Water, Earth, Fire, Air. Long ago, the four nations lived together in harmony. Then everything changed when the fire nation attacked…
এভাবেই শুরু হয় একসময়ের টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ অ্যাভাটার: দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার এর প্রতিটি পর্ব। এই অ্যানিমেটেড ধারাবাহিকটি জাপানী অ্যানিমের গঠন কাঠামো, আমেরিকান কার্টুনের রেনেসাঁ যুগের নির্মাণশৈলী এবং এশিয়া মহাদেশের আদি আমেরিকান জনগোষ্ঠীর জীবনের একটি অসম্ভব সুন্দর মিশ্রণ।
সিরিজটি কার্টুন চ্যানেল নিকেলোডিয়ানে প্রচার করা হয় আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত তিন বছরে ২০ পর্বের ৩টি সিজনে। এটি ২০০৫-০৮ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক ছিল।
যেভাবে সব শুরু হলো
২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো প্রচারিত হলেও অ্যাভাটার: দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার সিরিজটির পটভূমি রচনা হয়ে গিয়েছিল ২০০১ সালেই। আমেরিকান অ্যানিমেশন নির্মাতা মাইকেল দান্তে ডিমারটিনো এবং ব্রায়ান কনিয়েটজকু যৌথভাবে সিরিজটি পরিচালনা করেন। খুব হঠাৎ করেই তারা এই অন্যতম জনপ্রিয়, যাকে বলা হয় কার্টুন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মুক্তি/ আত্মশুদ্ধির কাহিনী, তা রচনা করে ফেললেন।
২০০১ সালে নির্মাতা কনিয়েটজকু একটি ছবি আঁকেন। ছবিতে দেখা যায় মাথা মোড়ানো এক বুড়ো লোক, যাকে দেখতে বাচ্চাদের মতো লাগে, সে আকাশে বাইসন চড়াচ্ছে। বাইসন হলো এক জাতের বন্য ষাঁড়, যাদের শরীরে থাকে বেশ বড় বড় লোম ও তাদের পিঠ থাকে উপরে উঁচানো। ছবিটি তিনি দেখান মাইকেল দান্তে ডিমারটিনোকে। তার মাথায় তখন চলছিল দক্ষিণ মেরুতে আটকে থাকা কিছু লোকের চিন্তা, যা তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্রে দেখেছিলেন।
এই দুই চিন্তা মিলে তারা ভাবলেন, এই বাইসন চড়ানো লোকটির সাথে দক্ষিণ মেরুতে আটকে থাকা লোকদের যোগসূত্র আছে। এবং বরফের বিপরীত যেহেতু আগুন, অন্যদিক থেকে কিছু লোক আগুন দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার করছে। এই হ-য-ব-র-ল চিন্তাকে তারা নিকেলোডিয়নের নির্বাহী পরিচালক এরিক কোলম্যানকে দেখালে তারা একটি অ্যানিমেটেড সিরিজ তৈরির পরিকল্পনা করেন।
পটভূমি ও কাহিনী সংক্ষেপ
লেখার শুরুতে যে কথাগুলো দেয়া আছে, বলতে গেলে এটিই এই গল্পের সারসংক্ষেপ। আমাদের পৃথিবীতে দেশগুলো ভাগ করা আছে ভৌগোলিক সীমারেখা দিয়ে। কিন্তু অ্যাভাটার সিরিজের পৃথিবীতে দেশ ভাগ করা আছে চারটি প্রাকৃতিক মৌলিক উপাদান দিয়ে- বাতাস, মাটি, পানি ও আগুন।
প্রত্যেকটি দেশ এই ৪টি মৌলিক উপাদানের যেকোনো একটি দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন, বায়ু দ্বারা পরিচালিত হয় এয়ার নোমেডরা, পানি দ্বারা পরিচালিত হয় উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর আদিবাসীরা, মাটি দ্বারা পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আর্থ কিংডম এবং আগুন দ্বারা পরিচালিত হয় একনায়কতান্ত্রিক ফায়ার নেশন।
সিরিজটি যখন শুরু হয়, তখন এই পৃথিবীতে চলছে যুদ্ধ। একনায়কতান্ত্রিক ফায়ার নেশন অবতারের শাসনকে তোয়াক্কা না করে নিজেই সমগ্র বিশ্বের অধিপতি হতে চায়। তাই সামরিক শাসনের মাধ্যমে সে অন্যান্য দেশে (যেমন আর্থ কিংডম, এয়ার নোমেডদের দেশ ও ওয়াটার ট্রাইব) উপনিবেশ তৈরি করে। পৃথিবী যখন এমন একরোখা আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে, তখন সবাই প্রতীক্ষা করছে কখন শেষ অবতার আসবেন এবং তাদেরকে স্বৈরাচার থেকে মুক্তি দেবেন।
এখানে অ্যাভাটারের ভূমিকা কী?
অ্যাভাটার বা বাংলায় অবতার এমন একজন মানুষ যার উপর স্বর্গীয়, অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা আরোপ করা হয়। যার কাজ থাকে দুঃখ, দুর্দশায় জড়িত মানুষকে মুক্ত করা। এই সিরিজের মূল চরিত্র, অ্যাংই হলো সর্বশেষ অবতার। তার পূর্বেও অনেক অবতার এসেছিলেন। তাদের জীবনকাল শেষ হওয়ার পর প্রত্যেক অবতার তার পরের অবতারের মাধ্যমে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন। অর্থাৎ, অবতার একজনই, কিন্তু তিনি ভিন্ন ভিন্ন দেহে, ভিন্ন ভিন্ন দেশে জন্ম নেন।
অ্যাং ১২ বছরের একটি বালক। সে থাকে দক্ষিণ বায়ু মন্দিরে, অন্যান্য এয়ার নোমেড বা সাধুদের সাথে। একদিন সে জানতে পারে তাকে পরবর্তী অ্যাভাটার বানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী সাধকরা তাকে প্রশিক্ষণও দেয়। কেন অ্যাংকেই অ্যাভাটার করা হয়েছে তার কোনো কারণ এই সিরিজে ব্যাখ্যা করা হয়নি।
বেন্ডিং
এই সিরিজে যতরকম সংঘর্ষ হয়েছে, সব হয়েছে বেন্ডিংয়ের মাধ্যমে। বেন্ডিং হলো চীনা মার্শাল আর্টস বা কারাতের একটি টেলিকাইনেটিক বা সাইকোকাইনেটিক ভাগ। এর অর্থ হলো, এই বিশেষ কারাতে পদ্ধতির মাধ্যমে অন্তঃশক্তি দিয়ে মানুষ বাহ্যিক কোনো বস্তুকে স্পর্শ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই সিরিজে প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক উপাদানটি এই বেন্ডিং পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন, অ্যাং যেহেতু বায়ু মন্দিরের সন্ন্যাসী, তাই সে এই পদ্ধতিতে বায়ুর গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কিন্তু অবতার হতে হলে একজনকে ৪টি উপাদানই বেন্ড করতে জানতে হবে। দেখলে মনে হবে যে শুধুই বাতাসে হাত-পা ছুঁড়ছে, কিন্তু প্রত্যেকটি উপাদানের বেন্ডিং একটি বিশেষ চীনা মার্শাল আর্টসের নিয়ম মেনে করা হয়েছে। এজন্য খোদ চীনা মার্শাল আর্টসের গুণী ব্যাক্তিদের নিয়োগ করেছেন ডিমারটিনো ও কনিয়েটজকু।
এখন চলুন দেখি প্রতিটি বেন্ডিংয়ের সাথে কোন কোন মার্শাল আর্টস পদ্ধতি মেলানো হয়েছে।
তাই চি
ওয়াটার বেন্ডিং বা পানি নিয়ন্ত্রণের কৌশলটি এসেছে চীনা মার্শাল আর্টসের তাই চি চুয়াং বা তাই চি থেকে। তাই চি-তে বিশ্বাস করা হয় কোনো বস্তুর উপর বল বা জোর প্রয়োগ করলে সে বস্তুটিও একটি বিপরীত বল প্রয়োগ করবে। এই দ্বিমুখী বলের কারণে কোনো একপক্ষের অবশ্যই ক্ষতি হবে। তাই চি-তে বিশ্বাস করা হয় সবকিছুকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়াই উত্তম।
পানির সাথে তাই তাই চিকে মেলানো হয়েছে। পানিতে বল প্রয়োগ করলে এর ফল কিছুই হবে না। তাই পানির গতিবেগের সাথে ওয়াটার বেন্ডাররা নিজেদের গতি মিলিয়ে ফেলেন, পানির স্রোতের সাথেই নিজের হাতের, পায়ের গতি-ভঙ্গি বদলান। একসময় যখন পানির শক্তি ফুরিয়ে আসে, তখন তারা পানির গতিকে নিজেদের ইচ্ছামতো বদলাতে সক্ষম হন। সকল বেন্ডিংয়ের লক্ষ্য এটিই- কী করে প্রাকৃতিক উপাদানের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ওয়াটার বেন্ডারদের মূল শক্তির উৎস চাঁদের আলো।
খুয়াং কার বা নান চুয়ান
তাই চি যেখানে একটি অন্তর্মুখী মার্শাল আর্ট কায়দা, খুয়াং কার বা নান চুয়ান হলো একটি বাহ্যিক কায়দা। অর্থাৎ এখানে পেশি শক্তিই মূল। এখানে তাই চিয়ের মতো ধীরে ধীরে নয়, বরং খুব দ্রুত মানুষ তার অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে। এখানে শক্তিটি আসে কোমর থেকে। প্রচণ্ড গতির সাথে অঙ্গভঙ্গি বদলানো এবং পেশী ও কব্জি চালনা করাই খুয়াং কার পদ্ধতি।:
অ্যাভাটার দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডারে খুয়াং কার পদ্ধতি অনুসরণ করেন আর্থ বা মাটির বেন্ডাররা। হাতের, কোমরের ও ক্ষেত্রবিশেষে পায়ের শক্তি দিয়ে তারা মাটি বা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। এই পদ্ধতিতে লাথি বা বায়ুর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। আর্থ বেন্ডারদের উত্তরসূরি বলা হয় কাল্পনিক একজাতীয় অন্ধ, বৃহৎকার স্তন্যপায়ী প্রাণীদেরকে যারা পথ খোঁজার জন্য প্রথম মাটি বেন্ড করে।
উত্তরীয় সাওলিন পদ্ধতি
আগুন বা ফায়ার বেন্ডিংয়ের পদ্ধতিটি নেয়া হয়েছে আরেকটি চীনা মার্শাল আর্টস উত্তরীয় বা নর্দার্ন সাওলিন টেকনিক থেকে। সাওলিন মার্শাল আর্টস টেকনিকের দুটি ভাগ রয়েছে- উত্তর ও দক্ষিণ। দক্ষিণভাগে হাতের সঞ্চালন হয় বেশি আর উত্তরের ভাগে হয় পায়ের ব্যবহার। দক্ষিণ বা সাউদার্ন স্টাইলে হাতের মাধ্যমেই বড় বড় আক্রমণ করা হয়। আর এই পদ্ধতিতে প্রাণীদের শব্দও ব্যবহার করা হয়। সাওলিন পদ্ধতিতে প্রাণীদের শক্তিকে নকল করার চেষ্টা করা হয়। যেমন- সাওলিন পদ্ধতির একটি জনপ্রিয় অঙ্গভঙ্গি হলো বাঘের থাবা বা টাইগার ক্ল।
ফায়ার বেন্ডাররা ব্যবহার করে নর্দার্ন স্টাইলটি। অর্থাৎ, এখানে আছে বড় বড় পদক্ষেপ, লাথি, চাবুকের মতো মাটিতে পা দিয়ে ঘোরা। পায়ের চলাচলের সাথে এখানে হাতকে মেলানো হয়। পা আগে যায় এবং হাত তা অনুসরণ করে। এখানে কোনো প্রাণীর শব্দ করা হয় না। তবে এখানে ঘোড়ার পদক্ষেপ বা হর্স স্টেন্স ব্যবহার করা হয়। ফায়ার বেন্ডিংয়ের উত্তরসূরি ধরা হয় আগুন উদগীরণকারী ড্রাগনদের।
পা কুয়া চাং
এয়ার বেন্ডিংয়ের কায়দা নেয়া হয়েছে পা কুয়া চাং থেকে। এটি চীনা মার্শাল আর্টসের আরেকটি ভাগ ‘ও তাং’ স্কুল থেকে উদ্ভূত পদ্ধতি। এটি তাই চিয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই অর্থে যে এখানেও বিশ্বাস করা হয় যে প্রকৃতি তার নিজের গতিতেই চলবে, এর উপর বল প্রয়োগ করে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
পা কুয়া চাংয়ের অর্থ ‘পরিবর্তন’। প্রকৃতির কিছুই স্থিতিশীল নয়, সদা চলমান। তাই পা কুয়া চাংয়ের মতে, কয়েকটি বাঁধাধরা, শেখানো মার্শাল আর্টস পদ্ধতি দিয়ে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে না। একজন পা কুয়া চাং অনুসারীকে বিপক্ষের অন্তঃস্থলে প্রবেশ করতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম বুঝতে হলে প্রকৃতিকে যেমন আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হয়, পা কুয়া চাংয়েও বিপক্ষ শক্তিকে পর্যবেক্ষণ করে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে তা বুঝে নিতে হবে।
এখানে চেষ্টা করা হয় কী করে, সবচেয়ে কম ক্ষতি ও বল প্রয়োগ করে একটি অবস্থাকে নিজের অনুকূলে আনা যায়। সোজা কথায়, অন্যের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বিপরীত দিক থেকে বিপক্ষকে কাবু করে ফেলা।
অ্যাং যেহেতু বায়ুর গতি নিয়ন্ত্রণ করে, তাই তার দখলে রয়েছে পা কুয়া চাং টেকনিকটি। বাতাসের গতিপথ কী হতে পারে তা বুঝতে হলে দরকার বাতাসের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা। মাটি, আগুন ও কিছু মাত্রায় পানিও স্থির থাকে। কিন্তু বায়ু সদা বহমান। অ্যাংকে দেখা যাবে কয়েকটি অঙ্গভঙ্গি করতে, যেমন গোলচক্কর দিয়ে হাঁটা, ঘুরে ঘুরে, সাপের মতো একেবেঁকে হাঁটা, যা পা কুয়া চাংয়ের জনপ্রিয় মার্শাল আর্ট টেকনিক। এয়ার বেন্ডিংয়ের উত্তরসূরি ধরা হয় কাল্পনিক উড়ন্ত বাইসনদের।
শুরু হয় একটি রোমাঞ্চকর অভিযান
২০ পর্বের ৩টি ভাগের এই চমৎকার সিরিজটি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখার মতো একটি অ্যানিমেটেড সিরিজ। এটি তৈরি করা হয়েছে ৮ থেকে ১১ বছরের বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু এটি মোটেই শুধু বাচ্চাদের গল্প নয়। একদল কিশোর-কিশোরী তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোতে কীভাবে অন্যায় ও অবিচার রোধ করতে করতে যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যায় তা অসাধারণ ধারাবাহিকতার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।
এতে এত বহুমুখী চরিত্র রয়েছে যে সবার পরিচয় এখানে দেয়া সম্ভব নয়। উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে আছে ওয়াটার ট্রাইবের কাটারা ও তার ভাই সাকা, আর্থ কিংডমের টাফ এবং এই সিরিজের আরেকটি অন্যতম চরিত্র ফায়ার নেশনের রাজপুত্র জুকো ও তার চাচা জেনারেল আইরো। সিরিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি চরিত্র ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যাকে নির্মাণশৈলীর ক্ষেত্রে বলা হয় ক্যারেক্টার বিল্ডিং।
প্রতিটি পর্বে থাকে একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও কাঠামো, যোগ হতে থাকে নতুন নতুন চরিত্র। চীনা দর্শন, বৌদ্ধ শাস্ত্র ও জাপানী এনিমের গঠন মিলে মিশে এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক মৈত্রী করেছে এই সিরিজে।
২০১০ সালে আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এম নাইট শ্যামালান সিরিজটির উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নাম দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার। চলচ্চিত্রটি সিরিজের মতো নাম করতে পারেনি। উপরন্তু, অনেক দর্শক একে জেমস ক্যামরনের ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র অ্যাভাটার এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। নামের মিলের কারণে অধিকাংশ মানুষ জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার মুভির কথা জানলেওঅ্যাভাটার দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডারের কথা জানেন না।
তাই আপনিও যদি না দেখে থাকেনঅ্যাভেটার দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার, তাহলে আজই দেখে ফেলুন!
Feature Image: geneyang.com