মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে সকলেই চেনে। ছোটবেলা থেকেই তিনি গণিতে পারদর্শী ছিলেন। হাই স্কুলে উঠে পরিচিত হলেন প্রোগ্রামিংয়ের সাথে। বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও ড্রপআউট হয়ে যান, তার বন্ধু পল অ্যালেনের সাথে কম্পিউটার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করবেন বলে। এরপরের অংশটুকু সবার জানা। প্রচন্ড প্রতিভা ও উচ্চাকাঙ্খার জোরে পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সফটওয়্যার দুনিয়ার একজন জায়ান্ট হিসেবে।
মোটাদাগের এই সাফল্যের গল্পটুকু আমাদের সবারই কমবেশি জানা রয়েছে। একটু যদি গভীরে ডুব দেওয়া যায়, তাহলে আমরা একই গল্পের ভিন্ন একটি বর্ণনা দেখতে পাব। বিল গেটস বড় হয়েছিলেন ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরে। যে স্কুলে তিনি পড়েছিলেন সেখানে একটি কম্পিউটার ক্লাব ছিল। এটা এমন সময়ের কথা যখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পেত না। তার স্কুলের ক্লাবটি যখন বন্ধ হয়ে গেল, তিনি তখন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলেন। এরকম অনেকগুলো সুযোগ হাতে পেয়ে প্রোগ্রামিংয়ে তিনি নিজেকে ঝালাই করে নিয়েছিলেন। বয়স যখন বিশ হলো, ততোদিনে তার ঝুলিতে জমা হয়েছিল দশ হাজার ঘন্টারও বেশি প্রোগ্রামিং অভিজ্ঞতা।
পেছনের এই গল্পটি অনুসন্ধান করতে গেলে দেখা যায়, তার জীবনে মোটাদাগে নয়টি সময়ে তিনি ভাগ্যের সহায় পেয়েছিলেন, যেটা না পেলে এরকম প্রোগ্রামিং জিনিয়াস হয়ে উঠা সম্ভবপর হয়ে উঠতো না। অনেক বছর পরে তাকে প্রশ্ন করা হয়, সত্তরের দশকে তার সমবয়সী কতজন ছিল যারা তার মতো করে কম্পিউটারে প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসতে পেরেছিল কিংবা তার মতো করে এই প্রযুক্তি বুঝার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বেশ সরলভাবেই সৎ উত্তর দিয়েছিলেন, “এ রকম ৫০ জন থাকলেও আমি প্রচন্ড অবাক হব।”
ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েলের লেখা ‘আউটলায়ার্স’ বইটি এ রকমই কিছু প্রচণ্ড সাফল্যের পেছনের গল্প তুলে ধরে। আমরা বেশিরভাগ সময়েই সাফল্যের সাথে ব্যক্তির গুণাবলীকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ভেবে থাকি। আমাদের ধারণা এমন যে, সফল ব্যক্তিরা শূন্য থেকে শুরু করে শুধুমাত্র নিজের যোগ্যতাবলে প্রচন্ড জায়ান্ট হয়ে ওঠেন। কিন্তু লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল মনে করেন এটা সাফল্যের অনেক বেশি ভাবপ্রবণ একটা ধারণা। তিনি কিছু কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা ভাগ্য বা অন্য কিছুর সাহায্য পেয়েছিলেন যেটা তাদেরকে সফল হওয়ার পথ চিনে নিতে, কাজ করতে এবং পৃথিবীটা এমনভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে যেটা অন্য সাধারণ মানুষদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে সবসময়।
ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল দ্যা নিউ ইয়র্কারের একজন স্টাফ লেখক। তিনি সাধারণত এমন বিষয়ের উপরে বই বা প্রবন্ধ লিখেন যেগুলো প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তার রচনার শৈলী হলো, তিনি গল্প, সাক্ষাৎকার এবং গবেষণাকে একত্রিত করে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছান। আউটলায়ার্স বইয়েও একই কাজ করেছেন। এই বইটিকে তিনি মোটাদাগে দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। প্রথম ভাগ হচ্ছে, অপরচুনিটি বা সুযোগ। এই অংশে সফল মানুষরা যে ধরনের সুযোগ কিংবা পরিবেশ দ্বারা উপকৃত হয়েছে সেটা বিশ্লেষণ করেছেন। দ্বিতীয় অংশটি হচ্ছে লিগ্যাসি, যেখানে কোনো অঞ্চলের সংস্কৃতি কীভাবে সে অঞ্চলের মানুষের উপরে বেশ বড় সময়ের প্রভাব ফেলে তা আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন এ রকম সংস্কৃতি সে অঞ্চলের মানুষের সাফল্য বা ব্যর্থতার পেছনে একটা লুকোনো প্রভাব ফেলতে পারে। বইয়ের প্রথম অংশে তার পৌঁছানো উপসংহারের জন্যে তিনি যথেষ্ট প্রমাণ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা দেখাতে পারলেও দ্বিতীয় ভাগে তার গল্প এবং উপসংহারের পেছনে শক্ত কোনো বুনিয়াদ তৈরি করতে পারেননি। সম্ভবত, এই বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাবে তার উপসংহারের শক্ত ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তাই, এই অংশে তার সাথে একমত হতে হলে পাঠককে শুধুমাত্র বিশ্বাসের শরণাপন্ন হতে হবে।
প্রথম অংশ ‘অপরচুনিটি’তে গ্ল্যাডওয়েল দেখিয়েছেন, সাফল্য হচ্ছে অভিজ্ঞতা, সুযোগ এবং একটা নির্দিষ্ট মাত্রার বুদ্ধিমত্তার সম্মিলন। কিন্তু, এই সাফল্যের জন্যে ঠিক কতোটুকু অভিজ্ঞতা প্রয়োজন? এই প্রশ্নের উত্তরে গ্ল্যাডওয়েল বার্লিন একাডেমি অব মিউজিকের একটি গবেষণা উল্লেখ করেছেন। সেখানে অভিজ্ঞ এবং সাধারণ মিউজিশিয়ানের মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে স্টাডি করা হয়। দেখা গেছে, অভিজ্ঞরা গড়ে প্রায় দশ হাজার ঘন্টা সঙ্গীত অনুশীলন করেছে। আর মোটামুটি ভালোদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি মাত্র চার থেকে ছয় হাজার ঘন্টার মধ্যে। নিউরোলজিস্ট ড্যানিয়েল লেভিটিনও এ রকম একটি মতামত দিয়েছেন। স্টাডিগুলো থেকে দেখা যায়, যে কোনো কিছুতে বিশ্বমানের পারদর্শী হতে হলে দশ হাজার ঘন্টার অনুশীলন বা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। গ্ল্যাডওয়েল তার এই পয়েন্টটি প্রমাণ করার জন্যে কিছু বিখ্যাত মানুষের উদাহরণ দেখিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস এবং দ্যা বিটলস। তারা সবাই দশ হাজার ঘন্টার মাইলফলক স্পর্শ করার জন্যে একটা সহায়ক পরিবেশ পেয়েছিল। তাদের সমসাময়িকদের জন্যে যেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিল না।
এরপরে গ্ল্যাডওয়েল আলোচনা করেন বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। তিনি যুক্তি দেখান, একটা নির্দিষ্ট সীমার পরে আইকিউ স্কোর সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। বরং, সাফল্যের জন্যে শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ বুদ্ধিমান হলেই চলে। তিনি এ রকম বুদ্ধিমত্তা মাপার কিছু পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন। আইকিউ স্কোর অনেকটা বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের উচ্চতার সাথে তুলনা করা যায়। একটা সীমার পরে এই উচ্চতা যেমন গুরুত্ব হারায়, আইকিউ স্কোরও তেমনই। এই সীমানা পার হলে সাফল্যের জন্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদানগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
‘অপরচুনিটি’ অংশের শেষে তিনি কিছু গবেষণাসহ যুক্তি দেখিয়েছেন, প্রচন্ড সফল ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা, পরিবেশ এবং একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বুদ্ধিমত্তার ফসল, যেগুলো তাদের ব্যক্তিগত গুণাবলীর চেয়েও বড় হয়ে ওঠে। পরের অংশ ‘লিগ্যাসি’তে তিনি কিছু গল্প ও গবেষণা নিয়ে আলোচনা করেন, যেখানে পাঠকদেরকে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। কোনো মানুষ যে অঞ্চলের অধিবাসী, সে অঞ্চলের কিছু প্রকৃতিজাত বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যগুলোকে গ্ল্যাডওয়েল ‘লিগ্যাসি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এরকম লিগ্যাসি প্রায় কয়েকশ বছর পুরনো হতে পারে এবং সেটা একজন ব্যক্তির সাফল্যে ভূমিকা রাখতে পারে।
এরকম একটি লিগ্যাসির উদাহরণ হিসেবে পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইতে। সহজ কথায় পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক হচ্ছে, নেতৃত্বের বিচারে নিচে থাকা লোকেরা কত সহজে তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এরজন্যে একটি মাপকাঠিও রয়েছে। একটা অফিসের বস এবং তার জন্যে কাজ করা মানুষের মধ্যে যদি কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া সহজ না হয়, তাহলে পাওয়ার ডিস্ট্যান্স মাপকাঠিতে অফিসটি উপরের দিকে অবস্থান করবে। এর অর্থ হচ্ছে, বস যদি কোনো ভুল করে তবুও কর্মচারীরা সহজে তার ভুল ধরিয়ে দিতে পারে না। তাদের যোগাযোগের মধ্যে সেই সহজতা নেই। অন্যদিকে, এই অফিস যদি মাপকাঠিতে নিচের দিকে অবস্থান করে, তাহলে বস এবং কর্মচারীদের মধ্যে একটি সহজ যোগাযোগের সম্পর্ক থাকবে এবং এক্ষেত্রে কর্মচারী সহজেই বসের ভুল ধরিয়ে দিতে পারবে।
গ্ল্যাডওয়েল বিমান পাইলট এবং ক্রুদের পাওয়ার ডিসট্যান্স সম্পর্কের জন্যে ঘটে যাওয়া কিছু দূর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখান। কলম্বিয়ার একটি দূর্ঘটনা এরকম একটি উদাহরণ ছিল। যে বিমানটি দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেখানে পাইলট এবং তার ক্রুদের মধ্যে পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক ছিল বেশ উঁচু। পাইলটের সাথে সরাসরি কথা বলা ক্রুদের জন্যে স্বাচ্ছন্দ্যকর ছিল না। দূর্ঘটনার অন্তিম পর্যায়ে এসেও ফার্স্ট অফিসার তার পাইলটের সাথে সহজভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আবার, নব্বই দশকে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সে ধারাবাহিক অনেকগুলো দূর্ঘটনা ঘটেছিল, যেগুলোর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এরকম পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক একটি সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত একটি ব্যাপার, যেটা পরিবর্তন করা খুব একটা সহজ না। কোরিয়ান এয়ারলাইন্স বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ধারাবাহিক দূর্ঘটনাগুলো থামাতে পেরেছিল।
প্রথম অংশের অধ্যায়গুলোর সাথে এই জায়গায় এসে বেশ অমিল পাওয়া যায়। প্রথম অংশে যে দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো অনেক ধরনের পরিবেশ বা জায়গার জন্যে প্রাসঙ্গিক । কিন্তু, পাওয়ার ডিস্ট্যান্সের আলোচনায়, অন্যান্য পরিবেশে এই ধারণাটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। গ্ল্যাডওয়েলের আগের অধ্যায়গুলোর মার্জিত গদ্য এবং যুক্তি এখানে এসে একটা প্রাণহীন, অস্পষ্ট ধারণায় পরিণত হয়েছে।
“When we understand how much culture and history and the world outside of the individual matter to professional success… we have a way to make successes out of the unsuccessful.”
আন্তর্জাতিক কর্পোরেশনগুলোতে অনেক কর্মী রয়েছে যারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে, এবং তাদের সবার সংস্কৃতিই অনেক ভিন্ন। এমনকি তাদের সবার দেশের পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সম্পর্কেও ভিন্নতা রয়েছে। অনেকেই পাওয়ার ডিস্ট্যান্স ইন্ডেক্সে উঁচুতে অবস্থান করে এমন সংস্কৃতি থেকে আগত। এয়ারলাইন্সের উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করলে, এই কর্মীদেরকে কি এরকম জায়গাগুলোতে প্রবেশের জন্যে নতুন ধরনের পাওয়ার ডিস্ট্যান্স সংস্কৃতি গ্রহণ করতে হয়েছে? নাকি এরকম উদাহরণ শুধুমাত্র এয়ারলাইন্সের মতো কর্পোরেশনগুলোর জন্যেই প্রাসঙ্গিক? গ্ল্যাডওয়েলের ব্যাখ্যা থেকে এরকম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না।
এশিয়ার লোকেরা গণিতে ভালো হওয়ার যে স্টেরিওটাইপ রয়েছে তার কারণ হিসেবে গ্ল্যাডওয়েল সারা বছর ধরে প্রচন্ড পরিশ্রম নির্ভর ধান চাষের সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করেন। তিনি কিছু প্রবাদ ও ঐতিহাসিক উপাখ্যান ব্যবহার করে দেখান, এশিয়ার সংস্কৃতির মধ্যে সারা বছর জুড়ে পরিশ্রম করার মানসিকতা একীভূত হয়ে আছে। এই কারণে কঠিন গাণিতিক সমস্যাগুলোতে তারা পশ্চিমা দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি সময় ও শ্রম ব্যয় করার মানসিকতা দেখায়, যেটা তাদেরকে গণিতে এতো ভালো করে তুলেছে। এই যুক্তিটা গ্রহণ করা কিছুটা সমস্যাজনক। প্রবাদবাক্য এবং কৃষিকাজের ধরনকে একটা অঞ্চলের মানুষদের গণিতে ভালো হওয়ার পেছনের কারণ হিসেব বেছে নিতে হলে যুক্তির তুলনায় বিশ্বাসের শরণাপন্ন হতে হবে বেশি। কারণ তার এই দাবির পেছনে ভালো কোনো গবেষণা দেখানো হয়নি। এই সিদ্ধান্তকে এজন্যে অনেক বেশি সরলীকরণ মনে হতে পারে।
গ্ল্যাডওয়েলের বইয়ের সবচেয়ে অসাধারণ দিকটি হলো, সাফল্যের পেছনে কাজ করে এমন কিছু অজানা উপাদান সামনে নিয়ে এসেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্যে পাঠককে যথেষ্ট জায়গা দিয়েছে। সাফল্যের পেছনে সংস্কৃতির ভূমিকা রয়েছে বলে যে দাবিটি তিনি করেছেন, সেখানে গবেষণালদ্ধ প্রমাণের অভাব থাকায় সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। অবশ্য, ধারণাটি যথেষ্ট কৌতূহল উদ্রেককর এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য গবেষণার বিষয় হতে পারে। এরকম গবেষণা সফল হওয়ার ব্যাপারে আমাদের জ্ঞান আরো গভীর করে তুলবে।