ডেডপুল টু: অ্যান্টিহিরো থেকে সুপারহিরো হবার পথে

ডেডপুল (২০১৬) মুভিতে কঠোর মূর্তি কিন্তু কোমল হৃদয় কলোসাসের মনোলগের কথা মনে আছে? তার মতে, সুপারহিরো কোনো ফুলটাইম চাকরি নয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের সিদ্ধান্ত দিয়েই আসল সুপারহিরোকে চেনা যায়। অন্যের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া কিংবা ভিলেনকে সঠিকপথে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার মতো মানবীয় গুণাবলীগুলোই একজন আসল সুপারহিরোর পরিচয়, তার সুপারপাওয়ার নয়। সেই উপদেশ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেও কথাগুলো ওয়েডের মনে দারুণ প্রভাব ফেলেছে দেখা যাচ্ছে।

একটু পেছনে ফেরা যাক।

নব্বইয়ের দশকে কমিকে আসা ডেডপুলের জনপ্রিয়তা ছিল ভালোই। ‘মার্ক উইথ আ মাউথ’ নামে পরিচিত ওয়েড উইলসন ওরফে ডেডপুলের স্ট্যান্ডঅ্যালোন মুভিতে অভিষেকটা কিছুটা দেরিতেই হয়েছে। অভিনেতা রায়ান রেনল্ডসের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল ডেডপুল চরিত্রটি করার, কিন্তু নিদারুণভাবে তার প্রতিভার অপচয় করেন ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এক্স মেন অরিজিনস: উলভেরিন’ এর লেখক এবং পরিচালকেরা।

রায়ান রেনল্ডসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালে অবশেষে মুক্তি পায় ডেডপুলের প্রথম একক মুভি। ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে মুক্তি পাওয়া আর-রেটেড সুপারহিরো মুভিটি এই ঘরানার দর্শকদের সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক স্বাদ এনে দেয়। অথচ মুভির প্লট খুব বিশেষ কিছু নয়। ভিলেনের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি ড্যামসেল ইন ডিস্ট্রেসকে বাঁচানোর কাহিনী, সাথে কমিক মুভির অত্যাবশ্যকীয় দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন এবং নায়কের উঠে আসার মূল কাহিনী।

‘সল্ট অ্যান্ড পেপা’ এর র‍্যাপ মিউজিকের সাথে ট্রেইলার থেকে শুরু করে ভিন্নধর্মী মার্কেটিং স্টান্ট দিয়ে ডেডপুল তাক লাগিয়ে দেয় সবাইকে। মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলারের মুভিটি আয় করে নেয় ৭৩৩ মিলিয়ন ডলার, সমালোচকেরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। ফোর্থ ওয়াল ব্রেক করা, রাশি রাশি পপ কালচার রেফারেন্স দেওয়া থেকে শুরু করে ডিসি, মার্ভেল কিংবা স্বয়ং এক্স-মেন ইউনিভার্সকে খোঁচা দেওয়া; কিছুই বাকি রাখেনি মুখরা এই অ্যান্টিহিরো।

অন্য কমিক বই এবং মুভিগুলোতে যেখানে চোখে না পড়ার মতো কিছু ইস্টার এগ থাকে। সেখানে ডেডপুল এই ইস্টার এগ এবং পপ কালচার রেফারেন্সগুলোকেই বানিয়েছে তার বিনোদনের মূল উৎস। কিন্তু দর্শক অন্য কমিক চরিত্রগুলোর চেয়ে ডেডপুলের সাথে একাত্মতা বোধ করেন কেন? কারণ আমাদের সবার মধ্যেই নিজের জীবনের কষ্টগুলোকে ঠাট্টা-তামাশা দিয়ে আড়াল করার প্রবণতা আছে।

ডেডপুল ২ এর পোস্টার; Image Source: 20th Century Fox

সুতরাং ডেডপুল টু এর ব্যাপারে প্রত্যাশার পারদ উপরে চড়তে থাকে। একই ফর্মুলা আবার খাটালে দ্য হ্যাংওভার সিরিজের দ্বিতীয় মুভিটির মতো ক্লান্তিকর আর-রেটেড কমেডি সিক্যুয়েল হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। এ ব্যাপারে মতবিভেদ থাকার কারণে প্রথম মুভিটির পরিচালক টিম মিলার সরে যান, আসেন ‘জন উইক‘ এর পরিচালক ডেভিড লিচ। রায়ান রেনল্ডসের মতে, লিচের পরিচালনায় সীমিত বাজেটের অ্যাকশন দৃশ্যগুলোকে তার দশগুণ বেশি বাজেটের বলে মনে হয়।

শুরু হয় স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ। রেট রিজ, পল ওয়েরনিকের সাথে রায়ান রেনল্ডস নিজেই যোগ দেন। প্রথম মুভির ভেনিসা, উইজেল, দোপিন্দর, কলোসাস, নেগাসনিক টিনেজ ওয়ারহেড চরিত্রগুলোর পাশাপাশি নতুন কাকে আনা হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। মিউট্যান্ট ক্যাবলের ব্যাপারে ডেডপুলের ক্রেডিট সিনেই আভাস দেয়া হয়েছিল।

কমিক অনুসারে ‘ক্যাবল’ হলো সাইক্লপস তথা স্কট সমারস এবং জ্যঁ গ্রের ক্লোন ম্যাডেলিন প্রায়রসের সন্তান। এই চরিত্রে ব্র্যাড পিট, পিয়ার্স ব্রসনানের মতো নামকরা অভিনেতাদের নাম শোনা গেলেও অবশেষে মার্ভেল ইউনিভার্সে মেগাভিলেন থানোসের ভূমিকায় অভিনয় করা জশ ব্রোলিনকে চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়াও এক্স-ফোর্স, ডমিনো, জাগারনাট, ফায়ারফিস্টকে নেবার কথা চূড়ান্ত হয়।

ডেডপুল ২ এর ফ্যানআর্ট; Image Source: Pinterest

ডেডপুল টু এর কাহিনী শুরু হয় চমক দিয়ে। প্রথম মুভির ভিলেন ফ্রান্সিসের ওপর প্রতিশোধ নেয়া শেষ। ভেনিসার সাথে সুখের সংসার, সাথে দুষ্টের দমন, সব মিলিয়ে ভালোই চলছিল।  এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কারণে পাল্টে যায় সব হিসাব। নিজের মুখে স্বীকার না করলেও ডেডপুল অন্য এক্স-ম্যানদের (অন্তত যাদের দেখা পাওয়া যায় আর কী!) সাহচর্য পেতে যথেষ্ট উন্মুখ। তাই সে জোট বাঁধে কলোসাস এবং নেগাসনিকের সাথে। দেখা পায় কিশোর মিউট্যান্ট রাসেল ওরফে ফায়ারফিস্টের, যে কি না তার সাথে ঘটা অবিচারের প্রতিশোধ নিতে চায়।

এদিকে ভবিষ্যৎ থেকে বিশেষ এক উদ্দেশ্যে এসে হাজির হয় মিউট্যান্ট সুপার সোলজার ক্যাবল, শুরু হয় তার ধ্বংসযজ্ঞ। ক্যাবলের সাথে একা পেরে উঠতে না পেরে ডেডপুল সুপারহিরোদের নতুন দল বানায়, নাম দেয় এক্স-ফোর্স। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ট্রমাও তাকে বিভিন্ন সময় তাড়া করে ফেরে। এদিকে তার স্ত্রী আবার ঘুরেফিরে তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, তার মন পড়ে আছে ভুল জায়গায়। অবশেষে সে বুঝতে পারে, রাসেলকে তার ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বাঁচানোর পেছনেই লুকিয়ে আছে তার নিজের, ক্যাবলের; এমনকি রাসেলের নিজেরও অতীত এবং ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।

রায়ান রেনল্ডস বাস্তব জীবনেও ডেডপুলের মতোই রসিক; Image Source: Pinterest

তো কেমন হলো ‘ফ্যামিলি মুভি’ ডেডপুল টু? মুভির সেরা দিকগুলোর কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে সবার অভিনয়ের কথা। রায়ান রেনল্ডসের ব্যক্তিত্ব এমন যে, মনে হতে পারে তার জন্মই হয়েছে ডেডপুলে অভিনয় করার জন্য! তার সেন্স অফ হিউমার জানতে খুব বেশি কিছু দেখা লাগবে না, তার টুইটারের টুইটগুলোই যথেষ্ট। সাপোর্টিং ক্যাস্টও দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু এতগুলো চরিত্র থাকার কারণেই হয়তো পছন্দের কিছু চরিত্রের স্ক্রিনটাইম একটু কম হয়ে গেছে; বিশেষ করে ভেনিসা এবং উইজেলের।

ভেনিসা, যাকে ভবিষ্যতে ‘কপিক্যাট’ হিসেবেও দেখা যেতে পারে; Image Source: 20th Century Fox

প্রথম ডেডপুল মুভিতে এক ‘ওমেন’স ডে’ দৃশ্য ছাড়া ডেডপুলের প্যানসেক্সুয়াল স্বভাব খুব বেশি প্রকাশ পায়নি। কলোসাসের জানালার সামনে ‘সে অ্যানিথিং’ এর মতো রোমান্টিক ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে থাকা, ক্যাবলের সাথে বিশেষ কিছু দৃশ্য, সেই সাথে ইঙ্গিতপূর্ণ সংলাপ দিয়ে লেখকেরা প্রথম মুভির ঘাটতি পুরোদমেই পুষিয়ে দিয়েছেন।

হ্যাপি গো লাকি ওয়েড উইলসনকে বেশ কিছু ভারি ভারি ডায়লগ দিতে দেখা গেছে। ওভার দ্য টপ হিউমারের পাশাপাশি সিরিয়াস এলিমেন্টের কমতি ছিল না। এই ভিন্নধর্মিতা ডেডপুলের বেশ কিছু পাঁড় ভক্তকেও দ্বিধাবিভক্ত করেছে। পুরো মুভিতে ডেডপুলকে ছাপিয়ে গেছে ওয়েড উইলসন। প্রথম মুভির তুলনায় অনেক বেশি সময়েই তাকে দেখা গেছে কস্টিউম ছাড়া।

এর আগে অ্যা গুড ডে টু ডাই হার্ড, ট্রান্সফর্মারস: দ্য লাস্ট নাইটসহ ডেভিড লিচের জন উইক এবং অ্যাটমিক ব্লন্ডেতে কাজ করা সিনেমাটোগ্রাফার জোনাথন সেলা দারুণ কাজ দেখিয়েছেন। মশলাদার সংলাপ, রগরগে ভায়োলেন্স থাকলেও প্রথম ডেডপুলের মতো জম্পেশ সিজিআই ইফেক্ট দেখা যায়নি এবার।

তবে চমকপ্রদ অ্যাকশনের কোনো ঘাটতি পড়েনি সেজন্য। বর্তমানে জেমস ক্যামেরন, টেরি গিলিয়ামের মতো অনেক নামীদামী পরিচালকই সুপারহিরো ফ্যাটিগের কথা বলে থাকেন। হিরোদের অ্যাকশন কিংবা সুপারপাওয়ারে নতুন ধরনের কিছু না দেখিয়ে বারবার দর্শককে ভিন্ন মোড়কে একই জিনিস উপহার দেয়া হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। জন উইক কিংবা অ্যাটমিক ব্লন্ডের মতো অভাবনীয় না হলেও যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ ছিল ডেডপুল টু এর ফাইটিং কোরিওগ্রাফি।

জশ ব্রোলিন; Image Source: 20th Century Fox

প্রথম মুভিতেই ক্যাবলের আসার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। ভবিষ্যত থেকে আসা এই সুপার সোলজারের ভূমিকায় জশ ব্রোলিনের পারফরম্যান্স মুভির হাইপয়েন্টগুলোর একটি। তার অভিনয়কে পূর্ণতা দিয়েছে দুর্দান্ত ভিজুয়াল। কখনো টার্মিনেটর, কখনো লুপার মুভিকে মনে করিয়ে দিলেও অ্যান্টিহিরোপ্রধান মুভির আরেক অ্যান্টিহিরো হিসেবে ক্যাবল একেবারেই নিরাশ করেনি।

এছাড়া ডোমিনোর ভূমিকায় আটলান্টা সিরিজের জ্যাজি বিটস দারুণ ছিলেন। ডেডপুল মানতে না চাইলেও ডোমিনোর সুপারপাওয়ার দারুণ কিছু সিকোয়েন্সের উপহার দিয়েছে। সেই তুলনায় রাসেলের ভূমিকায় জুলিয়ান ডেনিসনকে কিছুটা অপ্রতিভ লেগেছে কিছু জায়গায়। মুভির আরেকটি হতাশা ছিল শক্তিশালী ভিলেনের অনুপস্থিতি। ব্ল্যাক টম ক্যাসিডি কমিক বইয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী চরিত্র। কিন্তু রেট রিজের সোজাসাপ্টা কথা, “ব্ল্যাক টম ক্যাসিডির সুপারপাওয়ার দেখাতে গেলে আরো বেশি বাজেটের প্রয়োজন। 

এবারের সাউন্ডট্র্যাকও ছিল আগেরটির মতোই উপভোগ্য। খ্যাতনামা শিল্পী সেলিন ডিওনের নতুন ব্যালে গান ‘অ্যাশেজ’ মুভি রিলিজের আগে যখন রিলিজ পেয়েছিল, তখন মুভির টোনের সাথে কিছুটা খাপছাড়া লাগলেও একেবারে ওপেনিং ক্রেডিটের সাথে একেবারে মানানসই হয়েছে। এক্স ফোর্সের মিশনের সময় এসি/ডিসির দুর্দান্ত ট্র্যাক ‘থান্ডারস্ট্রাক’ যে কারো অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে বাধ্য। টাইলার বেটসের অরিজিনাল ডেডপুল থিমের কিছুটা রিভাইজড ভার্সন ব্যবহৃত হয়েছে। তাছাড়া শেরের ‘ইফ আই কুড টার্ন ব্যাক টাইম’ কিংবা এয়ার সাপ্লাই এর ‘অল আউট অফ লাভ’ গানগুলোও পরিস্থিতির সাথে একেবারে খাপে খাপে মিলে গেছে।

ডেডপুল এবং তার এক্স-ফোর্স; Image Source: 20th Century Fox

তবে সত্য বলতে, সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে এর পোস্ট ক্রেডিট সিন। মার্ভেল ইউনিভার্সের ট্রেডমার্ক হলেও এর আগে কোনো মুভিতে এরকম সারপ্রাইজিং পোস্ট ক্রেডিট দেখা যায়নি, ভবিষ্যতেও দেখা যাবে বলে মনে হয় না। মেটা রেফারেন্সগুলো দিয়ে রায়ান রেনল্ডস এবং এক্স-মেন ইউনিভার্সকে ঘিরে বিভিন্ন সমালোচনার ইতি টেনে দিয়েছে ডেডপুল টু। আর পুরো মুভিটিই বলতে গেলে ওয়েড উইলসনের সুপারহিরো হবার পথে যাত্রা শুরু করার একটি ধাপ। 

এ পর্যন্ত মার্ভেলের প্রতিটি মুভিতেই ক্যামিও অ্যাপেয়ারেন্স দেয়া স্ট্যান লিকে ডেডপুল টু এর একটি টিজারে দেখা দিলেও মূল ছবিতে দেখা দেননি। তাছাড়া ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর‘ এর প্রাক্তন হিউম্যান টর্চ হিসেবে ক্রিস ইভান্সের একটি দৃশ্যে থাকার কথা ছিল। তবে তারপরও সেলিব্রিটি ক্যামিওর কমতি ছিল না। হিউ জ্যাকম্যান তো থাকবেন সেটা সকলের জানা তথ্য।

রায়ান রেনল্ডস কফি খাওয়ানোর কথা বলে প্রি-প্রোডাকশনের সময়ে ব্র্যাড পিটকে দিয়ে তার ক্যামিওর কাজটি করিয়ে নেন। পরে অবশ্য পিটের কফির কথা মনেই ছিল না! চেনা যায় না এমন এক লুক নিয়ে ছিলেন ম্যাট ডেমন, যাকে অনেকেরই চোখ এড়িয়ে গেছে। এন্ড ক্রেডিটে তার নামও দেয়া হয়েছে ‘ডিকি গ্রিনলিফ’, ‘ট্যালেন্টেড মিস্টার রিপ্লি’ মুভির রেফারেন্স দিয়ে। এক্স-মেন ইউনিভার্সের বেশ কয়েকজন সদস্যকে ক্ষণিকের জন্য দেখা গেছে, জ্যাভিয়ের অ্যাকাডেমিতে। বিশাল সিজিআই এর মধ্যে অনেকে হয়তো খেয়াল করেননি, কলোসাসের কন্ঠ কিন্তু রায়ান রেনল্ডসের নিজেরই দেয়া।

 এক্স-মেন ইউনিভার্স; Image Source: 20th Century Fox

সব মিলিয়ে একঘেয়ে সিক্যুয়েলের বদলে উত্তেজনায় ঠাসা আরেকটি মুভিই উপহার দিয়েছেন রায়ান রেনল্ডস অ্যান্ড কো। ১১০ মিলিয়ন বাজেটের মুভিটি ইনফিনিটি ওয়ারের সাথে পাল্লা দিয়ে আয় করে নিয়েছে ৭৩৪ মিলিয়ন ডলার। এদিকে, মার্ভেলের সাথে ডিজনির চুক্তি ডেডপুল থ্রি এর ওপরে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই জানিয়েছেন মার্ভেল প্রেসিডেন্ট কেভিন ফাইগি। অনেক ফ্যান আবার স্পাইডারম্যানের সাথে ডেডপুলের ক্রসওভার দেখতে চান! আপাতত সেটা সম্ভব না হলেও ডেডপুল থ্রি এবং এক্স-ফোর্সের মুভি আসা মোটামুটি নিশ্চিত। এই মেটা কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজের ভক্তদের এখন কেবল দেখার বিষয়, কোন দিকে এগোয় ডেডপুলের ইউনিভার্স।

IMDB: ৭.৯/১০

রটেন টমেটোস: ৮৩% ফ্রেশ

মেটাক্রিটিক: ৬৬/১০০

 

This article is in Bengali Language. It is a review of Deadpool 2, one of the most popular superhero movie of 2018. For references please check the hyperlinked texts in the article.

Featured Image: BossLogic

Related Articles

Exit mobile version