- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খুলতে ইসরায়েল সফর করতে পারেন।
- সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে হোয়াইট হাউজে ইরানের বিরুদ্ধে একত্রে মোকাবেলার বিষয়টি উপস্থাপনের সময় এ কথা জানান তিনি।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি জানাতে এবং তেল আবিব থেকে দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি পাল্টে দিয়েছে। এর ফলে আরব জোটগুলো অসন্তুষ্ট হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার উদ্যোগে জটিলতার সৃষ্টি করছে।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প জানান, তিনি এ ব্যাপারে ভেবে দেখছেন। জেরুজালেমে এটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দ্বিতীয় যাত্রা হবে। ট্রাম্প বলেছেন,”আমি যদি পারি তাহলে যাব।”
শুক্রবার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পরে ৫ দিনের যুক্তরাষ্ট্রীয় সফরে থাকাকালীন নতুন করে আলোচনায় আসেন। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পরিবর্তনে ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগ ও সিরিয়াতে তেহরানের অবস্থান নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল বলে জানান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
রাজধানী স্থানান্তরের এমন সিদ্ধান্তে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মাঝে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় জটিলতার সৃষ্টি হয়। কেননা এর ফলে ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় মধ্যস্থতা করার ব্যাপারটি নাকচ করে দেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, তারা মে মাসে দূতাবাস স্থানান্তরের সময় আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া বিতর্কমূলক, কেননা এর পূর্বাংশ ফিলিস্তিনিরা নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। ইসরায়েলে ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। সমালোচকদের মতে, ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন।
১৯৯৫ সালে কংগ্রেস জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করে, যাতে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী নেতারা সেই প্রক্রিয়া এড়িয়ে যান।
ফিচার ইমেজ: Bloomberg