বিশ্বজুড়ে ফুল রপ্তানীতে শীর্ষ দেশগুলো

ফুল ভালবাসা ও শান্তির প্রতীক। ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য আর মনমাতানো ঘ্রাণে মানুষ মুগ্ধ হয়। ঘরে বা ঘরের বাইরে ফুলের উপস্থিতিতে মনে অদ্ভুত এক ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই তো হাজার হাজার বছর ধরে উৎসব আর আনন্দের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে ফুল। মানুষ তাদের জীবনের আনন্দ আনন্দঘন মুহূর্তকে উদযাপন করতে আশ্রয় নেয় ফুলের। নান্দনিক গৃহসজ্জা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান বা প্রার্থনার বেদী সবক্ষেত্রেই ফুলের বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়।

বিয়ের আয়োজনে ফুল; Source:flagrancy.us

নানাক্ষেত্রে ফুলের ব্যবহারও বড়ই বিচিত্র। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ফুলের মালা, কোনো ক্ষেত্রে ফুলের তোড়া, কোনো ক্ষেত্রে শুধু একটি বা একগুচ্ছ ফুল।

ফুলেল গৃহসজ্জা; Source:loggr.me

বাসার বাগানে চাষ করা ফুল গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কোনো উৎসবের জন্য যত ফুল প্রয়োজন তা বাসায় উৎপাদন করা সম্ভব নয়। বিপুল পরিমাণ এই ফুল মানুষ স্থানীয় বাজার থেকে কেনে। বাজারে এত ফুল আসে কোথা থেকে? বাণিজ্যিক ফুল বাগান থেকে!

বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করেন যারা তারাই বিশাল পরিমাণ ফুলের যোগান দেন। ব্যাপকভাবে ফুল উৎপাদন ও চাষবাষকে বলা হয় ‘Floriculture’। এটি হর্টিকালচার বা উদ্যানবিদ্যার একটি শাখা। ফ্লোরিকালচারের কল্যাণে নানা রকম ফুল উৎপাদন এবং বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। ইদানীং পুরো পৃথিবীতেই ক্রিসমাস, নববর্ষ, ভালবাসা দিবস, মা দিবস প্রভৃতি উপলক্ষ্যে ফুলের চাহিদা অস্বাভবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ফুলের চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের উৎপাদনও। অনেক দেশ দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে ফুল অন্যান্য দেশে রপ্তানীও করছে।

ফুল রপ্তানী! আশ্চর্য শোনালেও সত্য যে, ফুলও এই যুগে রপ্তানীযোগ্য পণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ফুলের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নতুন এক বাণিজ্য, ফুল রপ্তানী বাণিজ্য। আগে শুধু ফুলের কলি বা আস্ত ফুলগাছ রপ্তানী করা হলেও এখন সবচেয়ে বেশী রপ্তানী করা হয় কাটা ফুল (Cut flower)।

কাটা ফুল; Source: the telegraph

সারাবিশ্বে কাটা ফুলের জনপ্রিয়তাই সবচেয়ে বেশি। কাটা ফুল হচ্ছে গাছ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা ফুল। পুষ্পকলি নয়, প্রস্ফুটিত ফুলই গাছ থেকে আলাদা করে, বাক্সে ভরে রপ্তানী করা হয়। প্রশ্ন হলো, এভাবে ফুল রপ্তানী করা কিভাবে সম্ভব? ফুল কি এতটা সময় ভাল থাকবে?

কাটা ফুল দীর্ঘসময় সজীব থাকে না। এদিক থেকে চিন্তা করলে দূরদেশে ফুল রপ্তানী আসলেই অসম্ভব শোনায়। তবে ফুল ছায়ায় রেখে বা পানিতে রাখলে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত ভাল থাকে। আর আজকের অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দ্রুত একদেশ থেকে আরেকদেশে ফুলের মতো নাজুক জিনিসও পরিবহন সম্ভব হয়েছে! তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে কলম্বিয়া বা ইকুয়েডর।

এই দেশগুলোতে জন্মানো গোলাপ রপ্তানী করা হয় আফ্রিকা থেকে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে! এশিয়ার অনেক দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রচুর ফুল রপ্তানী করে থাকে! ফুল রপ্তানীতে পিছিয়ে নেই আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতও! তাই বলা যেতে পারে, আপনার কেনা লাল গোলাপটি দেশের কোনো বাগানে না-ও ফুটে থাকতে পারে! বলা যায় না সেটি কোন দেশের কোন প্রান্ত থেকে এসেছে! কোন দেশ হতে পারে? কোনো ধারণা আছে? ধারণা করার মতো তথ্য পেতে পারেন এই লেখাটি থেকে! আজকের লেখায় জানানোর চেষ্টা করবো বিশ্ববাজারে ফুল রপ্তানীতে শীর্ষ দেশগুলোর কথা।

নেদারল্যান্ড

নেদারল্যান্ডের কথা শুনলেই কল্পনায় ভেসে আছে লাল-হলুদ রঙের দিগন্তবিস্তৃত টিউলিপ বাগান। শুধু টিউলিপই নয়, নেদারল্যান্ডে গোলাপসহ আরো অসংখ্য রকমের ফুল জন্মে। নেদারল্যান্ড মানেই বাহারী ফুলের মনমাতানো সৌরভের অপার মুগ্ধতা।

নেদারল্যান্ডসের দিগন্তবিস্তৃত টিউলিপ বাগান; Source:biketours.com

ফুলের এই বিশাল সাম্রাজ্য নেদারল্যান্ডসকে পৃথিবীর ফুলশিল্পে একচ্ছত্র আধিপত্য দান করেছে। নেদারল্যান্ড একাই সারা বিশ্বের প্রয়োজনীয় ফুলের ৬৫ শতাংশ সরবরাহ করে। বিশ্বের বৃহত্তম ফুল নিলাম প্রতিষ্ঠান আলসমিয়ার ফ্লাওয়ার অকশনও নেদারল্যান্ডেই অবস্থিত।

আলমসমিয়ারের বিখ্যাত ফুলের নিলাম; Source: jw europian

ডাচ ফুলগুলো সাধারণত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেই বেশি রপ্তানী করা হয়। নেদারল্যান্ডে ফুলশিল্প বিকশিত হয়েছে সেই ১৯৭০ এর দশক থেকে। তারপর থেকেই নেদারল্যান্ড কাটা ফুল বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে দেশটির ফুল চাষীরা ৮ বিলিয়ন প্রস্ফুটিত ফুল উৎপন্ন করেছে এবং তা রপ্তানী করে আয় করেছে ৩.২ বিলিয়ন ইউএস ডলার! আজও পর্যন্ত নেদারল্যান্ডই কাটা ফুল ব্যবসায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে। তবে এখন এক্ষেত্রে অনেক দেশের তীব্র প্রতিযোগীতার কারণে বৈশ্বিক ফুল বাজারে নেদারল্যান্ডের ফুলের পরিমাণ নেমে এসেছে ৫২ শতাংশে।

কলম্বিয়া

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া বিশ্বব্যাপী ফুল রপ্তানী বাণিজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। শুধু ফুল রপ্তানী করে কলম্বিয়ার অর্থনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।

কলম্বিয়ার বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে; Source: slate magazine

কলম্বিয়া প্রতিবছর নানাদেশে ফুল বিক্রি করে আয় করে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার! বিশ্বের মোট ফুলের ১৫ শতাংশ আসে কলম্বিয়া থেকে। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৬৫ শতাংশ ফুল আমদানী করেছিল কলম্বিয়া থেকে। সাধারণত গোলাপ রপ্তানী করলেও কলম্বিয়ার রপ্তানীকৃত ফুলের তালিকায় রয়েছে অ্যান্থোরিয়াম, অর্কিড এবং ‘বার্ড অব প্যারাডাইস’ ফুল।

ইকুয়েডর

গত কয়েক দশক থেকেই ইকুয়েডরের ফুলশিল্পের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রপ্তানী করা ফুলের নয় ভাগ ইকুয়েডরের যোগান দেওয়া। ইকুয়েডর প্রধানত গোলাপই রপ্তানি করে।

ইকুয়েডরের বিচিত্র গোলাপ; Source: wordpress

দেশটিতে প্রায় ৬০ প্রজাতির গোলাপ চাষ করা হয়। এছাড়া জিপসোফিলিয়া, লিমোনিয়াম, লিয়াট্রিস প্রভৃতি ফুলও রপ্তানী করে ইকুয়েডর। ইকুয়েডর ফুলবাণিজ্য বিস্তৃত যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে রাশিয়া, ইতালি ও কানাডায়। সুইজারল্যান্ড, স্পেন, আর্জেন্টিনা প্রভৃতি দেশেও ইকুয়েডরের ফুলের চাহিদা রয়েছে। ইকুয়েডরের প্রায় ২,০০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়।

কেনিয়া

বিশ্বের ফুলবাজারের ৭ শতাংশ ফুল আসে কেনিয়ার ফুলবাগানগুলো থেকে। ২০১৩ সালে কেনিয়া ১,২৫,০০০ টন কাটা ফুল উৎপন্ন করে এবং এই বিপুল পরিমাণ ফুল রপ্তানী করে আয় করে ৫০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মোট ফুলের ৩৫ শতাংশ কেনিয়া সরববরাহ করে।

কেনিয়ার একটি বাণিজ্যিক ফুলবাগান; Source: econetwireless.com

কেনিয়ার দীর্ঘসময় তাজা থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাপ, গ্রীষ্মকালীন ফুল, কার্নেশন প্রভৃতির দেখা মেলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বাজারেও। ব্যয়বহুল গ্রীনহাউজ ছাড়াই উচ্চমানের চমৎকার সব প্রস্ফুটিত ফুল কেনিয়ায় উৎপাদন করা সম্ভব হয় কেনিয়ার রৌদ্র অধ্যুষিত আবহাওয়ার কারণে।

বেলজিয়াম

ইউরোপের কাটা ফুল বাণিজ্যের জগতে বেলজিয়াম সুপরিচিত নাম। বিশ্ববাজারেও বেলজিয়ামের ফুল উল্লেখযোগ্য জায়গা দখল করে আছে। বিশ্ববাজারের ৩ শতাংশ ফুলের যোগান আসে বেলজিয়াম থেকে। বেলজিয়ামের ফুল চাষের জন্য বরাদ্দকৃত জমির অর্ধেক জমিতেই গোলাপ চাষ করা হয়। বেলজিয়ামে সাধারণত গ্রীনহাউজে ফুল চাষ করা হয়।

বেলজিয়ামের ফুলের কার্পেট; Source: world wanderista

বেলজিয়াম বিশ্ব ফুল বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে থাকলেও দেশটির ফুল বাণিজ্য তেমন অগ্রসরমান নয়। আশেপাশের দেশগুলোর সাথে ফুলবাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় তেমন একটা সুবিধা করতে পারছে না বেলজিয়াম। কারণ বেলজিয়ামের তুলনায় অন্য দেশ অনেক দামে ফুল রপ্তানী করে। তবে দেশটির ফুল রপ্তানীকারক কোম্পানিগুলো তাদের ফুলবাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ইথিওপিয়া

ইথিওপিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে ফুলশিল্প। ফুল রপ্তানী শিল্প ইথিওপিয়ার অর্থ উপার্জনের অন্যতম প্রধান উৎস হলেও, ইথিওপিয়ায় ফুল বাণিজ্যের পথচলা খুব বেশিদিনের নয়। ‘৯০ এর দশক থেকে মূলত ইথিওপিয়া ব্যাপকভাবে ফুল রপ্তানী শুরু করে। এখন কেনিয়ার পরে ইথিওপিয়াই আফ্রিকার দ্বিতীয় প্রধান ফুল রপ্তানীকারক দেশ।

রপ্তানীর জন্য তৈরী ইথিওপিয়ার ফুল; Source: onida

গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত এই দেশের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য দারুণ অনুকূল। বিচিত্র ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সারাবছরই নানা জাতের ফুল জন্মে ইথিওপিয়ায়। ইথিওপিয়ার ফুলশিল্প এতটাই লাভজনক যে, সেখানকার সরকার এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এই শিল্পে প্রচুর টাকা ঢেলে থাকেন। বর্তমান বিশ্বের রপ্তানীযোগ্য মোট ফুলের ২ শতাংশ ইথিওপিয়া থেকে আসে।

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় পুষ্পশিল্প দারুণ সম্ভাবনাময়। দেশটিতে প্রচুর ফুল জন্মে যা দেশের আনন্দ-উৎসবে যেমন কাজে আসে তেমনি কাজে আসে বিদেশি উৎসবেও! মালয়েশিয়ার রপ্তানী করা ফুল বিশ্ববাজারের এক শতাংশ ফুলের যোগান দেয়। মালয়েশিয়া প্রধানত তিন ধরনের ফুল রপ্তানী করে- নীতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ফুল, নিম্নভূমির ফুল আর অর্কিড।

মালয়েশিয়ার অর্কিড; Source: blogspot

মালয়েশিয়ার ১,২১৮ হেক্টর জমিতে ফুলচাষ করা হয়। এর মধ্যে ৫৮০ হেক্টর জমিতে শুধু অর্কিডই চাষ করা হয়। মালয়েশিয়ার ফুল বিশ্ববাজারের এক শতাংশ অধিকার করে আছে।

ইতালী

ইতালী ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম ফুল উৎপাদনকারী এবং রপ্তানীকারী দেশ। ইতালীর মানুষজনের পুষ্পপ্রীতির কারণে ইতালীতে ফোটা ফুলের একটা বড় অংশ দেশেই ব্যবহৃত হয়।

ইতালীর ফ্লোরেন্সে একটি ফুলবাগান; Source: steemit

তারপরও পৃথিবীর ফুলের বাজারে ইতালীয় ফুলের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়। ইতালীর রপ্তানাযোগ্য ফুলের বেশিরভাগই গোলাপ ও কার্নেশন। পাশ্ববর্তী দেশ অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডেই মূলত ইতালীর ফুল বাণিজ্য বিস্তৃত।

জার্মানি

জার্মানির উদ্যানশিল্প দ্রুত বিকশিত হয়েছে এবং বর্তমান বৈশ্বিক ফুলের বাজারের এক শতাংশ দখল করে ফেলেছে। জার্মানি নানারকম কাটা ফুল রপ্তানি করে থাকে, তবে তা পুরো দেশে সরবরাহ করার পর।

জার্মানির একটি ফুলের বাজার; Source: pinterest

জার্মানি ফুলের জন্য অন্য কোনো দেশ বিশেষ করে নেদারল্যান্ডের উপর নির্ভরশীল নয়। কাটা ফুল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে দেশটি। প্রতিবছর বিশ্ববাজারে ফুল বিক্রি করে জার্মানি অনেক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে।

ইসরায়েল

ফুল উৎপাদনের জন্য ইসরায়েলের জলবায়ু ভীষণ উপযোগী। বিশেষ করে ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি সংলগ্ন এলাকায় বছরে প্রায় ৩০০ দিনই গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল অপেক্ষাকৃত উষ্ণ হয়। অনুকূল এই আবহাওয়ার এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন ফুল উৎপাদনের সুযোগ করে দিয়েছে এবং ইসরায়েলের পুষ্পশিল্পে বিপ্লব এনেছে ।

দৃষ্টিনন্দন এনিমোন ফুল; Source: 123RF stock photos

ইসরায়েল উৎপাদিত বিপুল পরিমাণের এই ফুল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে রপ্তানী করে। পিওনিজ, এনিমোন প্রভৃতি ফুল, ফুল গাছ এবং ফুলচাষের যন্ত্রপাতি বিক্রি করে ইসরায়েল প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করে থাকে। ইসরায়েল বৈশ্বিক ফুলবাজারের এক শতাংশ ফুল সরবরাহ করে।

ফিচার ইমেজ – world wanderista

Related Articles

Exit mobile version