টি-টোয়েন্টিতে এখনও ক্রিকেট বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়াড় এই ফরম্যাটে বিশ্বকাঁপানো খেলোয়াড়দের মধ্যে পড়েন না। বাংলাদেশ দলে নেই কোনো ক্রিস গেইল বা মার্টিন গাপটিল, যিনি একাই দানবীয় এক ইনিংস খেলে ম্যাচের চেহারা বদলে দিতে পারবেন। নেই একা হাতে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়া কোনো বোলারও। এই সমস্যা সমাধান করে তাহলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বড় দল হয়ে ওঠার উপায় কী?
নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলা এবং সকলে মিলে স্মার্ট ক্রিকেট খেলা- অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এটিকেই উপায় বলে মনে করছেন।
আজ সন্ধ্যায় ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফিতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে রিয়াদ বলছিলেন, নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে সকলে মিলে পারফর্ম করাটাকেই তারা নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক যে জয় এসেছে, সেটিকে ওই ব্র্যান্ড ক্রিকেটের ফলই বলছেন অধিনায়ক। আর আজও সেরকম ক্রিকেটই উপহার দিতে চান তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পরও বাংলাদেশ দল পা মাটিতে রাখছে, এমন দাবি করে রিয়াদ বলেন,
“এমন নয় যে, আমরা অনেক কিছু করে ফেলেছি। আমাদের পা মাটিতেই আছে। এটা কেবলই একটা শুরু। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। কেবল সরানো শুরু হয়েছে, আশা করি আস্তে আস্তে আমরা সরাতে পারব। দল হিসেবে যেন বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারি। ক্রিকেটে উন্নতির জায়গা সবসময়ই আছে।”
বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের এই ক্রিকেটের ব্যাখ্যাটিও দিলেন রিয়াদ। তার মতে,
“আমরা সফর শুরুর আগে ঠিক করেছিলাম যে, বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি খেলব আমরা। আমাদের স্মার্ট হতে হবে। স্কিল আমাদের আছে। স্মার্ট হতে হবে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষেত্রে। হয়তো কোনো একজন বোলারকে আমরা টার্গেট করতে পারি। সেটা একজন ব্যাটসম্যান আরেকজনকে বলতে পারে বা এরকম কিছু খেয়াল করলে সেটা বলা। এই ব্যাপারগুলোর প্রয়োগই আমরা চাই। সেটি করতে পারাকেই আমরা বলছি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি।”
এই স্মার্ট ক্রিকেট খেলে দলে পাওয়ার হিটার না থাকার সমস্যাটি মেটাতে চায় বাংলাদেশ। রিয়াদের ভাষায়,
“আমাদের পাওয়ার হিটার নেই। এটা মেনে নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে এবং জিততে হবে। সেটির উপায়ই হলো স্মার্ট ক্রিকেট খেলা। নিজেদের স্কিলগুলোর প্রয়োগ করতে হবে।”
এই ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে বড় একটি ব্যাপার হতে পারে আগে ফিল্ডিং করা। অধিনায়ক রিয়াদ স্বীকার করলেন এক্ষেত্রে টসের একটি বড় ভূমিকা থাকবে। তার মতে,
“টসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ম্যাচেই রান তাড়া করা দল জিতেছে। প্রথমে যতটুকু থাকে উইকেটে, পরে আরও কঠিন হয়ে যায় বোলারদের জন্য। ব্যাটসম্যানদের জন্য ক্রমে ভালো হতে থাকে।”
শেষ অবধি ম্যাচটি জেতাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সেটা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেই আসুক না কেন। আজকের ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে যাবে ফাইনাল খেলার দিকে। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও রানরেট ভালো রাখতে পারলে ফাইনালে চলে যাবে তারা।
ফিচার ইমেজ: BCB