সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩) থেকে প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫) এর মধ্যে আছে আরো ২৮ টা ছবি। সুদীর্ঘ ২২ বছরে সিনেমার সংখ্যা মাত্র ৩০ টি! প্রোডাকশন-সাপ্লাইয়ের মাপকাঠিতে সংখ্যাটা নিতান্ত নগণ্য হলেও মহাকালের কষ্টিপাথরে সেগুলো খাঁটি স্বর্ণ! আপামর বাঙালি মানসে তারা আজও অবিস্মরণীয়!
না, উত্তম-সুচিত্রার সবগুলো ছবির ওকালতি বা ঢালাওভাবে তাদের হয়ে সাফাইও গাইছি না। কেননা অভিনয় শিল্পী নির্বাচন ছাড়াও আরো অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয় একটা মানসম্মত সিনেমার নির্মাতাকে। তাই এই লেখাতে আমরা কেবল পাঁচটি সিনেমার কথাই বলব। যেসব সিনেমার প্রায় সকল বিভাগ সমানভাবে সমৃদ্ধ। কিন্তু একটি ছবিকে এ তালিকার বাইরে রাখবো। কেন? সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
৫. পথে হল দেরি (১৯৫৭)
প্রতিভা বোসের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি প্রধানত এর মনোমুগ্ধকর দুটি গানের জন্য বিপুলভাবে সমাদৃত। সঙ্গীত পরিচালক রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে জুটি বেঁধে কিংবদন্তি গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচনা করেছেন ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’-এর মতো মাস্টারপিস।
সিনেমাটির কাহিনীতেও আছে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য। মস্ত ধনী শ্রীপতি বাবুর (ছবি বিশ্বাস) বাপ-মা মরা নাতনি মল্লিকার (সুচিত্রা সেন) সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ডক্টর জয়ন্ত মুখার্জীর (উত্তম কুমার)। দাদু যে নাতনির এহেন স্পর্ধায় বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন না, তা বলাই বাহুল্য। তিনি কথার আগুনে জয়ন্তকে অপমান করে মল্লিকার সঙ্গ ত্যাগ করার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু ফল হয় উল্টো। মল্লিকা তার মায়ের গয়না বেচে জয়ন্তকে বিলেতে পাঠায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য। আর এর পরপরই গল্প নেয় অভাবনীয় মোড়। দর্শকের মনে একসঙ্গে জটলা পাকাতে শুরু করে সাসপেন্স আর ট্রাজেডি।
অভিনয় প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রধান চরিত্র দুটির পরেই যার নাম আসে, সে হলো ছবি বিশ্বাস। খুব বেশি সময় পর্দায় দেখা যায় না ভদ্রলোককে। কিন্তু যতক্ষণ দেখা যায়, দর্শকদের চৌম্বকাকৃষ্ট করে রাখেন তিনি। বিশেষ করে জয়ন্তর সাথে তার প্রথম আলাপের প্রত্যেকটি কথা আপনাকে ভাবাবিষ্ট হতে বাধ্য করবে। এছাড়া প্রখ্যাত চরিত্রাভিনেতা অনুপ কুমারের অভিনয় কুশলতাও আপনার নজর কাড়বে।
৪. হার মানা হার (১৯৭২)
টালিপাড়ার স্বর্ণযুগের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো, সে আমলের বেশিরভাগ ছবিই নির্মিত হতো দুর্দান্ত সব সাহিত্যকর্মের আশ্রয়ে। সলিল সেনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত ‘হার মানা হার’ সিনেমাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথিতযশা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মহাশ্বেতা’র এই অনবদ্য সিনেমাটিক উপস্থাপনকে উত্তম-সুচিত্রা জুটির সর্বশেষ প্রশংসনীয় সিনেমা বললেও অত্যুক্তি হবে না।
নীরা (সুচিত্রা সেন) নামের এক অনাথিনীর বিড়ম্বিত আর সংগ্রামমুখর জীবন এই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বেশ এক জমজমাট ড্রামাটিক আবহে। ছবির শুরুতে দেখা যায়, দৃঢ় প্রত্যয়ী নীরা তার অর্থপিশাচ খুড়তুতো দাদাদের চোখে ধুলো দিয়ে বিয়ের মণ্ডপ থেকে পালিয়ে যায়। আশ্রয় নেয় শিবনাথ ব্যানার্জী (পাহাড়ি সান্যাল) নামক এক আঁকিয়ের বাড়িতে। সেখানে থেকে, তার খরচেই লেখাপড়া চালিয়ে যায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীরা। সে বাড়িতেই পরিচয় আর্টিস্ট বিনোদ সেনের (উত্তম কুমার) সাথে। তারই প্রতিষ্ঠিত অনাথ আশ্রমে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে যোগদানও করে সে। কিন্তু তার পরে ঠিক কী কী ঘটে নীরার জীবনে? আর্টিস্ট বিনোদ সেনই বা কী ভূমিকা রাখে গল্পের অগ্রগতিতে?
ছবিটিতে বিনোদ সেনের চরিত্রটিকে উত্তম কুমার ফুটিয়ে তুলেছেন শিশুসুলভ সরলতায়। আর নীরার চরিত্রে দর্শক খুঁজে পায় এক তীব্র ব্যক্তিত্ব ও লক্ষণীয় আত্মপ্রত্যয়। নেতিবাচক চরিত্র চারু বাবুর ভূমিকায় বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায় মানিয়ে গেছেন দারুণভাবে। হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা মিলবে মাত্র দুটি দৃশ্যে, তাতেই আপনার নজর কাড়বেন তিনি।
সঙ্গীত পরিচালক সুধীন দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে তার নিজের এবং পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে ছবিটি অলংকৃত হয়েছে দারুণ সব গানে। গানগুলো আপনাকে নিজ দায়িত্বে শুনে তবেই মুখ্য-গৌণ বিচার করতে হবে। আর এই সঙ্গীতাভিযানে আপনার কানে সুধা বর্ষণ করবেন আরতি মুখোপাধ্যায় এবং মান্না দে!
৩. শাপমোচন (১৯৫৫)
ঔপন্যাসিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়কে বাংলা সাহিত্যের পাঠক মূলত চেনে দুটো বইয়ের জন্য। ‘শাপমোচন’ আর ‘চিতা বহ্নিমান’। এদের ভেতর প্রথমটার কদর দ্বিতীয়টার চেয়ে খানিকটা বেশি। এই জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সুধীর মুখার্জী নির্মাণ করেন দুর্দান্ত এক রোমান্টিক ছবি। যে ছবির আবেদন বাঙালি দর্শকের কাছে আজও অম্লান।
সিনেমার শুরুতে দেখা যায় পারিবারিক দৈন্য ঘোচানোর আশায় গ্রামের সরল এবং স্বল্প শিক্ষিত মহেন্দ্র (উত্তম কুমার) হাজির হয় কলকাতায়, কড়া নাড়ে পিতৃবন্ধু উমেশ বাবুর (কমল মিত্র) দরজায়। মহৎপ্রাণ উমেশ বাবুও তাকে স্বাগত জানায় পিতৃস্নেহে। তার মেয়ে মাধুরী (সুচিত্রা সেন) পরম উৎসাহ আর আন্তরিকতায় গ্রাম্য মহিনকে নিখাদ শহুরে করার ভার নেয়। কিন্তু এই সরল কাহিনী খণ্ডের আগে-পরে-অভ্যন্তরে ঘটে এমন কিছু ঘটনা, শোনা যায় এমন কিছু সংলাপ যার রেশে বুঁদ হয়ে পুরো সিনেমাটাই দেখে নেবে যেকোনো সংবেদনশীল দর্শক। জেনে নেবে মহিনের নতুন জীবনের অপেক্ষমাণ আগামী। বুঝে নেবে কোন শাপের ইঙ্গিত আছে ছবির নামে, আর কী-ই বা তার পরিণতি?
সিনেমাটিতে জাদুকরী মহিমায় মিশে আছে যুবা বয়সী উত্তম-সুচিত্রার মনস্তাত্ত্বিক রসায়ন, অনবদ্য আর চিরন্তন কিছু উক্তি। এই ছবির মাধ্যমেই বাঙালি দর্শক জেনেছিলো;
“পৃথিবীতে যেসব লোক পাহাড়ের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাদের শতকরা নব্বইজন ছিল গরীব।”
তাছাড়া পাহাড়ি সান্যাল (মহিনের অন্ধ দাদা) থেকে শুরু করে কমল মিত্র, প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমিকায় দারুণ অভিনয় করেছেন। কিংবদন্তি চরিত্রাভিনেতা বিকাশ রায় (মাধুরীর পাণিপ্রার্থী) তার দুর্দান্ত এবং সহজাত অভিনয় প্রতিভায় জয় করেছেন রসগ্রাহী দর্শকের হৃদয়।
এই সিনেমাটিও সুসজ্জিত অবিস্মরণীয় সব গানে। বিমল ঘোষের যাদুকরী কথার গুণে আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মনোমুগ্ধকর সুরে সে সকল গানের কদর কাল থেকে কালান্তরে।
২. হারানো সুর (১৯৫৭)
মারাত্মক দুর্ঘটনায় স্মৃতিভ্রষ্ট শিল্পপতি অলোক মুখার্জির (উত্তম কুমার) ঠাঁই হয় মানসিক হাসপাতালে। সেখানে ডা. মজুমদারের (উৎপল দত্ত) অহংবাদী বর্বরতায় রোগীর অবস্থা ক্রমশ আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে। এবং সে ব্যাপারে কথা বলার অপরাধে চাকরিতে ইস্তফা দিতে হয় ডা. রমা ব্যানার্জীকে (সুচিত্রা সেন)। রমা চড়ে বসে ঘরমুখী ট্রেনে, তবে একা নয়- সঙ্গে থাকে পলাতক রোগী, অলোক মুখার্জী।
নিজের বাড়িতে রেখেই অলোকের চিকিৎসা চালিয়ে যায় রমা। তাদের ভেতর গড়ে ওঠে অন্তরঙ্গ সখ্যতা। চিকিৎসার খাতিরে আর বন্ধুত্বের বুনিয়াদে সেই ভুলোমনা মানুষটির গলায়ই একদিন মালা পরিয়ে দেয় নিবেদিতপ্রাণ ডা. রমা ব্যানার্জী। কিন্তু নিয়তি তার অমোঘ অভিসন্ধি ঠিকই সিদ্ধ করে, সড়ক দুর্ঘটনায় স্মৃতি ফিরে পেয়ে অলোক রমার অগোচরেই কলকাতার ট্রেন ধরে। আর রমার জন্য ছেড়ে যায় সীমাহীন শূন্যতা। কিন্তু সিনেমার পরবর্তী সময়গুলো কীভাবে কাটে? রমা কি খুঁজে পায় তার হারানো সম্পদকে? নাকি অলোক ফিরে পায় তার ‘স্মৃতিহারা মুহূর্তের’ স্বর্ণালী স্মৃতি?
১৯৪২ সালের হলিউড সিনেমা ‘র্যান্ডম হার্ভেস্ট’ এর ছায়াবলম্বী এই ক্লাসিকটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়। আর অনন্য কুশলী অজয় কর মহাশয় ছিলেন পরিচালনায়। ‘হারানো সুর’কে স্বর্ণযুগের সিনেমার এক অনবদ্য প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়। কেননা কাহিনী, অভিনয় আর পরিচালনায় এই সিনেমা দর্শক থেকে সমালোচক, সবার মনেই বিস্ময় জাগায়।
ভুলোমনা অলোক আর সেরে ওঠা অলোকের চারিত্রিক ব্যবধান সকলের নজর কাড়বে। আর মমতাময়ী ডাক্তার ও প্রেমময়ী প্রণয়িনীর সংমিশ্রণে রমা চরিত্রটি দর্শকমানসে সৃষ্টি করবে এক বিচিত্র অনুভূতি। তাছাড়া নেতিবাচক চরিত্রে আর থিয়েটারি ভঙ্গিমায় দীপক মুখার্জী আপনাকে মঞ্চাভিনয়ের আমেজ দেবে মিহির ভট্টাচার্যের ভূমিকায়।
বাঙালি শ্রোতাদের মনে গেঁথে থাকা গানের তালিকা যদি করা হয় তবে এই ছবির, “তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার” আর “আজ দুজনার দুটি পথ” এই গান দুটি প্রথম সারিতে থাকবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মুন্সিয়ানায় আর তথাকথিত গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের শব্দসম্পদে সজ্জিত এই গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন গীতা দত্ত ও হেমন্ত বাবু স্বয়ং।
১. সাগরিকা (১৯৫৬)
“আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে
সাত সাগর আর তেরো নদীর পারে”
শ্যামল মিত্রের কণ্ঠে আর রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের এই আবেশ সঞ্চারী কথাগুলো কার মনে আঁচড় না কাটে? শুধু এই গানটিই কেন? ‘তব বিজয় মুকুট আজকে দেখি’ অথবা ‘হৃদয় আমার সুন্দর তব পায়’ প্রত্যেকটি গানই কালজয়ী, প্রত্যেকটি গানই সমান আবেদনময়ী। গীতরচনায় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের পাশাপাশি অবদান রেখেছেন প্রণব রায় ও নিতাই ভট্টাচার্য। সঙ্গীত বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছেন তথাকথিত রবীন ভট্টাচার্য। এই গীতবিশারদদের কল্যাণেই ‘সাগরিকা’ হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ আর অতুলনীয়।
কাহিনীকার হিসেবেও নিতাই ভট্টাচার্য যে অদ্বিতীয় তার প্রমাণ ছবিটির প্রত্যেকটি মূহুর্তে সুস্পষ্ট। তার লেখা সুতীক্ষ্ণ সংলাপে ‘সাগরিকা’ আজও ভাস্বর অনন্য মহিমায়।
অস্বচ্ছল মেডিক্যাল ছাত্র অরুণ (উত্তম কুমার), শিপ্রা-দের (নমিতা সিনহা) আশ্রয়ে থেকে; তাকে আর তার ভাইকে পড়িয়ে, তাদের মন যুগিয়ে বহু কষ্টে ডাক্তারি পাশ করে অরুণ। স্বপ্ন দেখে স্টেট স্কলারশিপ নিয়ে বিলেত যাওয়ার। এমন সময় একদিন কলেজের করিডোরে তার ধাক্কা লাগে নবাগতা ছাত্রী সাগরিকার (সুচিত্রা সেন) সাথে। ব্যস, তাতেই অরুণ বাবুর ভুবন রঙিন! এই কাহিনী ক্যাম্পাসময় চাউর হতে সময় লাগে না। শুরু হয় কানাঘুষো, হাসি-তামাশা। যা একেবারেই বরদাশত করতে পারে না ব্যক্তিত্বসম্পন্না সাগরিকা। অন্য দিকে ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে শিপ্রা অরুণের নাম করে চিঠি লেখে সাগরিকাকে। আর সাগরিকাও দুবার না ভেবে অভিযোগ করে বসে তাদের তীব্র রক্ষণশীল প্রফেসরের (কমল মিত্র) কাছে। অরুণের প্রতি সে শিক্ষকের ছিল অগাধ আস্থা। স্টেট স্কলারশিপের কলকাঠিও ছিল তারই হাতে। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মেই অরুণকে কলেজ ছাড়তে হয়, বঞ্চিত হতে হয় স্কলারশিপ থেকে। কিন্তু তারপর?
সাগরিকা সিনেমায় বেশকিছু নামী এবং গুণী অভিনেতার দেখা পাওয়া যায়। অরুণের বাগদত্তা বাসন্তীর ভূমিকায় অভিনয় করেন যমুনা সিংহ। বাসন্তীর বাবা হিসাবে দারুণ অভিনয় করেন জহর গাঙ্গুলী। আর অরুণের জ্যাঠার চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন স্বভাবসিদ্ধ অভিনয় শিল্পী পাহাড়ি সান্যাল। তবে এই সকল গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছাপিয়ে আপনার নজর কাড়বে জিবেন বোসের অভিনয় -প্রাণখোলা, রসিক কেদার দা’র ভূমিকায়।
এ তো গেলো সেরা পাঁচের সাদামাটা বর্ণনা। কিন্তু সেই বিশেষ সিনেমা কোনটা, যার ঠাঁই হয়নি এই তালিকায় অথবা যার জন্য এহেন র্যাংকিং প্রোযোজ্য নয়? এবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেবার সময়। শৈল্পিক মূল্যমান বিচারে ‘সাগরিকা’ আর ‘হারানো সুর’-এর কোনোটার আগে-পরে অথবা দুটোর মাঝে ‘সপ্তপদী’ সিনেমাটির জায়গা করা বেজায় শক্ত বিষয়! তাই শুধু সপ্তপদীকে নিয়েই আস্ত একটা লেখা লিখতে হয়েছে রোর বাংলাতেই! পড়তে পারেন চাইলে।