১৯৬০ সাল, বিশেষ আবেদন রাখে হরর সিনেমার ভক্তদের মাঝে। এ সময়ের গ্রেট বা ক্লাসিক হিসেবে সমাদৃত হিচককের ‘সাইকো’ কিংবা মাইকেল পাওয়েলের ‘পিপিং টম’ মুক্তি পায় সে বছরই, যে দু’টি সিনেমাই ভয়ের নতুন সংজ্ঞা দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। তবে এই দু’টির আড়ালে পড়ে যাওয়া, ইটালিয়ান হরর মাস্টার মারিও বাভার গথিক ক্লাসিক ‘ব্ল্যাক সানডে’ পূর্ণ যোগ্যতা রাখে ‘সাইকো’ এবং ‘পিপিং টম’-এর পাশাপাশি উচ্চারিত হওয়ার।
খুব কাছের বিশ্বাসযোগ্য মানুষটি, ঘাড়ের উপর যার নিঃশ্বাসে স্বস্তি পাওয়া যায়, সেই মানুষটিই হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে বড় ভীতির; এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হিচকক আর মাইকেল পাওয়েল হরর জনরায় আমূল পরিবর্তন আনেন ভয়কে ‘ক্লোজার টু-হোম’ রূপ দিয়ে। অন্যদিকে ‘ব্ল্যাক সানডে’ সিনেমায় বিপরীতটাই করেন মারিও বাভা, স্বপ্নিল ও কল্পকথামূলক সাহসী এক জগত তৈরির মধ্য দিয়ে। যুগান্তকারী প্র্যাক্টিক্যাল ইফেক্টস ব্যবহার করে পর্দায় হররের রূপায়নকে আরো অভিঘাতী করে তোলেন বাভা।
সুরিয়াল এবং শকিং ইমেজারিতে ঠাসা এই সিনেমার প্রারম্ভিক দৃশ্যটিই পুরো সিনেমার মেজাজ তৈরি করে দেয়। এবং এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট মারিও বাভার কারিগরি দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে। সিনেমার নির্মাণকাল অনুযায়ী দৃশ্যটা দারুণ ভয়ের। এই সিনেমা সপ্তদশ শতাব্দীর মোলদাভিয়ার প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরেছে। ভয়েসওভার ন্যারেশানে শোনা যায়, শয়তান নেমে এসেছে পৃথিবীতে এবং তার অনুসারীদের ‘ভ্যাম্পায়ার’ নামে চিহ্নিত করা হয়। কোনোরূপ ক্ষমা প্রদর্শন করা হচ্ছে না তার অনুসারীদের প্রতি। শয়তানের অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করার এই অভিযানে ভাই ভাইকে চিনছে না, পিতা পিছপা হচ্ছে না তার কন্যাকে শাস্তি দেওয়ার পথ থেকে। তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণই মেলে সিনেমার এই প্রারম্ভিক দৃশ্যটিতে, যেখানে দেখা যায়; জাদুবিদ্যার চর্চা করার অপরাধে ডাকিনী আসা ভাইদা আর তার প্রণয়ীকে মৃত্যুর বিধান দেয় স্বয়ং আসা ভাইদার ভাই।
আসাকে একটি ধাতব মাস্ক পরানো হয়, যার ভেতরের পুরো অংশেই রয়েছে তীক্ষ্ণ গজাল। মাস্ক পরানোর পর হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করা হবে তাকে। তবে তার আগে শয়তান বা স্যাটানের আদ্যাক্ষর ‘এস’ (লোহার তৈরি) আগুনে উত্তপ্ত করে সিল মেরে দেওয়া হয় আসার পিঠে। সেই মুহূর্তে আসা অভিশাপ প্রদান করে পুরো গ্রামবাসীর উপর। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় আগুনে শরীর পুড়িয়ে। তবে তাতে বিঘ্ন ঘটে প্রবল বৃষ্টির তোপে, যার কারণে কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রামবাসীরা প্রক্রিয়া অর্ধসম্পন্ন রেখেই পালাতে বাধ্য হয়। হাই-কন্ট্রাস্টে করা সাদাকালো এই দৃশ্য আদিম এক অনুভূতি দেয়। ছোটবেলার ভূতের গল্প শুনে ভয় পাওয়ার একাকী সেসব অন্ধকার রাতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আসা ভাইদাকে ধাতব সেই মাস্ক পরিয়ে দেওয়ার মুহূর্তে মারিও বাভা দর্শককে ‘শিকার এবং শিকারি’ উভয়ের অবস্থানে বসিয়ে দেন।
দর্শক মাস্কের ভিউ থেকে তার শিকারকে দেখতে পায় আবার শিকারের চোখ থেকে সেই শিকারি অর্থাৎ ধেয়ে আসা গজালওয়ালা মাস্ক দেখতে পায়। এ দৃশ্যে বর্বরতার সাক্ষী হওয়ার সাথে আসা ভাইদার মোহনীয় রূপকে ব্যবহার করে একটা কামুক অনুভূতি জাগানো হয়। এই দ্বান্দ্বিক দুই অনুভূতি দৃশ্যটাকে ঘিরে ফ্রয়েডের সাইকোঅ্যানালাইসিসের জায়গা তৈরি করে দেয়। সেসব বাদ দিয়েও সহজভাবে এই দৃশ্য নিয়ে আলোচনায়, এটাকে বাভার বাকি সব সিনেমার ‘প্রস্তাবনা’ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। ভায়োলেন্সের প্রাথমিক চর্চা ও এর উৎসকে দেখানো এবং বাকি সময়ে সেসবের ফলাফল সামনে আসা; এই দাগে তার বাকি সিনেমাগুলোকেও আনা যায়।
সিনেমার মূল গল্প শুরু হয় ২০০ বছর পর থেকে, উনিশ শতকে। দুই ডাক্তার তাদের মেডিকেল কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পথিমধ্যে তাদের বাহনে গোলযোগ দেখা দেয়। তা ঠিক করার সময়টাতে দুই ডাক্তার আশপাশটায় ঘুরে দেখতে গিয়েই একটি প্রাচীন প্রাসাদে ঢুকে পড়ে। প্রাসাদে তারা আসা ভাইদার ২০০ বছর পুরোনো সেই লাশটি আবিষ্কার করে, সংরক্ষিত অবস্থায়। ভুলক্রমে দুই ডাক্তারের একজন সংরক্ষিত কফিনের গ্লাসটি ভেঙে ফেলে এবং আসা ভাইদার মাস্কটিও সরিয়ে ফেলে।
দুর্ঘটনাবশত, গ্লাসে হাত কেটে তার হাতের কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে লাশের উপর। জাদুবলে তাতেই জীবনীশক্তি ফিরে পায় আসা ভাইদা। এদিকে, প্রাসাদ থেকে বেরুতে গিয়ে দুই ডাক্তারের সাক্ষাৎ হয় প্রিন্সেস কাটিয়া ভাইদার সাথে, যে কিনা দেখতে অবিকল আসা ভাইদার মতো। ভাইদা বংশের শেষ উত্তরাধিকারী সে। কাটিয়া ভাইদা দুই ডাক্তারকে তার পরিবার ও তাদের ভুতুড়ে গ্রামের গপ্পো বলে চলেছে। ওদিকে ডাইনী আসা ভাইদা তার প্রেমিককে পুনঃরায় জাগিয়ে তুলছে, গ্রামবাসীর উপর প্রতিশোধপর্বের আয়োজনে নামতে।
হরর ও জিয়ালো থ্রিলারের জন্য অধিক পরিচিত হলেও, মারিও বাভা; স্পাঘ্যাটি ওয়েস্টার্ন, সোর্ড এন্ড স্যান্ডেল এপিক, বন্ড স্টাইলের স্পাই থ্রিলার সহ সেসময়ের জনপ্রিয় সব জনরাতেই তার পদচারণা রেখেছেন। খুব কম বাজেট আর সীমত উপাদানের গণ্ডিকে বাভা অতিক্রম করতে পেরেছেন তার অনন্য সব ইমেজারির শক্তিতে। ইমেজারির সাথে জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের অনুপ্রেরণায়, খুব এক্সপ্রেশনিস্টিক লাইটিং আর কালারের ভিন্ন ব্যবহার দিয়ে স্বকীয় এক স্টাইল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বাভা ইমেজারি তৈরিতেই সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে দীর্ঘদিন থাকার প্রভাবটা তার এই আবেদনে পরিষ্কার।
তিনি শটগুলোকে কম্পোজ করতেন একজন চিত্রশিল্পীর দৃষ্টিকোণ থেকে, আর লাইট ও কালার ব্যবহার করে সেই শটগুলো নিয়ে নিরীক্ষা করতেন। আলো, ছায়া, রঙ আর চরিত্রের গতিবিধি নিয়েই তার কাজ। একইসাথে বহুমাত্রিক অনুভূতিকে একীভূতকরণে চলচ্চিত্র মাধ্যমের যে ক্ষমতা, বাভা তার কাজগুলো দিয়ে তাতে আরোহণের চেষ্টা করেছেন বারবার। এবং এই চেষ্টা তার উপাদানের সীমাবদ্ধতার জায়গাটিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে কাজ করছে। বাভার ফিল্মমেকিং স্টাইলকে তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন মার্টিন স্করসেসি, কুয়েন্টিন টারান্টিনো, ডেভিড লিঞ্চ, জন কার্পেন্টার, টিম বার্টনের মত গ্রেট পরিচালকেরা।
বহুমাত্রিক অনুভূতির একীভূতকরণে বাভা বিস্ময় এবং ভয়- দু’টি অনুভূতি নিয়েই বেশি কাজ করেছেন এবং সেই ভিত বাভার এই অভিষেক সিনেমা থেকেই তৈরি হয়েছে। রাশিয়ান হরর নোভেল ‘ভ্যি’ এর উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে ‘ব্ল্যাক সানডে’র চিত্রনাট্য। এই সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করতে গেলে- অভিশাপ, পুনরুত্থান, মায়াবিদ্যার মতো কিছু বিষয়াদি চোখে পড়ে, যেগুলো সময়ের প্রবাহে আজ জেনেরিক অলঙ্কারে পরিণত হয়েছে। অবশ্য এসব অলঙ্কারই একদিক থেকে ‘ব্ল্যাক সানডে’ সিনেমাকে ক্লাসিকের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
তবে সিনেমায় কাটিয়া এবং আন্দ্রের মাঝে সৃষ্ট প্রেমময় কোণটাকে পুরোপুরি অযাচিত মনে হয়। তাদের সম্পর্কটা সেভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি, যার কারণে আন্দ্রের কড়া আবেগতাড়িত আকুতি কোনোরকম অনুনাদ জাগাতে ব্যর্থ হয়। এই কোণটাকে ‘ড্রাকুলা’ উপন্যাসের প্রতি হালকা একটা নড হিসেবেই ধরা যায় শুধুমাত্র।
‘ব্ল্যাক সানডে’ পুরোপুরি আবহনির্ভর হরর সিনেমা। মারিও বাভা চেয়েছেন বিস্ময় জাগানোর মতো কড়া আবহ তৈরি করতে এবং সেই কাজে তিনি পুরোপুরি সফল। তিনি দর্শককে ভয় দেখাতে চাননি, পুরো পরিবেশটায় সম্মোহিত করে রাখতে চেয়েছিলেন। আলো এবং অন্ধকারকে পাশাপাশি রেখেই পুরো আমেজটা তৈরি করেছেন তিনি। হাই কন্ট্রাস্টের ব্যবহার করেছেন। পর্দার আতঙ্কিত অবস্থাকে তুলে ধরতে ক্রমাগত জুমিং আর প্যানিং’য়ে বাভার ক্যামেরাকে অস্থির ও সর্বদা তটস্থ থাকা একজন পর্যবেক্ষক মনে হয়েছে। আর চিত্রানুগ ভিজ্যুয়াল সিনেমার আউটলুকে একটা স্বপ্নিল ভাব এনে দিয়েছে। সিনেমার প্রথম দৃশ্যে কুয়াশাচ্ছন্ন ও রহস্যময়ী যে আমেজ ছেয়ে ছিল, বাকি সময়েও তাই ছিল।
আর সেটার জন্য সিনেমার চমকপ্রদ সেট ডিজাইন ও লোকেশন আলাদা করে প্রশংসিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে। গোপন কুঠুরি আর গুপ্ত দরজার সেই প্রাচীন প্রাসাদ, চাঁদের আলোয় জ্বলজ্বলে করে উঠা সমাধিস্থল, গাছের প্রকান্ড সব শাখাপ্রশাখা, কুয়াশায় ভারি অন্ধকার রাতের ভূতুড়ে সেসব জঙ্গল নিখুঁতভাবে গা ছমছমে গথিক পরিবেশ তৈরি করেছে, যার ভালো অনুকরণ পাওয়া যায় টিম বার্টনের ‘স্লিপি হোলো’ সিনেমায়।
ভায়োলেন্স, গোর, যৌনতার জন্য এই সিনেমা সেসময় খুব বিতর্কের জন্ম দিলেও এসময়ে অনেকটা সেকেলেই মনে হয়। তবে প্র্যাক্টিক্যাল ইফেক্টস এসময়ের দর্শকের কাছেও প্রভাবসম্পন্ন হয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট। আসা ভাইদার প্রেমিকের কবর খুঁড়ে উঠে আসার দৃশ্য, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ঘোড়ার গাড়ির ছুটে চলার সেই দৃশ্য, আগুনে পুড়ে যাওয়া মুখের সেই ক্লোজ আপ দৃশ্যটি কিংবা আসা ভাইদার জীবনীশক্তি ফিরে পাওয়ার সময়ে কঙ্কালদেহে পুনরায় চামড়া আসার সেই দৃশ্যে প্র্যাক্টিক্যাল ইফেক্টস এর যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা এখনকার দর্শককে যেভাবে অবাক করে, সেই অভিব্যক্তি থেকে সেসময়ের দর্শকরা এসব দৃশ্যে কতখানি তাজ্জব বনে গেছে সেটা আন্দাজ করা খুব কঠিন নয়। বর্ণিত দৃশ্যগুলোর মতো এমন অনেক অনেক স্মরণীয় দৃশ্যে ভরপুর সিনেমাটি।
নিগূঢ় আমেজ আর ভায়োলেন্স সমৃদ্ধ হরর সিনেমায় পুরোপুরি ভিন্ন আর স্বকীয় যে আবেদন বাভা রেখেছেন, তা দৃশ্যায়মান এসব দৃশ্যগুলোতে। তবে সিনেমার সম্মোহন ক্ষমতা কিছুটা হলেও ফিকে মনে হতো, যদি বার্বারা স্টিল না থাকতেন। স্টিলের সেই চওড়া মুখ, ক্যাথরিন হেপবারনের মতো চীকবোন, পোর্সিলিনের মতো চামড়া আর তীক্ষ্ণ সেই চোখজোড়া এমন এক সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করে, যা একইসাথে পারলৌকিক এবং আকৃষ্ট করার মতো। ডাকিনী এবং কুমারী দ্বৈত চরিত্রে তার অভিনয়শৈলী আর মোহনীয় রূপ, বিমোহিত করার সবরকম ক্ষমতা রাখে।
বাভার ফিল্মোগ্রাফি নাড়াচাড়া করলে কিছু বিষয়াদি খুঁজে পাওয়া যাবে, যা তিনি ঘুরেফিরে তার প্রতিটা সিনেমাতেই এনেছেন। প্রতারণামূলক প্রকৃতি, ধ্বংসাত্মক মানব আচরণের বিষয়গুলো সূক্ষ্মভাবে উপস্থিত থাকে তার সিনেমায়। কোনো এক সদস্যের প্রতারণায় পুরো পরিবারে ধস নেমে আসার বিষয়টি এই সিনেমা ছাড়াও ‘ব্ল্যাক সাবাথ’ (১৯৬৩), ‘কিল বেবি কিল’ (১৯৬৬) এর মতো তার পরবর্তীকালের সিনেমাগুলোয় উঠে এসেছিল। তবে সেই সিনেমাগুলোতে স্টাইলের ক্ষেত্রে বাভাকে আরো অনেক বেশি নিরীক্ষামূলক মনে হয়। চরিত্রগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল সে আবেদনের দেখা পরবর্তী কাজগুলোয় খুব একটা মেলেনি, যা মেলে এই সিনেমার ক্ষেত্রে।
সমাপ্তি অংশে মারিও বাভার একটা কথা উল্লেখ করা যাক। তিনি একদা বলেছিলেন,
“আমার কাছে সিনেমা হলো জাদুকরের ইন্দ্রজালের মতো। হাত দিয়েই তুমি তৈরি করতে পারো যেকোনো গল্প। চাইলেই সমাধান করতে পারো যেকোনো সমস্যার। পুরোটাই একটা বিভ্রমের মতো, যা তৈরি করতে তেমন কিছুই লাগে না।”
বাভার উক্ত কথা থেকেই তার এই সিনেমাসহ, সকল সিনেমার প্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
‘ব্ল্যাক সানডে’কে ইটালিয়ান হরর জনরার সিনেমায় একটা মাইলফলক ধরা হয়। কদর্য (ভয়) আর সৌন্দর্যকে পাশাপাশি রেখে যেই অমোঘ রূপ এই সিনেমা সামনে এনেছে, তা ইটালিয়ান হররের একটা আলাদা মানই তৈরি করে দিয়েছে। ৭০-এর ‘জিয়ালো’ জনরার পেছনে রয়েছে এরই অবদান। স্প্যাঘাটি ওয়েস্টার্ন জনরাও এর উপাদান ধার করেছে।