- নাটকীয়ভাবে আফগানিস্তানকে দুই রানে পরাজিত করেছে জিম্বাবুয়ে।
- আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা দুই ম্যাচে পরাজিত হলো আফগানিস্তান।
- সিকান্দার রাজা এবং ব্রেন্ডন টেইলর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৮ রান যোগ করেন। রহমত শাহ এবং মোহাম্মদ নবী চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৮ রান যোগ করেন
- দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা ৬০ রানের পাশাপাশি তিন উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
জিম্বাবুয়ের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসা ব্লেসিং মুজারাবানির চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে মুজিবুর রহমান যখন সাজঘরে ফেরেন তখন আফগানিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ২০ রান। হাতে ছিলো মাত্র এক উইকেট। বলে নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। তখনও ৫৩ বলের খেলা বাকি ছিলো। শেষ উইকেট জুটিতে শাহপুর জাদরান এবং দাওলাত জাদরান দাঁতে দাঁত কামড়িয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
দেখেশুনে ম্যাচকে শেষ ওভার পর্যন্ত নেন এই দুই পেসার। শেষ ওভারে আফগানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো চার রান। ব্রায়ান ভিটোরির করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন দাওলাত। তৃতীয় বলে শাহপুর স্ট্রাইকে এসে ভিটোরির শিকারে পরিণত হলে তিন বল হাতে রেখে দুই রান দূরত্বে সবকটি উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
শেষ উইকেট জুটিতে দাওলাত এবং শাহপুর ৫০ বলে ১৭ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে একপর্যায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সপ্তম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর ক্রেইগ এরভাইন এবং ব্রেন্ডন টেইলর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। আনলাকি থার্টিনে এরভাইন কাটা পড়লে ক্রিজে আসেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা।
টেইলর এবং রাজা পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৮ রান যোগ করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। ব্রেন্ডন টেইলর ৮৮ বলে সাতটি চার এবং তিনটি ছয়ের মারে ৮৯ রান করে এবং রাজা ৬০ রান করে ফিরে গেলে মাত্র নয় রানে শেষ পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ৪৩ ওভারে ১৯৬ রানে থেমে যায়।
আফগানিস্তানের হয়ে মুজিবুর রহমান এবং রশিদ খান তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।
জিম্বাবুয়ের করা ১৯৭ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো-মন্দে হয়েছিলো আফগানিস্তানের। দলীয় ৩৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ইহসানুল্লাহ এবং শাহজাদের উইকেট হারায় তারা।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে রহমত শাহাকে নিয়ে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী ৯৮ রান যোগ করলে আফগানিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার ছিলো।
সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকা আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ আঘাতে হানেন সিকান্দার রাজা এবং মুজারাবানি। রহমত শাহ ৬৯ রান এবং নবী ৫১ রান করে ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান তিন উইকেটে ১৫৬ রান থেকে নয় উইকেটে ১৭৭ রানে পরিণত হয় তাদের স্কোরবোর্ড।
ব্লেসিং মুজারাবানি চার উইকেট, সিকান্দার রাজা তিন উইকেট এবং ভিটোরি শেষ উইকেট সহ দুই উইকেট শিকার করলে দুই রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে ৬০ রান এবং বল হাতে তিন উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সিকান্দার রাজা।
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সাত উইকেটের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে দুই রানের হারে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
ফিচার ইমেজ – Icc-Cricket.com