- পাপুয়া নিউ গিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ভূমি ও ভবন ধ্বসের ফলে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
- গত সোমবার দেশটিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়।
- এতে সেখানকার মাইনিং এর ক্ষতিসাধিত হয় এবং দেশটির সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এক্সনমোবিল কর্পোরেশন তার তরলকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
মেন্ডি জেনারেল হাসপাতালের নার্স জুলি সাকল জানান, দুটি ভবন ও ও ভূমিধ্বসের কারণে মেন্ডিতেই ১২ জন মানুষ নিহত হয়েছে।মৃতদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, “মানুষজন ভীতসন্ত্রস্ত। এখনও ঝাঁকুনি চলছে। কোথাও যাওয়ার নেই বলে মানুষজন শুধু আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পরেও অনেকগুলো আফটারশক দেখা যায়, যার মাঝে একটি ৫.৭ মাত্রার। মেন্ডির পুলিশ জানায়, প্রথম ভূমিকম্পের পরে ১৪ জন নিহত হয়েছে। মেন্ডির পুলিশ অফিসার নারিং বংগি বলেন, “ভূমিধ্বসের ফলে ঘুমন্ত মানুষজন তাদের বাসাতেই মারা যায়।”
প্রাদেশিক প্রশাসক উইলিয়াম বান্ডো বলেছেন, রাজধানী থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট মোর্সবির একটি অসমতল অঞ্চলে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিএনজি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস জানায়, তারা এই তথ্য যাচাই করে দেখবে। তবে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানাতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
পোর্ট মোর্সবিতে পাপুয়া নিউ গিনির আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রধান উদায়া রেগমি জানান, যোগাযোগ সমস্যার কারণে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এখনও ত্রান বিতরণের কাজ শুরু করেনি। তিনি বলেন, “ভূমিকম্পের মাত্রা অনেক বেশি ছিলো, তাই অবশ্যই এর প্রভাব থাকবে। আমরা বলতে পারছি না ঠিক কতজন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের আসলে কী প্রয়োজন।”
এক্সনমোবিল জানিয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ার কারণে তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করতে পারছে না। কোম্পানিটি ইমেইলের মাধ্যমে এক বার্তায় জানায়, “যোগাযোগ অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালঞ্জগুলোর একটি।” তাদের বন্ধ করে দেওয়া প্ল্যান্টটি ১৯ শত কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের।
এর অংশীদার অয়েল সার্চ জানায় এর সকল সুযোগ-সুবিধা ও পরিকাঠামো পর্যালোচনা করতে অন্তত এক সপ্তাহ লেগে যাবে। এক্সন প্ল্যান্ট প্রায় সাতদিনের মতো বন্ধ থাকতে পারে।
ফিচার ইমেজ: Republic World