এবারে অ্যাপল এর নজর পরবর্তী প্রজন্মের মাইক্রোএলইডি স্ক্রিনের দিকে

  • টেক জায়ান্ট অ্যাপল এবার নিজেদের ডিভাইসের জন্য তৈরি করবে মাইক্রোএলডি (MicroLED) ডিসপ্লে।
  • অ্যাপল পরবর্তী প্রজন্মের এই ডিসপ্লে প্রযুক্তি তৈরির কাজ শুরু করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬২,০০০ বর্গ ফুটের এক গোপন কারখানায়।
  • ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পরীক্ষাধীন স্ক্রিন তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বাজারে এই প্রযুক্তির ডিভাইস আসতে সময় লাগবে বেশ কয়েক বছর।
  • এই খাতে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে অ্যাপল।

গত রবিবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন খবর। তবে আইফোন নির্মাতা এই টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত এই সম্পর্কে কোনো মন্তব্য জানাননি।

অ্যাপল পরবর্তী প্রজন্মের এই ডিসপ্লে প্রযুক্তি তৈরির কাজ শুরু করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬২,০০০ বর্গ ফুটের এক গোপন কারখানায়; Source: Bloomberg

অ্যাপল ওয়াচ এবং আইফোনের প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা লিন ইয়াংস গোপন এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে। প্রকল্পটির কোড নেম দেওয়া হয়েছে টি১৫৯। শোনা যাচ্ছে, বাজারে স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি সূচনা করবে অ্যাপল। তবে এখন পর্যন্ত নির্মিত ডিসপ্লেটি একটি অ্যাপল ওয়াচে ব্যবহার করা হলেও তা পুরোপুরি পরিধানযোগ্য নয় বলে জানা গেছে।

মাইক্রোএলইডি প্রযুক্তি বর্তমানের জনপ্রিয় ওলেড ডিসপ্লের তুলনায় হবে আরো আকর্ষণীয় আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ফ্ল্যাট প্যানেলের এই ডিসপ্লে ডিভাইসকে আরো চিকন আর উজ্জ্বল করে তুলবে।

কিন্তু এই প্রযুক্তি নির্মাণ এখন পর্যন্ত নির্মিত সব ডিসপ্লে প্রযুক্তির তুলনায় বেশ কঠিন। অনেক সময়সাপেক্ষ আর জটিল সব প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্মিত এই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হবে অনেক ক্ষুদ্রাকৃতির পিক্সেল। ২০১৪ সালে অ্যাপল এই প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করলেও এতদিন পর্যন্ত বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

ব্লুমবার্গে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ডিসপ্লে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কমতে থাকে বাজারে। এই খবর প্রকাশ পাবার পর শার্প, জাপান ডিসপ্লে এবং এলজির ডিসপ্লে নির্মাণকারী বিভাগের শেয়ারের দাম কমেছে বলে জানা গেছে।

Source: Bloomberg

বর্তমানে অ্যাপল তাদের স্মার্ট ডিভাইসের জন্য চিপসেট নির্মাণ করলেও ডিসপ্লে প্রযুক্তি নির্মাণে অ্যাপলের অংশগ্রহণ প্রযুক্তি বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি বাজারে আসলে তা স্যামসাং এবং এলজির মতো নামীদামী সব প্রতিষ্ঠানকে অনায়াসেই পেছনে ফেলতে পারবে। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যের অংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

তবে এই প্রযুক্তি গ্রাহকের হাতে পৌঁছাতে অপেক্ষা করতে হতে পারে আরো কয়েকটি বছর। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি অ্যাপল।

ফিচার ইমেজ: engadget

Related Articles

Exit mobile version