দারুণ এক ইউটোপিয়ান পৃথিবীর কাহিনী। সেই পৃথিবীতে পথে-ঘাটেই দেখা মেলে অতিমানব তথা সুপারহিরোদের। অপরাধীদের চোখের পলকে ধরাশায়ী করে ফেলে তারা। কমিক বইয়ের ব্যাটম্যান কাজটা করলে ব্যাপারটাকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া বলা হয় বটে, কিন্তু এই পৃথিবীতে নিয়ম-নীতিই অন্যরকম।
জন্ম থেকেই মিউট্যান্ট এসব সুপারহিরোদের কখনো আলাদা চোখে দেখা হয় না, একঘরেও করে রাখা হয় না। বরং তাদেরকেই নিজেদের আইডল ভাবে সবাই। হোমল্যান্ডার, কুইন মেভ, এ-ট্রেন, ডিপের মতো গালভরা নামের সব সুপারহিরোদের মাধ্যমে যেন সুপারম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, ফ্ল্যাশ, অ্যাকোয়াম্যানেরা চলে এসেছে সবার ধরাছোঁয়ার মধ্যে। সব মিলিয়ে একদম নিখুঁত মনে হচ্ছে, তাই না?
জাস্টিস লিগ বা এক্স-মেনদের মতো টিম আপ করে কাজ করা সুপারহিরো গ্রুপ ‘দ্য সেভেন’কে ঘিরে নির্মিত এই সিরিজের নাম ‘দ্য বয়েজ’। এই নামের গুপ্ত সংঘের সদস্যেরা মানুষের এই উপকারী বন্ধুদের পতন ঘটাতে চাইছে। তবে কি তারা সুপারভিলেন? আসলে কি পর্দার অন্তরালে চলছে অন্য কোনো ঘটনা? সাম্প্রতিককালের অন্যতম আলোচিত ব্যাঙ্গাত্মক এই সিরিজটি নিয়ে জেনে আসতে চলুন আরেকটু সামনে যাওয়া যাক।
আর দশজনের মতোই সাদামাটা জীবন ছিল হিউয়ি ক্যাম্পবেলের। প্রযুক্তি বিষয়ক অসাধারণ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মুখচোরা স্বভাবের কারণে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারে কিছু করতে পারছিল না সে। দুর্ঘটনাবশত এক সুপারহিরোর হাতে প্রেমিকা রবিনের অকস্মাৎ মৃত্যু তাকে চরমভাবে নাড়া দিয়ে যায়। প্রতিশোধের নেশায় সে যোগ দেয় রহস্যময় বিলি বুচারের দলে, নিজেকে এফবিআই গোয়েন্দা দাবি করলেও আসলে সে তার স্ত্রীর অন্তর্ধানের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত। যার পেছনে হাত থাকতে পারে দ্য সেভেন দলপতি হোমল্যান্ডারের। বুচার আর হিউয়ির অ্যাডভেঞ্চারে বাগড়া দেয় অদৃশ্য হবার ক্ষমতা নিয়ে জন্মানো ‘ট্রান্সলুসেন্ট’। বুচার খুঁজে নিয়ে আসে তার প্রাক্তন সহযোগী ফ্রেঞ্চি আর মাদার’স মিল্ককে। সবাই মিলে গড়ে তোলে ‘দ্য বয়েজ’, অবিনশ্বর সুপারহিরোদের দমন করার মিশনে নামে তারা।
সুপারহিরোদের ঐশ্বরিক ক্ষমতা থাকলেও স্বাধীনভাবে কাজ করার উপায় নেই কিন্তু, তাদেরকে চলতে হয় প্রভাবশালী কর্পোরেশন ভটের কথামতো। নিঃস্বার্থে মানুষের উপকার করা তাদের উদ্দেশ্য নয়, সবই চলছে কর্পোরেট প্রোপাগান্ডা অনুযায়ী। এই পৃথিবী চলে সুপারহিরোদের ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে। তাদের ওপর ভিত্তি করে চলছে চ্যারিটি শপ, তাদের অভিনীত মুভি দিয়ে গড়ে উঠেছে ভট সিনেমাটিক ইউনিভার্স, দোকান ভর্তি করে আছে তাদের মার্চেন্ডাইজ দিয়ে।
কোন হিরোর জনপ্রিয়তা কতটুকু, তার ওপর ভিত্তি করে পর্দার পেছন থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে ভট। চব্বিশ ঘন্টা তাদের পিছে ঘুরে চলেছে পিআর টিম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময়ে আলোচনা চলছে তাদেরকে ঘিরে। তাই এটাই তাদের একমাত্র দুর্বলতা, নিজেদের মান-সম্মানকে বজায় রাখা। সুপস বনাম দ্য বয়েজের এই লড়াইয়ের আড়ালে যেন বর্তমান পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে কিছুটা। হলিউডের সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টারগুলোর কথাই চিন্তা করে দেখুন। চাকচিক্যময় বিনোদনের আড়ালে সাধারণ মানুষের আবেগ-অনুভূতির গল্পগুলো যেন ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কিছুটা। অপার্থিব অতিপ্রাকৃত শক্তির ভিড়ে চাপা পড়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের সাধারণ গল্পগুলো, হয়ে যাচ্ছে কোল্যাটারাল ড্যামেজ। চলচ্চিত্র বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
সুপারহিরোদের বিশ্বজনীন আপিলকে পুঁজি করে বর্তমানে যেভাবে বাণিজ্য চলছে, সত্যিই তাদের অস্তিত্ব থাকলে যে এরকমই হত তা কিছুটা বলে দেয়াই যায়। হয়তো অনেকে বলবে, বাস্তবে সুপারহিরোরা এতটা স্বার্থপর হত না। সেক্ষেত্রে অবশ্য নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। রূপালী পর্দার কারো জোর ভক্ত তার মুখোমুখি হয়ে হতাশ হয়েছে, এরকম উদাহরণ দেয়া যাবে অনেক। কমিক কন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের কার্যক্রমের গতিবিধি অনুযায়ী সেলিব্রিটিদের জীবন মোটামুটি ধরাবাধা হয়ে থাকে। আর অতিমানবীয় ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ যদি বিপথে যায়, তাহলে যে সে নারকীয় তাণ্ডব ঘটিয়ে দেবে, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। স্টার ওয়ার্সের ডার্থ ভেডারের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবার নেশাতেই পতন ঘটেছিল।
তাছাড়া সুপারহিরোদের চোখধাঁধানো অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো নিয়ে আলোচনা চলে সর্বত্র। কিন্তু তার আশেপাশে যে আনুষঙ্গিক ক্ষতিগুলো হয়, যে নিরীহ মানুষেরা হতাহত হয়, তাদের হিসাব কে রাখে? সাম্প্রতিককালের দুই জনপ্রিয় মুভি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’ এবং ‘ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’ এর মতো এই সিরিজেও এ প্রশ্নটি রাখা হয়েছে।
এসব বক্তব্য কাঁধে নিয়ে কখনোই ভারি হয়ে দাঁড়ায়নি ‘দ্য বয়েজ’। সিনেমার বক্তব্যগুলো কখনো কমেডিক কন্টেক্সটে, কখনো ডার্ক কন্টেক্সটে, কখনো বা দুটোয় ভর করে এগিয়েছে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, যে বিষয়গুলো নিয়ে বিদ্রূপ করা হয়েছে তা কখন, কোন উপায়ে, কোনদিক আসবে আগে থেকে আঁচ করা যায় না। এজন্য স্ক্রিপ্ট ঠিক যতখানি তৎপর হওয়ার দরকার ছিল, ঠিক ততখানিই হয়েছে। স্ক্রিপ্টের চমৎকারিতায় কখনোই একঘেয়েমি আসার সুযোগ নেই।
কমিক্সের কাহিনীতে প্রথমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর ভায়োলেন্সপ্রধান দৃশ্যগুলো। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে একদমই আপোষ করেননি নির্মাতারা। ‘সুপারন্যাচারাল’ খ্যাত এরিক ক্রিপকি এর আগে থেকেই রগরগে অ্যাকশন নিয়ে কাজ করে সিদ্ধহস্ত, কিন্তু নেটওয়ার্ক টিভিতে ভায়োলেন্স দেখানোর ব্যাপারে কিছুটা বাধা-নিষেধ থাকেই। এইচবিও-তে নিজের স্বাধীনতা পেয়ে কমিকের প্লট অনুযায়ী রক্তারক্তি, নৃশংসতা কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। রবিন কিংবা পপক্ল এর দুর্ঘটনা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠতে বাধ্য। এদিকে কম্পাউন্ড ভি ল্যাবের সুপারশিশুর চোখ দিয়ে লেজার বের হওয়া কিংবা ডলফিনের উড়ে গিয়ে থেঁতলে যাওয়ার মতো ডার্ক কমেডিক সিকোয়েন্সগুলো দারুণ অভিনব ছিল। এখানে সুপদের সাথে দ্য বয়েজের প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা মূলত মানসিক, ডেয়ারডেভিলের হলওয়ে ফাইটের মতো হিরো আর ভিলেনের হাতাহাতি লড়াই তাই নেই এখানে।
সিরিজের মূল শক্তি হলো এর ব্যঙ্গ করার ক্ষমতা। চলমান সব বিষয়কে নিয়েই উপহাস করা হয়েছে এখানে, তাই মেটা রেফারেন্স আছে ভুরি ভুরি। দর্শক হিসেবে সেগুলো খুঁজে বের করাও মজার এক খেলা। একটি উদাহরণ দেয়া যাক।
সিরিজে মেসমার নামের এক সুপারহিরোকে দেখানো হয়েছে। শিশুবয়সে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন তার ক্যারিয়ার পড়তির দিকে, বই লিখে সিরিজ করেও আর আলোচনায় আসতে পারছে না সে। তার ভূমিকায় চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যালি জোয়েল অসমেন্ট। ‘দ্য সিক্সথ সেন্স’-এ অভিনয় করে শিশু বয়সে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অসমেন্টের জন্যও তার জমজমাট ক্যারিয়ার এখন সোনালী অতীত।
সিরিজের ভিজুয়াল ইফেক্টগুলো আইম্যাক্সে দেখার মতো, অ্যামাজন এপিসোডগুলোর পেছনে প্রচুর খরচ করেছে, আর তার ফলাফল তো দেখাই যাচ্ছে। প্রোডাকশন ডিজাইনের প্রশংসা করতেই হয়। অল্টারনেট ইউনিভার্সের আবহ আনার জন্য ‘ওয়াচমেন’-এর মতো ভিন্নধর্মী কালার টোন দারুণ মানিয়েছে। নির্মাতারা রক মিউজিকের ভক্ত বোঝাই যাচ্ছে, কারণ পঞ্চম এপিসোড বাদে প্রতিটি এপিসোডই শেষ হয়েছে রক দিয়ে। আবার হিউয়ির পছন্দের গায়ক বিলি জোয়েল হবার কারণে তার বিভিন্ন ট্র্যাক শোনা গেছে সিরিজজুড়ে। স্পাইস গার্লসের উদাহরণ দেবার পরের দৃশ্যেই স্পাইস গার্লসের গান কিংবা কিমিকো জেগে ওঠার পরে ‘অ্যাইন’ট নো সানশাইন’ এর মতো পরিস্থিতি অনুযায়ী নানা জনরার গান ব্যবহৃত হয়েছে। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্যগুলোর আবহসঙ্গীতও ছিল দুর্দান্ত।
চারিত্রিক গঠনের দিক দিয়ে সিরিজটি প্রথম সারির দিকে থাকবে। এখানকার কোনো চরিত্রকেই সরাসরি ভালো-মন্দের বিচারে মাপা যাবে না, দারুণ সব সাবপ্লট দিয়ে ভিন্ন মাত্রা দেয়া হয়েছে ছোট চরিত্রগুলোকেও। একদম ছোট ছোট চরিত্রগুলোর সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ অনুভূতিও দর্শকের নজর এড়ায়নি তাদের অভিনয়ের নৈপুণ্যে। কালোবাজারে অস্ত্র বেচা ফ্রেঞ্চির ছোটবেলার ট্রমা আর কিমিকোকে শান্ত করার ক্ষমতা যে কারো মন আর্দ্র করে দেবে। যে ডিপকে শুরুতে দেখলে ঘৃণার অনুভূতি হচ্ছিল, পরে তারই প্রায়শ্চিত্ত করার প্লটটা সবার মনে করুণার জন্ম দেবে। ঐ মুহূর্তে ডিপ তার সমুদ্রদেবসুলভ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলে, হয়ে যাচ্ছে সার্কাসের চিড়িয়া। কুইন মেভকে বাইরে থেকে একদম নিরাবেগ স্বার্থপর দেখালেও একপর্যায়ে জানা গেল, তার কখনোই এরকম ব্র্যান্ড ভ্যালুসম্পন্ন সেলিব্রিটি হবার ইচ্ছা ছিল না, মানুষকে বাঁচাতে হাতের হাড় ঠিকই ভেঙেছিল সে। এমনকি হোমল্যান্ডার পর্যন্ত নিজের অবদমিত রাগকে আর চেপে রাখতে পারে না তাকে ঘিরে সাজানো মিথ্যা নাটক দেখে।
তবে চরিত্রগুলোকে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য অভিনেতাদের কৃতিত্বই বেশি। বিলি বুচার চরিত্রে অভিনয় করা কার্ল আরবান তার জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডের টানে সংলাপ দিয়ে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন, মুখ খারাপ করে দেয়া গালিগুলোও দ্বিগুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে তার ডেলিভারির কারণে। ‘বানশি’ সিরিজ খ্যাত অ্যান্থনি স্টারের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। সদা হাস্যোজ্জ্বল চেহারা আর মসৃণ কথাবার্তার আড়ালে হোমল্যান্ডারের লুকিয়ে থাকা ভীতিপ্রদ রূপ যে কেমন, তা প্রতিমুহূর্তেই বোঝা গেছে। এছাড়াও চেস ক্রফোর্ড, টমার ক্যাপোন, লাজ অ্যালোনসো, জ্যাক কোয়াইড, আশার, এরিন মরিয়ার্টি, এলিজাবেথ শ্যুসহ ছোট বড় প্রতিটি চরিত্রের ক্যাস্টিংই দারুণ ছিল। ডিসি কিংবা মার্ভেল থেকে সুপারপাওয়ারের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হলেও সব চরিত্রেরই স্বকীয়তা আছে।
ইতিমধ্যেই সিরিজের তৃতীয় সিজন আসার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সুপারহিরো মুভি কিংবা সিরিজগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক হিরো-ভিলেন লড়াই দেখে যারা ক্লান্ত, তাদের রুচি বদলানোর জন্য ‘দ্য বয়েজ’, ‘ডুম পেট্রল’ কিংবা ‘ওয়াচমেন’ এর মতো সিরিজগুলো দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সিরিজের কিছু ট্রিভিয়া
- হিউয়ি ক্যাম্পবেলকে দেখতে নিষ্পাপ লাগলেও সে প্রয়োজনবোধে সাংঘাতিক কাজ করে ফেলতে পারে। ব্রিটিশ অভিনেতা সাইমন পেগের বিশাল ভক্ত ছিলেন রবার্টসন, হিউয়িকে তিনি এঁকেছেন পেগের কথা মনে করেই। সেই হিউয়িরই বাবার চরিত্রে পেগকে ক্যাস্টিং করা ছিল স্বপ্ন সত্যি হবার মতো ব্যাপার।
- জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘সুপারন্যাচারাল’ এর নির্মাতা হওয়ায় সেখানকার অ্যালামনাইয়ের অনেককেই দেখা যাচ্ছে এই সিরিজে। সেখানে ববি সিঙ্গারের ভূমিকায় অভিনয় করা জিম বিভারকে এখানে দেখা যাচ্ছে রবার্ট সিঙ্গার নামক চরিত্রে। আবার ডিন উইনচেস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করা জেনসেন অ্যাকলসকেও ‘দ্য বয়েজ’ এর তৃতীয় সিজনে দেখা যাবে সোলজার বয়ের ভূমিকায়।
- বিলি বুচাররূপী কার্ল আরবান এর আগে আরো দুটি কমিক বই অ্যাডাপ্টেশনে কাজ করেছেন। ‘ড্রেড’ মুভিতে তাকে দেখা গেছে জাজ ড্রেডের ভূমিকায়, এদিকে ‘থর র্যাগনারক’ মুভিতে তিনি অভিনয় করেছেন হেলার পক্ষে কাজ করা স্কার্জের ভূমিকায়।
- এনিস এর আগেও আরেকটি কমিক অ্যাডাপ্টেশনে কাজ করেছেন। চার সিজন ধরে চলা ‘প্রিচার’ নামক ফ্যান্টাসি সিরিজটি নির্মাণ করেছেন সেথ রোগেন এবং ইভান গোল্ডবার্গ। মূলত ‘প্রিচার’ সিরিজের সাফল্যই ‘দ্য বয়েজ’ নির্মাণের পথ সুগম করে দেয়। শিডিউলজনিত জটিলতার কারণে রোগেন এবং গোল্ডবার্গ ‘দ্য বয়েজ’ এর নির্মাতা হিসেবে থাকতে পারেননি বটে, তবে এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে কাজ করছেন।
- হেভি মেটাল ব্যান্ড স্লিপনটের ‘সলওয়ে ফার্থ’ মিউজিক ভিডিওতে এ সিরিজের কিছু ফুটেজ ব্যবহৃত হয়েছে।
- কমিকে ম্যাডেলিন স্টিলওয়েলের চরিত্রটি ছিল পুরুষ। ব্যাপারটা বদলানোয় ভালো হয়েছে, কারণ সিরিজে এলিজাবেথ শ্যু আর অ্যান্থনি স্টারের রসায়ন দুর্দান্ত ছিল। মজার ব্যাপার, স্টার অনেক আগে থেকেই শ্যু এর বিশাল ভক্ত।