সীমান্ত বলতে কোনো একটি দেশের শেষ সীমানা রেখাকে বোঝায়। এই সীমান্ত নিয়ে রয়েছে কত কাহিনী। উন্নত জীবনের আশায় বা বিরুদ্ধ পরিবেশে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যুগ যুগ ধরে মানুষ বিভিন্ন দেশের সীমানার গণ্ডি পার করেছে। বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীকে সীমান্তহীন বলে যারা ভেবে থাকেন, তাদেরও থামতে হচ্ছে, কারণ দুই দেশের সীমান্ত। এখানেই মানুষ আর পাখির মধ্যে পার্থক্য রচিত হয়। পাখির কোনো সীমানা নেই, সে ইচ্ছেমতো এক দেশের আকাশ থেকে অন্য দেশের আকাশে নির্দ্বিধায় উড়তে পারে।
কিন্ত মানুষের পক্ষে কিছুতেই অন্য দেশের সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি নেই। অন্য দেশে পাড়ি দিতে গেলে তার লাগে পাসপোর্ট আর সেদেশের অনুমতিপত্র বা ভিসা। তারপরও একথা সত্য যে, সীমানার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ইতিহাসই সাক্ষী, পৃথিবীতে এমন অনেক ক্ষমতালোভী রাষ্ট্রনায়কের জন্ম হয়েছে, যাদের লোভের নজর পড়েছিল অন্য দেশের উপরেও। ফলে সংঘটিত হয়েছিল মারাত্মক সব যুদ্ধ। এছাড়াও অনেকে কাজের আশায় বা কোনো নাশকতার উদ্ধেশ্যেও পাসপোর্ট-ভিসাহীন অবস্থায় অন্য দেশে পাড়ি দিতে চায়। এসব নানা কারণে বিভিন্ন দেশের সীমান্তে প্রায় সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। সীমান্তে প্রহরীদের থাকতে হয় তাই সদা সতর্ক। কিন্তু এত কিছুর পরও পুরোপুরি নিরস্ত করা যায়নি মানুষকে। এমনই দশটি ভয়ঙ্কর বিপদ সঙ্কুল সীমান্তের খোঁজে আজকের এই লেখা।
১. চীন-উত্তর কোরিয়া
পিঙ্কতু পর্বতমালা এবং তুম্যান ও ইয়ালু নদী চীন এবং উত্তর কোরিয়ার দেশ দুটিকে পৃথক করেছে। একসময় সীমান্তে সীমান্তরক্ষীদের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনগন উন্নত জীবনের আশায় উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে চীনে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু দ্বিতীয় কিম ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়ায় বিপুল সংখ্যক অধিবাসী চীনে প্রবেশ করতে থাকায় দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার সীমান্তরক্ষীরা প্রায় সময়ই খাবার ও অর্থ সংগ্রহের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকার লোকগুলোর ওপর অত্যাচার চালায়। ফলে গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ চীন তাদের সীমান্ত জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া আর দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে। পিয়ংইয়ং নিউক্লিয়ার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই খবরের ভিত্তিতে চীন তার ২০০ সৈন্যকে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়োজিত করে। বর্তমানে সীমান্তে প্রায় সময় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করে।
২. যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো
মাদক চোরাকারবারীদের জন্য এই সীমান্ত যেন স্বর্গের দ্বার। আবার কাজের আশায় এবং উন্নত জীবন পাওয়ার জন্য অনেক মেক্সিকান এই সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের থাকে না কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা। ফলে প্রাণও হারান অনেকেই। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, গত ১৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ৬,০০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে৷ শুধু কি তাই? অনেক আমেরিকান নিজের দেশে অপরাধ ঘটিয়ে আত্মগোপনের জন্য পাড়ি দেন মেক্সিকোতে।
মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক পাচার হয়। এই অপরাধ রোধের জন্য ২০০৬ সালে মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ফিলিপ ক্যালডেরোন কঠোর হন। তিনি সীমান্ত দিয়ে সব ধরনের মাদক চোরাচালান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে একে একে ধরা হতে থাকে মাদক পাচারকারীদের সবাইকে। কেবল সীমানার এপারে নয়, রক্ত ছড়ায় ওপারেও। সীমান্তের দুই পাশই মাদক চোরাচালানিদের রক্তে ভিজে ওঠে। এখন পর্যন্ত মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে গত চার বছরের কড়া চাপের মুখে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন পুরো মেক্সিকোতে। আর ৪৫ শতাংশই হয়েছে মেঙ্কিকান সীমান্তবর্তী ক্যালিফোর্নিয়া, চিহুয়াহুয়া, কোয়াহুইলা, ন্যুয়েভো লিওন, সোনোরা এবং তামাউলিপাসে।
৩. আফগানিস্তান-পাকিস্তান
এই দুই দেশের সীমান্ত প্রায় দেড় হাজার মাইল দীর্ঘ ‘ডুরান্ড লাইন’ নামে পরিচিত। তবে এই সীমান্ত এখনও মেনে নেয়নি আফগানিস্তান। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখা রাজ্যের পশতুন অধ্যুষিত এলাকা নিজেদের বলে এখনো দাবি করে আসছে আফগানিস্তান। এ সীমান্তকে ঘিরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। ফলে সারাক্ষণ দাঙ্গা আর হামলায় এ সীমান্তটি কাঁপতে থাকে প্রতিটা দিন।
মনে করা হয় প্রায় ১৭ লক্ষ আফগান কেবল এই যুদ্ধ, হামলা আর পেশার অনিরাপত্তার ভয়েই এখনো যাযাবর হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানে। এই সীমান্তের দুই পাশের রাজ্যগুলোতে মানুষের উপর স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো প্রভাব নেই বললেই চলে। ফলে সীমান্তজুড়ে অস্ত্র কেনাবেচা, মাদক, চোরাকারবারীদের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। বেশ কয়েক বছর যাবৎ পাকিস্তান কাঁটা তারের বেড়া স্থাপনের কাজ করছে।
৪. উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া
প্রায় দেড়শ মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তকে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত সীমান্ত বলা হয়ে থাকে। ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে দুই দেশের সৈন্যরা প্রায় আড়াই মাইল প্রশস্ত এই সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করছে৷ ১৯৪৮ সালে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় দুটো দেশ নিজেদের বিভক্ত করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় দুই দশের সীমান্ত জুড়ে সবসময় উত্তেজনা বিরাজ করে। কদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার একটা ডুবোজাহাজ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও ২০১০ সালে উত্তর কোরিয়ার গোলাগুলির জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও গুলি ছোঁড়ে। তবে উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সাহায্যের জন্য আমেরিকাও নিজেদের ২৮ হাজার সৈন্যকে সীমান্তে বহাল রেখেছে।
৫. কলম্বিয়া–ইকুয়েডর
কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডর মধ্যকার সীমান্তজুড়ে বিরোধ মূলত কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনীর (পিপলস আর্মি) কারণে। কলম্বিয়া সরকারের দাবি, কলম্বিয়ার এই বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী ইকুয়েডরের সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে কলম্বিয়ার মধ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের দাবি, বিগত বছরগুলোতে পিপলস আর্মির নিষ্ঠুর আক্রমণে ২ লক্ষের অধিক সাধারণ জনগণ প্রাণ হারিয়েছে। অথচ ইকুয়েডর সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে কলম্বিয়া সরকারের অভিযোগ।
এ কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের সীমান্তজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় কলম্বিয়ান সরকার ইকুয়েডরের অভ্যন্তরে সৈন্য পাঠিয়ে পিপলস আর্মিকে নির্মূলের জন্য অভিযান চালায়। ফলে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ নিয়ে সবসময় বাদানুবাদ আর উত্তেজনা বিরাজ করে।
৬. ইয়েমেন-সৌদি আরব
সৌদি আরব আর ইয়েমেনের ১১০ মাইল সীমান্ত জুড়ে প্রায় সময় ব্যাপক সহিংসতা পরিলক্ষিত হয়। গত ৬৫ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত নিয়ে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত চোরাকারবারীরা অস্ত্রশস্ত্র পাচারের জন্য, আল-কায়েদা সন্ত্রাসী এবং ইথিওপিয়ার ব্যাপক সংখ্যক উদ্বাস্তু এই সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করার জন্য চেষ্টা করে। ফলে সৌদি সরকার এই সীমান্ত জুড়ে দেয়াল দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। ইয়েমেন সরকার এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং তারা জানায় যে, সীমান্ত এলাকায় মেষপালকদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই সীমান্ত জুড়ে প্রচুর লোক গবাদি পশু পালন করে। তারা গোচারণের জন্য দুই দেশের সীমান্ত ব্যবহার করে থাকে। এই নিয়ে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে প্রায় ৬,০০০ এর মতো বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য মৃত্যুবরণ করে।
৭. ফিলিস্তান-ইসরায়েল
বছরের পর বছর সেখানকার বহু ফিলিস্তিনীর নিষ্ঠুর হত্যার খবর বিশ্বের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে। এখন অবশ্য ২৫ মাইল সীমান্তজুড়ে তারা গড়ে তুলেছে নিরাপত্তাপ্রাচীর এবং পাঁচটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রবেশপথ। তারপরও ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সীমান্তজুড়ে প্রায় সময় সংঘর্ষ লাগে। ইসরায়েলী সৈন্য এককভাবে নানা সময় ফিলিস্তিনী এলাকায় ঢুকে বেসামরিক লোক থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনী সামরিক লোকদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে প্রচুর প্রাণহানি ঘটে থাকে।
৮. সুদান-দক্ষিণ সুদান
২২ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ২০০৫ সালে নিজেদের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের পরসমাপ্তি ঘটায় সুদান ও দক্ষিণ সুদান। জন্ম নেয় নতুন এক দেশ। এই যুদ্ধে ১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় বলে বিবিসির এক তথ্য হতে জানা যায়। ৯ জুলাই নিজের সীমানা এঁকে নিয়ে স্বাধীন এক দেশ হিসেবে কার্যক্রম চালাতে থাকে দক্ষিণ সুদান। হঠাৎ করেই দক্ষিণ সুদানকে অবৈধ বলে দাবি করেন সুদানের রাষ্ট্রপতি ওমর হাসান আল বশির। তিনি নতুন সুদানকে না মেনে দেশটির দক্ষিণ কোর্দোফানের আবেই অঞ্চল দাবি করতে থাকে। ফলে শুরু হয় জমি দখল ও প্রচুর পরিমাণে গোলাবর্ষণ। প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার মানুষ প্রাণের ভয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে এখন জাতিসংঘ ও আফ্রিকান সংঘের সাহায্যে নীল নদ ও দক্ষিণ কোর্দোফান অঞ্চল দক্ষিণ সুদান নিজেদের আয়ত্তে রেখেছে।
৯. ভারত-পাকিস্তান
১৯৪৭ সালে এই দুইটি দেশ আলাদা হলেও সীমান্ত নিয়ে তাদের মধ্যকার সংঘাত থেমে থাকেনি। মোট তিনটি যুদ্ধ হয়েছে এ দুটি দেশের। বর্তমানে সামনাসামনি খুব বেশি ঝামেলা না করলেও প্রায়ই ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্যরা কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে গোলাগুলি করে থাকে। এখনো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সীমান্ত হিসেবে দেখা হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তকে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে ৪০টি ‘স্পর্শকাতর’ অংশে লেজারের বেড়া দেওয়া হবে বলে জানায় ভারত সরকার। ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও তা চালু করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ভারত সরকারের অভিমত। ২০১১ সালের জুনে ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮০০ মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তে নিহত হয়েছে এক লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
১০. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্ম নেওয়ার সময় ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সাহায্য করলেও স্বাধীনতার পর এ দুই দেশের সীমান্তে যে পরিমান লোক হতাহত হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সংখ্যার দিক থেকে সীমান্তে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, এমন অভিমত পাওয়া যায় চ্যানেল ফোরের এক রিপোর্ট থেকে। আর দুর্ভাগ্যজনক হলো এর অন্তত ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশি।
চ্যানেল ফোরের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন রাগম্যানের প্রতিবেদনে তিনি দেখিয়েছেন যে, সীমান্তে হতাহত ব্যক্তিদের সবাই গরু পাচারকারী অথবা চোরাকারবারি নন। এসব অবৈধ কারবারে কেউ কেউ নিশ্চয়ই জড়িত, কিন্তু তার চেয়েও বেশি দুর্ভোগ এবং বিপদের শিকার হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার সাধারণ কৃষক এবং তাদের পরিবারগুলো। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে ৪৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৭৩ জন। এছাড়া অপহরণ করা হয়েছে ৫৯ জনকে। তবে আশার আলো দুই দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিষয়টি অনুধাবন করছেন। বর্তমানে এই সীমান্তটি খানিকটা হলেও শান্ত রয়েছে।