- উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইনকে পিয়ংইয়ংয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
- গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের প্রেসিডেন্ট ভবন ‘ব্লু হাউজে’ দুই কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকে এ আমন্ত্রণটি দেওয়া হয়।
- কিম জন উনের ছোট বোন কিম ইয়ো জং মুন জায়-ইনের কাছে মৌখিকভাবে এই আমন্ত্রণ জানান।
- মুন জায়-ইন যদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন, তাহলে তা দু’দেশের নেতাদের মাঝে ২০০৭ সালের পরে এই প্রথম আলোচনা হবে।
কিম ইয়ো জং মধ্যাহ্ন ভোজের সময় মুন জায়-ইন কে বলেন, “আমরা আপনাকে শীঘ্রই পিয়ংইয়ংয়ে দেখার আশা পোষণ করছি।” তিনি মুন জায় ইনকে কিম জং উনের দেওয়া একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন যেখানে কিম দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নতির ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো আলোচনাই মুন জায়-ইনের জন্য কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে কাজ করবে। কেননা গত বছর তিনি উত্তর কোরিয়ার সাথে আরও সংযুক্ত হওয়ার নীতি নিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সমাধানে চাপ প্রয়োগ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হওয়া শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষ্যে আয়োজিত বৈঠকে দুই কোরিয়ার বৈরিভাব অবসানের এই পথ প্রদর্শিত হয়।
মুন জায়-ইন এই আমন্ত্রণের উত্তরে বলেন, সঠিক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে এটি দুই কোরিয়ার সম্পন্ন করা উচিত। তার মতে, এরকম আলোচনা উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝেও হওয়া প্রয়োজন। তিনি উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় আরও সক্রিয় হতে অনুরোধ জানান।
এই বৈঠকে মুন জায়-ইনকে উত্তর কোরিয়ার প্রিতিনিধিদের প্রধান কিম জং ন্যাম এর পরিবর্তে কিম ইয়ো জং এর সামনে বসতে দেখা যায়। ১৯৫৩ সালে শেষ হওয়া কোরিয়ার যুদ্ধের পরে এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার শাসক বংশের কেউ দক্ষিণ কোরিয়ায় সফরে আসেন।
ফিচার ইমেজ: latest24news.online