দেড় বছরের বিবাহিত জীবনের এত সুখ, আবেগ, তরঙ্গ হিল্লোল ভালোবাসার পর দুঃস্বপ্নের মতো এমন দিন আসবে কেউই হয়তো ভাবতে পারেনি। বলছি ত্রিদিব-স্নিগ্ধা (ছদ্মনাম) দম্পতির কথা। সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তারা গিয়েছেন যার কথা কেউ স্বপ্নেও ভাববে না। কিছুদিন আগেই তাদের প্রথম সন্তানের পৃথিবীতে আগমনের কথা ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিশুটি মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে।
পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধের স্বাদ পাওয়া আর হলো না নবজাতকের। যার আকাঙ্ক্ষায় হবু মা-বাবা প্রতীক্ষার প্রহর গুনে যাচ্ছিল, তাদের পুরো পৃথিবী এক মুহূর্তে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। ঢাকার একটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালে তরুণ এই দম্পতির বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়মমাফিক বাচ্চাটিকে ভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে নেয়। মৃত্যু পরবর্তী যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার পর তারা ফিরে আসে নিজ বাসায়। একাকিত্ব তাদেরকে ঘিরে ধরে। ক্ষণিকের তরে যে শিশুটি এই ভবে এসেছিল তার স্মৃতি বাবা-মা দুজনকেই দারুণভাবে আক্রান্ত করে। অদ্ভুত এক রিক্ততায় তারা জীবন অতিবাহিত করতে থাকে। জীবন বয়ে চলে কষ্ট, আক্ষেপ আর স্মৃতিকাতরতার চাদরে মোড়ানো অনুভূতিকে সাথে নিয়ে।
ত্রিদিব-স্নিগ্ধা দম্পতির মতো আরও অসংখ্য ঘটনা আমাদের দেশে প্রায়ই ঘটে থাকে। তাদের সবচেয়ে কষ্টের জায়গা কোনটি? একজন মানুষ পরিণত অবস্থায় মারা গেলে তাকে ঘিরে আপনজনদের নানা স্মৃতি থাকে। ছবি তোলা থাকে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে। মানুষটি চলে গেলেও তাকে ঘিরে সুবিশাল সময়ে গড়ে ওঠা স্মৃতির সমাহার তাকে বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যেতে দেয় না। অথচ যে শিশুটি পৃথিবীতে আসেই প্রাণহীন অবস্থায় তাকে স্মরণ করার মতো কোনো অবলম্বনই তার মা-বাবার থাকে না। অসহনীয়, বোধগম্যতার অতীত, দুঃসহ এই অভিজ্ঞতাকে খুব সামান্য পরিসরে হলেও লাঘব করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন টড হকবার্গ। পেশায় তিনি একজন আলোকচিত্রী।
১৯৯৭ সাল থেকে টড বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে মৃত বাচ্চাদের ছবি তুলে যাচ্ছেন। দিন-রাত সবসময় তার ব্যস্ততা লেগেই থাকে। একটা সময় অধিকাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টিকে সমর্থন করতেন না। তবে সময়ের পরিক্রমায় এখন তারা নিজেরাই মৃত শিশুটির ছবি তোলার ব্যবস্থা করে, বাচ্চাটির পায়ের ছাপ তুলে রাখে কিংবা তার এক গোছা চুল মা বাবার জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। বর্তমানে ‘নাও আই লে মি ডাউন টু স্লিপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবী আলোকচিত্রীর ব্যবস্থা করে থাকে মৃত বাচ্চাদের ছবি তোয়ার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০ শিশুর ১টি মৃত হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ২৪,০০০ মৃত শিশু জন্ম নেয়, যদিও এর প্রধানতম কারণ এখনও অজানা।
আজ অবধি টড প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশুর ছবি তুলেছেন যারা মৃত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে অথবা প্রসবের কিছুক্ষণের মাঝেই মারা গিয়েছে। প্রতি পরিবারকে টড কমপক্ষে ১২টি ছবির অ্যালবাম উপহার দেন, এমনকি কখনও ছবির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। পাঠক ভাবছেন যে ভুল তথ্য দিলাম কি না? ছবি উপহার কেন দেবেন তিনি? জ্বি, টড কখনোই কোনো পরিবারের কাছ থেকে ন্যূনতম পরিমাণে খরচ গ্রহণ করেন না। হয় তাকে কোনো দাতব্য সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয় অথবা কিছু হাসপাতাল স্বীয় উদ্যোগে টডের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে। টডের ভাষায় এটি হলো ‘বেরিভমেন্ট ফটোগ্রাফি’, অর্থাৎ আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু যখন শুধুই আপনজনের পরলোকগমন। ২০০০ সালে কর্পোরেট ফটোগ্রাফির বিলাসবহুল জগৎ ছেড়ে এখন টড শুধু বর্তমান কাজেই ব্যস্ত। দ্য আটলান্টিকে প্রকাশিত তার এক সুদীর্ঘ সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো আজকের আয়োজনে।
সারাহ জ্যাং: আমাদের সংস্কৃতিতে মৃত্যু ও মৃতদেহকে নিয়ে নানা ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি ও ধ্যানধারণা প্রচলিত। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আপনি মৃত বাচ্চাদের পরিবারের ছবি তুলে যাচ্ছেন। সুদীর্ঘ এই সময় ও অভিজ্ঞতা, মৃত্যু নিয়ে আপনার অনুভূতিকে কি বদলে দিয়েছে?
টড হচবার্গ: অবশ্যই। আমার প্রথম স্টিলবার্থ (গর্ভকালীন ২০-২৮ সপ্তাহ সময়ে বাচ্চার মৃত্যু) বিষয়ক অভিজ্ঞতা যথেষ্ট কষ্টকর ছিল। আমি অস্ত্রোপচার কক্ষে ছিলাম যেখানে আমি প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ করেছিলাম একজন মায়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। নানা ধরনের কেমিক্যালের গন্ধ, রক্ত, আঘাত সবকিছু মিলেমিশে এক দমবন্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। অপরিণত একটি শিশুর জন্ম আমি স্বচক্ষে দেখলাম যার ত্বক ছিল অনেকটা জ্যোতির্ময়। প্রায় জ্ঞান হারাতে বসেছিলাম আমি। পরপর কয়েকবার গভীর শ্বাস নিয়ে আমি পুরোটা সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম। যখন নবজাতকটির মা পরম মমতায় তাকে বুকে টেনে নিল সে এক অসাধারণ দৃশ্য ছিল। ওই একটি মুহূর্তের তাৎক্ষণিকতা এর আগের সব রুদ্ধশ্বাস অনুভূতিকে ছাপিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
সারাহ: বেরিভমেন্ট ফটোগ্রাফির সাথে যাত্রা শুরুর গল্পটা কীরকম?
টড: একইসাথে মেডিক্যাল আলোকচিত্রী ও কর্পোরেট আলোকচিত্রী হিসেবে আমাকে কাজ করতে হচ্ছিল শিকাগোর স্বাস্থ্যসেবা খাতে। মূলত বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের ছবি তুলতে হত সাক্ষ্যপ্রমাণস্বরূপ। তবে এই কাজের বাইরে গিয়ে আমি আরও অর্থবহ কোনো কিছুর অন্বেষণে রত ছিলাম। একজন অ্যান্টিক ভিক্টোরিয়ান ফটোগ্রাফ সংগ্রাহক হিসেবে আমাকে বিভিন্ন মার্কেটে যেতে হত যেখানে গিয়ে আমার কিছু নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়।
সারাহ: ভিক্টোরিয়ান সেসব ছবি আমি নিজেও দেখেছি। এসব ছবির প্রতি তো কম-বেশি সকলেরই মন্তব্য থাকে নেতিবাচক। হয় তারা একে বলে থাকে গা শিউরে ওঠার মতো অথবা ভীষণ অস্বস্তিকর। এসব ছবির মাঝে আপনি ঠিক কী খুঁজে পেলেন?
টড: হ্যাঁ, ছবিগুলোতে বিচ্ছেদ কিংবা মৃত্যুর উপস্থিতি ভীষণ পীড়াদায়ক ছিল অবশ্যই। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল পোর্ট্রেট। তবে সেখানে গিয়ে মৃত্যুর এত বলিষ্ঠ উপস্থিতি দেখে ভিন্ন কিছু অনুভব করতে বাধ্য হই। মৃত বাচ্চাগুলোর বিদেহী আত্মা, তাদের বাবা-মার কষ্ট এবং ঠিক সেই মুহুর্তগুলোর অভিজ্ঞতা আমি ছবির মাধ্যমে বলতে চেয়েছি।
সারাহ: বেশ কিছু মা বাবার সাথে আমার কথা হয়েছে। বেঁচে থাকার ছোট্ট পরিসরে তাদের সন্তানের ব্যবহৃত কম্বল বা টুপি তাদের কাছে সবসময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। স্রেফ একটি পণ্য হিসেবে তারা কখনই এসবকে বিবেচনা করেন না। আপনার অভিজ্ঞতা থেকে কি মনে হয় তারা আপনার তোলা ছবিগুলোকে পরলোকগত সন্তানের স্মৃতির অংশ করে নিতে পেরেছে?
টড: এসব শিশুর বেঁচে থাকার সময়টুকু এতটাই কম যে তাদের বাবা-মা আসলে শোকটুকুও ঠিকভাবে পালন করতে পারেন না। আমার তোলা একটি ছবি তাদের শোকের আবহে খানিকটা সম্পূর্ণতা প্রদান করার নিমিত্ত মাত্র। তারা তাদের সন্তানের জীবনের ছোট্ট ব্যপ্তিকেই সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। তাদের বাচ্চাটি বেঁচে নেই আর এই বিষয়টিকে তারা বিবেচনায় না এনে বরং বেঁচে থাকার সময়টুকুকে ভ্যালিডেট করার মতো মানসিকতা গড়ে নেন। এমনও অনেক পরিবারের সাথে আমার যোগাযোগ আছে যাদের কোনো একটি সন্তান ১৫-২০ বছর আগে মারা গিয়েছে। তারা এখনও প্রতি মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাকে ইমেইল পাঠিয়ে কৃতজ্ঞতা পোষণ করে থাকেন এবং তাদের দুঃখ, কষ্টের সাথী করে নিতে পছন্দ করেন। সেই শিশুটির ভাই বোন যাদের বয়স এখন ১৫ কিংবা ২০ বছর তারাও সেই ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে তাদের রক্তের সম্পর্কের একজন মানুষকে অনুভব করার চেষ্টা করে।
সারাহ: খুবই অপরিণত শিশুগুলো যখন মারা যায় তখন তাদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কী ধরনের হয়?
টড: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি বাস্তবতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করি না। প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চাগুলোর অবস্থা সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমি মূলত সাদা-কালো ছবি তুলে থাকি। এতে করে ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের অনুভূতির প্রতি সর্বোচ্চ কোমলতার সাথে সুবিচার করা হয় বলে আমি মনে করি। আমার কাছে বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থার চেয়ে ওই মুহূর্তের আবহটা ভীষণ জরুরি মনে হয়েছে। ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির আবেগ-অনুভূতিকেই আমি স্থান দিতে চাই ছবিতে। আমি মাঝেমাঝেই একটি কাজ করি। হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে মাটিতে বসে মা এবং শিশুকে ফ্রেমে বন্দী করার চেষ্টা করি, কারণ ওই অবস্থান থেকে মানুষগুলোর অনুভূতির সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ধারণ করা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। ব্যক্তি নয়, বরং ওই পরিবেশের সাথে নিজেকে পুরোপুরি সংযুক্ত করতে না পারলে আমার পক্ষে কখনোই অনুভূতিকে ছবিতে ধারণ সম্ভব হবে না। একজন আলোকচিত্রী হিসেবে সম্ভবত এতটা সহানুভূতিশীল আমাকে অন্য কোথাও আর হতে হয়নি।
সারাহ: কোনো পরিবারের কথা কি বিশেষভাবে ভাবনার জগতে জায়গা করে নিয়েছে এতগুলো বছরে?
টড: এক দম্পতির যমজ বাচ্চা হয়েছিল। বিষয়টাকে বলা হয় টুইন টুইন ট্রান্সফিউশন। দুটি ছেলের মাঝে একজন মারা গিয়েছিল এবং অন্যজন নিওন্যাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ছিল। বাচ্চাদের বাবা মৃত ছেলেটিকে একবারের জন্য জীবিত ছেলেটির কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। বাবা হিসেবে তিনি শুধু একবার দেখতে চেয়েছিলেন তার দুই ছেলেকে পাশাপাশি অবস্থায়।
সারাহ: আপনার তোলা ছবিগুলো নিয়ে বাবা-মায়েরা মূলত কী করেন? একান্তই গোপনীয়তায় রেখে দেন নাকি অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করে থাকেন?
টড: এটি আসলে ব্যক্তিভেদে পরিবর্তনশীল। অনেক অভিভাবকই অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছবিগুলো পোস্ট করে থাকেন। অনেকে শুধু নিজেদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখতেই পছন্দ করেন। এমনকি অনেকে আমাকে প্রায় দেড় দুই বছর পর ইমেইল বা ফোন দিয়ে বলেন যে অবশেষে তারা ছবিগুলো ড্রয়ার থেকে বের করে এবার দেখার মতো যথেষ্ট মানসিক শক্তি অর্জন করেছেন। কেউ কেউ আবার শুরু থেকেই টেবিলে বা দেয়ালে ছবি টাঙিয়ে রাখেন।
সারাহ: আপনার তোলা ছবিগুলো তাহলে একইসাথে দুটি উদ্দেশ্যে কাজ করছে। মৃত সন্তানের স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি একটি অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে মা-বাবার জীবনে। অন্যদিকে স্টিলবার্থ নিয়েও একটি গণসচেতনতা তৈরি হচ্ছে বলে কি আপনার মনে হয় না? কোনোভাবে দ্বিতীয়টিও কি আপনার পরিকল্পনা ছিল?
টড: না। দ্বিতীয় উদ্দেশ্যও সাধিত হচ্ছে এ কথা অনস্বীকার্য। তবে আমার কাজ শুরুর দু’বছরের মাথায় আমি এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। শুধু মা-বাবা নয়, আশেপাশের মানুষদেরও এই মৃত বাচ্চাগুলোকে নিয়ে ইতিমধ্যে গড়ে ওঠা ভ্রান্ত বা ভীতিকর ধারণার সীমারেখা ভেঙে দেওয়ার জন্য এই ছবিগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে আমি মনে করি। মানুষ আরও স্বাভাবিকভাবে, আরও কিছুটা সহানুভূতি দিয়ে এই শিশুগুলো ও তাদের বাবা-মায়ের সাথে ব্যবহার করতে পারছে এখন। এক দম্পতি আমাকে একটি কথা বলেছিলেন, আপনি শুনতে চান সেটি?
সারাহ: কী ছিল সেই কথাগুলো?
টড:
আপনার তোলা ছবিগুলো আমাদের ছেলে জেমেরিয়াহকে ব্যক্তিত্ব দান করেছে। আমাদের মাঝে আজ শারীরিকভাবে না থেকেও সে দারুণভাবে বর্তমান। তার নরম চেহারা, ঘন চুল, আদুরে হাত, আরামদায়ক শরীর সবকিছু আপনি এতটাই নৈপুণ্যের সাথে ফ্রেমে বন্দী করেছেন যা সত্যিই অবিশ্বাস্য! আপনার তোলা এই ছবিগুলো স্রেফ ছবিই নয়। আপনার সাথে আমাদের শেয়ার করা সময়গুলোর মাধ্যমে প্রকারান্তরে আপনি আমাদেরকে আবার স্বীয় অনুভূতির পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ এনে দিয়েছেন।
প্রতিটি মুহূর্তের অনুভূতি, আবেগ, ভালোবাসা, কষ্ট, গর্ব, হৃদয় নিঙড়ানো আক্ষেপ সবকিছুকেই আমরা আজ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছি। চোখের জলে কিংবা মুখের কথায় যা ব্যাখ্যাতীত তার পুরোটাই আপনার ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা ব্যক্ত করতে পারছি। আমাদের জীবনের একটি বিশেষ দিনকে চির উজ্জ্বল করে রাখার কৃতিত্ব আপনাকে দিতেই হবে। জেমেরিয়াহর সাথে দেখা হওয়ার আগে ও পরের আমরা কখনোই এক নয়!
একুশে বইমেলা ‘২০ উপলক্ষে রোর বাংলা থেকে প্রকাশিত বইগুলো কিনতে এখনই ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-
১) ইহুদী জাতির ইতিহাস
২) সাচিকো – নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক শিশুর সত্য ঘটনা
৩) অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে