‘নেটফ্লিক্স’ নামের বিস্ময়ের সাথে সিরিজপ্রেমীদের পরিচয় না করেই দিলেও চলবে। আমেরিকান এই বিনোদনধর্মী প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছরে সিরিজপ্রেমীদের সিরিজের প্রতি তৃষ্ণা মেটাতে যে অসামান্য অবদান রাখছে, তা বলেও শেষ করার মতো নয়। একের পর এক অসাধারণ সিরিজ উপহার দিতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। তা-ও কি শুধু আমেরিকান সিরিজ? ব্রাজিলিয়ান, জার্মান, ইসরায়েলি ইত্যাদি ইত্যাদি বহু দেশের সিরিজ প্রচারে তাদের সুনাম এখন বিশ্বব্যাপী। আর জনরার কথা বলতে হলে, সাই-ফাই, থ্রিলার, ড্রামা, মিস্ট্রি, ক্রাইম, হরর সব জনরার সিরিজই তাদের ভাণ্ডারকে করেছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে এসবকে ছাড়িয়ে নেটফ্লিক্স নিজের যে অনন্য সাধারণ দিকটার জন্য বেশি জনপ্রিয়, তা হলো কিশোর ও উঠতি বয়সী তরুণদের গল্প নিয়ে নির্মিত সিরিজগুলোর সম্প্রচার।
আজ থেকে দেড় বছর আগে নেটফ্লিক্সের নিজস্ব সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ মুক্তি পাবার পরপরই দুনিয়াজুড়ে তুমুল সাড়া ফেলেছিল। সেই সিরিজের মূল চরিত্রে যারা অভিনয় করেছিলেন অর্থাৎ যাদেরকে ঘিরে সিরিজের গল্প প্রবাহিত হয়েছিল, তারা সবাই কিশোর-কিশোরী। মূলত সেই সিরিজটি দর্শকদেরকে এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে, ছোটদের নিয়ে নির্মিত সিরিজ শুধু ছোটদের দেখার জন্য যুতসই, এ ধারণা ভুল। আর তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই বছরের শুরুর দিকে নেটফ্লিক্স নিয়ে এসেছিল নতুন এক উন্মাদনা। আর আজকেই সেই উন্মাদনা জাগানো সিরিজ নিয়েই আলোচনা হতে যাচ্ছে।
♪I’m laughing on the outside
Crying on the inside
Cause I’m so love with you ♪
ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে মনমাতানো গান আর পর্দায় দেখা যাচ্ছে কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্য ছুঁইছুঁই করছে এমন এক বালককে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে খালি রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া এই বালক কিন্তু আর দশটা সাধারণ কিশোরের মতো নয়। কারণ কয়েক সেকেন্ড আগেই পর্দায় নিজেকে সাইকোপ্যাথ হিসেবে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই পরিচয় করিয়েছিল সে। ছেলেটির ভাষ্য থেকেই দর্শক জানতে পারবেন, ছেলেটির নাম জেমস, বয়স ১৭। থাকে বাবার সাথে এবং সে নানা রকম উদ্ভট ও বেশ অমানবিক কর্মকাণ্ড করে থাকে শুধুমাত্র নিজের মনের অদ্ভুতুড়ে সব ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে।
এরপর দর্শকদের পরিচয় করানো হবে অ্যালাইসার নামের একটি মায়াবী চেহারার মেয়ের সাথে। দেখতে মায়াবী হলেও, সেও জেমসের মতোই ব্যতিক্রমধর্মী। অন্যান্য মেয়েদের অনেক আচার-আচরণের সাথেই সে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না। চারপাশে ঘিরে থাকা মানুষ থেকে প্রকৃতি তার কাছে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তার বসবাস মা ও সৎ বাবার সাথে। এভাবেই বেশ কেটে যাচ্ছিল এই দুই ব্যতিক্রমী কিশোর-কিশোরীর দিনগুলো। তারপর একদিন সব পাল্টে যায়! আর সেখান থেকে শুরু হয় অন্য এক অধ্যায়ের!
এতক্ষণ এই বছরের শুরুর দিকে বেশ সাড়া জাগানো টিভি সিরিজ ‘The End of the F***ing World‘ এর কথা বলছিলাম। সিরিজের নাম শুনে কার কেমন অনুভূতি হতে পারে, তা জানা নেই। তবে এটুকু নিশ্চয়তা দেয়া যায় যে, সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে এই সিরিজটির গল্প বেশ শিক্ষণীয়। বর্তমান যুগে বিশ্বব্যাপী কিশোর-কিশোরীদের কথাই চিন্তা করে দেখুন। তারা কি সবাই খুব সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করে?
একজন ১৬-১৭ বছরের কিশোর অথবা কিশোরীর যেভাবে বেড়ে ওঠার কথা, তারা কি সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পথ ধরে হেঁটে যেতে পারছে? আজ থেকে দুই-তিন যুগ আগের কিশোর-কিশোরীদের সাথে এই প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের আকাশ-পাতাল তফাত। একে তো প্রযুক্তির সুদূর প্রসার, তার উপর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সীমাহীন তাণ্ডবলীলা। সব মিলিয়ে, আজকের ছেলেমেয়েরা অন্য এক বিভ্রান্তিকর জগতের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠছে।
জীবন সম্পর্কে তাদের হতাশামূলক অভিমত, জীবন নিয়ে তাদের চরম হতাশা ও দুনিয়াকে ঘিরে তাদের অশেষ ঘৃণা তাদের মন ও মস্তিষ্ককে এতটাই দুর্বল করে তোলে যে, নিজেরাই নিজেদের অধঃপতন ডেকে আনে নিজের অজান্তেই। আর এই সিরিজে হয়তো এমন দুজন কিশোর-কিশোরীর মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের এই বয়সী ছেলেমেয়েদের ও তাদের পরিবারকে সচেতন ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে উৎসাহিত করতে পারে। তাহলে চলুন, সিরিজটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
জেমস ও অ্যালাইসা নামের দুজন কিশোর-কিশোরীকে নিয়েই সিরিজটির গল্প এগিয়েছে। একই স্কুলে পড়ার সুবাদে তাদের একদিন পরিচয় হয়। কিন্তু তাদের সেই পরিচয়ে সাধারণ অথবা স্বাভাবিক এর কোনোটাই ছিল না। সাধারণত এই বয়সী দুটো ছেলেমেয়ের মধ্যকার ভালোবাসার গল্পে ‘প্রথম দর্শনেই প্রেম’ বলে যে ঘটনার মধ্যদিয়ে গল্পের সূচনা ঘটতে দেখা যায়, তাদের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই ছিল না।
প্রকৃতপক্ষে, তাদের গল্পটা শুরুর দিকে ঠিক ভালোবাসার গল্পও ছিল না। অনেকটা ‘স্বার্থপরতা’র রেশ ধরে একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠতায় জড়িয়ে পড়েছিল তারা। কিন্তু ধীরে ধীরে পরস্পরের সাথে পথ চলতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা ও ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে নানা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিল। আর সেগুলো তাদের দুজনেরই মন-মানসিকতা ও আবেগ-অনুভূতিতে এনে দিয়েছিল দারুণ পরিবর্তন। আরও সোজাসুজিভাবে বললে, জেমস ও অ্যালাইসা একে অপরের সান্নিধ্যে নতুনভাবে অন্য সত্তা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল।
সিরিজের প্রতি পর্ব নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আগে বরং জেমস ও অ্যালাইসা চরিত্র দুটো নিয়ে খানিকটা বিশ্লেষণ করে নেওয়া যাক। প্রথমেই আসা যাক, জেমসের কথায়। প্রায় ১৮ কাছাকাছি বয়স এই ছেলেটির। সে তার বয়সী অন্যান্য ছেলে থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার না আছে মাদকাসক্তি, না আছে খেলাধুলার প্রতি টান। এমনকি প্রেম অথবা মেয়েদের নিয়েও নেই কোনো আসক্তি। তার নেই কোনো জানের জিগরি কিংবা বেস্ট ফ্রেন্ড, নেই কোনো বন্ধুদল অথবা প্রেমিকা। রাতভর পার্টি অথবা দিনভর স্কুলে দুষ্টামি করে বেড়ানোতেও নেই কোনো আগ্রহ। সে নিজের তৈরি করে নেওয়া ভিন্ন এক জগতে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে জগতে নিজেই নিজেকে সাইকোপ্যাথ বলে গণ্য করে আর নিজেই নিজেকে রক্তের নেশায় আসক্ত এক খুনী হিসেবে ভাবতে ভালোবাসে।
কিন্তু এসবের পেছনে আসলে কারণ কী? সিরিজের যত গভীরে দর্শক প্রবেশ করবেন, দেখতে পাবেন যে, জেমস বেশ বড় রকমের মানসিক আঘাত ছোটকালে পেয়েছিল। তাই সে এমন ধ্যানধারণা মনে পোষণ করে বড় হয়েছিল। সাধারণত ছোটবেলায় কোনো দুর্ঘটনা অথবা খুব কাছের কাউকে হারানোর মতো ঘটনার সম্মুখীন হলে মানুষ সেই স্মৃতি আজীবন বয়ে বেড়ায়। আর জেমসের বেলায় ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। কিন্তু যখন সে অ্যালাইসার সাথে পরিচিত হয়ে উঠে ও তার সাথে অন্য এক দুনিয়ার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে, তখন সে নিজেকে আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে পারে। জেমসের বাবা নিজের সন্তানকে যে ভালোবাসা ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য দিতে অপারগ ছিলেন, একটা কিশোরী মেয়ে হয়তো সেটা দিতে পেরেছিল।
এখন আসা যাক অ্যালাইসা চরিত্রে। মেয়েটি ছোটকাল থেকেই বড্ড অবহেলা ও অনাদরে বড় হয়েছে। পরিবার যে অনাবিল আনন্দের আর সুখের জায়গা হয় সেটা সে কখনো নিজের পরিবারে পায়নি। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর নিজের বাবাকে তো সে চিরতরে হারিয়েই ফেলেছিল। এছাড়া নতুন বাবার সংসারে প্রতিনিয়ত নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে আসছিল। এমনকি আপন মাকেও পর মনে হতো তার।
মা আদৌ তাকে ভালোবাসেন কি না সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল তার। নিজের ছেড়ে যাওয়া বাবার প্রতি এক বুক অভিমান, মায়ের প্রতি ক্ষোভ ও সৎ বাবার প্রতি ঘৃণাই মেয়েটিকে করে তুলেছিল খিটখিটে মেজাজের। তাই সে ছিল দুনিয়ার উপর প্রচণ্ড বিরক্ত। আর জেমসের মধ্যে সে খুঁজে পেয়েছিল অল্প একটু সুখ ও নিজের বন্দিদশা থেকে মুক্তিলাভের সোনার কাঠি। মেয়েটি নিজেকে সারা জীবনেও এতটা বুঝে উঠতে পারেনি, যতটা সে জেমসের স্পর্শে আসার পর নিজেকে বুঝতে সক্ষম হয়েছিল।
এবার তাহলে সিরিজের পর্বগুলো সম্পর্কে অল্প করে জেনে আসা যাক।
পর্ব- ০১: প্রথম পর্বের শুরুটা জেমস ও অ্যালাইসার পরিচয় দেবার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এমনকি এই পর্বেই তারা পরস্পরের সাথে পরিচিত হয়। এই পর্বতেই তারা দুজনে নিজেদের ভিন্ন দুটো ইচ্ছা পূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে একসাথে বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
পর্ব- ০২: এই পর্ব থেকেই তাদের দুজনের রোমাঞ্চকর যাত্রার শুরু হয়েছিল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই পর্বেই জেমস ও অ্যালাইসা বাইরের দুনিয়া কতটা নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর প্রথমবারের মতো বুঝেতে পেরেছিল। একটি রেস্টুরেন্টে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এই পর্বে তুলে ধরা হয়।
পর্ব- ০৩: এই পর্বে তারা নিজের অজান্তেই এক ভয়াবহ অপরাধীর ফাঁকা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এই পর্বে প্রথমবারের মতো তাদের দুজনের মনে পরস্পরের প্রতি সত্যিকারের টান অনুভূত হতে থাকে। আর জেমসও অ্যালাইসার প্রতি ক্রমান্বয়ে মুগ্ধ হতে শুরু করে। তবে এই পর্বে তাদের মধ্যে একজনকে রক্ষা করতে মারাত্মক রকমের এক অপরাধ করে বসে অন্যজন। যার ফলে শুরু হয় তাদের নতুন এক ছুটে চলা ও পালিয়ে বেড়ানোর যুদ্ধ।
পর্ব- ০৪: এই পর্ব থেকে সিরিজের মধ্যে ক্রাইম থ্রিলারের স্বাদ পেতে শুরু করবেন। একদিকে জেমস ও অ্যালাইসার নিজেদেরকে বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে দুই নারী গোয়েন্দার তাদের খোঁজে অবিরাম ছুটে চলা। সিরিজের নতুন মোড় যেন এখান থেকে শুরু। এই পর্বে হুট করে জেমস ও অ্যালাইসার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটতেও দেখবে দর্শক।
পর্ব- ০৫: এই পর্ব মূলত তাদের দুজনের সত্যিকার রূপে কাছে আসার গল্পের সূচনা পর্ব। পরস্পর থেকে খানিকটা সময় আলাদা থেকে তারা দুজনেই উপলব্ধি করে যে, তারা দুজন যতই অদ্ভুত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হোক না কেন, তারা একে অন্যের জন্য। তাই নানা ঘাত প্রতিঘাত সামলে তারা আবার মিলিত হতে বাধ্য হয়।
পর্ব- ০৬: এই পর্বে জেমস ও অ্যালাইসার বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে, তারা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হলেও একে অপরের হাত ধরে সেসব পার করে এসেছিল। আরেকদিকে, সেই দুই নারী গোয়েন্দা তাদের আরও কাছাকাছি এগিয়ে আসছিল।
পর্ব- ০৭: এই পর্বে অ্যালাইসা তার বাবার দেখা পেয়ে একই সাথে আনন্দ ও বিস্ময় দুটোই অনুভব করছিল। এমন একজন বাবাকেই কি সে সারাজীবন চেয়ে এসেছিল? নিজের বাবার আসল চেহারা যখন তার সামনে আসতে শুরু করলো, ঠিক তখনো জেমস তার পাশেই ছিল।
পর্ব- ০৮: সিরিজের সবথেকে মর্মস্পর্শী পর্ব এটি। জেমস ও অ্যালাইসা একইসাথে এই পর্বে নানা কিছুর মুখোমুখি হয়। তাদের এতদিন ধরে জেনে আসা নিজ নিজ পরিবার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার অবসান থেকে শুরু করে একে অপরের প্রতি যে স্বার্থহীন ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে, এই পর্বে এসেই জানতে পারে তারা।
৮ পর্বের সেই সিরিজের সমাপ্তিটা কেন যেন আশানুরুপ হয়নি। তবে দ্বিতীয় সিজন আসার সম্ভাবনা থাকায় এখনো জেমস ও অ্যালাইসাকে আরও একবার নতুন রূপে টিভি পর্দায় দেখার প্রত্যাশায় আছে এর ভক্তরা। সিরিজটির কাহিনী কমিক রাইটার চার্লস এস. ফোর্সম্যানের একই নামের গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। সিরিজটির নির্মাতা জোনাথান এন্টউইসেল ২০১৩ এর দিকে ফোর্সম্যানের সাথে তার গল্পটি মুভি তৈরির ইচ্ছা পোষণ করলেও ২০১৭ এর দিকে এসে মিনি সিরিজ বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সিরিজটি এন্টউইসেলের সাথে লুসি চেমাইয়াক যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন। সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী, লেখিকা ও প্রযোজক চার্লি কোভেল। ডার্ক কমেডি জনরার এই সিরিজের প্রতি পর্বের ব্যাপ্তিকাল ১৯-২২ মিনিট করে। তাই বলা যায়, আড়াই বা পৌনে তিন ঘন্টার মুভি মনে করে এক বসায় সিরিজটিকে গোগ্রাসে গেলা যাবে বেশ নিশ্চিন্তে। সিরিজের অন্যতম আকর্ষণ এর সাউন্ডট্র্যাকগুলো। একেকটি গান যেন একেকটি শ্রবণ সুখের অনুষঙ্গ। আর মিউজিক কম্পোজার হিসেবে ছিলেন গ্রাহাম কোক্সন। জনপ্রিয় সাইট রটেন টমেটোসে ৪১টি রিভিউয়ের ভিত্তিতে সিরিজটি ৯৮% রেটিংপ্রাপ্ত হয়েছে।
ফিচার ইমেজ- UW Daily