“সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই অদ্ভুত কল্পনার জগৎ পাল্টেছে। সেখানে হয়তো কখনো কখনো বাস্তব এবং কল্পনা মিলেমিশে যায়। হয়ে যায় অন্য কোন জগৎ। সেই জগৎ আসলে কীসের? বিভার, নাকি বিভ্রমের? এই উপন্যাস সেই বিভা ও বিভ্রমের অনুসন্ধান।”
উপন্যাসের শুরুতে লেখক সাদাত হোসাইন নিজের উপন্যাস সম্বন্ধে এভাবেই সংজ্ঞায়িত করেছেন। বিভা অর্থ আসলে ‘সৌন্দর্য’, ‘কিরণ’ কিংবা ‘দীপ্তি’। আর বিভ্রম অর্থ ভ্রান্তি। আসলে আমাদের সবারই নিজস্ব একটা জগৎ থাকে। সেই জগতে সবসময়ই যে বাস্তবের সব নিয়ম কাজ করে চলে, এমনটাও নয়। রবীন্দ্রনাথের সেই কথাটা- আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে।
এই রাজত্ব আসলে কী? এটা কি বাস্তব কোনো বিভার? নাকি অদ্ভুতুড়ে কোনো বিভ্রমের? সাদাত হোসাইনের এই ‘বিভা ও বিভ্রম’ উপন্যাসটিও আসলে আমাদের সামনে এমন একটা প্রশ্নই তুলে ধরে। যে জগৎ আমরা নিজেদের ভেতর লালন করে চলেছি, সেই জগৎ আসলে কীসের? বিভার? নাকি বিভ্রমের?
উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ‘প্রথম আলো’র ইদ সংখ্যাতে। এরপর ২০২১ সালের বইমেলায় বইটি দুই মলাটে প্রকাশ করে ‘প্রথমা প্রকাশন’।
চরিত্রায়ণ
‘বিভা ও বিভ্রম’-এর চরিত্রেরা সবাই আমাদেরই চারপাশের জগতে দেখা পরিচিত চরিত্র। আসলে বইটি লেখাই হয়েছে চারপাশে দেখা মানুষের এক পরিচিত মনস্ত্বাত্ত্বিক জটিলতা নিয়ে। আর তাই এর প্রতিটি চরিত্র, চরিত্রগুলির জটিলতা, আক্ষেপ, অনুশোচনা- সবই আসলে আমাদের চিরায়ত মানবজীবনের এক ধূসর জগতের অংশ।
আলতামাশ
নামটা শুনতে বড্ড অদ্ভুত লাগলেও, বইটির মূল চরিত্র আসলে এই আলতামাশই। আরেকটু যদি ভালো করে বলি, তাহলে বলতে হবে বইটি আসলে এই অদ্ভুত নামের চরিত্রটিকে ঘিরেই লেখা হয়েছে। আলতামাশের নামটা অদ্ভুত, আর এই অদ্ভুত নামের জন্যে তাকে নানা রকম হেনস্থারও শিকার হতে হয়। আর সম্ভবত এ কারণেই, নিজের নাম নিয়ে আলতামাশ খানিকটা বিরক্তও। বইয়ের একদম শুরুর পৃষ্ঠায়ই যেমনটা লেখা আছে-
“বরং নানা কারণে সে বিরক্ত, বিধ্বস্ত, ক্লান্ত। প্রথম কারণ, তার নাম। এই ২৭ বছরের জীবনে এসেও নিজের নাম নিয়ে আলতামাশ ভয়ানক বিরক্ত। তার ধারণা, মানুষকে এই নামের অর্থ বলতে বলতেই সে তার জীবনের অর্ধেকটা সময় কাটিয়ে ফেলেছে।”
তবে বইয়ের গল্প এগোতে থাকলে দেখা যায়, আলতামাশ যে শুধু নিজের নাম নিয়েই বিরক্ত এমনটা নয়। সে আসলে নিজের চারপাশের সবকিছু নিয়েই বিরক্ত। এই বিরক্ত হওয়ার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। আর সেটা হল আলতামাশের শৈশব ও কৈশোর। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দারুণ অবহেলা আর নানাবিধ নির্যাতনের মধ্যে। স্বাভাবিক ও সুস্থ পরিবারে বড় হওয়ার সুযোগ পায়নি। আলতামাশ যার কাছে বেড়ে উঠেছে তিনি সম্পর্কে আলতামাশের সৎ ফুপু। তার কাছে আলতামাশের বেড়ে উঠা ছিল ভয়ায়নক করুণ। আলতামাশ যে যে কাজগুলোকে ভয় পেত, তিনি ঠিক সেই সেই কাজগুলিই আলতামাশের সাথে করতেন। আলতামাশকে ভয় পাওয়াতে, কষ্ট দিতে তিনি ভালবাসতেন বলেই দেখা যায়। মূলত তিনি চাইতেন, আলতামাশ তার বাড়ি ছেড়ে চলে যাক। কিন্তু সরল মনের আলতামাশের মনে কখনও এমন ভাবনা আসেনি।
আলতামাশ চরিত্রটিকে দেখা যায় শৈশবের এই অদ্ভুত সময় নিয়ে নিজের জীবনভর ট্রমায় কাটাতে। শৈশব ও কৈশোরের দুঃস্মৃতি আলতামাশকে যেন সবসময় তাড়া করে ফিরেছে। একটুখানি একাকীত্বে কিংবা নির্জনে আলতামাশের মনে সেই স্মৃতি সবসময় উঁকি দিয়ে যায়। তবে আলতামাশের মনে এর ফলও ভাল হয়নি, নানারকম মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় সে আক্রান্ত হয়েছে। যেমন-
আলতামাশকে দেখা যায় তিনি নিজের চারপাশের বেশিরভাগ মানুষকে বিশ্বাস করেন না। প্রবল বিশ্বাসহীনতা আলতামাশের দৈনন্দিন জীবনকে একরকম বিষিয়েই ফেলে। যেকোনো ব্যাপারে তার মনে হয়, অপর কেউ বুঝি তার সাথে প্রতারণা করবে। এই প্রতারিত হওয়ার ভয় আলতামাশের সাথে তার চারপাশের মানুষের স্বাভাবিক সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য এই বিশ্বাসহীনতার কারণ হিসেবেও আমরা দায়ী করতে পারি আলতামাশের শৈশবকেই। শৈশবে আলতামাশ যখন পরিবারছাড়া হয়ে সৎ ফুপুর বাড়িতে উঠেছিল, নিশ্চয়ই ফুপুর প্রতি একধরনের বিশ্বাস জন্মেছিল তার। কিন্তু একটু একটু করে যখন সেই বিশ্বাস ভেঙে যায়, তখন আসলে আলতামাশের মনে এই বিশ্বাসহীনতার জন্ম নেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আলতামাশ নিজে ভীষণ রকম হীনম্মন্যতায় ভোগা একজন মানুষ। আলতামাশ মনে করে, তার চারপাশের মানুষ সবসময়ই তাকে ছোট নজরে দেখার চেষ্টা করছে। আলতামাশের ভাবনা পরে সংক্রমিত হয় তার কাজেও। সে সবসময় ব্যক্তিসংসর্গ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। আলতামাশ নিজে এমনিতেও একাকী এক চরিত্র, কিন্তু এই হীনম্মন্যতা যেন তার একাকীত্বটুকুকে আরো অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে। আলতামাশ ধীরে ধীরে এতে আরো হীনম্মন্য হয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি বিশ্বাস তো তার আগেও ছিল না, কিন্তু এখন দেখা যায় নিজের প্রতি সে এক প্রবল অবিশ্বাসে ভোগা শুরু করে।সে নিজেকে অপরের বোঝা ভাবতে শুরু করে। আলতামাশ আস্তে আস্তে হয়ে যায় প্রবল মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগা একজন মানুষ।
ফারিয়া
‘ফারিয়া’ চরিত্রটিকে বেশ যত্নের সাথেই অঙ্কন করেছেন লেখক। বইটিতে এই চরিত্রটিকে দেখা যায় প্রচন্ড মায়া ও ভালবাসার প্রতীক হতে। ‘ফারিয়া’ চরিত্রটির মধ্যে আলতামাশের জন্যে একধরনের ভালোবাসার অনুভব দেখা যায়। তবে চরিত্রটির একটি বিশেষ দিক হল, ‘ফারিয়া’ আত্মনির্ভরশীল একটি চরিত্র। ঘটনাপ্রবাহের মাঝে চরিত্রটিকে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়। আসলে ‘ফারিয়া’ চরিত্রটি মূলত ‘আলতামাশ’-এর একটি সম্পূরক চরিত্র। ‘আলতামাশ’ চরিত্রটির মাঝে যেসব গুণ অনুপস্থিত সেসব গুণই ‘ফারিয়া’ চরিত্রটির মাঝে লেখক প্রকান্ডভাবে দেখাতে চেয়েছেন। আর এজন্যই বোধহয় ‘ফারিয়া’ ও ‘আলতামাশ’ চরিত্রটি একসাথে আসলে একটি চরিত্র বলেই মনে হয়। তবে এই দুই চরিত্রের মাঝে যে বিরোধ দেখা যায় না এমনও নয়, তবে সেই বিরোধও ‘ফারিয়া’ চরিত্রটির চারিত্রিক দৃঢ়তায় বেশ শক্তভাবেই উৎরে দিয়েছেন লেখক।
‘ফারিয়া’ চরিত্রটি একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম চরিত্র। তবে চরিত্রটির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টা চোখে পড়ে সেটি হলো- প্রচন্ড মায়া ও ভালবাসার ধারক হয়েও চরিত্রটি শেষ অব্দি থেকে গেছে জীবনসংগ্রামে জয়ী এক চরিত্র হিসেবে। সে হিসেবে চরিত্রটির সময়কালকে যুগোপযোগী বললেও একেবারে ভুল হয় না।
অন্যান্য চরিত্র
একটি উপন্যাস একটি চরিত্রকে ঘিরে আবর্তিত হলেও সেখানে গল্পের প্রয়োজনে নানা চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটে থাকে। সেসব চরিত্রের একেকটির একেক রকম স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য থাকে আর এ কারণেই আসলে উপন্যাসটি পূর্ণতা পায়। বিভা ও বিভ্রমেও এ রকম নানা বৈশিষ্ট্যের ও নানা রঙের চরিত্রের সমাহার ঘটেছে। এসব চরিত্রের একেকটি থেকে গেছে একেক রকম ঢঙে। এই যেমন, ‘আফরোজা বানু’ চরিত্রটির কথাই ধরা যাক। বইয়ে এই চরিত্রটির মধ্যে প্রচন্ড হিংসুটে ভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে আফরোজা বানুর এই হিংসার কারণ হিসেবে যে ব্যাপারটা বোঝা যায় সেটি হল, নিজের ও নিজ সন্তানের জীবন নিয়ে তিনি প্রচন্ড চিন্তিত ও হীনম্মন্য থাকেন। তার এই চিন্তা ও চিন্তার উত্তোরণ এতটাই প্রগাঢ় যে আফরোজা বানুকে তা একপর্যায়ে প্রচন্ড স্বার্থান্বেষী ও হিংসুটেও বানিয়ে ফেলে। নিজ স্বার্থ রক্ষায় আফরোজা বানু নানারকম বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হয় না, এক্ষেত্রে আফরোজা বানুর নিষ্ঠুরতম সত্তাটিও আমাদের সামনে এসে পড়ে।
অন্যদিকে বইয়ের ‘রায়হান’ চরিত্রটি একটি সাহায্যপরায়ণ চরিত্র। আফরোজা বানুর ঠিক উল্টো এই চরিত্রটিকে বরং দেখা যায় নানা রকম উদার সিদ্ধান্ত ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। তবে এটি ছাড়াও বইয়ে আরো যেসব চরিত্র রয়ে গেছে তার প্রতিটি আসলে বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখেনি, বরং সহচরিত্র হিসেবেই বিরাজ করে গেছে।
কাহিনী সংক্ষেপ
‘বিভা ও বিভ্রম’ মূলত ‘আলতামাশ’ চরিত্রটির মনস্ত্বাত্ত্বিক জটিলতার গল্প। আলতামাশ চরিত্রটির ভাবনা, খেয়াল ও তার প্রতিরূপ নিয়েই আসলে বইটি। বইয়ের শুরুইতেই তাই লেখক চরিত্রটির একটি করুণ দশা দিয়ে বইটি শুরু করেছেন। সেখানে দেখা যায়, নানা রকম চাকরির ইন্টাভিউ দেওয়ার পরও কোনো গতি হয় না আলতামাশের। নিজ পায়ে দাঁড়ানোর অক্ষমতার কারণে চরিত্রটির মাঝে তীব্র হীনম্মন্যতা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে সেই হীনম্মন্যতা পরিণত হয় নানা মানুষের অবিশ্বাসে। তবে এই অবিশ্বাসের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম হয়ে যায় ‘ফারিয়া’ চরিত্রটি। ‘ফারিয়া’ চরিত্রের প্রতি আলতামাশের তীব্র ভালবাসা দেখা গেলেও আলতামাশের মাঝে তীব্র সন্দেহবাতিকতাও চোখে পড়ে। এতে ধীরে ধীরে দুজনের সম্পর্কও বাঁধা পড়তে থাকে নানা সমস্যাতে । বইয়েই যেমন একপর্যায়ে লেখক লিখেছেন, “যেন সূক্ষ্ম এক সুতোয় ঝুলে থাকে বয়ে না বেড়াতে পারা ভারী এক সম্পর্কের বোঝা।”
মূলত ছোট কলেবরের বইটির গল্প এই সম্পর্কের নানা টানাপোড়েনের আর তার সাথে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগা এক মানুষের ভাবনার।আগেই বলেছি, ‘বিভা ও বিভ্রম’ উপন্যাসটি আলতামাশ চরিত্রটির মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার গল্প। সেই জটিলতাটুকু কী কী?
অডিটরি হ্যালুসিনেশন
অডিটরি হ্যালুসিনেশন মূলত হ্যালুসিনেশনের একটি প্রকারভেদ যেখানে কোনো ব্যক্তি বাহ্যিক কোনোকিছুর উপস্থিতি ব্যতিরেকেই নানারকমের শব্দ বা কথা শুনতে পায়। বইয়ের আলতামাশ চরিত্রটির মধ্যে এই অডিটরি হ্যালুসিনেশনের বৈশিষ্ট্যের দেখা মেলে। চরিত্রটি নিজ নিকটজনের অভাব অনুভব করতে করতে একসময় আপনমনেই সেই মানুষটির কথা শুনতে পায়। তার মনে হয়, সেই অপর মানুষটি তার সাথে কথা বলছে। একপর্যায়ে আলতামাশ নিজেও অবশ্য তার সাথে কথা বলা শুরু করে।
ডিলিউশন
ডিলিউশন হচ্ছে মানুষের এক ধরণের শক্তিশালী বিশ্বাস যার আসলে বাস্তবে কোনো উপস্থিতি নেই। আলতামাশ চরিত্রটির মাঝে ডিলিউশন ও কিছু ক্ষেত্রে আংশিক ডিলিউশন দেখা যায়। ডিলিউশনের মধ্যে ‘মেজর ডিলিউশন’ বলা হয় মূলত সন্দেহবাতিকগ্রস্ত অবস্থাকে। সেটা আলতামাশের মধ্যে প্রবলভাবে বিদ্যমান। এছাড়াও আলতামাশ তার জীবনভর একটি বিশেষ ক্ষমতা ও বিশ্বাসের পিছে ছুটতে শুরু করে। আসলে, আলতামাশ এই ক্ষমতাটি পেতে চায়। বইয়েই যেমন লেখা আছে, “সে তার জীবনটা এক অদ্ভুত অলৌকিক স্বপ্নে বিভোর হয়ে নষ্ট করেছে।”
আলতামাশের এই ‘অদ্ভুত অলৌকিক’ স্বপ্নটি মূলত একটি ডিলিউশন, যেটা আসলে আলতামাশ বিশ্বাস করত একদিন সে পাবেই। দিনের পর দিন সে এই স্বপ্নেই বিভোর হয়ে থাকত।
পিটিএসডি
‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার’- সংক্ষেপে পিটিএসডি। ডিলিউশন ও অডিটরি হ্যালুসিনেশনের ভিড়ে আলতামাশের সবচেয়ে বড় মনস্ত্বাত্ত্বিক সমস্যা এই পিটিএসডি। পিটিএসডি কি? সোজা ভাষায় বললে, কেউ যখন কোন ট্রমা অনুভব করে আর সেই ট্রমা কেটে যাওয়ার পর সেই ট্রমাজনিত চাপ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া হল পিটিএসডি। পিটিএসডির নানা পর্যায় ও প্রকারভেদ রয়েছে। ‘আলতামাশ’ চরিত্রটির মধ্যে তীব্রভাবে এই পিটিএসডি দেখা যায়। ছোটবেলায় ভোগ করা ট্রমার কারণে তাকে একদম যুবক বয়সেও নানা রকম ‘স্ট্রেস’ ও ‘প্যানিকড’ হতে দেখা যায়। আলতামাশের জীবনের সব সমস্যার মূলে আসলে এই ‘পিটিএসডি’-ই।
অর্জন
‘বিভা ও বিভ্রম’ অল্প সময়ে প্রকাশিত হলেও এটি নানা মহলে সমাদৃত হয়েছে। শেষবার এটির জন্য লেখক সাদাত হোসাইন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরষ্কার ২০২১’ লাভ করেছেন।