![](https://assets.roar.media/Bangla-News/2018/03/us_bangla-2.jpg?w=1200)
- ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস বাংলার একটি বিমান নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।
- সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২.২০টায় বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
- পুলিশের জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা ৪৯ জন।
- বিমানটি ৪ জন ক্রুসহ মোট ৭১ জন নিয়ে যাত্রা করেছিল।
বাংলাদেশি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস বাংলার উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পোড়া ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। পুলিশের মুখপাত্র জানান মনোজ নিউপেন জানান ২২ জন ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নিখোঁজ ৮ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পি কে শর্মা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ বলে বলেছেন তারা অতি শীঘ্রই এর কারণ অনুসন্ধান করবেন। দুর্ঘটনায় জানালা ভেঙে বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রী জানান বিমানটি বিস্ফোরণের পরে খুব জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। উল্লেখ্য যে, বিধ্বস্ত হওয়া এ বিমানটি ১৭ বছরের পুরনো।
![](https://assets.roar.media/Bangla-News/2018/03/kathmandu-plane-crash-680x383.jpg)
Source: IBTimes India
দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় নেপালের পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নিউপেন জানিয়েছেন বিমানের ধ্বংসস্তুপ থেকে ৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ৯ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিমানটিতে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ২টি শিশু ছিল বলে জানিয়েছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আহত ২২ জনের মধ্যে ১২ জন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৪ জন নরভিক হাসপাতাল, ৩ জন গ্রান্ডে হাসপাতাল এবং মেডিসিটি ও ওম হাসপাতালে একজন একজন করে চিকিৎসারত রয়েছেন।
‘সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি অব নেপাল’ এর ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব গৌতম জানান, অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তিনি বলেন, “বিমানটি কোতেশ্বরের উপর দিয়ে রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণ করার কথা থাকলেও তা উত্তর দিক থেকে অবতরণ করে।” বিমানটির কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিমানটির অস্বাভাবিক অবতরণের কারণ নিশ্চিত করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছি।”
![](https://assets.roar.media/Bangla-News/2018/03/1-14-680x449.jpg)
এই বিমানটিই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে; Source: jetphotos.com/kathmandupost
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুরের মতে, বিমানটি অবতরণের সময় একপাশে কাত হয়ে গেলে এতে আগুন ধরে যায় এবং বিমানবন্দরের নিকটে একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর ও নেপালের সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় ত্রিভুবন বিমানবন্দরের সকল বিমান বিমান যাতায়াত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
ফিচার ইমেজ: The Daily Star