড়ে ১,২০৭ রান সংগ্রহ করার ফলে ঐ বছরের অ্যাশেজে ডাক পান তিনি। সুযোগ পেয়ে অভিষেক ম্যাচেই শতক হাঁকিয়েছিলেন।
এর পরবর্তী কয়েক বছর স্বপ্নের মতো কাটানোর পর মানসিক অবসাদের কারণে ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন তিনি। তার ক্যারিয়ার সময়ের দিক থেকে খুব একটা দীর্ঘ না হলেও অর্জনের দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধ।