গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা আমরা সকলেই জানি। কত ধরনের আশ্চর্যজনক রেকর্ডের কথাই তো সেখানে স্থান পায়। কার হাতের নখ সবচেয়ে বড়, কে একটানা সবচেয়ে বেশি গ্লাস পানি পান করেছে এমন অজস্র রেকর্ডের উল্লেখ রয়েছে গিনেজ বুকে। পাশাপাশি যারা বইপ্রেমী, তাদের জন্যও কিন্তু সেখানে রয়েছে বেশ কিছু চমকপ্রদ রেকর্ডের উল্লেখ। তেমন কিছু বই ও লেখক-কেন্দ্রিক রেকর্ড নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের এই লেখা।
প্রকাশের প্রথম দিনে সর্বাধিক বিক্রিত বই
২০০৭ সালের ২১ জুলাই। প্রকাশনা জগতের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ সেদিনই বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হবে জে কে রোলিং রচিত হ্যারি পটার সিরিজের সর্বশেষ খন্ড হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ। প্রকাশের দিনটি যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে, বাড়তে থাকে জল্পনা-কল্পনা। কী হতে চলেছে বইয়ের শেষে? বইয়ের নাম ডেথলি হ্যালোজ কেন? শেষ পর্যন্ত সবাই কি মারা যাবে? হ্যারি বাঁচবে তো? নাকি জয় হবে লর্ড ভল্ডেমর্টের? এমন হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে পটারপ্রেমীদের মাথায়। আরও বড় চিন্তা হলো, যদি প্রকাশের দিনই বইটি কেনা না যায়? বুকস্টলে যাওয়ার আগেই যদি সব বই শেষ হয়ে যায়? তাহলে তো নিজে পড়ার আগেই অন্যদের কাছ থেকে স্পয়লার খেয়ে যেতে হবে! এমন চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না অনেকেরই। কিছু কিছু খ্যাপাটে ভক্ত তো এক সপ্তাহ আগে থেকেই বুকস্টলের সামনে গিয়ে লাইন দিতে শুরু করে। প্রথম কপিটাই তাদের চাই!
এই যে এত উন্মাদনা একটি বইকে ঘিরে, তা কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ পরিণত হয় প্রকাশের পর প্রথম ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি, এই তিন দেশের বাজার মিলিয়েই প্রথম ২৪ ঘন্টায় বইটি বিক্রি হয় ১ কোটি ১০ লক্ষ কপিরও বেশি!
মার্কিন প্রকাশক স্কলাস্টিক ঘোষণা দেয়, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রকাশের পর প্রথম ২৪ ঘন্টায় বিক্রি হয় বইটির প্রায় ৮৩ লক্ষ কপি। এর মাধ্যমে অনায়াসেই বইটি ছাড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশের পর প্রথম ২৪ ঘন্টায় বিক্রিত আগের বইটির রেকর্ড। তবে মজার ব্যাপার হলো, আগের রেকর্ডটিও ছিল হ্যারি পটার সিরিজেরই দখলে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশের প্রথম দিনে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ ব্লাড প্রিন্স বইটির ৬৯ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে ব্রিটেনের প্রকাশক ব্লুমসবেরি জানায়, তারা প্রথম দিনে বিক্রি করেছে বইটির ২৬,৫২,৬৫৬ কপি। আগের রেকর্ডটি ছিল হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ ব্লাড প্রিন্সের। প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছিল বইটির ২০,০৯,৫৭৪ কপি। দ্য টেলিগ্রাফ আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য জানায়। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ যখন প্রকাশিত হয়, তখন ব্রিটেনে ছিল সর্বমোট ২ কোটি ৪২ লক্ষ পরিবারের বাস। অর্থাৎ প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে একটিরও বেশি পরিবার প্রকাশের প্রথম দিনই বইটি কিনেছিল!
এছাড়াও জার্মানিতে প্রকাশের প্রথম দিনেই ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত বইটির প্রায় চার লক্ষ কপি নিঃশেষ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে একই দিনে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল বইটি। হল্যান্ড ও জার্মানির বাজারে প্রথমদিনে বইটির আড়াই লক্ষ কপি ছাড়া হয়েছিল, এবং তা ২৪ ঘণ্টার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। ভারতেও বইটির এক লক্ষ কপি প্রথম দিনেই সোল্ড আউট হয়ে যায়।
আজও প্রকাশনা জগতের ইতিহাসে প্রথম ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক বিক্রিত বই এটিই।
বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার লেখক
প্রকাশনা জগতের আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে, একজন লেখক সাধারণত বইয়ের গায়ের দামের দশ শতাংশ রয়্যালটি পেয়ে থাকেন। তবে জনপ্রিয়তার তারতম্যের সাথে রয়্যালটিরও তারতম্য হতে পারে। একজন লেখক যত বেশি জনপ্রিয়, অর্থাৎ তার বইয়ের কাটতি যত বেশি, তিনি প্রতিটি বই থেকে তত বেশি আয় করে থাকেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যাটি কখনও প্রকাশ্যে আসে না, তারপরও অনেক বিশ্লেষকই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ প্রকাশের পর ধারণা করেছিলেন, জে কে রোলিং প্রতিটি বই থেকে সেটির গায়ের দামের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আয় করবেন। প্রথম প্রকাশের সময়ে ব্রিটেনে এই বইটির গায়ের দাম ছিল ১৭.৯৯ ইউরো। অন্যান্য দেশেও কমবেশি এমন মূল্যেই বিক্রি হয়েছিল বইটি। তাহলে নিজেরাই হিসাব করে নিন, কেবল প্রথম দিনেই এই বইটি থেকে ঠিক কী পরিমাণ আয় করেছিলেন জে কে রোলিং!
তবে রোলিংকে কিন্তু বিশ্বের প্রথম বিলিয়ন ডলার লেখক হতে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজের প্রকাশনা পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হয়নি। ২০০৪ সালেই তিনি এই যোগ্যতা অর্জন করেন। তখন পর্যন্ত হ্যারি পটার সিরিজের কেবল পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত বইটি ছিল হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স। আর সিরিজের প্রথম পাঁচটি বই তখন পর্যন্ত বিশ্বের ৫৫টি ভাষায় ২৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি ওয়ার্নার ব্রোস সিরিজের প্রথম দুটি বইয়ের কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্রও তৈরি করে ফেলেছিল। হ্যারি পটারের থিমে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টয়-মার্চেন্ডাইজও বিক্রি হচ্ছিল। আর এই সব ধরনের খাত থেকে আয়ের সুবাদেই রোলিং বনে যান বিশ্বের সেরা পাঁচ, এবং ব্রিটেনের একমাত্র, আত্মনির্মিত নারী বিলিয়নিয়ারের একজনে।
এক বছরে সর্বোচ্চ আয় করা অ্যাডাল্ট ফিকশন লেখক
এরিকা লিওনার্ড জেমস। সবাই তাকে ই এল জেমস নামেই চেনে। ২০১২ সাল পর্যন্তও তিনি মূলত একজন টিভি প্রযোজক হিসেবেই কাজ করতেন। সেই কাজের ফাঁকেই ২০১১ সালের মে মাসে তিনি ফিফটি শেডস অব গ্রে নামে একটি ইরোটিক উপন্যাস ইবুক আকারে প্রকাশ করেন। গতিশীল কাহিনী আর যৌনোদ্দীপক কনটেন্টের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই উপন্যাসটি। এরপর তিনি ঐ সিরিজের আরও দুইটি সিক্যুয়েলও প্রকাশ করেন। বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে ফিফটি শেডস ট্রিলজি। কেবল ২০১২ সালের জুন থেকে ২০১৩ সালের জুনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ২০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়ে যায় বইটির। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাজ্যেই বইটির ১ কোটি ১০ লক্ষ, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৬০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। ঐ এক বছর সময়ের মধ্যেই তিনি আয় করেন ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং এর মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক ফিকশন লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা লেখকদের তালিকায় তিনি পেছনে ফেলে দেন জেমস প্যাটারসনকে। ঐ সময়কালের মধ্যে জেমস প্যাটারসনের আয় ছিল ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এক বছরে সর্বোচ্চ প্রকাশিত উপন্যাসের লেখক
একটি বই কত বেশি বিক্রি হবে বা কত আয় করবে, তাতে লেখকের হাত সবসময় থাকে না। অনেক সময় ভাগ্যও বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু একজন লেখক বছরে কতগুলো বই লিখবেন, সেটি তো সম্পূর্নভাবেই তার নিজের উপর নির্ভর করে। কোনো লেখক হয়তো দুই-তিন বছর বসেও একটি বই শেষ করে উঠতে পারেন না। আবার কোনো কোনো লেখক এক বছরেই দশটি বই লিখে ফেলেন। তবে বারবারা কার্টল্যান্ড নামে একজন লেখিকা ছিলেন, যার কীর্তির কথা শুনলে বিশ্বের তাবৎ লেখকই ভিড়মি খাবেন। ১৯৭০ এর দশক নাগাদ তিনি বছরে গড়ে ২৩টি করে বই লিখতেন। এজন্য ১৯৭৬ সালে তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে প্রবেশ করেন এক বছরে সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত বইয়ের লেখক হিসেবে। মূলত রোমান্টিক ঘরানার উপন্যাসই তিনি বেশি লিখতেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি নাটক ছাড়াও স্বাস্থ্য, রান্না, জীবনী ইত্যাদি নিয়েও লিখেছেন। ১৯৯০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিখ্যাত ভোগ ম্যাগাজিন তাকে দেয় ‘দ্য ট্রু কুইন অফ রোমান্স’ খেতাব। ততদিনে তার ১০০ কোটির বেশি বই প্রকাশিত হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে তিনি তার লেখকজীবনে ৭২৩টি বই প্রকাশ করেন, এবং ৩৬টি ভাষায় সেগুলো অনূদিত হয়। তার বিক্রিত বইয়ের সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি।
পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা বই
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত লেখক কিন্তু বারবারা কার্টল্যান্ড নন। অনেকের মতে সেটি উইলিয়াম শেক্সপিয়ার। আবার অনেকেই মনে করেন সেটি রহস্য-রানী আগাথা ক্রিস্টি। দুজনের বই-ই প্রায় ৪০০ কোটির মতো বিক্রি হয়েছে। তবে এখানে আমরা আগাথা ক্রিস্টিকে নিয়ে সেজন্য আলোচনা করছি না। আগাথা ক্রিস্টির আরও একটি অনন্য অর্জন রয়েছে। সেটি হলো, বিশ্বের সবচেয়ে মোটা বইটির লেখিকা তিনি। ২০০৯ সালে হারপার কলিন্স থেকে প্রকাশিত হয় তার মিস মারপল রচনা সমগ্র। সেখানে স্থান পায় মিস মারপলকে নিয়ে তার লেখা ১২টি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস ও ২০টি ছোট গল্প। বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪,০৩২, ওজন ৮.০৪ কেজি। এছাড়াও বইটি ১২.৬৭ ইঞ্চি চওড়া। পুরো বইটি ঘাঁটলে দেখা যাবে, সেখানে ৬৮টি অপরাধের উল্লেখ আছে। আরও আছে সমসংখ্যক গোপন রহস্য, ২২টি মিথ্যা অভিযোগ, ২১টি রোমান্স, আর ১৪৩ কাপ চা পানের উল্লেখ।
সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রকাশিত প্রথম বইয়ের লেখক
বার্থা উড; হলিডে ক্যাম্প মুভমেন্টের একজন উল্লেখযোগ্য অগ্রপথিক। বেশ ঘটনাবহুল একটি জীবনই তিনি পার করেছিলেন। পেশায় লেখিকা না হলেও, তার স্বপ্ন ছিল নিজের নামে একটি বই প্রকাশ করবেন তিনি। সে উদ্দেশ্যে ৯০ বছর বয়স থেকে একটি বই রচনাও শুরু করে দেন তিনি। মূলত স্মৃতিচারণামূলক বই ছিল সেটি। ১৯৩৫ সালে স্বামী ফ্রেডের সাথে যে ব্ল্যাকপুল হলিডে ক্যাম্প গড়ে তুলেছিলেন, সে বিষয়ক বর্ণনাই ছিল বইটিতে। ২০০৫ সালে, নিজের ১০০ তম জন্মদিনে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয় বইটি। শিরোনাম ছিল ফ্রেশ এয়ার অ্যান্ড ফান। আর এর মাধ্যমে তিনি পরিণত হন সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রথম বই প্রকাশ করা লেখিকায়। এবং সেটিই ছিল তার জীবনের শেষ বই। কারণ এরপর আর বেশিদিন বাঁচেননি তিনি। ২০০৭ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। তবে কোনো খেদ ছিল না তার মনে। জীবনে যা চেয়েছিলেন তার সবই পেয়েছিলেন। এমনকি শেষ বয়সে একটি বইও প্রকাশ করে ফেলেছিলেন। এমন অনন্য ভাগ্য কয়জনের হয়!
সবচেয়ে কম বয়সে প্রকাশিত বইয়ের লেখক
সবচেয়ে বেশি বয়সে বই প্রকাশিত লেখিকার কথা তো জানলাম। এবার চলুন জেনে নিই সবচেয়ে কম বয়সে বই প্রকাশিত লেখক ও লেখিকার সম্পর্কে।
লেখকের নাম থানুওয়ানা সেরাসিংঘে। শ্রীলংকার নাগরিক তিনি। ২০০৭ সালের ৫ জানুয়ারি, মাত্র ৪ বছর ৩৫৬ দিন বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই জাংক ফুড। বইটি লিখতে তিনি লাগিয়েছিলেন মাত্র তিন দিন সময়!
আর বাণিজ্যিকভাবে প্রকাশিত সর্বকনিষ্ঠ লেখিকা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডরোথি স্ট্রেইট। ১৯৬২ সালে, মাত্র চার বছর বয়সে তিনি লেখেন হাউ দ্য ওয়ার্ল্ড বিগান নামক একটি বই। দুই বছর বাদে, ১৯৬৪ সালে সেটি প্রকাশ করে প্যান্থিয়ন বুকস।
তার এই বইটি রচনার পেছনের ইতিহাস বেশ আগ্রহোদ্দীপক। একদিন তার মা তাকে জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবী কীভাবে সৃষ্টি হয়? সরাসরি সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে, আঁকা ও লেখার মাধ্যমে নিজের ধারণা ফুটিয়ে তোলেন তিনি। তার বাবা-মায়ের সেটি এতই ভালো লেগে যায় যে তারা সেটি প্রকাশকের কাছে পাঠিয়ে দেন প্রকাশের উদ্দেশ্যে। বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি নিয়ে যেখানে এত এত হাইপোথিসিস রয়েছে, সেখানে চার বছরের একটি বাচ্চা এ বিষয়ে কী ভাবছে, তা অবশ্যই বিশেষ মর্যাদার দাবিদার।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/