প্রাচীন গ্রিসে সেই সক্রেটিসের সময় থেকে আজ এই ২০২০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে অসংখ্য পেশার উত্থান ঘটেছে, আবার বহু পেশা কালের গর্ভে হারিয়েও গেছে। কিন্তু একটি পেশা এখনো তার সম্মানের জায়গাটি মোটামুটি ধরে রেখেছে। সেটি হলো শিক্ষকতা পেশা।
অবশ্য এই সম্মানের বিষয়টিও আপেক্ষিক; বিশ্বের একেক জায়গায় একেক রকম। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে যেমন শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা অনেক ওপরে। ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল রিসার্চের এক গবেষণা অনুযায়ী, চীনে ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থীই মনে করে, শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে। এবং শিক্ষার্থীদের এমন মানসিকতার ফলে, সে দেশের শিক্ষকরা অন্য যেকোনো পেশাজীবীর চেয়ে বেশি সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিতও হন। তবে বিশ্বের এমন অনেক দেশও আছে, যেখানে শিক্ষকদেরকে ন্যূনতম সম্মানটুকুও করা হয় না। তাই তো সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বজুড়ে শিক্ষকদের সম্মানের মানসিকতা পোষণ করে মাত্র ৩৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশও বিশ্বের সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে শিক্ষকরা তাদের পেশার সমানুপাতে সম্মান লাভ করেন না। তাই তো আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে:
“কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা তার কন্যার জন্য বর খুঁজে না পেলে নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ চেষ্টা করেন বর হিসাবে একজন মাস্টার (শিক্ষক) খুঁজে পেতে।”
যে সমাজে শিক্ষকদের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, সেখানে শিক্ষকতাকে আজ কতটা শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখা হয়, তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শিক্ষকদের সম্মানের পাশাপাশি তাদের গুণগত মানের প্রসঙ্গটিও বোধহয় একই সাথে উচ্চারণ করা উচিত, নইলে বাংলাদেশে পেশা হিসেবে শিক্ষকতার পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি প্রকাশ পায় না।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে রয়ে গেছে বিশাল শিক্ষা বৈষম্য। তৃতীয় শ্রেণি-উত্তীর্ণদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই পারে না ঠিকভাবে বাংলা ভাষাটা পড়তে। এর পেছনে প্রধান কারণ কী? বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এর কারণ শিক্ষকতা পেশার নিম্নমান।
তাহলে এবার বরং বাংলাদেশে শিক্ষকতা পেশার নিম্নমানের কারণ অনুসন্ধান করা যাক। প্রধান কারণ হলো এই যে, এদেশে সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীরা সাধারণত শিক্ষকতায় আসে না। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকতায়।
এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের জীবনের লক্ষ্য থাকে মূলত বিসিএস ক্যাডার হওয়া। সেই বিসিএসে ২৬টি ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে একটি হলো শিক্ষা। কিন্তু এই শিক্ষা কখনোই শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ থাকে না। তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে প্রশাসন, পররাষ্ট্র, ট্যাক্স প্রভৃতি। শিক্ষার অবস্থান একেবারে শেষের সারিতে। উল্লেখ্য, ৪০তম বিসিএসে ১৯০৩টি পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ৪ লাখ ১২ হাজার। কিন্তু তাদের ১ শতাংশেরও কম প্রথম পছন্দের পদ হিসেবে সাধারণ শিক্ষায় আবেদন করেছিলেন।
অথচ শিক্ষা ক্যাডারে পদ কিন্তু অনেক বেশি। তারপরও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এটিকে শেষে রাখেন। একেবারেই যদি অন্য কোনো চাকরি না পাওয়া যায়, তখন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতাকে বেছে নেন তারা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, শিক্ষকতা তাদের ‘ব্যাক আপ’ পেশা, প্রধান পেশা নয়। তারা মনে করেন, এই পেশায় তাদের মেধার যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করা হয় না।
সে কারণেই, শিক্ষকতা পেশাটি তাদের অনেকের কাছে নিতান্তই সাময়িক একটি পেশাও বটে। নন ক্যাডারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কমপক্ষে ষাট শতাংশই পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে দেন। কেনই বা দেবেন না? এটি যে দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার পদ, আবার অনেক ক্ষেত্রে বেতনও এক গ্রেড নিচের! মূলত যথাযোগ্য সামাজিক মর্যাদার অভাব এবং অন্যসব সুযোগ-সুবিধার অনুপস্থিতির ফলে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তারা। বেছে নেন তুলনামূলক অধিক সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সুবিধাসম্পন্ন কোনো পেশাকে।
এ তো গেল শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কথা। এ পর্যায়ের সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা মোটেই সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কেননা তাদের বেতনও যে খুব আহামরি কিছু নয়! পুরুষ প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি, এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণি হলেই চলে। অপরদিকে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক (বা সমমানের ডিগ্রি) পাস হতে হয়, যদিও শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ (শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ/জিপিএ) গ্রহণযোগ্য হয় না।
যেহেতু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরা আসেন না, বরং এসব পর্যায়ের শিক্ষক হতে অন্য অনেক পেশার চেয়েও কম শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, তার প্রভাব পড়ে তাদের শিক্ষকতার মানেও।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন বলছে, ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, সৃজনশীল প্রশ্ন ঠিকঠাক বোঝার জন্য তাদের ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষকের কাছে পড়া দরকার। অর্থাৎ শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যে পাঠদান করেন, সেটিকে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী যথেষ্ট নয় বলে মনে করে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের আরেকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্চাশ শতাংশ শিক্ষক সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয় তুলনামূলকভাবে ভালো। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়, স্বজনপ্রীতি এবং আর্থিক লেনদেন বিবেচিত হয় প্রধান যোগ্যতা হিসেবে, তারপরও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু তাদের সকলের দেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মেয়াদও যে দীর্ঘস্থায়ী, তা জোর গলায় বলা যাবে না।
অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন বটে, কিন্তু পরে পিএইচডি বা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে আর না ফেরার প্রবণতা তাদের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক হওয়ার আগেই, সদ্য স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত অনেক সেরা শিক্ষার্থীও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বিদেশে চলে গিয়ে আর ফেরেন না। ফলে ওইসব সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকেও আর শিক্ষক হিসেবে পাওয়া হয় না দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।
কিন্তু কেন তারা বিদেশে চলে গিয়ে আর ফেরেন না? কেন দেশি মেধা পাচার হয়ে যায় বিদেশে? এই দুই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেও চলে আসে শিক্ষকদের সম্মান ও সম্মানীর বিষয়টি। দেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে তারা যে সামাজিক মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তারচেয়ে ঢের বেশি তো তারা পাবেন বিদেশে বসে একই পেশায় নিয়োজিত থাকলে। আজকের দিনে স্রেফ ‘মহান পেশা’ বলে অন্য সব কিছুকে তুচ্ছজ্ঞান করে দেশে ফিরে শিক্ষকতা শুরু করবেন তারা, এমন প্রত্যাশা একটু বাড়াবাড়ি নয় কি?
সুতরাং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষকতার সাধারণ চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদেশে সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষকরা কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, এরপর ক্রমান্বয়ে কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ স্তরের সাথে একই সমান্তরালে শিক্ষকদের মেধারও ক্রমাবনতি ঘটছে। সেই সাথে শিক্ষকদের প্রাপ্ত সামাজিক মর্যাদা, বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নিম্নগামী হচ্ছে।
অথচ আদর্শ চিত্র কি তেমনটি হওয়ার কথা? উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি ফিনল্যান্ডের কথা। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে সে দেশে। সেখানে শিক্ষকতা পেশায় আসেন উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই। এবং শিক্ষক হওয়ার আগে তাদেরকে একটি কোর্সও করতে হয়। সেই কোর্সে সবচেয়ে ভালো যারা করেন, তারা সুযোগ পান প্রাথমিকে, এরপর মাধ্যমিকে, সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবং বলাই বাহুল্য, সেখানে শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতনও একইভাবে নিরূপিত হচ্ছে।
তার মানে হলো, আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকরা থাকবেন প্রাথমিক পর্যায়ে। একই সাথে তারা হবেন শ্রেষ্ঠতম মানবিক গুণ ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি। কেননা শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড, তাহলে সেই মেরুদণ্ডের কারিগর হলেন শিক্ষকেরা, এবং তাদেরকে সেই মেরুদণ্ড গড়ে তোলা ও ঋজু রাখার কাজ শুরু করতে হবে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই। বাবা-মায়ের পর শিক্ষকরাই হয়ে থাকেন কোমলমতি শিশুদের রোল মডেল বা স্বপ্নের নায়ক; তাদের মাধ্যমেই শিশুদের বাইরের দুনিয়ার সাথে পরিচয় ঘটে, এবং তাদের মেধার ক্রমবিকাশ ঘটতে থাকে। একটি শিশুর মেধা ও মননের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়ে যায়ও ওই বয়সেই। তাই সেই ভিতটা যেন সবচেয়ে মজবুত ও শক্তিশালী হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়েই তো সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষকদের থাকা বাঞ্ছনীয়।
এরপর ধীরে ধীরে পরের ধাপের শিক্ষকদের অবস্থান হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে। এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন শিক্ষক হবেন নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ জ্ঞানী। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের মতো তার সব বিষয়ে দখল থাকাটা তেমন গুরুত্ব না পেলেও সমস্যা নেই।
কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র যেহেতু একেবারে ভিন্ন, তাই এটিও বলাই যায় যে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা হাঁটছে উল্টো পথে!
এই উল্টো পথে হাঁটার ফলেই, উন্নত বিশ্বে যেখানে পেশা হিসেবে শিক্ষকতার মান, সম্মান ও সম্মানী আকাশচুম্বী, সেখানে আমাদের দেশে তার সবই নিম্নমুখী। পাশাপাশি অভাবের তাড়না, সামাজিক মর্যাদাহীনতা ও পেশাগত হীনম্মন্যতার ফলে অনেক শিক্ষক হারাচ্ছেন তাদের মানবিক গুণ ও নৈতিক মূল্যবোধও। শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের বদলে তারা ঝুঁকছেন প্রাইভেট কিংবা কোচিং বাণিজ্যের দিকে।
বর্তমানে শিক্ষকদের পেশাগত মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়াসে তাদেরকে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বটে, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার গোড়াতেই যে গলদ থেকে যাচ্ছে, সেদিকে কারো খুব একটা ভ্রূক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে শিক্ষকতা পেশার অবহেলিত দশার আশু পরিবর্তনের বিন্দুমাত্র আভাসও পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু এই দিকটিতে আমাদের সকলেরই নজর ফেরানো এখন সময়ের দাবি। জাতিসংঘের বৈশ্বিক উন্নয়ন রূপরেখা-২০৩০ বা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) চার নম্বরেই রয়েছে মানসম্মত শিক্ষার বিষয়টি, এবং সেখানে স্পষ্টভাবেই বলে দেয়া হয়েছে যে মানসম্মত শিক্ষার পূর্বশর্ত হলো শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধি। নিঃসন্দেহে শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে চাইলে তাদের সামাজিক সম্মান ও অর্থনৈতিক সম্মানীর বিষয়টিকেও সমান গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে, নতুবা অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ কখনোই সম্ভব হবে না।