Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা: প্রাণিবৈচিত্রের অভয়ারণ্য, দুষ্প্রাপ্য ও বিলুপ্ত বন্যপ্রাণীর সংগ্রহশালা

পাখির কলতান, অবরুদ্ধ এলাকা জুড়ে চলছে খুনসুটি। ভেদ করেই দেখা মিলবে চিত্রা হরিণের লীলাখেলা। কেউ ব্যস্ত ছবি তোলায়, কেউ বা এদের চোখে চোখ রেখে খুঁজছে মায়া। একটু এগোলেই খাঁচায় বন্দী বানরের দৌরাত্ম। তাদের বাঁদরামি দেখতে ব্যস্ত শিশু-কিশোররা। ওদিকে বাঘ-সিংহের গর্জনে কাঁপছে রাজ্যের একাংশ। এ যেন সবুজে ঘেরা গভীর এক অরণ্য। বলছি বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান, প্রাচীন ও সবচেয়ে বড় প্রাণিবৈচিত্র্য প্রদর্শন কেন্দ্র, দুষ্প্রাপ্য ও বিলুপ্ত বন্যপ্রাণীর সংগ্রহশালা, প্রাণিবৈচিত্রের অভয়ারণ্য-সংরক্ষণ-প্রজননকেন্দ্র ও গবেষণাগার এবং বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানার কথা। রাজধানী ঢাকার মিরপুরে এর অবস্থান।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রবেশপথ; ছবি: লেখক

আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর পূর্বে সরকারিভাবে প্রাণীজগৎ প্রদর্শনের কোনো উৎস না থাকায় এবং সাধারণ মানুষের জীবজন্তু সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও আনন্দ উপভোগের জন্য ঢাকার নওয়াবদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৮৭৩ সালে রাজধানীর প্রথম চিড়িয়াখানা তৈরি করেন তৎকালীন নওয়াব খাজা আব্দুল গনি। চিড়িয়াখানার উন্নতির লক্ষ্যে তিনি দেশ এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্থের বিনিময়ে হরেক রকমের প্রাণী সংগ্রহ করেন। সেসময় সর্বসাধারণের জন্য চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ ছিল।

তারপর ১৯৫০ সালে ঢাকায় বর্তমান হাইকোর্ট চত্বরে চার-পাঁচ একর জায়গা জুড়ে কিছু সংখ্যক প্রাণী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় প্রাণীজগৎ প্রদর্শনশালা বা ঢাকা চিড়িয়াখানার। কেটে যায় তেইশটি বছর। দুর্লভ, প্রাণিবৈচিত্র, বিলুপ্তপ্রাণী সংরক্ষণ, শিক্ষা গবেষণা এবং গণসচেতনতার উদ্দেশ্যে ১৯৬০ সালে জায়গা বদল করে চিড়িয়াখানাটি মিরপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর কার্যকর হয় ১৯৭৪ সালে। সেই বছরের ২৩শে জুন শেখ মুজিবুর রহমান চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সর্বসাধারণের  জন্য উন্মুক্ত করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণের মাধ্যমে ঢাকা চিড়িয়াখানা নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা।

দর্শনার্থী বিশ্রামাগার বা ছাউনি; ছবি: লেখক

৭৫ হেক্টর বা ১৮৬ একরের এই চিড়িয়াখানায় দেশি-বিদেশী ১৯১ প্রজাতির ২,১৫০টি মেরুদন্ডী প্রাণী রয়েছে। এই শ্রেণীতে ৯১ প্রজাতির প্রায় ১,৫০০টি পাখি, ৬৪ প্রজাতির ৫৫১টি স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী, এবং ১৫ প্রজাতির ৭৩টি সরীসৃপ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৩২ প্রজাতির ১০৪টি মাছের চৌবাচ্চা (অ্যাকুরিয়াম)।

জিরাফের নিবাস; ছবি: লেখক

বিশ্বের ছোট-বড় বিভিন্ন চিড়িয়াখানার সাথে এই চিড়িয়াখানার প্রাণী বিনিময়ের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এরপরই আছে বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, বানর, হনুমান আর সাপ। এখানে দেশীয় প্রাণী ছাড়াও রয়েছে ভিনদেশী নানা প্রাণী। ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, ভুটান, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া, আফগানিস্তান, লাওস এবং পূর্ব এশিয়া থেকে আনা হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, হাতি, গন্ডার, ঘোড়া, গাধা, গরু, কালো ভাল্লুক, এবং মায়া হরিণ ও চিত্রা হরিণ। আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে জলহস্তী, জেব্রা, জিরাফ, ঘোড়া, গাধা, ওয়াইল্ড বিস্ট, গ্রেটার কুডু এবং সাম্বার হরিণ।

হাতির প্রমোদ আরোহণ; ছবি: লেখক

এছাড়াও চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে লামা, ক্যাঙ্গারু, ইম্পালা, টাপির, এমু, গয়াল, বনরুই, শিম্পাঞ্জী, নীলগাই, উল্লুক, সজারু, মিঠা ও লোনা পানির কুমির, শঙ্খিনী সাপ, গোখরা সাপ, সবুজ কেড়া সাপ, সবুজ কচ্ছপ, বক, ময়না, টিয়া, মদন টাক, ময়ূর, সাদা ময়ূর, শালিক, কাও ধনেশ, চিতল ফিস, গোল্ড ফিস, সৌল ফিস, ও ফালি ফিস। আরও আছে ফ্লেমিংগো,  রঙিন ফিজেন্ট, কানি বক, গো বক, শঙ্খ সিল, উট পাখি, কালো শকুন, দুষ্প্রাপ্য কুড়া, পানকৌড়ি, মাছরাঙা ইত্যাদি।

জলহস্তীর আবাস; ছবি: লেখক

সবুজের সমারোহ প্রাণিবৈচিত্রের এই সংগ্রহশালার উত্তর ও দক্ষিণে ১৩ হেক্টর আয়তনের অপরূপ সৌন্দর্য্যের দুটি সরোবর রয়েছে। এই সরোবরের মাঝে রয়েছে দুটি দ্বীপ। উত্তরের লেকে আছে জলে বিচরণ করা সাদা এবং সাদা-কালো পেলিক্যান পাখি। দখিনা হাওয়ায় ক্লান্তি ভুলে যেতে রয়েছে দক্ষিণ লেক। মৌসুমভেদে এই দুটি লেকে দেখা মিলবে অতিথি পাখিদের খুনসুটি। প্রাণীজগৎ সম্পর্কে জানার জন্য রয়েছে প্রাণী জাদুঘর। এই জাদুঘরে আছে চৌবাচ্চাবিশিষ্ট মিঠা ও লোনা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, এবং তিমির কঙ্কাল, চিতাবাঘ, ময়ূর, কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণীর মমি।

সরোবরের সম্মুখে লেখক; ছবি: মো. আতিক হাসান শুভ

চিড়িয়াখানা সম্পর্কে দর্শনার্থীদের অভিযোগ, পরামর্শ কিংবা মন্তব্য অথবা হারিয়ে যাওয়া বা খুঁজে পাওয়া জিনিস সবকিছুই জানাতে পারবেন চিড়িয়াখানার তথ্য কেন্দ্রে। প্রাপ্তবয়স্ক বা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। আঘাত পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা, এবং সম্পূর্ণ প্রদর্শনশালা সঠিকভাবে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে মানচিত্র। এগুলো সবই পাওয়া যাবে তথ্য কেন্দ্রে।

চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে তথ্য কেন্দ্র; ছবি: লেখক

ছোট বাচ্চা এবং দর্শনার্থীদের বাড়তি বিনোদনের জন্য চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে রয়েছে একটি শিশু পার্ক। কিছু অর্থের বিনিময়ে মেরি গো রাউন্ড ও ট্রেনে চড়ে যোগ করতে পারেন বাড়তি আনন্দ।

চিড়িয়াখানার শিশুপার্কে ট্রেন; ছবি: লেখক

জীবজন্তুর এই প্রদর্শনশালাতে প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে ব্যবহারিক গবেষণা এবং বিস্তর জ্ঞানার্জন করতে ছুটে আসেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিশাল এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন, মৎস বিভাগ, তথ্য কেন্দ্র, পাখি বিভাগ, ছোট বড় প্রাণী বিভাগ, পুষ্টি বিভাগ, ভেটেরিনারি হাসপাতাল, গবেষণা শাখা, জ্যু শাখা, লাইব্রেরি, কিউরেটর অফিস অন্যতম।

পরিচালকের কার্যালয়; ছবি: লেখক
সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানার মানচিত্র; ছবি: লেখক

এই চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। কেউ আসেন প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে জানার জন্য, কেউ বা আসেন বিনোদনের জন্য। দিনশেষে সবাই একগুচ্ছ স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে চলে যান আপন গন্তব্যে। বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে, বার্ষিক ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানাটি দর্শন করেন। আনন্দ উপভোগ এবং হাঁপিয়ে ওঠা দর্শনার্থীদের জন্য কিছুটা দূরে দূরে রয়েছে দর্শনার্থী ছাউনি বা বিশ্রামাগার। রয়েছে কংক্রিটের তৈরি আসন। এছাড়াও নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা মসজিদ ও গণশৌচাগার। 

পরিদর্শন সময়সূচি

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনের জন্য মৌসুমভেদে রয়েছে সময়সূচি।

গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং শীতকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সরকারি যেকোনো ছুটির দিন ব্যতীত প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে চিড়িয়াখানাটি।

প্রবেশ মূল্য

চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীকে কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। দুই বছর বয়সের ঊর্ধ্বে জনপ্রতি টিকেট মূল্য ৫০ টাকা, এবং অভ্যন্তরে প্রাণী জাদুঘরে প্রবেশের টিকেটমূল্য ১০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের টিকেট মূল্যের সাথে আছে বিশেষ ছাড়। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে (শর্ত প্রযোজ্য)। এছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম মানুষেরা প্রবেশ করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

কীভাবে যাবেন

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় খুব সহজেই যাওয়া যায়। এর মধ্যে দুটি পদ্ধতি বলছি।

প্রথমত, ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে আসার জন্য নিকটস্থ যে পরিবহনগুলো মিরপুর ২ হয়ে চলাচল করে সেগুলোতে চড়ে আসতে হবে মিরপুর ২ সনি সিনেমা হলের সামনে। সেখান থেকে সনি সিনেমা হল ভবন ঘেঁষে যাওয়া সড়ক থেকে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বাস বা রিক্সায় চড়ে যেতে পারেন চিড়িয়াখানায়। অথবা চাইলে প্রিয়জনদের সাথে গল্প করতে করতে হেঁটেও চলে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেই সড়ক ধরে একদম সোজা যেতে হবে। সড়কের শেষ প্রান্তে চিড়িয়াখানাটি অবস্থিত।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে সর্বপ্রথম ঢাকার মিরপুর ১০ বা মিরপুর ০১ এলাকায় আসতে হবে। সেখান থেকে বাস বা রিকশাযোগে যেতে পারেন জাতীয় চিড়িয়াখানায়।

এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে কিছু পরিবহন রয়েছে যেগুলো গুলিস্তান, কেরানীগঞ্জ, বাবু বাজার ব্রীজ, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাসরি চিড়িয়াখানা রুটে চলাচল করে।

খাবেন কোথায়

খাবারের জন্য চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত ময়ূরী ও ঈগল নামক দুটি রেস্তোরাঁ। বাইরে বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমাণ ও ভারী খাবারের দোকান রয়েছে। তবে বাইরে থেকে ভেতরের খাবারের দাম কিছুটা বেশি। অবশ্য খাবার অর্ডারের পূর্বে মূল্য জেনে নেওয়া উত্তম।

অন্যান্য খরচ

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে চিড়িয়াখানা থেকে প্রাণী সংগ্রহ করা যাবে। এই প্রেক্ষিতে চিত্রা হরিণের প্রতিটির মূল্য রাখা হয়েছে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে শর্ত হচ্ছে- বাংলাদেশ বনবিভাগ কর্তৃক লাইসেন্স থাকা সাপেক্ষে এই প্রাণী সংগ্রহ করা যাবে। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে থাকা মৌসুমী ফলগুলোও নিলামে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চিড়িয়াখানাতে রয়েছে কিছু অর্থের বিনিময়ে ছিপ বা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ।

ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট গাড়ি নিয়েও আসা যাবে এখানে। চিড়িয়াখানার বাইরে রয়েছে কিছু অর্থের বিনিময়ে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। বাস, ট্রাক, লরি, মিনিবাস, কার্গো, ডাবল-ডেকার ইত্যাদি যানবাহনের ক্ষেত্রে গুনতে হবে ৪০ টাকা, ছোট মোটরযান, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জিপ গাড়ি, পিকআপ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ২০ টাকা এবং সিএনজি, স্কুটার, অটো টেম্পু, মোটরসাইকেল, মিশুক ইত্যাদির ক্ষেত্রে ১০ টাকা। এছাড়াও রিকশা, ভ্যান গাড়ি কিংবা সাইকেলের জন্য গুনতে হতে পারে ০২ টাকা।

চিড়িয়াখানার বাইরে গাড়ি পার্কিং বিন্যাস; ছবি: লেখক

চিড়িয়াখানাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করা যায়। এক্ষেত্রে ঘণ্টাপ্রতি গুনতে হবে ২০০ টাকা, এবং এককালীন ১,৫০০ টাকা। বন্যপ্রাণী বা পশুপাখিদের নিয়ে শ্যুটিংয়ের জন্য ঘণ্টাপ্রতি বা প্রত্যেক প্রাণীর জন্য ১০০ টাকা, এবং এককালীন ১০০০ টাকা গুনতে হতে পারে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে রয়েছে বনভোজন বা শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা।

নির্দেশনা, পরামর্শ সতর্কতা

. চিড়িয়াখানায় ক্যামেরা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে পেশাদার আলোকচিত্রী কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্যামেরা বহন করতে পারবেন।

. প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন। খাঁচা কিংবা বন্দী প্রাণীদের কামরায় হাত, খাবার, কাপড় বা কোনো বস্তু প্রবেশ করানো থেকে বিরত থাকুন।

. প্রাণীদের উত্তেজিত করা থেকে বিরত থাকুন।

. ছোট বাচ্চা বা শিশুদের প্রাণীদের কামরার থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।

. প্রাণী দেখার সময় ছোট বাচ্চা বা শিশুদের হাতে খাবার বা কোনো কিছু দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

. সন্ধ্যার আগেই চিড়িয়াখানা ত্যাগ করুন।

. মানচিত্র দেখে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দলবদ্ধ বা একসাথে চলাফেরা করুন।

. চিড়িয়াখানায় নিয়োজিত কর্মচারীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করুন।

. কোনো কিছু হারিয়ে গেলে বা খুঁজে পেলে তাৎক্ষণিক চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বারের সাথে তথ্য কেন্দ্রে অবগত করুন বা জমা দিন।

১০.  যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।

১১. অসহায় প্রাণীদের জ্বালাতন করা থেকে বিরত থাকুন।

১২. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের সময় পোষা প্রাণী, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক এবং অবৈধ কিছু সঙ্গে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

This article is in Bangla language. It's about a travel essay on the history of the National Zoo of Bangladesh. Its location is in Mirpur, the capital of Dhaka.

References
1. Bangladesh National Zoo - bnzoo.org
2. ঢাকা চিড়িয়াখানা - বাংলাপিডিয়া
3. ঢাকার চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস - দৈনিক সংগ্রাম
4. ঢাকা চিড়িয়াখানা - dhaka.gov.bd
5. ঘুরে এসো বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - নয়া দিগন্ত
Featured Image: Author

Related Articles