(পর্ব ১ এর পর থেকে)
চলুন এবার রুশ রেজিম বা শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা যাক। পুতিন ক্ষমতায় এসেছেন ২৩ বছর আগে। তার আগে ইয়েলৎসিনের সময় আট বা নয় জন অভিজাত ব্যক্তিত্ব বা অলিগার্কদের রাশিয়ার রাজনীতিতে একটা প্রভাব ছিল। পুতিন তাদেরকে জানান, তারা নিজেদের সম্পত্তি ভোগ করতে পারবেন, তবে এর বিনিময়ে তাদেরকে রাশিয়ার রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে বলেন। মিখাইল খোদোরকোভস্কির মতো যারা রাজনীতিতে নাক গলাতে এসেছেন, তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। অন্যান্যরা নিজেদের সম্পত্তি যতটা পারা যায় নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আমরা এখনো অলিগার্কদের নিয়ে কথা বলি। রাশিয়ার এই রেজিমটা আসলে কেমন? রেজিমের প্রতি অনুগত ব্যক্তিরা কারা? এখানে গুরুত্বপূর্ণ কে?
কটকিন: এটা একটা মিলিটারি-পুলিশ স্বৈরতন্ত্র। তারাই ক্ষমতা ভোগ করছে। পাশাপাশি তাদের বৃহৎ অর্থনীতি পরিচালনা করার জন্য এক দল দক্ষ লোক আছে। তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালনা করা হয়। রাশিয়া বৃহৎ অর্থনীতির একটা দূর্গ গড়ে তুলেছে, যেখানে তারা ‘দুঃসময়ের ফান্ড’ জমা করে রেখেছে। তাদের মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে। বাজেট থাকে খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। তাদের ঋণের পরিমাণও অনেক কম, জিডিপির মাত্র ২০ শতাংশ, যা যেকোনো বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। তাদের বৃহৎ অর্থনীতির পরিচালনা ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে সেরা।
তো আপনার কাছে একটা মিলিটারি-পুলিশ স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের জন্য। তাদের সাথে একটা বৃহৎ অর্থনীতির দল আছে রাজকোষ পরিচালনা করার জন্য। এই লোকগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে কে কত উপরে উঠতে পারবে। বৃহৎ অর্থনীতি ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাকে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। কিন্তু রেজিমের প্রভাবশালী অংশ সামরিক নিরাপত্তা বিভাগের কাছে পশ্চিমা বিশ্ব হচ্ছে শত্রু। পশ্চিমা বিশ্ব তাদের পতনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা রেজিম ধ্বংস করার জন্য তথাকথিত রঙিন বিপ্লবের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এখানে যা ঘটেছে তা হচ্ছে রেজিমের সমর্থনটা সামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়েছে। এদেরকে রেজিমের উগ্রবাদী অংশ বলা যায়। এই অংশ থেকেই পুতিনের উত্থান হয়েছে।
পুতিনের আমলে অলিগার্করা কখনো ক্ষমতায় ছিলেন না। পুতিন তাদের ডানা কেটে দিয়েছেন। তারাই পুতিনের অধীনে কাজ করেছেন। যদি তারা পুতিনে বশ্যতা স্বীকার না করতেন, তাদের সম্পত্তি হারাতে হতো। পুতিন তার নিজের অলিগার্কদেরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। এদের মধ্যে তার সাথে বড় হয়ে উঠা মানুষরাও ছিলেন। তারা কেউ একসময় তার সাথে জুডো লড়েছেন, একসাথে গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়েছেন। তার সাথে লেনিনগ্রাদে যারা কেজিবিতে কাজ করেছেন, এবং সোভিয়েত পরবর্তী যুগে তার সাথে সেন্ট পিটার্সবার্গে কাজ করেছেন, তারা পরবর্তীতে অলিগার্কে উন্নীত হয়েছিলেন। পুতিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। ইয়েলৎসিন যুগের শুরুর দিকের লোকদের সম্পত্তি হয় বাজেয়াপ্ত করে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, কিংবা জোর করে দখল করা হয়েছে। পুতিন এমন এক রেজিম গঠন করেন, যেখানে ব্যক্তিগত সম্পদের মালিকানা শাসকের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সবাইই তা জানতেন। যদি কেউ না জেনে থাকতেন, তাদের করুণ পরিণতির মাধ্যমে সেটার শিক্ষা নিতে হতো।
দুঃখজনকভাবে এতে রেজিমের উপর মহল থেকে তৃণমূলের লোকজন পর্যন্ত সবাইকে উৎসাহ দেয় অন্য লোকদের ব্যবসা আর সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার জন্য। এটা সবার জন্যই অনেকটা উন্মুক্ত হয়ে যায়। এটা যদি পুতিন আর তার সাগরেদদের জন্য কাজ করে থাকে, কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রদেশের গভর্নর হিসেবে আমার জন্যও কাজ করবে। এই রেজিম ক্রমেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে ওঠে, বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে থাকে এবং ক্রমেই অজনপ্রিয় হতে থাকে। একনায়কতন্ত্রে এমনটাই হয়ে থাকে।
কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এ ধরনের লোকরা আর এরকম রেজিম সাধারণত সবকিছুর উর্ধ্বে সম্পত্তি, বিলাসী জীবন, আর ক্ষমতাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তারা ইউক্রেন নিয়ে এত চিন্তিত হবে কেন?
কটকিন: তারা আদৌ ইউক্রেন নিয়ে এতটা ভাবে কিনা সেটা পরিষ্কার নয়। আমরা এখানে সর্বোচ্চ ছয় জন লোককে নিয়ে কথা বলছি, এবং অবশ্যই এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল একজনের (পুতিন)। কর্তৃত্ববাদী রেজিমগুলোতে এমনটাই দেখা যায়। তাদের সব ব্যবস্থাই ভয়াবহ হয়। তারা নিজেদের জনগণকে খাদ্যের যোগান দিতে পারে না। তারা জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। জনগণকে শিক্ষিত করতে পারে না। কিন্তু তাদেরকে টিকে থাকতে হলে কেবল একটা বিষয়ে দক্ষ হওয়া লাগবে। তারা যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের অগ্রাহ্য করতে পারে, তাদের সকলকে নির্বাসনে কিংবা কারাগারে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে তারা টিকে যাবে; সেটা তারা যতই অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ কিংবা ভয়ানক হয়ে থাকুক।
এদিকে চীন এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও কোটি কোটি জনগণের হতদরিদ্র অবস্থা দূর করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের শিক্ষার হারও বেড়ে চলছে। চীনা নেতারা এই বিশাল সাফল্যের জন্য নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করেন।
কটকিন: এটা চীনা রেজিমের কৃতিত্ব, নাকি চীনা সমাজ ব্যবস্থার কৃতিত্ব? আমাদের সতর্কভাবে দেখতে হবে চীনা কমিউনিস্টরা যেন তাদের সমাজের শ্রম ব্যবস্থা, উদ্যোক্তা তৈরির ব্যবস্থা, আর কোটি কোটি মানুষের গতিশীলতাকে বাজেয়াপ্ত না করে। রুশদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে-
তিনি হচ্ছেন অ্যালেক্সেই নাভালনি, পুতিনের সবচেয়ে শক্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তিনি রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি দ্বারা বিষপ্রয়োগের শিকার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
কটকিন: হ্যাঁ। তাকে ইউক্রেন আক্রমণের আগে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পেছনে ফিরে তাকালে এটা হয়তো এই আক্রমণের পূর্বপ্রস্তুতির অংশই ছিল। অনেকটা টুইন টাওয়ার হামলার ঠিক পূর্বে উত্তর আফগানিস্তানে আহমেদ শাহ মাসুদকে হত্যার মতো।
আপনি ভিন্নমত গোনায় ধরছেন না, যেকোনো প্রতিপক্ষ দেখলেই দমন করছেন, গ্রেপ্তার করছেন, দেশ থেকে বিতাড়িত করে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তখন আপনি অভিজাতদের একজন হয়ে যাবেন। এটা কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং চুরি করে বড়লোক হওয়া।
কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাগুলোর জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কোনো চিন্তার বিষয় নয়। তাদের মূল চিন্তা থাকে অভিজাত ব্যক্তিবর্গদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাদের কীভাবে অনুগত রাখা যায়, বিশেষ করে নিরাপত্তা বিভাগ আর উপর মহলের সামরিক কর্মকর্তাদের।
কর্তৃত্ববাদী রেজিমে কোনো সামজিক চুক্তি থাকে না, যেখানে জনগণ বলবে, আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি আর উন্নত জীবনব্যবস্থার জন্য কাজ করব, বিনিময়ে আপনাদের আনুগত্য স্বীকার করে নেব। এরকম কোনো চুক্তি নেই। রেজিম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এনে দিতে পারে না, এবং তারা জনগণকে বলে না, আমরা তোমাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। আমরা তোমাদের স্বাধীনতার বিনিময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা চুক্তির শর্ত পূরণ করতে না পারায় পদত্যাগ করছি। তাদের কাছ থেকে এমন কিছু কখনো শুনবেন না।
পুতিনের মতো কর্তৃত্ববাদী শাসকদের ‘জনপ্রিয়তা’ কীভাবে কাজ করে?
কটকিন: তাদের কাছে জনগণকে খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন গল্প তৈরি করা থাকে। এই গল্পগুলো গোপন পুলিশ বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। হ্যাঁ, তাদের কাছে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি গোপন পুলিশ বাহিনীও থাকে। বর্তমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়াতে যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের ওপর এই গোপন পুলিশ বাহিনী ভয়াবহ অত্যাচার করছে। তাদেরকে বদ্ধ কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এই রেজিমকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
কিন্তু তাদের কাছে কাহিনীর রসদ আছে। এই কাহিনীগুলো রুশদের বীরত্বগাথা নিয়ে, রুশ শ্রেষ্ঠত্বকে পুনরজ্জীবিত করা নিয়ে, দেশে ও দেশের বাইরের শত্রুদের নিয়ে, যারা রাশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে যায়। এই শত্রুরা হতে পারে ইহুদি সম্প্রদায়, জর্জ সরোস কিংবা আইএমএফ আর ন্যাটোর মতো সংগঠনগুলো। আমরা বুক শেলফে যেভাবে জনরা অনুযায়ী বই সাজিয়ে রাখি, তাদের শত্রুগুলোও হয়তো এরকম বিভিন্ন কিসিমের।
আমরা সেন্সরশিপ বলতে কেবল মনে করি তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধ করাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট ধরনের কাহিনী তৈরি করে সেটা জনগণের মাঝে সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে দিয়েও সেন্সরশিপ করা যায়, যা জনগণের মাঝে অনুরণিত হবে। বৃহৎ পরাশক্তি হয়ে উঠার আকাঙ্ক্ষা, বিশ্বে তাদের একটা বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা, এবং বহিঃশক্তির দ্বারা ধ্বংসের ভয় করা, এ ধরনের গল্পগুলোই রাশিয়ায় কাজ করে। এসব গল্প সবার জন্য না। অনেক রুশ ব্যক্তিই আছেন পুতিনের এসব কল্পকাহিনী গোনায় ধরেন না। তারা তুলনামূলক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। কিন্তু পুতিনের সংস্করণই সেখানে শক্তিশালী। তারা যেকোনো সুযোগেই তার গল্পগুলো প্রচার করে থাকে।
পশ্চিমা বিশ্ব সঙ্গত কারণেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে যাবে না, নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করবে না। অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করাই বেশি শক্তিশালী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু যেসব লোকদের সরাসরি উদ্দেশ্য করে অবরোধ দেওয়া হচ্ছে, তারা মনে হচ্ছে পার পেয়ে যাবে।
কটকিন: আপনি যখন একটা পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মোকাবেলা করবেন, তখন সরাসরি সামরিক লড়াইয়ে মাঠে নামবেন না। এক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে কাজ করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক ক্ষমতাবিহীন দেশগুলোতে বোমা নিক্ষেপ করা এক কথা, আর রাশিয়া বা চীনের মতো পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশুগুলোতে বোমা নিক্ষেপ করা আরেক কথা। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবরোধের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করা যায়, অনেক ক্ষেত্রে এটা শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবেও কাজ করে।
আমরা একইসাথে ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছি। আবার এই সাইবার রাজত্বের যুগে আসলে কী ঘটছে তার অনেক কিছুই আমরা ঠিকভাবে জানতে পারছি না। কারণ যে লোকরা কিছু জানে না, তারা বেশি কথা বলছে; অন্যদিকে যারা জানে, তারা মুখে কুলুপ এঁটে আছে। একইসাথে ইউক্রেনীয়দের সাহসিকতার কল্যাণে লড়াইও চলমান আছে। অবশ্যই এখানে ন্যাটো আর ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো রসদের ভূমিকাও আছে।
আমরা এখনো জানি না অর্থনৈতিক অবরোধ আদৌ কাজ করবে কিনা। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো বেশিরভাগ সময়ে বেসামরিক জনগণের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। শাসকরা পার পেয়ে যায়, কারণ তখন তারা দেশের মানুষদের কাছ থেকে আরেকটু বেশি চুরি করলেই তাদের কাজ হয়ে যায়। আপনি যদি লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুর্ট বা নিউ ইয়র্কে কারো ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেন, তাদের এসব অর্থের মূল একটা উৎস থাকে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে তারা রাশিয়ায় ফিরে গিয়ে সেই উৎসকে পুনরায় উজ্জীবিত করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রাশিয়ার বাইরে পুতিনের কোনো অর্থ কিংবা সম্পদ নেই, যার ওপর আমরা অবরোধ আরোপ করতে পারব। পুতিনের অর্থ পুরো রাশিয়ার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই। তার আলাদা কোনো ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন নেই, এবং অবশ্যই তিনি কোনো পশ্চিমা দেশে তার অর্থ রাখবেন না।
প্রযুক্তির বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সবসময়ই সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। তাদেরকে এতে করে উন্নত প্রযুক্তি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়। সময়ের সাথে সাথে যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদেরকে আমেরিকার তৈরি সফটওয়্যার, প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়, তাহলে তারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে একটা মরুভূমিতে পরিণত হবে। (এরপর দেখুন ৩য় পর্বে)