- সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের মেয়াদের সময়সীমা উঠিয়ে দিলো চীন।
- এর ফলে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
- রবিবার চীনেরন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এর বার্ষিক সম্মেলনে এই সংশোধনী পাশ হয়।
রাবার-স্ট্যাম্পিং নামে পরিচিত এ ভোটে মোট ২,৯৬৪ জন ভোটারের মাঝে ২ জন এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ভোট দেন এবং ৩ জন ভোট দানে বিরত থাকেন।
চীন ১৯৯০ সাল থেকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকা ২ মেয়াদের মাঝেই সীমিত করে দেয়। একনায়কতন্ত্র ও ব্যক্তি বিশেষের প্রভাব ঠেকাতেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে আজকের ভোটের পরে এ গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। এরপর শি জিনপিংকে খুব কম মানুষই চ্যালেঞ্জ জানাবে।
চীনের ক্ষমতায় থাকাকমিউনিস্ট পার্টি গত মাসে এই সংশোধনের প্রস্তাব তোলে। সংসদে দলের প্রতি অনুগত অনেক সদস্য থাকায় এটি প্রায় নিশ্চিত ছিলো যে এই সংশোধনী পাস হবে। অনেক সমালোচনাকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে তুলনা করেন।
বার্ষিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করা দলের অনুগত সদস্যরা জানায়, এই সিদ্ধান্তটি চীনের সাধারণ জনগণের মাঝে জনপ্রিয়। তাদের মতে, চীনের ভাগ্য খুব ভালো, কেননা তারা প্রেসিডেন্ট শি এর মতো নেতা পেয়েছে।
শি জিনপিং দলের প্রধান হিসেবে গত অক্টোবরে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পেয়েছেন। এ সপ্তাহের শেষে তাকে সংসদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগদান করা হবে। সরকারের মতে, প্রেসিডেন্টের মেয়াদের সীমা তুলে নেওয়ার কারণ হচ্ছে শি জিনপিংকে কেন্দ্র করে দলের কর্তৃত্ব রক্ষা করা।
শি জিনপিংকে তার দল ২০১৬ সালে “মূল” নেতা হিসেবে আখ্যা দেয়, যার ফলে তার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও দলের ও সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে শি এর অবস্থানকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সংশোধনীর অংশ হিসেবে শি এর রাজনৈতিক তত্ত্বও সংবিধানে যুক্ত করা হয়। এটি গত অক্টোবরে দলীয় শাসনতন্ত্রে যুক্ত করা হয়।
ফিচার ইমেজ: Financial Times