স্যাপিয়েন্স; আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড: আপনাকে নিয়ে লেখা হয়েছে যে বই

স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে লেখাগুলো পড়তে থাকা আপনি একজন মানুষ, আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আপনি একজন হোমো স্যাপিয়েন্স (Homo sapiens), অথচ এক লক্ষ বছর আগে এই পৃথিবীতে বিচরণ করেছে হোমো (Homo) গণভুক্ত (Genus) আরো অন্তত ছয়টি মানব জাতিগোষ্ঠী, আর আজ সর্বত্র জয়জয়কার আপনার প্রজাতিটিরই। কিন্তু কেন?

কেন একসময়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত শিকারী মানুষগুলো তৈরি করলো শহর, রাজ্য, সভ্যতা? কীভাবে এলো জাতীয়তাবাদ, ধর্ম এবং টাকার ক্ষমতায় বিশ্বাস? মানবতাবাদের ধারণাটাই বা কী? আগামী শত-সহস্র বৎসরে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের ভবিতব্যই বা কী হতে পারে?

এত এত প্রশ্ন? কিন্তু উত্তরগুলো কোথায় এর? 

এককথায় এসব প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য উত্তর খোঁজা দুষ্কর। হয়তো এককথায় এর যে উত্তর বা উত্তরগুলো পাওয়া যায়, তা আমাদের মনঃপুতও হয় না। তাই বলে মানুষ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। একসময়ের এই ‘An animal of No Significance’  ক্রমাগত উদঘাটন করতে চেয়েছে তার উৎপত্তি ও বিকাশের রহস্য।

বইয়ের প্রচ্ছদ, Source: agoodreedreview.com

মানবজাতির আজকের পৃথিবীব্যাপী আধিপত্যের শুরু থেকে বর্তমানের যাত্রার বিভিন্ন ঐতিহাসিক ধাপকে বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়েছে ‘স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড’ বইটির পাতায় পাতায়। শুধু তুলে ধরা হয়েছে বললে ভুল হবে, বইটির লেখক গল্পের মতো করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের পূর্বপুরুষদের বর্তমান অবস্থায় আসার বিভিন্ন ঘটনাকে, যা অন্যান্য বিবর্তনবাদের বই থেকে আলাদা। বইটির মাধ্যমে প্রচলিত বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন জাগিয়ে তোলার সার্বক্ষণিক চেষ্টা করেছেন জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. ইউভাল নোয়া হারারি।

৩০ হাজার বছর আগে ফ্রান্সের দক্ষিণে শভে পুঁদ্যার্ক (Chauvet-Point-d’Arc) গুহার দেওয়ালে আঁকা মানুষের হাতের ছাপ, Source: Sapiens A Brief History of Humankind (Book)

গল্পে-গল্পে অতীত থেকে বর্তমানে

বইটি শুরু করা হয়েছে একটি টাইমলাইন বা দিনলিপির মাধ্যমে, ১৫.৫ বিলিয়ন বছর আগে উদ্ভব ঘটেছে পদার্থ ও শক্তির, পরমাণু ও অণুর। দিনলিপিটি শেষ হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য দুটি প্রশ্ন করে। সামনের যে বৃহৎ গল্প বলতে যাচ্ছেন লেখক, যার অংশ আমরা সকলে, তাতে যাতে ধপাস করে পড়ে খেই না হারিয়ে ফেলেন পাঠক, সে কারণে হয়তো বইয়ের প্রথমে মাত্র দুই পৃষ্ঠায় মহাকালকে সংক্ষিপ্ত করে তুলে ধরা হয়েছে।

যে দৃষ্টিকোণ থেকে বইটি উপস্থাপন করা হয়েছে, পাঠককে তা শুরুতেই জানিয়েছেন প্রফেসর হারারি। জীববিজ্ঞান আর ইতিহাসের দারুণ সহজ-সরল সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে-

About 3.8 billion years ago, on a planet called Earth, certain molecules combined to form particularly large and intricate structures called organisms. The story of organisms is called biology.

অর্থাৎ,

প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে, পৃথিবী নামক এই গ্রহটিতে নির্দিষ্ট কিছু অণু একত্রিত হয়ে গঠন করে আকারে বড় ও জটিল ধরনের বিশেষ কিছু কাঠামো, যাদের বলা হয় জীব। আর এই জীবকূলের গল্পই হলো জীববিজ্ঞান।

এবং

About 70,000 years ago, organisms belonging to the species Homo sapiens started to form even more elaborate structure called cultures. The subsequent development of these human cultures is called history.

তার মানে দাঁড়াচ্ছে,

প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে, জীবকূলের মধ্যে হোমো স্যাপিয়েন্স নামের প্রজাতিটি সূচনা করে আরো বিস্তৃত একটি কাঠামো, যাকে বলা হয় সংস্কৃতি। এর ক্রমাগত উন্নতির ধারাটিকেই বলা হচ্ছে ইতিহাস।

লেখকের মতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লব ইতিহাসকে আজকের পরিণতি দিয়েছে। এগুলো হলো:

  • ৭০ হাজার বছর আগের Cognitive Revolution বা বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব
  • ১২ হাজার বছর আগের Agricultural Revolution বা কৃষিভিত্তিক বিপ্লব
  • ৫০০ বছর আগের Scientific Revolution বা বৈজ্ঞানিক বিপ্লব

তিনি বলার চেষ্টা করেছেন কীভাবে এই তিনটি বিপ্লব মানুষ এবং তার সাথের জীবজগতের অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। মোট চারটি অধ্যায়ে বইটিকে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘An Animal of No Significance‘ দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ‘The Animal that Became a God‘ অংশে।

বই জুড়ে চমক

আপাতদৃষ্টিতে সামান্য কোনো ঘটনা বা পরিবর্তন যে কীভাবে ইতিহাসের গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে পারে, তার সম্মুখীন হতে হবে বারবার। আগুনের ব্যবহার, ভাষার মাধ্যমে যোগাযোগ, কল্পনা করতে পারার ক্ষমতা কীভাবে হোমো স্যাপিয়েন্সকে এগিয়ে দিলো, তার চমকপ্রদ বর্ণনা পাওয়া যায় বইটিতে। রান্না করা খাবার, গল্পগুজব করা আর কোনো প্রমাণহীন অবাস্তব কিছুকে চিন্তা-ভাবনায় ধারণ করতে পারাও যে কত বিশাল অবদান রেখেছে আমাদের বিকাশের জন্য, তা জানতে পেরে চমকাতেই হয়।

১২ হাজার বছর পূর্বে মানুষ দলবেঁধে শিকার করা থেকে ধীরে ধীরে কৃষিভিত্তিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়। শুরু হয় কৃষিবিপ্লবের কাল। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এই কৃষিভিত্তিক বিপ্লব মানবজাতির এগিয়ে যাবার এক বিশাল পদক্ষেপ। এই দাবি যুক্তিযুক্তও মনে হয় অধিকাংশের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিকার করে জীবনধারণকে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং বিপদজনক কাজ মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রফেসর হারারি জানাবেন অন্য কথা।

প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বের কোনো এক মিশরীয় সমাধির মধ্যে পাওয়া একটি দেয়ালচিত্র, যেখানে দৈনন্দিন কৃষিকাজের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, Source: Sapiens A Brief History of Humankind Book

তিনি বলেন, “The Agricultural Revolution was history’s biggest fraud.”,  যে কারণে “আমরা গমকে পোষ মানাইনি, বরং গমই আমাদের পোষ মানিয়েছে।”

চাষাবাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা কৃষিকাজে যে পরিমাণ সময় এবং শ্রম দিয়েছে, তার তুলনায় অনেক নিম্ন পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্যই লাভ করেছে। উদ্বৃত্ত খাদ্য হয়তো ছিলো। কিন্তু এই বাড়তি খাদ্য জীবনমান বাড়ায়নি বরং অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে জনসংখ্যা এবং ধনিক-শোষক শ্রেণী। কৃষিবিপ্লব কীভাবে অধিকাংশের জীবনমান নিম্নগামী করেছে, তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন লেখক।

তিনি মনে করেছেন,

One of history’s few iron laws is that luxuries tend to become necessities and to spawn new obligations. Once people get use to a certain luxury, they take it for granted. Then they begin to count on it. Finally they reach a point where they can’t live without it.

অর্থাৎ,

বিলাসিতা ক্রমাগত অভ্যাসে পরিণত হয়। যখন মানুষ নির্দিষ্ট একটি অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তারা সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়। এরপর এমন এক অবস্থায় পৌঁছে যায় যে তারা আর ওগুলো ছাড়া চলতেই পারে না।

প্রফেসর হারারির মতে, এটি একটি ফাঁদ, তিনি একে বলছেন ‘দ্য লাক্সারি ট্র্যাপ’।

বইটির তৃতীয় ভাগ ‘The Unification of Humankind’-এ আলোচিত বিষয়গুলো আমাদের বর্তমান জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ ভাগে আলোচিত হয়েছে অর্থ, সাম্রাজ্যবাদ, ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়াদি। একসময় নানাভাবে বিভক্ত পৃথিবী আজ কতগুলো বিষয়ে সর্বস্থানে একক ধ্যানধারণা পোষণ করে। কীভাবে কতগুলো বিশেষ ধরনের কাগজ দিয়ে ক্রয় করা যায় যেকোনো পণ্য কিংবা সেবা, আর কীভাবেই বা অর্থ সবচাইতে সর্বজনীন বিনিময় প্রক্রিয়ার মাধ্যম হয়ে উঠলো, তা আলোচনা করা হয়েছে লেখকের স্বভাবসুলভ প্রাঞ্জল প্রকাশভঙ্গির মাধ্যমে।

তাসমানিয়ার সর্বশেষ আদিবাসী মানুষ ট্রগানিনির জন্য সাম্রাজ্যবাদ ডেকে এনেছিলো করুণ পরিণতি; Source: Sapiens A Brief History of Humankind Book

বর্তমান সময়ের ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ একসময় ছিলো অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সাথে অপর প্রান্তের মানুষের মিল ছিলো শুধু মানুষ হিসেবেই, আর বাকি চিন্তা-ভাবনা, পোশাক, ভাষা কিংবা ধর্ম বিশ্বাস সবকিছুতেই ছিলো বিস্তর ফারাক। সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার কীভাবে সেই ব্যবধান কমিয়ে এনেছে, কীভাবে বর্তমান বিশ্বের মানুষ এসেছে একক বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদের অধীনে- প্রফেসর হারারি তারই গল্প বলেছেন নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে, তুলে ধরেছেন ‘ইতিহাসের ভালো ও খারাপ মানুষ’দের।

ধর্মের আলোচনাতেও চমকের কমতি নেই। ধর্মের দুটি আবশ্যিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছেন লেখক।

তিনি লিখেছেন,

First, it must espouse a universal superhuman order that is true always and everywhere. Second, it must insist on spreading this belief to everyone. In other words, it must be universal and missionary.

অর্থাৎ,

ধর্মে একটি সত্য ও সর্বজনীন অতিমানবীয় নিয়ম থাকতে হবে, যা সবসময় ও সবখানে প্রযোজ্য হবে। আর এই বিশ্বাসকে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং এটি হবে সর্বজনীন ও প্রচারমুখী।

ধর্ম হলো মানুষের কিছু প্রচলিত আচার ও মূল্যবোধের সমষ্টি, যা নির্ভর করে এমন কিছু বিশ্বাসের ওপর, যেগুলো মানুষের ক্ষমতার উর্ধ্বে, Source: Sapiens A Brief History of Humankind Book

এসব থেকে পরবর্তীতে একটি অংশে তিনি বলেন যে, এভাবে দেখলে সোভিয়েত সাম্যবাদও একটি ধর্ম বৈ কম কিছু নয়। কারণ এটি ভবিষ্যদ্বাণী করে, ইতিহাসের শেষ হবে শোষিত শ্রেণীর অনিবার্য বিজয়ের মাধ্যমে। এর আছে নিজস্ব ‘পবিত্র গ্রন্থ’ পুঁজি (Das Kapital), আছে নির্দিষ্ট ছুটি কিংবা উৎসবের দিন, যেমন: পয়লা মে, অক্টোবর বিপ্লব বার্ষিকী। একজন নিবেদিতপ্রাণ সাম্যবাদী তার জীবন দিয়ে হলেও মার্ক্স ও লেনিনের বাণী সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।

মাত্র ৫০০ বছর পূর্বে শুরু হয়েছে বৈজ্ঞানিক বিপ্লব, আর এ বিপ্লবেই সবচাইতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে আমাদের। এ পরিবর্তন এতটাই বৈপ্লবিক ও অবিশ্বাস্য যে ৫০০ বছর পূর্বের কোনো ব্যক্তিকে এ সময়ে নিয়ে এলে বর্তমানের সবকিছু তার কাছে অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য মনে হবে। কিন্তু লেখক মনে করেন না যে এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে জ্ঞানের বিপ্লবের কারণে, বরং তিনি এর জন্য চিহ্নিত করেছেন ‘রেভ্যলুশন অব ইগ্নোরেন্স’কে। উপস্থাপন করেন বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের তিনটি বৈশিষ্ট্য, যা অর্জন করায় এ বিপ্লব সম্ভব হয়েছে। এগুলো হলো:

১. অজ্ঞতাকে স্বীকার করে নেওয়ার প্রবণতা (The willingness to admit ignorance)
২. পর্যবেক্ষণ ও গাণিতিক বিশ্লেষণকে জ্ঞানের কেন্দ্র বিবেচনা করা (The centrality of observation and mathematics)
৩. নতুন নতুন সক্ষমতা অর্জনের প্রবণতা (The acquisition of new powers)

তৈরি হবে প্রশ্ন

একজন ভালো শিক্ষক যেমন শুধু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সাথে সাথে নতুন প্রশ্ন তৈরিতে উৎসাহিত করেন, তেমনি একটি ভালো বই আপনার আগ্রহের মাত্রাকে উসকে দিয়ে জাগ্রত করে কৌতূহলকে, উৎসাহিত করে নতুন নতুন প্রশ্ন জিজ্ঞাসায়। স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড বইটিও পাঠকের জন্য হাজির করবে নানা প্রশ্ন।

যেমন:

  • ইতিহাস ও জীববিজ্ঞান কি পরস্পর সম্পর্কিত?
  • হোমো স্যাপিয়েন্সের সাথে অন্যান্য প্রাণীর মূল পার্থক্য কী?
  • ইতিহাস কি ন্যায়বিচার করে? এর কি কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে?   
  • সময়ের সাথে সাথে মানুষ কি সুখী হচ্ছে?
  • আমরা আসলে কী হয়ে উঠতে চাই?
লেখক ইউভাল নোয়া হারারি, Source: home.bt.com

সম্মাননা

২০১১ সালে প্রথমে হিব্রু ভাষায় এবং ২০১৪ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড বইটি বর্তমান সময়ের একটি বহুল পঠিত ও আলোচিত বই। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বইটি অনূদিত হয়েছে প্রায় ৫০টি ভাষায় ও বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন কপি। দ্য গার্ডিয়ানের বেস্ট ‘ব্রেইনি’ বুকস অব দিস ডেক্যেড, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের টপ টেন বেস্ট-সেলার, পেপারব্যাকে সানডে টাইমস বেস্ট সেলার লিস্টে জায়গা পেয়েছে বইটি। লেখক ইউভাল নোয়া হারারি জিতেছেন দ্বিতীয়বারে মতো মৌলিকতা ও সৃজনশীলতায় পোলোন্সকি পুরস্কার।

পরিশেষে

মানবসভ্যতার ইতিহাস নিয়ে বই পড়তে গিয়ে তথ্য-উপাত্তের ঠাসাঠাসিতে অধিকাংশ পাঠক অস্থির বোধ করেন। এই বইটি পড়তে গেলেও পাঠক অস্থির হয়ে উঠবেন। তবে এবারে অস্থিরতা হবে পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় চমকপ্রদ সব ঘটনা ও আলোচনা নিমেষেই পড়ে ফেলার জন্য।

This article is about a book review of Sapiens: A Brief History of Humankind written by Yuval Noah Harari.

All necessary references are hyperlinked inside the article.

Featured Image: ynharari.com

Related Articles

Exit mobile version