- গত শুক্রবার তথ্য গোপনীয়তা নীতি ভঙ্গের অভিযোগে স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ল্যাবরেটরিজ (এসসিএল) এবং এর রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণী সংস্থা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কতৃপক্ষ।
- অনৈতিকভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার পর তা সরিয়ে না ফেলায় এই অভিযোগ আনে ফেসবুক।
- ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কাজ করেছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।
- তবে ফেসবুক থেকে দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্পের বা অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা সংস্থার কথা উল্লেখ করেনি।
গত শুক্রবার ফেসবুকের ডেপুটি জেনারেল কাউন্সিল পল গ্রেভাল এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা দেন। ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনীয়তা নীতির বিরুদ্ধে যাওয়াতে প্রতিষ্ঠান দুটিকে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় ফেসবুক। এর ফলে তারা ফেসবুকে কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন দেওয়া বা পেজ চালানোর সুবিধা পাবে না।
We have suspended Cambridge Analytica from our platform for a clear violation our policies. They cannot buy ads or administer its clients’ pages. https://t.co/YIJ8MF4XI6
— Boz (@boztank) March 17, 2018
এক ব্লগ পোস্টে গ্রেভাল জানান, কীভাবে ব্যবহারকারীর ডেটা নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছিল এসসিএল। ২০১৫ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মনোবিজ্ঞান অধ্যাপক আলেকজান্ডার কোগান “thisisyourdigitallife” নামক একটি অ্যাপ তৈরি করেন, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রায় ২,৭০,০০০ মানুষ এটি ডাউনলোড করে এবং ফেসবুকে লগ ইন ব্যবহার করে অ্যাপটিতে ঢুকে। এরপর ব্যবহারকারীদের বাসস্থানের সম্পর্কে, তাদের পছন্দকৃত ফেসবুক কন্টেন্ট এবং তাদের বন্ধুদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হলে ব্যবহারকারীরা তা প্রদান করেন।
কোগান এসসিএল এবং ক্রিস্টোফার উইলি নামক একজন ব্যক্তির ডেটা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান Eunoia টেকনোলজিসের কাছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকের নজরে আসলে তারা অ্যাপটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলে এবং কোগান আর তার সহকারীদের সব তথ্য মুছে ফেলতে নির্দেশ দেয়।
কিন্তু শুরুতে তারা তথ্য মুছে ফেলার কথা বললেও সম্প্রতি ফেসবুক এক রিপোর্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে সব তথ্য মুছে ফেলা হয়নি। ফেসবুকের এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে জানানো হয় ব্লগ পোস্টটিতে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের ভুল স্বীকার করে পুনরায় নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানায় ফেসবুক।
২০১৬ সালের জুনে ৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়ে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে ভাড়া করেন ট্রাম্প। সে বছর প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনী প্রচারণায় এসসিএল বিস্তর ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করছে ফেসবুক। যদিও এখন পর্যন্ত তারা নিশ্চিত নন যে কীভাবে এই তথ্য ভূমিকা রেখেছে বা আদৌ এর দ্বারা ট্রাম্পের জয় প্রভাবিত হয়েছে কিনা। এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কোনো মন্তব্য করেনি।
ফিচার ইমেজ: YouTube