আফগানিস্তানে সেভ দ্য চিলড্রেনের কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা

আজ, বুধবার, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদে এক সন্ত্রাসী হামলায় আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর আফগানিস্তান শাখার মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার সময় প্রথমে সংস্থাটির সামনে বিস্ফোরণ করা হয় এবং পরবর্তীতে বন্দুকধারীরা ভেতরে প্রবেশ করে বলে কর্মকর্তারা জানান। প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগিয়ানি জানান, আত্মঘাতী আক্রমণকারী সংস্থাটির প্রবেশপথে একটি গাড়িবোমা মজুদ রেখেছিল।

গুলির আওয়াজ শোনার সাথে সাথে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের শিশুরা ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করা শুরু করে। চারপাশ থেকে লোক জড় হতে থাকে। তবে সেটা খুব বেশি সময়ের জন্য নয়। হামলা এবং গোলাগুলিতে ভয় পেয়ে আশেপাশের সবাই প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। হামলাটি কারা করেছে এখনো জানা যায়নি। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আফগানিস্তানে সেভ দ্য চিলড্রেনে সন্ত্রাসী হামলা; Source: RT.com

গাড়ি বিস্ফোরণ প্রথমে করা হলেও ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি একই সময়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে রকেট চালিত গ্রেনেড বা আরপিজি দিয়ে সংস্থাটির প্রধান প্রবেশ দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করতে দেখেছেন। স্থানীয় টিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে সংস্থাটির আঙ্গিনা থেকে কালো গাঢ় ধোঁয়া উড়তে এবং একটি গাড়িকে জ্বলতে দেখা যায়। এরপর হাতিয়ার নিয়ে একদল বন্দুকধারী সংস্থাটির ভেতরে প্রবেশ করে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে তাদের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য সোহরাব কাদেরী জানান, হাতবোমা, মেশিনগান এবং রকেট চালিত গ্রেনেডে সজ্জিত দুই কিংবা তিনজন আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে আফগান স্পেশাল ফোর্স লড়াই করেছে। পাশে অবস্থিত ঘরবাড়ি, দুটি বিদ্যালয় এবং সরকারি অফিসের কথা মাথায় রেখে নিজেদের অবস্থান নেয় সন্ত্রাসীরা।

আক্রমণের পর ভীত-সন্ত্রস্ত জনগণ; Source: RT.com

সেভ দ্য চিলড্রেন আফগানিস্তান শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে থাকে। এ আক্রমণ নিয়ে সংস্থাটি জানায়, তারা পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং এই মুহুর্তে তাদের সবচাইতে বেশি নজর নিজেদের কর্মীদের নিয়ে। কোনো কর্মী ভেতরে আটকা পড়েছেন কিনা, কিংবা সবাই সুস্থ আছেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাবুলে একটি বিলাসবহুল হোটেলে তালেবান হামলায় ২২ জন মারা যায়। সে ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন বিদেশী। ঘটনাটির পর আফগানিস্তানে পুনরায় সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনা এটাই।

ফিচার ইমেজ: NYtimes

Related Articles

Exit mobile version