ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দল হিসাবে একহাজার টেস্ট ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করলো ইংল্যান্ড।
১৮৭৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল। ইংল্যান্ডকে একশত একচল্লিশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে এক হাজার টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য। একই দিনে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া এখনপর্যন্ত ৮১২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাদের ১০০০তম ম্যাচকে সামনে রেখে সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ ঘোষণা করে।
দেশের ছয় হাজারের অধিক ক্রিকেট ভক্তের ভোটে এই একাদশ নির্বাচন করা হয়। কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বর্তমান টেস্ট দলের তিনজন ক্রিকেটারও জায়গা করে নিয়েছেন সর্বকালের সেরা টেস্ট দলে। তারা হলেন, জেমস অ্যান্ডারসন, অ্যালিস্টার কুক এবং জো রুট।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন,
“দেশের ক্রিকেট ভক্তদের দ্বারা সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা পাওয়া খুবই সম্মানের। যখন আমি চিন্তা করলাম বেশকিছু অসাধারণ ক্রিকেটার, যেমন ডেনিস কম্পটন এবং ওয়ালি হ্যামন্ড দলে জায়গা পাননি, তখন আমি নিজেও নিশ্চিত ছিলাম না যে আমি নিজেকে ভোট দিতাম কি না। কিন্তু আমি অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে চাই সেইসব ভক্তকে, যারা আমার কথা ভেবেছেন।”
ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে স্যার জ্যাক হবস, কেন বেরিংটন, ওয়ালি হ্যামন্ড, গ্রাহাম গুছ, জিওফ বয়কট, ডেনিস কম্পটন, সিডনি বার্নস, কলিন কাউড্রি এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো টপ পারফর্মাররা সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা পাননি।
তাহলে আজ ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. অ্যালিস্টার কুক
আধুনিক ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান অ্যালিস্টার কুক ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানোর কীর্তিও তার দখলে।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের নেতৃত্বে পরিণত ক্রিকেটার হওয়ার পর ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন অ্যালিস্টার কুক। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অধিনায়কত্ব করার রেকর্ডও তার দখলে। তার নেতৃত্বে ৫৯ ম্যাচ খেলে ২৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪৫.৬৫ ব্যাটিং গড়ে ১২,১৪৫ রান করেছেন। আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটারদের উদাহরণস্বরূপ এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তার ক্যারিয়ারে ৩২টি শতক এবং ৫৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।
২. স্যার লিওনার্দো হাটন
লিওনার্দো হাটন অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলেন ১৯৩৭ সালের ২৬শে জুন। তিনি ১৯৩৮ সালে নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচেই ৩৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪৭ বলে ৩৫টি চারের মারে ৩৬৪ রান করেন তিনি। তৎকালীন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ছিলো এটি।
লেন হাটন তার ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ১৯টি টেস্ট শতক হাঁকান। তিনি ৭৯ ম্যাচে ৫৬.৬৭ ব্যাটিং গড়ে ৬,৯৭১ রান করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে সাত বছর কাটা পড়ে। এবং কি সেইসময় তার হাতও ভেঙে যায়। যার ফলে তার ব্যাটিং স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হয়।
লেন হাটন ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে ২৩ ম্যাচে মাত্র চারটিতে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। জয় পেয়েছিলো ১১টি টেস্ট ম্যাচে।
৩. ডেভিড গাওয়ার
গত শতকের আশির দশকে খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের ভিড়ে ডেভিড গাওয়ার ঠিকই নিজের কাজ চালিয়ে যেতেন। বাঁহাতি এই ক্লাসিক ব্যাটসম্যান তার স্বভাবজাত ব্যাটিং দিয়ে অনেক ক্রিকেট ভক্তের মন জয় করেছেন।
তার কাভার ড্রাইভ ক্রিকেটের অন্যতম সৌন্দর্যের একটি। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিলো, তিনি ছিলেন ধারাবাহিক।
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ১৪বছর আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট খেলেন ডেভিড গাওয়ার। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১১৭টি টেস্ট ম্যাচে ৪৪.২৫ ব্যাটিং গড়ে ৮,২৩১ রান করেছেন, ইংল্যান্ডের হয়ে যা চতুর্থ সর্বাধিক। তিনি তার ক্যারিয়ারে ১৮টি শতক এবং ৩৯টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।
সেইসময়ে ক্রিকেট বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের রাজত্ব চলছিলো। সেইসাথে পাকিস্তান এবং ভারতও নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতো। অধিনায়ক হিসাবে তার রেকর্ড খুব একটা ভালো ছিলোনা। ৩২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র পাঁচটিতে জয়। তবে তার অধীনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে এবং ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে জয় পাওয়ার সুখস্মৃতি রয়েছে।
৪. কেভিন পিটারসেন
কেভিন পিটারসেনের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ২০০৫ সালের ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজে। লর্ডসে নিজের অভিষেক টেস্টে ৫৭ এবং অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
দ্য ওভালে সিরিজের টেস্ট ম্যাচের শেষদিনে ১৮৭ বলে ১৫টি চার এবং সাতটি ছয়ের মারে ১৫৮ রানের সিরিজ বাঁচানো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন পিটারসেন। তিনি নিজের প্রথম অ্যাশেজ সিরিজেই দলের অ্যাশেজ জয়ে অবদান রাখেন।
কেভিন পিটারসেনের হাতে বেশকিছু দুর্দান্ত শট ছিলো। টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পছন্দ করতেন, যার মাধ্যমে তিনি বোলারদেরকে কোণঠাসা করার সামর্থ্য রাখতেন। তিনি এক সেশনেই ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখতেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ১০৪টি টেস্ট ম্যাচে ৪৭.২৮ ব্যাটিং গড়ে ৮,১৮১ রান করেছেন। শতক হাঁকিয়েছেন ২৩টি এবং অর্ধশতক ৩৫টি।
৫. জো রুট
ইংল্যান্ডের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক জো রুট মাত্র ছয় বছর হলো টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন যে। ইতিমধ্যেই তিনি ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন নামিদামি ক্রিকেটারদের পিছনে ফেলে তিনি একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।
২৭ বছর বয়সী জো রুট ইতোমধ্যে ১৩টি টেস্ট শতক হাঁকিয়েছেন এবং ৪১টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের ইনিংস খেলার পথে টেস্ট ক্রিকেটে ছয় হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন রুট।
ভারতের বিপক্ষে চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত তার টেস্ট রান সংখ্যা ৫২.৫২ গড়ে ৬,০৪০।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে বর্তমানে তিনি বিশ্বের তৃতীয় সেরা ব্যাটসম্যান ব্যাটসম্যান এবং ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান। জো রুটের ক্যারিয়ারের এখনও দীর্ঘ সময় বাকি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার নামের পাশে আরও রান যোগ হবে।
৬. স্যার ইয়ান বোথাম
সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন ইয়ান বোথাম। ১৯৮১ সালের অ্যাশেজে বোথাম দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। ঐ বছরেই মূলত তার উত্থান দেখেন ক্রিকেট বিশ্ব। ‘৮১ এর অ্যাশেজে তার অনবদ্য নৈপুণ্য দেখে অনেকে ঐ অ্যাশেজের নাম দেয় ‘বোথামের অ্যাশেজ’।
জেমস অ্যান্ডারসন তাকে টপকানোর আগে তিনিই ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এখনও ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৭বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড তার দখলে। তার সময়কার ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
ইয়ান বোথাম কখনও বল হাতে আবার কখনও ব্যাট হাতে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতেন।
তিনি ১০২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১৪টি শতক এবং ২২টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৩৩.৫৪ ব্যাটিং গড়ে ৫,২০০ রান করেছেন। বল হাতে ২৮.৪০ গড়ে শিকার করেছেন ৩৮৩ উইকেট।
৭. অ্যালান নট
টেস্ট ম্যাচে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব বেশ কঠিন। ওভারের পর ওভার স্ট্যাম্পের পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে দক্ষতার সাথে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই প্রায় সব দলেই উইকেটরক্ষক হিসাবে দক্ষ কাউকেই নির্বাচন করা হয়।
ইংল্যান্ডের সেরা উইকেটরক্ষক হলেন অ্যালান নট। এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল তার দখলে। তিনি ২৫০টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ১৯টি স্ট্যাম্পিংয়ে অবদান রেখেছেন।
অ্যালান নট ইংল্যান্ডের ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। তখনও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের স্বর্ণযুগ শুরু হয়নি। তার হাত ধরেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের উত্থান শুরু হয়। যা পরে বাস্তবায়িত করেন গিলক্রিস্টরা।
অ্যালান নট ইংল্যান্ডের হয়ে ৯৫ ম্যাচে পাঁচটি শতক এবং ৩০টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩২.৭৫ ব্যাটিং গড়ে ৪,৩৮৯ রান করেছেন।
৮. গ্রায়েম সোয়ান
সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশে একমাত্র স্পেশালিষ্ট স্পিনার হিসাবে দলে জায়গা পেয়েছেন গ্রায়েম সোয়ান। মাথ পাঁচ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬০ ম্যাচ খেলেই সর্বকালের সেরা ইংল্যান্ড টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন এই অফস্পিনার। সর্বকালের সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো স্পিনারই বাড়তি সুবিধা পায় না। সবুজ উইকেটে পেসাররাই বাড়তি সুবিধা পায়। সোয়ান তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছেন পেস বান্ধব পিচে।
তিনি মাত্র ৬০ ম্যাচে ২৫৫ উইকেট শিকার করেছেন। ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন ১৭বার এবং ম্যাচে দশ উইকেট শিকার করেছেন তিনবার।
এই অফস্পিনার তার পাঁঁচ বছরের ক্যারিয়ারে রাজত্ব চালিয়ে গিয়েছেন। সেইসময় ইংল্যান্ড টানা তিনটি অ্যাশেজ ঘরে তুলেছিলো।
লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও তিনি অবদান রাখতেন। টেস্ট ক্রিকেটে ২২.০৯ ব্যাটিং গড়ে তার রান সংখ্যা ১,৩৭০।
৯. ফ্রেড ট্রুম্যান
ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ ফ্রেড ট্রুম্যানকে ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ইয়র্কশায়ারের এই পেসার আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসাবে ৩০০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
ফ্রেড ট্রুম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন যে ৫৩ বছর হয়ে গেছে। এখনও তিনি ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।
এই ডানহাতি পেসার ৬৭ ম্যাচে ২১.৫৭ গড়ে ৩০৭ উইকেট শিকার করেছেন। তার স্ট্রাইক রেইট মাত্র ৪৯.৪। ইংল্যান্ডের হয়ে কমপক্ষে ২০০ উইকেট শিকার করা বোলারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেইট সবচেয়ে কম। এই কিংবদন্তি পেসার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০৩ ম্যাচ খেলে ২,৩০৪টি উইকেট শিকার করেছিলেন।
১০. জেমস অ্যান্ডারসন
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি সেরা সুইং বোলার।
টেস্ট ক্রিকেটে ৫৪০ উইকেট শিকার করে পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। এখনও ভয়ংকর সব বোলিং স্পেলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বংস করছেন অ্যান্ডারসন।
পিচ থেকে সহায়তা পেলে নতুন বলে অ্যান্ডারসনকে মোকাবেলা করা বেশ কঠিন। পিচ তার অনুকূলে না থাকলেও ঘরে এবং ঘরের বাইরে দুর্দান্ত বোলিং করে যাচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সী এই পেসার।
বয়সের সাথে সাথে আরও ক্ষিপ্র হওয়া অ্যান্ডারসন এখন পর্যন্ত ১৩৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৫৪০ উইকেট শিকার করেছেন। টেস্ট ম্যাচে নতুন বলে জেমস অ্যান্ডারসন ছাড়া ইংল্যান্ড টেস্ট একাদশ কল্পনা করা যায় না।
১১. বব উইলিস
১৯৮১ সালের অ্যাশেজে যে ম্যাচে ইয়ান বোথাম ১৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন, ঐ একই ম্যাচে বব উইলিস ৪৩ রানের বিনিময়ে আট উইকেট শিকার করেছিলেন। যার ফলে অস্ট্রেলিয়াকে ১২৯ রানের টার্গেট দিয়েও জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড।
প্রফেশনাল ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করার সময় হাঁটুর ইনজুরির কারণে সার্জারি করতে হয় উইলিসকে। যার ফলে পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। ডানহাতি এই আক্রমণাত্মক পেসার ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলে ৯০ ম্যাচে ২৫.২০ বোলিং গড়ে ৩২৫ উইকেট শিকার করেছেন।
ফিচার ইমেজ- Icc-cricket.com