সেই জুম্মন লুসাই থেকে শুরু করে কয়েক বছর আগের সাদেক-কামাল জুটি; বাংলাদেশের হকি ছিলো একসময় তারকায় ভরা এক অঙ্গন। হকি স্টেডিয়াম তখন ভরে উঠতো হাজারো দর্শকে, লোকের মুখে ছিলো ঢাকার হকি নিয়ে চর্চা এবং মাঠ ভর্তি ছিলো তারকা আর তারকা।
হকির সেই সুদিন আর নেই।
এখন হকি মাঠে আর লোকেরা সেভাবে ভিড় করে না। শহরজুড়ে আর ঘরোয়া হকি নিয়ে আলোচনা হয় না। এমনকি হকি জাতীয় দলের খোঁজখবরও সেভাবে রাখে না লোকজন। এই আকালের সময়ে বাংলাদেশের হকির শেষ দুই তারকা জিমি-চয়ন জুটি। মানে, রাসেল মাহমুদ জিমি এবং মামুনুর রহমান চয়ন।
এই জুটিটাও ভেঙে গেলো। মাত্র ৩০ বছর বয়সে পরিবারকে আরেকটু সময় দেওয়ার জন্য, ছেলেটার বেড়ে ওঠা কাছ থেকে দেখার জন্য, বাবার মলিন মুখ দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক হকিকে বিদায় বলে দিলেন চয়ন। চয়নের বিদায়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের একটা অধ্যায়ের। শেষ হয়ে গেলো এই দেশের সবচেয়ে সফল পেনাল্টি স্পেশালিস্টের ক্যারিয়ার।
চয়ন এখনও খেলবেন। ঘরোয়া হকি খেলবেন, নিজের দল নৌবাহিনীর হয়ে বাহিনীগুলোর বিভিন্ন খেলা খেলবেন। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি শরীরে আর দেখা যাবে না তাকে। ফরিদপুর থেকে উঠে আসা এই হকি তারকাকে আর দেখা যাবে না ডিফেন্সের তারকা হয়েও হ্যাটট্রিক করে মাঠ ছাড়তে।
চয়ন একটু ম্লান হেসে বললেন,
“কম সময় তো নয়। ১২ বছর জাতীয় দলে খেলে ফেললাম। এই সময়ে মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য যা, জাতীয় দলে সেটা দিতে। কতটুকু সফল হয়েছি জানি না। জাতীয় দল আমিও মিস করবো। তবে একটা গর্ব নিয়ে যাচ্ছি যে, আমাদের জাতীয় দল এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। একটু যত্ন নিলে আরও ভালো দল হয়ে উঠবে।”
বাংলাদেশের হকিতে ফরিদপুরের অবদান অসামান্য। পুরোনো ঢাকার পরই দেশের একসময় সবচেয়ে বেশি হকি খেলোয়াড় উঠে আসতেন এই ফরিদপুর জেলা থেকে। যার সর্বশেষ দুই বড় তারকা ছিলো ইসা ও মুসা দুই ভাই। সেই ফরিদপুর জেলায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা চয়নের।
চয়নের বাবা ছিলেন একজন চাকরিজীবি। তবে হকির সাথে পারিবারিক একটা সম্পর্ক ছিলো। চাচা আরিফুর রহমান ঢাকায় হকি খেলতেন। তিনি ওয়ারি ক্লাবেও খেলেছেন। চয়ন চাচার দেখাদেখি হকি খেলতেন। তবে শুধু হকি নয়, দূরন্ত শৈশবে ক্রিকেট-ফুটবল, সবই খেলতেন। ক্রিকেট মানে তার কাছে ছিলো শুধু ছক্কা মারার খেলা। এক বছর ফরিদপুর স্টেডিয়ামে কোচিংও করেছেন ক্রিকেটের। কিন্তু কোচদের চাহিদামাফিক ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিংটা তার কিছুতেই পছন্দ হয় না। তাই ক্রিকেট ছেড়েছুড়ে বাসায় চলে এসেছিলেন।
এর মধ্যেই এলাকার একজন পরিচিত ভদ্রলোক খবর দিলেন, সাভারের বিকেএসপিতে হকির একটা প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী হচ্ছে। চয়ন তার বাবাকে ধরলেন, হকিতে যেতে চান। শুরুতে বাবা কিছুতেই রাজি নন। ঐ অত দূরে খেলার জন্য ছেলেকে ছেড়ে দিতে কে রাজি হয়!
শেষ অবধি অনেক বোঝানোর পর বাবা ছাড়লেন। চয়ন চলে এলেন বিকেএসপির ক্যাম্পে। সেখানে ২১ দিনের ক্যাম্পে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন চয়ন। ফলে জায়গা হয়ে গেলো তার বিকেএসপিতে। ক্রিকেটের মুশফিকুর রহিম, সামসুর রহমান শুভ, শুটিংয়ের বাকী বিল্লাহ, শারমিন আক্তার, সাঁতারের রনি- এরা ছিলেন বিকেএসপিতে এক ব্যাচের ছাত্র।
এই বিকেএসপিতেই সাবেক জাতীয় দল অধিনায়ক ও কোচ মামুনুর রশীদের তত্ত্বাবধানে চয়ন হয়ে উঠলেন একজন ডিফেন্ডার ও পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট।
লোকে সাধারণত আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হতে চায়, চয়ন কেন ডিফেন্ডার হলেন- এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেলো এক মজার উত্তর। চয়ন বলছিলেন,
“সবাই গোল করতে চাইলে গোল করাবে কে? হকিতে ডিফেন্ডারের কাজ গোল ঠেকানো এবং ফরোয়ার্ডের জন্য গোল তৈরি করে দেওয়া। আমি ফুটবলে দেখেছি জিনেদিন জিদান, ডেভিড বেকহাম খেলা তৈরি করে দিতেন। আমি ভাবতাম, হকিতে আমি সেটা পারবো না কেন? আমি সেই থেকে লং বলের অনেক কাজ শিখেছি। মামুন স্যার আমাকে অনেক কৌশল শিখিয়েছেন। চেষ্টা করেছি ডিফেন্সের পাশাপাশি নিজেকে একজন ভালো প্লে মেকার হিসেবে গড়ে তুলতে।”
বিকেএসপিতে থাকা অবস্থায়ই ২০০৪ সালে এর আগে কোনো টুর্নামেন্ট না খেলেই চয়ন নির্বাচিত হয়ে গেলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২১ জাতীয় দলে। আর এখানে তার পারফরম্যান্স দৃষ্টি কাড়লো ক্লাবগুলোরও। সাধারণত বিকেএসপির হকি খেলোয়াড়রা ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন আজাদ স্পোর্টিং থেকে। কিন্তু চয়নকে ডেকে নিলো মোহামেডান। এরপর আবাহনীতেও খেলেছেন, খেলেছেন উষা ক্রীড়াচক্রে। আর সর্বশেষ তিন বছর আছেন মেরিনার্সে। এর মধ্যে দুই বছর দলকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন।
২০০৬ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান চয়ন। সেই শুরু। তারপর থেকে এই ২০১৮ সাল অবধি জাতীয় দলের একেবারে প্রাণভোমরা হয়েছিলেন এই পেনাল্টি স্পেশালিস্ট। যদিও এটা খুব দুঃখের ব্যাপার যে, চয়ন জাতীয় দলের হয়ে কতগুলো ম্যাচ খেলেছেন বা কতগুলো গোল করেছেন, তার পরিষ্কার কোনো হিসাব কোথাও নেই। তবে চয়ন স্মৃতিশক্তি কাজে লাগিয়ে বলছিলেন,
“আমাদের ফেডারেশনে তো এরকম কোনো হিসাব থাকে না। তবে প্রায় দেড় শ ম্যাচ খেলেছি। গোল আমার মনে আছে ৭০ থেকে ৮০টার মতো হবে। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি ৮টা হ্যাটট্রিক করেছি।”
এই ৮টা হ্যাটট্রিক অবশ্য একটু ব্যাখ্যার দাবি রাখে। চয়ন যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, একটা লম্বা সময় অবধি নিয়ম ছিলো, নিজের দলের পরপর তিন গোল করতে পারলে তবে হ্যাটট্রিক হবে। এরপর নিয়মটা বদলানো হয়। এখন যেকোনো সময় ম্যাচে ৩ গোল করলেই ফুটবলের মতো হ্যাটট্রিক হয়। তাই তার প্রথমদিকের হ্যাটট্রিকগুলোকে একটু বেশি মূল্যবান বলেই মনে করেন চয়ন।
জাতীয় দলে সহ-অধিনায়ক ছিলেন লম্বা সময়। এরপর বছর তিনেক অধিনায়কত্ব করেছেন। এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব, এশিয়ান গেমস, বিশ্ব হকি লিগে অধিনায়কত্ব করেছেন দলের। এর মধ্যে ৪০ বছর পর দলকে এশিয়ান গেমসে ষষ্ঠ করতে পারাটাই ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন বলে মনে করেন তিনি।
আর ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় পাওয়াটা হয়েছে নৌবাহিনীর চাকরি।
বাংলাদেশে হকি খেলোয়াড়দের আয় এমনিতে খুবই সামান্য। এ দিয়ে ভদ্রস্থ জীবন চালানো খুব কঠিন। এই একটা সময়ে বাংলাদেশের হকির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ২০১৩ সালে চয়নের নৌবাহিনীতে চাকরি হয়। এখন জাতীয় দল ও আশেপাশের ১৩-১৪ জন খেলোয়াড় নৌবাহিনীতে চাকরি করেন। সেই কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে চয়ন বলছিলেন,
“আমার জন্য নৌবাহিনী কত বড় একটা ব্যাপার, এটা বলে বোঝানো যাবে না। বাহিনীর জন্য আমরা একটা নিশ্চিত জীবন যাপন করতে পারছি। এখন জাতীয় দলের খেলা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমার পুরো সময়টা আমি বাহিনীর খেলায় দেবো। তাদের প্রতি আমি খুবই কৃতজ্ঞ।”
কিন্তু মাত্র এই ৩০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক হকি ছাড়লেন কেন?
চয়নের সমবয়সী, তার সিনিয়র অনেকেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। জিমি এখনও দিব্যি খেলছেন। তার সতীর্থ মুশফিকরা দাপটের সাথে ক্রিকেট খেলছেন, চয়ন কেন তাহলে ছেড়ে দিলেন?
চয়ন খুব আবেগী উত্তর দিলেন,
“আমার বাবাকে আমি চাকরি থেকে ছাড়িয়ে জোর করে ঢাকায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু উনি একদিন বললেন, তুই ঢাকায় আনলি, তোর সাথেই তো দেখা হয় না। সেই দিন মনটা খুব খারাপ হলো। আর আমার বাচ্চাটা হাঁটতে শিখলো, কথা বলতে শিখলো; কাছ থেকে কিছু দেখলাম না। ১২ বছর ধরে বাসার বাইরে থাকতে থাকতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। এখন তাই পরিবারের সাথে সময়টা কাটাতে চাই।”
একটা ভয় থাকে যে, চয়ন বাংলাদেশের হকি ছেড়ে দেওয়ায় দলে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। কিন্তু চয়ন সেই ভয় পান না। তিনি মনে করেন, তার জায়গা নেওয়ার মতো তরুণরা যথেষ্ঠ তৈরি হয়ে গেছেন। আশরাফুলের নাম ধরেই বলছিলেন, এখন নতুন পেনাল্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে নিজেদের তৈরি করে ফেলেছে তরুণরা।
অবশ্য হকিকে ছাড়ছেনও না চয়ন।
জাতীয় দল ছাড়লেও হকির সাথে সম্পর্ক চুকানোর কোনো ইচ্ছে নেই। ক্লাব হকি খেলে যাবেন। সেই সাথে সবচেয়ে বেশি সময় দেবেন নৌবাহিনীর হকিকে। সেই সাথে তার আরেকটা স্বপ্ন আছে,
‘আমি ফেডারেশনকে বলেছি, আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইলে আমি তৈরি আছি। পুরোপুরি অবসরের পর তো কোচিং করাবোই। এর আগেও যদি এখনকার যারা পেনাল্টি নেয়, এরকম তিন চার জনকে আমার কাছে দেওয়া হয়, আমি ওদের নিয়ে কাজ করতে তৈরি আছি। এখনকার তরুণরা খুব ভালো। আমি মনে করি, এদের নিয়ে কাজ করলে অনেক বড় হতে পারবে এরা।”
চয়ন চলে যাচ্ছেন জাতীয় দল ছেড়ে। কিন্তু স্বপ্নটা রেখে যাচ্ছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, তার উত্তরসূরীরা একদিন তাদের ছাপিয়ে যাবে। একদিন বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে।
চয়নের সেই স্বপ্ন সত্যি হোক।
চয়নের বিদায়ী বার্তা
বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলে দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক গর্বের এবং সম্মানের। আমি জাতীয় দলে দীর্ঘদিন সহকারী অধিনায়ক তারপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছি।
আমার উপর আস্থা রাখার জন্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। হকি থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, হকি আছে বলেই আজ আমি চয়ন।
আমার সকল ভক্ত, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাকে সবসময় সমর্থন করার জন্য।
এই সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো ভালো খেলেছি, কখনো খারাপ খেলেছি, কখনো বাংলাদেশ দলের হয়ে গোল করতে পেরেছি, কখনো পারি নাই। কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করেছি মাঠে আমার সর্বোচ্চ দেয়ার। আমি আমার ভক্তদের সবসময় সব ম্যাচে খুশি করতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইছি। এই মুহূর্তে দল হিসেবে আমরা খুব ভাল খেলছি। আমাদের টিমের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। যেকোনো দলকে আমরা গোল দেয়ার ক্ষমতা রাখি।
যদি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সঠিক পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আমার বিশ্বাস আমরা একদিন ওয়ার্ল্ড কাপ খেলবো, আর সেদিন বেশি দূরে নয়।
আমি মনে করি, বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল থেকে অবসর নেয়ার এটাই আমার উপযুক্ত সময়। কালকে কোরিয়ার সাথে ম্যাচ হবে আমার জাতীয় দলে খেলা শেষ ম্যাচ।
আমার ফ্যামিলি সেটাই চায়। আমি আমার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। আর আমারও একটাই ছেলে ওর বয়স তিন বছর। আমার ছেলেটা কীভাবে বড় হলো, কীভাবে হাঁটা শিখলো, কীভাবে কথা বলা শিখছে; আমি কিছুই দেখতে পারি নাই। সব কিছু ফোনে শুনতে হয়েছে। আর কত ঈদ যে দেশের বাইরে করেছি তার হিসেব নেই। এখন থেকে আমার পুরোটা সময় আমি আমার ফ্যামিলিকে দিতে চাই, আমার ছেলেকে দিতে চাই।
হয়তো বুকে আর জাতীয় পতাকা দৃশ্যমান থাকবে না, তবে দেশের প্রতি ভালোবাসা সবসময় থাকবে, হকির প্রতি ভালোবাসা সবসময় থাকবে। অনেক মিস করবো আমার সাথে জাতীয় দলে খেলা সকল খেলোয়াড়কে। কত যে মজার স্মৃতি আছে বলে শেষ করা যাবে না। অনেক মিস করবো খেলার আগে শুরু হওয়া আমাদের জাতীয় সংগীতকে। অন্য দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমাদের নিজেদের জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুভূতি যে কী তা বলে বোঝানো যাবে না।
যা-ই হোক, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমি যেন আমার ফ্যামিলিকে নিয়ে ভালো থাকতে পারি এবং আমার কর্মস্থান বাংলাদেশ নৌবাহিনী হকি দলকে সকল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি।
আমি মামুনুর রহমান চয়ন সজ্ঞানে, স্ব-ইচ্ছায় কারো প্রতি কোনো অভিযোগ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল থেকে অবসর গ্রহণ করলাম।
আসসালামু আলাইকুম।