যেকোনো প্রজাতির জীবের ক্ষেত্রে ঐ প্রজাতির জনসংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে সবচেয়ে সহজতম অনুধাবন হতে পারে ‘এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ’ বা সূচকীয় বৃদ্ধি। কোনো একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এর মোট জনসংখ্যার সমানুপাতিক। এই সহজ সূত্র ব্যবহার করে আপনি যেকোনো প্রাণীর একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা লাভ করতে পারবেন। মানবজাতির ক্ষেত্রে এরূপ সূচকীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে আসছে গত প্রায় ৪০০ বছর থেকে। ১৬৫০ সাল থেকে হিসাব করা হলে, এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধি সূচকীয় হারেই ঘটছে।
১৬৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ কোটি। ২০০ বছর পর, ১৮৫০ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে ১০০ কোটিতে দাঁড়ায়। মাত্র ৮০ বছর পর, ১৯৩০ সালে জনসংখ্যা আবার দ্বিগুণ হয়ে ২০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করে। পরবর্তী ধাপে ২০০ থেকে ৪০০ কোটিতে পৌঁছুতে সময় লেগেছিল মাত্র ৪৫ বছর! গত বছরই জনসংখ্যা সাড়ে সাতশো কোটি ছাড়িয়েছে এবং ১৯৭৫ সালের পর মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যা আরো একবার দ্বিগুণ (৮০০ কোটি) হতে আর বেশিদিন নেই। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পৃথিবী যে অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে বৃদ্ধি কি এই হারেই চলবে? নাকি আরো বাড়বে? কিংবা কমার সম্ভাবনা কি নেই? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে জানতে হবে ‘পপুলেশন ইকোলজি’ বা জন-বাস্তুবিদ্যা।
পপুলেশন ইকোলজির একটি সহজ বাংলা হতে পারে জন-বাস্তুবিদ্যা, যা বাস্তুবিদ্যার একটি উপশাখা। জন-বাস্তুবিদ্যা আলোচনা করে বিভিন্ন প্রাণীর জনসংখ্যা নিয়ে, তাদের বৃদ্ধি এবং বিস্তার নিয়ে, পরিবেশের উপর তাদের বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে। জন-বাস্তুবিদ্যার আরো গভীরে প্রবেশের পূর্বে আরেকটি বিষয় জানা প্রয়োজন, তা হলো ‘আর/কে সিলেকশন থিওরি’। আর/কে সিলেকশন থিওরি কোনো প্রাণীর বংশধর উৎপাদনের ধারা ব্যাখ্যা করে। যেসকল প্রাণী অধিক পরিমাণ বংশধর উৎপাদন করে, তাদেরকে ‘আর-সিলেক্টেড’ প্রাণী বলা হয়। আবার যেসব প্রাণী বংশধর উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং সংখ্যার চেয়ে মানের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়, অর্থাৎ কমসংখ্যক বংশধরকে অধিক পরিমাণ যত্ন সহকারে বড় করে তোলে, তাদেরকে বলা হয় ‘কে-সিলেক্টেড’ প্রাণী।
ধরুন, আপনার কাছে ১০০ টাকা আছে। এই টাকায় আপনি একটি ভালো মানের বার্গার কিনতে পারবেন। মাঝারী মানের কিনলে দুটি আর মানের কথা না ভেবে সবচেয়ে সস্তায় ৫টি বার্গার কিনতে পারবেন। এখানে কয়টি বার্গার কিনবেন, তা প্রধান বিবেচ্য নয়। বরং বিবেচ্য হলো মান বনাম সংখ্যা। এ ব্যাপারটিই হয় আর/কে সিলেকশনের ক্ষেত্রে। ‘আর’ (R) হচ্ছে গণিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার বা সূচকীয় বৃদ্ধি। এজন্য, যেসকল প্রাণী অধিক পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করায় মনোযোগ দেয়, তাদেরকে আর-সিলেক্টেড বলা হয়। অন্যদিকে ‘কে’ (K) দ্বারা গণিতে ‘ক্যারিং ক্যাপাসিটি’ বা সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতাকে বোঝানো হয়।
যেমন- উপরের বার্গার দৃশ্যকল্পের কথাই ভাবুন। আপনি চাইছেন মানের কথা খুব একটা ভাববেন না, কিন্তু আপনার টিফিন ক্যারিয়ারে দুটির বেশি বার্গার নেয়া যাবে না। এই ‘২’ সংখ্যাটি হলো আপনার ক্যারিং ক্যাপাসিটি এবং আপনি এ কারণে দুটি বার্গারই ক্রয় করবেন। কে-সিলেক্টেড প্রাণীগুলোও এভাবে প্রকৃতি এবং নিজেদের সম্প্রদায়ের ক্যারিং ক্যাপাসিটি বিবেচনা করে বংশধর উৎপাদন করে। তবে প্রকৃতি কিন্তু এই আর/কে সিলেকশন তত্ত্বটি কঠোরভাবে মেনে চলে না। প্রকৃতপক্ষে, অধিকাংশ প্রজাতির প্রাণীই আর এবং কে’র মাঝামাঝি অবস্থান করে। ছোট ছোট প্রাণীগুলো সাধারণত আর-সিলেক্টেড হয়, যেমন- মশা। আবার বড় প্রাণীগুলোর সিংহভাগই হয় কে-সিলেক্টেড, যেমন- হাতি।
তবে, গত ৩৫০-৪০০ বছরে মানবজাতির বংশবৃদ্ধির হার আর/কে সিলেকশন তত্ত্বের একেবারে বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। কেননা, মানুষের বংধর উৎপাদনের প্রক্রিয়া পুরোপুরি কে-সিলেক্টেড প্রাণীদের সাথে মিলে যায়। মানুষ তার সমাজের অবস্থা বুঝে বংশধর উৎপাদন করে, গড়ে প্রতিটি মানুষ ১/২ জনের বেশি বংশধর উৎপাদন করে না, এই কমসংখ্যক বংশধরকেই তারা দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করে বড় করে তোলে, অর্থাৎ বংশধরের গুণগত মানের দিকে অধিক নজর দেয়। এভাবে সবদিক থেকেই কে-সিলেক্টেড প্রাণীর মতো হয়েও গত ৪০০ বছরে মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আর-সিলেক্টেড প্রাণীর মতোই সূচকীয় হারে হচ্ছে। আরো বেশি ভাবনার বিষয় হলো, আর-সিলেক্টেড প্রাণীর সূচকীয় বৃদ্ধিও মানুষের মতো এত দীর্ঘকাল চলতে থাকা অসম্ভব। ৫০/১০০ বছরই অসম্ভবের পর্যায়ে, ৪০০ বছর ধরে সূচকীয় বৃদ্ধি তো কোনো বিশেষণ দ্বারাই প্রকাশ করা যাচ্ছে না!
মানবজাতির এমন দীর্ঘস্থায়ী সূচকীয় বৃদ্ধির সহজতম উত্তর হতে পারে আমাদের ক্যারিং ক্যাপাসিটির বৃদ্ধি। আমরা সময়ের সাথে আমাদের ক্যারিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির উপায় বের করে ফেলেছি, তাই বংশবৃদ্ধির হার কমছে না। অন্য ভাষায় বললে, আমরা আমাদের ‘লিমিটিং ফ্যাক্টর’গুলোকে জয় করতে সক্ষম হয়েছি। লিমিটিং ফ্যাক্টর বলতে বোঝায় এমন কিছু বিষয়, যা কোনো জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি, বিবর্তন, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে। মানুষ সেই বাধাগুলোকে জয় করতে পেরেছে বলেই মানুষের বৃদ্ধির হার কমছে না। কিন্তু সেই বাধাগুলো কেমন বাধা?
১. খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা ভালো কাকতাল পাওয়া যায় ১৭ শতকে। তবে গবেষকগণ একে কাকতালীয় ব্যাপার অভিহিত করতে নারাজ। ১৭ শতকের মাঝামাঝি থেকে যখন কৃষিব্যবস্থার যান্ত্রিকায়ন শুরু হলো এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো, তখন থেকেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সূচকীয় হতে শুরু করলো। স্বাভাবিকভাবেই অধিক খাদ্য, অধিক খাদকের জন্ম দিয়েছে। ঠিক যেমন একটি জঙ্গলের বাস্তুসংস্থানে হরিণের সংখ্যা বেড়ে গেলে কিছুকাল পর বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কেননা হরিণ বাঘের খাদ্য।
২. খাদ্য উৎপাদনের পরই যে ব্যাপারটি আসে, সেটি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নয়ন। একবার ভেবে দেখুন, লিউয়েনহুকের জীবাণু আবিষ্কারের পূর্বেও চিকিৎসাবিজ্ঞান কতটা নাজুক ছিল, যখন ছোটখাট রোগে হাজারো মানুষ মৃত্যুবরণ করতো। ১৪ শতকে মহামারী প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১০ কোটি মানুষ, পুরো ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৫০-৬০ ভাগই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, যা ইতিহাসে ব্ল্যাক ডেথ হিসেবে কুখ্যাত। এছাড়া, যক্ষ্মা, কলেরা, নিউমোনিয়া, ফ্লু সহ আরো অসংখ্য রোগ রয়েছে, যেগুলোতে আক্রান্ত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করতো। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নয়নে সেসব রোগ এখন পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পথে। মানুষের স্বাভাবিক আয়ু এখন ৭০ ছাড়িয়ে ৮০’র দিকে পা বাড়াচ্ছে। ফলে একটি লম্বা সময়ের আবর্তে মৃত্যুর চেয়ে জন্ম হচ্ছে অনেক বেশি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও উর্ধ্বমুখীই থেকে গেছে।
৩. প্রাযুক্তিক উন্নয়ন চিকিৎসাবিজ্ঞানকেও উন্নত করেছে। তথাপি, চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আলাদা করে আলোচনা করলে, প্রাযুক্তিক উন্নয়ন মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পেছনে তৃতীয় বৃহৎ কারণ। প্রাযুক্তিক উন্নয়নের কারণে মানুষ দিনকে দিন প্রকৃতিকে বশে আনতে শিখে যাচ্ছে। মানুষ এখন স্বাচ্ছন্দ্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসবাস করতে পারছে। মরুভূমিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে, শীতপ্রধান অঞ্চলে রুম হিটার লাগিয়ে মানুষ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে সুখেই জীবন যাপন করছে। আর স্বাভাবিকভাবে, সুখ বাড়িয়েছে মানুষের জীবন আয়ু, বাড়িয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার।
এছাড়া, এই প্রধান তিন কারণের বাইরেও মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণ সহজেই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। ১৬৫০ সাল থেকে মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সূচকীয় হার পরিমাপ করা হচ্ছে। ধরুন, ঠিক একই সময়ে বাঘেরও সূচকীয় বৃদ্ধি শুরু হলো। কিন্তু, একটি জঙ্গলে বাঘ যখন অনেক বেড়ে যায়, তখন হরিণের পরিমাণ কমে যায়, অর্থাৎ কমে যায় বাঘের খাদ্যের যোগান। ফলে বাঘের সূচকীয় বৃদ্ধি ক্যারিং ক্যাপাসিটিতে গিয়ে আটকে যায়। এই ক্যারিং ক্যাপাসিটি আর বৃদ্ধি পায় না, কারণ বাঘ নিজের খাদ্য নিজে শিকার করে খায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে ভাবে না। এবার মানুষের দিকটা ভাবুন। মানুষ যখন নিজের বংশধর উৎপাদন করে, তখন সে নিজের জন্য খাদ্যের যোগানের পাশাপাশি বংশধরের জন্য খাদ্য যোগায়। এমনকি, মানুষ খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, সেগুলো প্রজন্মান্তরে হস্তান্তরযোগ্য। যেমন, ‘ক’ তার নিজের জীবিকা নির্বাহের নিমিত্তে তৈরি করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা তার সন্তানকে হস্তান্তর করে দিয়ে যায়, যা থেকে তার সন্তান ‘খ’ নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। অর্থাৎ, খাদ্যের যোগান কখনোই ফুরিয়ে যাচ্ছে না। ফলে, বৃদ্ধি পায় ক্যারিং ক্যাপাসিটি।
এ পর্যন্ত পড়ে ভাববেন না যেন পৃথিবীতে মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটি অসীমভাবে বৃদ্ধি পাবে। মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটিরও সীমা রয়েছে, যা আপাতত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। লিউয়েনহুক তার যুগান্তকারী আবিষ্কারের সময় মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটির একটা ধারণা দিয়েছিলেন। তার মতে, পৃথিবীর জনসংখ্যা ১৩.৬ বিলিয়ন হলে পৃথিবী মানুষের জন্য তার সর্বোচ্চ ক্যারিং ক্যাপাসিটিতে পৌঁছুবে। তখন এর বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মানুষ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে শুরু করবে, যেমন প্রাকৃতিক সম্পদের সংকট, পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য দ্রব্যাদির সংকট, সুপেয় পানির সংকট এবং খাদ্যের সংকট। পরবর্তীতে অবশ্য আরো অসংখ্য ক্যারিং ক্যাপাসিটির হিসাব হয়েছে যেগুলো সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়নেও পৌঁছেছে! ১ ট্রিলিয়ন মানে ১০০০ বিলিয়ন, অর্থাৎ, ১ এর পর ১২টি শূন্য বসাতে হবে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা প্রকাশের জন্য!
ভয় পাবার কিছু নেই, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ ১ ট্রিলিয়ন তত্ত্বকে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটি অনুমান করা হচ্ছে ১০-১৫ বিলিয়ন এবং ধারণা করা হয়, সেখানে পৌঁছুনোর আগেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল বলে শেষ করা যাবে না এবং মানবজাতির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার বড় কারণ হলো জনসংখ্যা এখনও বাড়ছেই। কিন্তু এখানে আশার আলোও খুঁজে পাওয়া যায়। কেননা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল মানুষ অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বশেষ উর্ধ্বমুখী ছিল ১৯৬২ সালে। এরপর থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি বছরই একটু একটু করে কমে আসছে। ৫০ বছর আগেও পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২.২%, যা বর্তমানে ১.১% এ নেমে এসেছে। এবং যেহেতু পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আধুনিকায়ন ঘটছে, মানুষ বিজ্ঞানের কল্যাণে সবকিছুর সুফল/কুফল আর দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল সম্পর্কে জানতে পারছে, তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনাগত দিনে আরো কমে আসবে এবং তা মানুষের ক্যারিং ক্যাপাসিটিতে পৌঁছুনোর পূর্বেই স্থিতাবস্থায় আসবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।