“If you’re good at something, never do it for free!”
-The Joker
পৃথিবীর বাইরে থেকে এলিয়েনের আগমন, কিংবা পৃথিবীতেই কোনো দুষ্টু বিজ্ঞানীর গবেষণাগারে সৃষ্ট কোনো ভয়ানক দানবের জন্য পৃথিবীতে শুরু হলো দাঙ্গা-হাঙ্গামা। চারদিকে ধ্বংসলীলা, রক্তের ছড়াছড়ি, মনাবতা যখন বিপন্ন, মানবজাতি যখন বিলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে, তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয় কমিক জগতের মহানায়কেরা। আর তারা তাদের অতিমানবীয় শক্তি, দক্ষতা আর বুদ্ধির কল্যাণে পৃথিবীকে রক্ষা করে সকল অশুভ শক্তির হাত থেকে।
মোটামুটি সব সুপারহিরো চলচ্চিত্রের মূল উপকরণ এটিই। এর মধ্যে কেবল ভিন্ন দৃশ্যপট, ভিন্ন ভিলেন আর ভিন্ন হিরো যোগ করেই বছরের পর বছর তৈরি হচ্ছে অসংখ্য সুপারহিরো ছবি। আর সেগুলো মানুষ গোগ্রাসে গিলছেও, একটুও একঘেয়ে লাগছে না। কারণ, একই উপকরণের ছবিতে কখনোবা আবির্ভাব হয় জোকারের মতো অমর চরিত্রের! সুপারহিরো সিনেমার জগতে ডিসি আর মার্ভেল ভক্তদের মধ্যে বিবাদ চিরকালীন, কিন্তু একজন জোকার চরিত্রের প্রতি সকলের মনেই আকুণ্ঠ ভালোবাসা। তেমনি ব্যাটম্যান বিদ্বেষী সিনেপ্রেমিকও খুব কমই আছে। কমিক জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুপারহিরোদের তালিকা করলে একেবারে উপরের দিকেই স্থান হবে এই চরিত্রটির। ব্যাটম্যান চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে তাই সিনেপ্রেমীদের আগ্রহের অন্ত নেই। আগ্রহের একটা অংশ অবধারিতভাবেই বক্স অফিসের দিকেও যায়। আজকের আলোচনাও বক্স অফিস নিয়েই। মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় রেখে সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০টি ব্যাটম্যান মুভি নিয়েই আজকের আলোচনা। কেবল ডোমেস্টিক বক্স অফিসের আয় থেকে এই তালিকাটি করা হবে।
১) ডার্ক নাইট (২০০৮)
“You either die a hero or you live long enough to see yourself become the villain.”
– Harvey Dent, The Dark Knight
চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় চরিত্র জোকার তার রহস্যময় অতীত থেকে হঠাৎ আবির্ভূত হয় গোথাম শহরে। নিজের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিতে পুলিশ-প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই গোথাম শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে সে। এদিকে এই শহরটিকে আবার দীর্ঘদিন যাবৎ অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করে চলেছে ব্যাটম্যান ছদ্মবেশী ব্রুস ওয়েইন (ক্রিশ্চিয়ান বেল)। ফলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়াটা অবধারিত হয়ে পড়ে। এই দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে? ব্যাটম্যান কি পারবে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে? এরকমই টানটান উত্তেজনার কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘ডার্ক নাইট’ ছবিটি অনায়াসে যেকোনো সুপারহিরো মুভির তালিকায় শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করে। অনেকের মতে এটি ক্রিস্টোফার নোলানের ক্যারিয়ারেরও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
সুপারহিরো ঘরানার এই ছবিটি কমিক জগত থেকে বেরিয়ে এসে যেন একরকম নতুন কোনো জনরা তৈরি করেছে, যেখানে অপরাপর সুপারহিরো ছবির মতো কেবল মারদাঙ্গা বিনোদনের বাইরেও দর্শকের জন্য রয়েছে অন্তর্নিহিত বার্তা, ভালোবাসার ছোঁয়া, নীতি নৈতিকতার শিক্ষা। মুক্তির পরই বক্স অফিসে সুনামি সৃষ্টি করে ছবিটি। আমেরিকার বক্স অফিসেই আয় করে নেয় ৫৩৪.৯ মিলিয়ন ডলার। মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় মুভিটির আয় বর্তমানে ৬০৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে! মার্কিন বক্স অফিসে ডার্ক নাইটের অবস্থান সুপারহিরো ছবির তালিকায় এখনো পর্যন্ত ২য়, অ্যাভেঞ্জার্সের পরেই।
২) ব্যাটম্যান (১৯৮৯)
“Do I look like I’m Joking?”
– The Joker
আরো একটি ব্যাটম্যান-জোকার দ্বন্দ্ব। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ডার্ক নাইটের পরই ১৯৮৯ সালের ব্যাটম্যানে চলে যাওয়ায় অবাক হচ্ছেন কি? অবাক হতেই হবে, যখন প্রকৃত সংখ্যাটা মুদ্রাস্ফীতির মধ্য দিয়ে বের করে আনবেন। টিম বার্টনের এই কালজয়ী ব্যাটম্যান ছবিটির জোকার চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন জয় করেছিলেন জ্যাক নিকলসন। আর মাইকেল কীটনও ব্যাটম্যান চরিত্রে কম যাননি। তাই সব মিলিয়ে ছবিটি জমেছিল বেশ। জায়গা করে নিয়েছিল দর্শকদের হৃদয়ে। ছবিটি দেশীয় বক্স অফিসে প্রাথমিকভাবে আয় করেছিল ২৫১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় ছবিটির আয় ৪৯৯.৪ মিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়!
৩) দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (২০১২)
“The shadows betray you, because they belongs to me”
– Bane
ডার্ক নাইট শেষ হয়েছিল ব্যাটম্যানের স্বেচ্ছা নির্বাসনের মধ্য দিয়ে। তারপর নিভৃতে কেটে যায় আটটি বছর। এরপরই গোথামের আকাশ আবারো দুর্যোগের কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এবার পুরো শহরকে পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস করে দিতে হাজির হয় বেন। ফলে আট বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর আবারো ব্যাটস্যুট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়েন ব্যাটম্যান। শেষপর্যন্ত নিজের প্রাণের শহরকে রক্ষা করতে পারবেন কি তিনি?
সিরিজের আগের ছবি ডার্ক নাইটের আকাশছোঁয়া সাফল্য আর সর্বোপরি এর অসাধারণত্বের জন্য ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল শূন্যে। ছবিটি হয়েছেও বেশ ভালো, কিন্তু তারপরও রয়ে গেছে ডার্ক নাইটের ছায়ায়। আগেরটির সাথে তুলনায় পেরে উঠতে না পারার প্রভাব পড়ে বক্স অফিসেও। বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়ন আয় করা ছবিটি মার্কিন বক্স অফিসে আয় করে ৪৪৮ মিলিয়ন ডলার। মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করলেও সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৪৭৮ মিলিয়নে, যা ১৯৮৯ সালের ব্যাটম্যান মুভির চেয়েও কম।
৪) ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান: ডন অব জাস্টিস (২০১৬)
“Black and blue, God versus man, day versus night!”
– Lex Luthor
ব্যাটম্যানের সাথে সুপারম্যান আছে, আছে ওয়ান্ডারওম্যান, লেক্স লুথর আর ডুমজ ডে, একটা ছবি হিট হতে আর কী চাই বলুন তো? ভালো চিত্রনাট্য আর পরিচালনা? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। একটি মানসম্মত চিত্রনাট্য আর নিখুঁত পরিচালনার অভাবে, হিট হবার একাধিক উপাদান নিয়েও ফ্লপ হয়েছে ছবিটি। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ক্রিটিকদের সমালোচনায় ভেসে যাবার পাশাপাশি বক্স অফিসেও মুখ থুবড়ে পড়ে। মার্কিন বক্স অফিসে মাত্র ৩৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হয় মুভিটি, যা এর ৮ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ডার্ক নাইটের চেয়ে ২০০ মিলিয়ন কম! মুদ্রাস্ফীতির হিসাবেও এর আয় ৩৩৯ মিলিয়নের বেশি হয় না।
৫) ব্যাটম্যান ফরেভার (১৯৯৫)
“We all wear masks!”
– Batman (Val Kilmer)
ব্যাটম্যান ছবির ইতিহাসে আরো একটি ভুলে যাওয়ার মতো ছবি হচ্ছে ব্যাটম্যান ফরেভার। বাজে পরিচালনা, ত্রুটিপূর্ণ চিত্রনাট্য, বিরক্তিকর ভিজুয়্যাল এফেক্ট, সবমিলিয়ে এই ছবিটি ছিল ব্যাটম্যান ছবির ইতিহাসে একটি কলঙ্কের মতো! ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি আমেরিকান বক্স অফিসে ১৮৪ মিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়, যা কিছুটা হলেও ৮৯’এর ব্যাটম্যানের সুখ্যাতির জন্য। অন্যথায় এর আয় আরো কম হতে পারতো! মুদ্রাস্ফীতি গণনায় ব্যাটম্যান ফরেভারের আয় ২৯৭.৭ মিলিয়ন ডলার।
৬) ব্যাটম্যান রিটার্নস (১৯৯২)
“Just the pussy I’ve been lookin’ for!”
– The Penguin to Catwoman
আরো একটি টিম বার্টন পরিচালনা, আরো একটি দুর্দান্ত ব্যাটম্যান ছবি। ‘৮৯ এর ব্যাটম্যান সফল হওয়ায় মাত্র ৩ বছর পরই আবারো রূপালী পর্দায় ফিরিয়ে আনা হয় ব্যাটম্যানকে। এবারো ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন মাইকেল কীটন। তবে ভিলেন হিসেবে এবার কোনো জোকারের মোকাবিলা করতে হয়নি ব্যাটম্যানকে। তাতে কি খুব একটা স্বস্তি মিলেছিল ব্যাটম্যানের? মোটেই না। জোকারের মতোই একটি উদ্ভট এবং দুর্ধষ ভিলেন হিসবে ব্যাটম্যানের সামনে হাজির হয় ‘দ্য পেঙ্গুইন’। একজন দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর সাথে হাত মিলিয়ে পুরো গোথাম শহরের নিয়ন্ত্রণ যখন পেঙ্গুইন নিয়ে নিতে যাচ্ছে, তখন তাকে থামাতে এগিয়ে আসে ব্যাটম্যান। ছবিটিতে পেঙ্গুইন আর ব্যাটম্যানের ইঁদুর-বিড়াল খেলা তাই দেখার মতো। দেশীয় বক্স অফিসে ব্যাটম্যান রিটার্নস আয় করে নেয় ১৬২.৮ মিলিয়ন ডলার। মুদ্রাস্ফীতির হিসাবে এর আয় ২৮৬ মিলিয়ন ডলার।
৭) ব্যাটম্যান বিগিনস (২০০৬)
“It’s not who you are underneath, it’s what you do that defines you”
– Rachel
বাবা-মায়ের হন্তারক আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে গেলে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রুস ওয়েইন। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়ে সে দেখা করতে যায় মাফিয়া বস ফ্যালকনের সাথে। তবে ফ্যালকনের ক্ষমতার কাছে নিজের তুচ্ছতা আবিষ্কার করে বিশ্বভ্রমণে বের হয় ব্রুস। ঘটনাক্রমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে যোগ দেয় লিগ অব শ্যাডোজে। হেনরি ডুকার্ডের কাছে প্রশিক্ষণ শেষে শুরু হয় ব্যাটম্যান হিসেবে তার জীবন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াই। যে লড়াইয়ে শেষতক তাকে মোকাবিলা করতে হয় তারই প্রশিক্ষকের। এরকমই চমৎকার গল্প আর টানটান উত্তেজনার সব অ্যাকশন দৃশ্যে ভরপুর ব্যাটম্যান বিগিনস ছবিটি সমালোচকদেরও ভূয়সী প্রশংসা লাভ করে। তবে বক্স অফিসে গড়পড়তা সাফল্য পায় ছবিটি। আমেরিকায় ছবিটির আয় মাত্র ২০৫ মিলিয়ন ডলার, যা মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় বর্তমানে ২৬১ মিলিয়ন।
৮) দ্য লেগো ব্যাটম্যান মুভি (২০১৭)
“There is no us, never will be!”
– Batman to Joker
আরো একবার ব্যাটম্যান জোকারের ইঁদুর-বিড়াল খেলা। তবে এবারের ছবিটি এসেছে অ্যানিমেটেড সিনেমার রূপে। শুধু এতটুকুই পার্থক্য? না, আরো পার্থক্য আছে। অনেক ভক্ত এবং সমালোচকের মতে, লেগো ব্যাটম্যান মুভির ব্রুস ওয়েনই ব্যাটম্যান ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে ‘কুল’ চরিত্র। আর তার উপর ছবিতে রীতিমতো ডিসি কমিক জগতের নামকরা সব ভিলেনদের মিলনমেলা তৈরি হয়! হার্লে কুইন থেকে শুরু করে, টু ফেইস, দ্য রিডলার, স্কেয়ারক্রো, দ্য পেঙ্গুইন, মিস্টার ফ্রিজ, বেন, পয়জন আইভি, ক্লেফেইস, সকলেই ‘ফ্যান্টম জোন’ (ডিসি কমিক্সের কাল্পনিক জেলখানা) থেকে বেরিয়ে আসে জোকারের নেতৃত্বে। গোথাম শহরের জন্য এ ব্যাপারটা কতটা ভয়াবহ আন্দাজ করতে পারছেন কি? এদের হাত থেকে শহরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে ব্যাটম্যান, আরো একবার শুরু হয় ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াই। ছবিটি আমেরিকায় ১৭৫.৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে। মাত্র এক বছর আগেই তো মুক্তি পেল, তাই মুদ্রাস্ফীতির ব্যাবধানটা খুব বেশি নয়। মুদ্রাস্ফীতির ক্যালকুলেটরে এর আয়টা ১৭৬.৮ মিলিয়ন।
৯) ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন (১৯৯৭)
“Freeze in hell, Batman!”
– Mr. Freeze
আপনার কি এমন কোনো শত্রু/শত্রুভাবাপন্ন মানুষ আছে, যাকে আপনি শাস্তি দিতে ইচ্ছুক? তাহলে আজই তাকে কোনোভাবে ‘ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন’ ছবিটি দেখতে বসিয়ে দিন! অতিরঞ্জন হয়ে গেল ভাবছেন? যদি তা-ই ভেবে থাকেন, তাহলে আপনিও একবার দেখে নিন ব্যাটম্যান ছবিগুলোর ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সিনেমাটি। ছবিটি দেখা শেষ হলে মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে, ঘুমের ঔষধ সাথে রাখতে ভুলবেন না যেন! ১২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে নির্মাণ করা জোল শুমেকারের এই ছবিটি রীতিমত মানসিকভাবে পীড়া দেবে আপনাকে। ফলে অবধারিতভাবেই বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় ছবিটি। দেশীয় বক্স অফিসে মাত্র ১০৭ মিলিয় ডলারই তুলতে পেরেছিল ছবিটি। মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় বর্তমানে তা ১৬৪.৮ মিলিয়ন ডলারের সমান।
১০) ব্যাটম্যান: মাস্ক অব দ্য ফ্যান্টাজম (১৯৯৩)
“For once, I’m stuck without a punch line.”
– The Joker
গোথাম শহরের দীর্ঘদিনের রক্ষক ব্যাটম্যানই হঠাৎ করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে শহরের নিরপত্তার জন্য! অন্তত শহরের মানুষ আর পুলিশ তাই মনে করে। কারণ রাতের আঁধারে কেউ একজন ব্যাটম্যানের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের খুন করতে শুরু করে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া সে অজানা মানুষটিকেই সবাই ব্যাটম্যান ভাবতে শুরু করে। ব্যাটম্যান কি পারবে নিজেকে এই কলঙ্ক থেকে মুক্ত করতে? এরকম গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ও স্বল্প বাজেটের অ্যানিমেটেড ছবিটি। মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার খরচে তৈরি করা ১১৭ মিনিটের এই ছবিটি অবিশ্বাস্যভাবে বক্সঅফিসে ব্যর্থ হয়। ৫.৬ মিলিয়নেই থেমে যায় এর বক্স অফিস দৌড়! নির্মাতারা ওয়ার্নার ব্রাদার্স এর বাজে প্রচারণাকেই ছবিটির অবিশ্বাস্য ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেন। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এর আয় বর্তমানে ৯৫.৮ মিলিয়ন ডলারের সমান!
ফিচার ছবি: hdwallpapers.in