হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা সম্পন্ন করল রাশিয়া

  • গত শনিবার সফলভাবে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা করেছে রাশিয়া।
  • এর ঘোষণা চলতি মাসের শুরুর দিকেই দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
  • মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়, যাতে দেখা যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপিত হচ্ছে একটি ফাইটার জেট থেকে।
  • শব্দের গতির চেয়ে দশ গুণ বেশি গতি তুলতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
  • প্রায় ১,২০০ মাইল দূরের লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করতে পারবে এটি।
  • ক্ষেপণাস্ত্রটি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই আঘাত হেনেছে সফলভাবে।

গত শনিবার রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি বিমানঘাঁটি থেকে ছেড়ে যাওয়া যুদ্ধবিমান MiG-31 থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি।কিনঝাল  নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে দশগুণ দ্রুত গতিতে ছুটে ১,২০০ মাইলেরও বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এর বেগ প্রায় ৩,৩২০ মিটার।

রাশিয়ান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজটিতে দেখা যায়, ফাইটার জেটটি থেকে কিনঝাল বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানানো হয় যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তার লক্ষ্যে আঘাত করেছে সফলতার সাথে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে জানিয়েছে তারা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, “MiG-31 এর রুশ অ্যারোস্পেস ফোর্সের সেনারা চলমান একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধে কিনঝাল নামের একটি উচ্চ ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রযুক্তিগত ও যান্ত্রিক কর্মক্ষমতা আর সময়ের সব তথ্য সম্পর্কে আমরা এখন নিশ্চিত।”

চলতি মাসের ১ তারিখে পুতিন এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সাথে বিশ্ববাসীকে পরিচয় করিয়ে দেন। সেখানে একটি কম্পিউটার নির্মিত ভিডিও গ্রাফিক্সে দেখানো হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাজ্যের ফ্লোরিডায় আঘাত হানছে।

পুতিন বলেছিলেন, এই ‘অপরাজেয়’ অস্ত্রটি পৃথিবীর বুকে যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারবে। শব্দের গতির চেয়ে দশগুণ দ্রুতগামী এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে এক ধরনের রাশিয়ান ‘ছুরি’র নাম থেকে। তিনি এটিকে একটি আদর্শ অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেন।

অন্যদিকে, রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস রাশিয়ার এই অস্ত্র তৈরি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এই পরীক্ষা মার্কিন নীতিকে প্রভাবিত করবে না। তিনি বলেন,

“আমি রাশিয়ার সামরিক শক্তিতে কোনো পরিবর্তন দেখেছি না এবং এসব পদ্ধতির জন্য এখনও অনেক সময় লাগবে। আমি তাদের সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তন করতে কখনো দেখিনি। তারা আমাদের প্রতিবন্ধকতা তৈরিতে কোনো প্রকার প্রভাব ফেলতে পারেনি।”

ফিচার ইমেজ: democrats time

Related Articles

Exit mobile version