ইরানে ৬৬ আরোহী সহ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত

  • ইরানে ৬০ যাত্রী এবং ৬ ক্রু সহ একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
  • রাজধানী তেহরান থেকে ইয়াসুজ শহরে যাওয়ার পথে মধ্যবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
  • দুর্ঘটনার কারণ বা আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও আরোহীদের সকলেই নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
  • খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে।

ইরানে ৬৬ জন আরোহী সহ একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজধানী তেহরান থেকে ইয়াসুজ শহরে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে তেহরানের মেহরাবাদ এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

ইরানের জরুরী বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কুলিবন্দ দেশটির গণমাধ্যমকে জানান, প্লেনটি মধ্য ইরানের জাগরোস পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তিনি বলেন, “এই প্লেনটি সেমিরম এলাকাতে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সবগুলো জরুরী বিভাগ তৎপর অবস্থায় আছে। প্লেনটিতে ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিল।”

প্লেনটির আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে আসেমান (Aseman) এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র রষ্ট্রীয় টিভিতে জানিয়েছেন, ৬৬ জন আরোহীর সকলেই সম্ভবত নিহত হয়েছে। এছাড়াও এয়ারলাইন্সটি কারিগরি ত্রুটির সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়ে খারাপ আবহাওয়াকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছে।

মানচিত্রে দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থান; Source: Al Jazeera

ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের প্রধান আলাদিন বোরুজার্দি আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসনা (ISNA) নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটি ছিল আসেমান (Aseman) এয়ারলাইন্সের একটি ATR বিমান। এতে ৬০ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিল। তেহরান থেকে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পর প্লেনটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

সেমিরম অঞ্চলটির অবস্থান ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায়, রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি ইসফাহান প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রথমে কোনো হেলিকপ্টার পাঠানো সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে একটি হেলিকপ্টারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা ইসনাকে জানিয়েছেন দেশটির জরুরী বিভাগের মুখপাত্র মোজতবা খালেদি। তিনি জানান, এলাকাটি পার্বত্য হওয়ার কারণে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো সম্ভব না।

উল্লেখ্য, আসেমান এয়ারলাইন্স একটি অর্ধ-বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা। বিধ্বস্ত হওয়া এটিআর-৭২ প্লেনটি ফ্রান্সের নির্মিত দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট প্লেন, যেগুলো সাধারণত ইরানের ভেতরে স্বল্প দূরত্ব যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক অবরোধের অধীনে থাকায় ইরানের বাণিজ্যিক বিমানগুলোর অনেকগুলোরই যথাযথ নবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানগুলো মাঝেমাঝেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।

ফিচার ইমেজ- AFP

Related Articles

Exit mobile version