- এলন মাস্কের স্পেস এক্স হাজার হাজার ছোট উপগ্রহ ব্যবহার করে বিশ্বের দ্রুত গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করতে চলেছে।
- বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৭ মিনিটে ক্যালিফোর্নিয়ার ভান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে ফ্যাল্কন-৯ রকেটটি উৎক্ষেপণ করবে কোম্পানিটি।
- রকেটটিতে দুটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট থাকবে। স্যাটেলাইটগুলো প্রযুক্তিটি পরীক্ষা করবে, যেটি স্পেসএক্স তার ইন্টারনেট পরিসেবার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
- অধিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবার জন্য স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবী থেকে সাধারণ স্যাটেলাইটগুলোর তুলনায় বেশ কিছুটা কম উচ্চতায় পরিভ্রমণ করবে।
বুধবার পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের এলন মাস্কের স্পেস-এক্স ফ্যালকন-৯ রকেটের উপর দুটি ছোট প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট পাঠাতে যাচ্ছে মহাকাশে। এলন মাস্ক এবং তার কোম্পানির উদ্দেশ্য পৃথিবীতে মানুষের আরো দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেয়া। ছোট স্যাটেলাইট দুটির পাশাপাশি প্যাজ টেলিকমিউনিকেশন স্যাটেলাইট নামের বড় একটি স্প্যানিশ স্যাটেলাইটও থাকবে। কিন্তু বিশ্ববাসীর চোখ মাইক্রোস্যাট-২এ এবং মাইক্রোস্যাট-২বি নামের ছোট স্যাটেলাইট দুটির দিকে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রকেটিটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও উক্ষেপণের পূর্ববর্তী সর্বশেষ কিছু প্রস্তুতির জন্য সময় কিছুটা পিছিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঠিক করা হয়।
এলন মাস্কের চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর উপরের কক্ষপথের প্রায় ১২,০০০ স্যাটেলাইটের বিশাল একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়, যা পৃথিবী পৃষ্ঠের অ্যান্টেনা রিসিভারদের ইন্টারনেট সংযোগকে আরো দ্রুত করে তুলবে।
প্রকল্পটি স্পেসএক্স শুরু থেকে গোপনীয় রাখলেও বর্তমানে এর নাম স্টারলিঙ্ক (Starlink)। এটি হতে যাচ্ছে একটি নতুন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। বেশিরভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস স্যাটেলাইটগুলো, যেমন ভিয়াসেট বা হিউজেসনেটের মতো অন্যান্য ইন্টারনেট সেবাদানকারী স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর উপরে ২২,০০০ মাইল (৩৫,০০০ কিলোমিটার) এরও বেশি ভূ-সমলয় কক্ষপথে অবস্থান করে।
কিন্তু এত বেশি উচ্চতার কক্ষপথ থেকে তথ্য আদান-প্রদানে ইন্টারনেট ধীরগতির হয়ে যায়, আর তার ফলেই স্পেস এক্সের উদ্যোগ আরো নিম্ন কক্ষপথে স্যাটেলাইটগুলোকে স্থাপন করার। কিন্তু এতে একটি স্যাটেলাইট খুব কম পরিমাণ জায়গাতে ইন্টারনেটের সরবরাহ দিবে, আর পুরো পৃথিবীকে এর আওতাভুক্ত করতে দরকার হবে প্রায় ১২,০০০ ছোট স্যাটেলাইট, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রর জন্যেই দরকার পড়বে প্রায় ৮০০টির মতো স্যাটেলাইট।
এই প্রকল্পের জন্য ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার হতে পারে কোম্পানিটির। প্রকল্পটি বর্তমানে ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) এর বিবেচনাধীন রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটির ৪০ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিচার ইমেজ: Ars Technica