দক্ষিণ ইউরোপে ভূমধ্যসাগরের মাঝখানে বেশকিছু দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি দ্বীপপুঞ্জ। সেই দ্বীপপুঞ্জটি আজ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত। ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির নাম মাল্টা। ছোট ছোট অনেক দ্বীপ থাকলেও প্রধানত মাল্টা, গোজো ও কোমিনো- এই তিনটি দ্বীপ নিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি গঠন করেছে। মাল্টা ইউরোপের ছোট দেশগুলোর একটি হলেও ঐশ্বর্যের কমতি নেই। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ইতিহাসের নানা অধ্যায়ের স্মৃতিচিহ্নের অমূল্য আধার এই মাল্টা। চুনাপাথরে গড়া খাড়া পাহাড়ের পটভূমিতে গভীর নীল সমুদ্র, সাদা বা সোনালি সৈকত এবং ভূমধ্যসাগরীয় উষ্ণ জলবায়ু একে পৃথিবীর অন্যতম সেরা পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।
মাল্টার ইতিহাসেও দারুণ সমৃদ্ধ। মাল্টায় সভ্যতার সূচনা হয়েছিল ফিনিশীয় যুগে। তারপর কালে কালে গ্রীক, রোমান, মুর, নাইটস হসপিটালার, ফরাসী, ব্রিটিশ সহ নানা শক্তির করতলে ছিল দেশটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের জন্য মাল্টা হয়ে উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ নৌ ঘাঁটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও মাল্টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাল্টার সংস্কৃতিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মের প্রভাব প্রকট। পুরো মাল্টা জুড়েই রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও ক্যাথেড্রাল চোখে পড়ে। মাল্টা তাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ একটি এলাকা। ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও মাল্টায় বেশ বিখ্যাত কিছু প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শন আছে৷ আরও আছে গোজোর অসাধারণ সামুদ্রিক তটরেখা, কোমিনোর গাঢ় নীল লেগুনের সিন্ধ জলরাশি। তবে এই লেখায় আমরা মাল্টার প্রধান শহরগুলো সম্পর্কে জানব, যে শহরগুলোর কোনো কোনোটি থেকে গ্রাম্যভাব এখনও যায়নি। তবে তাতে মাল্টার পর্যটন শিল্পে অবদান রাখতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। তাহলে চলুন পাঠক, মাল্টার মোহনীয় ভুবনে হারানো যাক অপার মুগ্ধতায়।
ভাল্লেত্তা
ভাল্লেত্তা মাল্টার রাজধানী শহর এবং প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ইউরোপের সবচেয়ে ছোট রাজধানী শহর এটি। ষোল শতকে প্রতিষ্ঠিত এই শহরটির অবস্থান বেশ উঁচুতে, দুটি প্রাকৃতিক পোতাশ্রয়ের মাঝখানে। বারোক রীতিতে তৈরি নানা স্থাপত্যে ঠাসা এই শহরটিকে ইউনেস্কো ১৯৮০ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয়। ভাল্লেত্তায় অল্প জায়গার তুলনায় ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে অনেক বেশি। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় রেখেই নিশ্চয়ই ২০১৮ সালে ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচিত হয় শহরটি। প্রাচীরঘেরা, দূর্গবেষ্টিত এই শহরটি গড়ে তোলে নাইটস হসপিটালাররা। তাদের তৈরি মনোমুগ্ধকর অনেক ক্যাথেড্রালের দেখা মেলে শহরে। ভাল্লেত্তায় বেড়াতে যাওয়া মানে ইতিহাস মিশ্রিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া। এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, প্রতিটি কোণায় কোণায় ছড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক নিদর্শন। ভাল্লেত্তাকে জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখা। শুরু করতে পারেন ভেলেটার অসাধারণ বাগানগুলো ভ্রমণের মধ্য দিয়ে।
উচ্চ বারাকা গার্ডেনের নান্দনিকতায় মুগ্ধ হবেন আপনি, সেই সাথে চোখ জুড়াতে পারবেন গ্র্যান্ড হার্বারের প্যারানোমিক দৃশ্য দেখে৷ প্রতিদিন দুপুরে বাগান থেকে অদূরের দূর্গে স্থাপিত কামানের গোলাবর্ষণের দৃশ্য চোখে পড়ে। অটোমানদের বিরুদ্ধে বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিদিন এই গোলাবর্ষণের আয়োজন।
এরপর চলে যান সেন্ট জন কো-ক্যাথেড্রাল ও মিউজিয়াম দেখতে। ক্যাথেড্রালের অভিনব অভ্যন্তরীণ সজ্জা যে কারো চোখ ধাঁদিয়ে দেবে। মাল্টার বারোক স্থাপত্য কৌশলের অন্যতম সেরা নিদর্শন এই ক্যাথেড্রালটি। প্রার্থনাস্থল হিসেবে এখনো ব্যবহৃত হয় এটি।
সেন্ট জন দ্য ব্যাপটিস্টের স্মরণে নির্মিত এই ক্যাথেড্রালে ইতালীয় চিত্রশিল্পী ক্যারাভেজ্জিওর আঁকা দুটি মাস্টারপিস সংরক্ষিত আছে। গ্র্যান্ড মাস্টার প্যালেস ভেলেটার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে মাল্টা শাসনকারী নাইটস হসপিটালারের গ্র্যান্ড মাস্টারের বাসভবন ছিল এটি। প্যালেসের ভেতরে বর্ম, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত।
ভাল্লেত্তায় গেলে ইতালীয় স্থপতি রেনজো পিয়ানোর ডিজাইন করা মাল্টার শ্বাসরুদ্ধকর পার্লামেন্ট ভবনটি দেখতে ভুলবেন না। ভবনটিকে প্রথম দর্শনে মনে হয় যেন দুইটি বিশাল পাথর শূন্যে ঝুলে আছে। পাথরের গায়ে বিশেষভাবে কেটে তৈরি করা হয়েছে জানালা। এছাড়া ভাল্লেত্তা শহরের প্রবেশপথ, প্রবেশপথের একপাশের ট্রিটন ফাউন্টেনের ফোয়ারাও দেখার মতো।
মদিনা ও রাবাত
উঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত ছোট্ট একটি শহর মদিনা। ইতিহাসে মোড়া এই শহরের শত শত বছরের পুরনো ভবনগুলো এখনো বহাল তবিয়তে টিকে আছে। মধ্যযুগীয় স্থাপনায় সমৃদ্ধ শহরের সরু পথে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে হবে ইতিহাস গল্প করছে আপনার সাথে। মদিনার রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়ার চলাচল কম। সেজন্য একে ‘নীরব শহর’ বলা হয়। শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান সেইন্ট পল ক্যাথেড্রাল।
চিত্তাকর্ষক লাল গম্বুজের এই ক্যাথেড্রালটি মাল্টার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ক্যাথেড্রালের মার্বেলের মেঝে, নানা বিশপের নানা স্মৃতিচিহ্ন, পুরনো কামান সবকিছু আপনাকে অতীতে নিয়ে যাবে। পাশেই রয়েছে সেন্ট পল মিউজিয়াম। এটি ইউরোপের অন্যতম সেরা ধর্মীয় সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে বিখ্যাত চিত্রকলা,মুদ্রার সংগ্রহ, রোমান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রভৃতি। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে পাবেন নানারকম পাথর-খনিজ, পাখির বাসা, মাছ-গাছ ইত্যাদির সংগ্রহ। শহরের প্রবেশপথ মদিনা গেটের পরেই আছে ডানজনে ঢোকার পথ। ডানজনের প্যাঁচানো সুড়ঙ্গগুলোতে ঘুরে ঘুরে পেতে পারেন রোমাঞ্চের স্বাদ।
মদিনা থেকে একটু দূরে অবস্থিত রাবাত গ্রাম। রাবাতের হাওয়ার্ড গার্ডেন মাল্টার সবচেয়ে বড় পাবলিক পার্ক। শহরের কোলাহলে ক্লান্ত হয়ে গেলে প্রশান্তির খোঁজে আসতে পারেন রাবাতের এই চোখ জুড়ানো বাগানে। মাল্টা অসংখ্য রোমান সমাধিক্ষেত্রের কিছু রাবাতেও আছে। সেইন্ট পল ও সেইন্ট আগাথা ক্যাটাকম্ব তার মধ্যে অন্যতম। খ্রিস্টধর্ম বিকাশের শুরুর দিকের অনেক প্রত্মতাত্বিক নিদর্শন ধারণ করে আছে মাটির নিচের এই সমাধিক্ষেত্রগুলো।
স্লিয়েমা
মাল্টার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত উপকূলীয় শহর স্লিয়েমা। একসময়কার শান্ত জেলে-পল্লী এখন হয়ে উঠেছে অভিজাত আবাসিক এলাকা ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। উনিশ শতকে ব্রিটিশদের হাত ধরে স্লিয়েমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সূচনা ঘটে। বিলাসবহুল ভিলা, টাউনহাউস, ভিক্টোরিয়ান রীতির ভবনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে শহর। তারপর স্লিয়েমাবাসী এলাকাটির পর্যটন সম্ভাবনা অনুধাবন করে আধুনিক স্থাপনা গড়ে তুলে শহরের চেহারাই পাল্টে দেয়। স্লিয়েমা মাল্টার প্রথম রিসোর্ট টাউন যা ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ। স্লিয়েমার সমুদ্র উপকূল ধরে চলে গেছে ‘দ্য ফ্রন্ট’ নামের বেড়ানোর পথ।
সাগরের তাজা বাতাস গায়ে মেখে ছুটিকে স্মরণীয় করতে হেঁটে বেড়াতে পারেন এখানে। স্লিয়েমাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ফেরি ভ্রমণের সুযোগ আছে এখানে। আপনি ‘গেইম অব থ্রোনস’ এর ভক্ত হয়ে থাকলে মারসাশ্লেট হার্বারের মাঝখানে অবস্থিত ম্যানুয়েল দ্বীপ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
এটি মূল ভূখণ্ডের সাথে একটি ব্রিজ দিয়ে যুক্ত। নাইটস হসপিটালারদের গড়া ফোর্ট ম্যানুয়েল দূর্গ আছে দ্বীপটিতে। স্লিয়েমায় বিচ না থাকলেও আছে উপকূলে পাথর কেটে বানানো বিশেষ পুল যেখানে সমুদ্রের পানি আসে। এগুলোকে বলে রোমান বাথ। রোমান বাথে গোসল করা হতে পারে আপনার জীবনে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। এছাড়া শহরের ক্যাথলিক চাঁচগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।
সেইন্ট জুলিয়ান
মাল্টার উপকূলে, ভেলেটা থেকে উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি। এটি মূলত বিলাসবহুল হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় লোকজন বা পর্যটক- সবার কাছেই সমান আকর্ষণীয় শহরটি। ১৮০০ সালের আগে সেইন্ট জুলিয়ান ছিল একটা সাধারণ জেলেপল্লী। মুসলমানদের আক্রমণের ভয়ে এই এলাকায় তেমন জনবসতি গড়ে ওঠেনি। সেইন্ট জুলিয়ান সবচেয়ে ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হলে বেড়াতে হবে পায়ে হেঁটে। সেক্ষেত্রে সকালে উঠে নাস্তা সারতে চলে যান ব্যালুটা এলাকার কোন ক্যাফেতে। পথে দেখতে পাবেন গথিক চার্চ ‘আওয়ার লেডি অব মাউন্ট কারমেল’।
তারপর ‘দ্য ফ্রন্ট’ ধরে হেঁটে গেলে পৌঁছবেন স্পিনোলা বে-তে। বে এর এক কোণায় পাবেন ‘লাভ মনুমেন্ট’। এখানে ইংরেজি লাভ শব্দটি উল্টো করে লেখা আছে যা প্রতিফলিত হয় সমুদ্রের পানিতে। এখন আপনি অবস্থান করছেন সেন্ট জুলিয়ানের কেন্দ্রে। দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। তারপর পোর্টমোসো ও হিলটন হোটেল পেরিয়ে চলে যান সেইন্ট জর্জ বে তে।
এখানে দেখতে পাবেন জাঁকালো ভিলা রোজা। তারপর চলে যান ব্রিটিশ শহর পেমব্রোকে। এখানকার ব্রিটিশ সেনা ছাউনিগুলোকে পরিণত করা হয়েছে স্কুলে। এখান থেকে চোখে পড়বে ক্লক টাওয়ার।
জেব্বুগ
মাল্টার অন্যতম প্রাচীন শহর জেব্বুগ। মাল্টিজ ভাষায় জেব্বুগ মানে জলপাই। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত জলপাই বন এহেন নামকরণের উৎস। নাইটসদের গড়া শহরটিতে কোনো উৎসবের সময় মানুষজন শহরের প্রবেশপথ তৈরি করত। এখনো শহরে প্রবেশপথ আছে। এখনকার প্রবেশপথটি ১৮ শতকে নির্মিত।
সেইন্ট ফিলিপের স্মরণে নির্মিত শহরের চার্চটি এখম শিল্পকলা, স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের সংগ্রহশালা। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেইন্ট ফিলিপের স্মরণে আয়োজিত হয় ‘ফেস্টা’ উৎসব।জেব্বুগ হেঁটে ঘুরে ঘুরে ক্যাফে, নগরচত্বর ও পুরাতন বাড়িঘরের শোভা উপভোগ করুন। আপনি যদি ধর্মীয় স্থাপনায় আগ্রহী হন, তাহলে আপনার জন্য আছে জেব্বুগের ১৩টি চ্যাপেল।
মেল্যিনা
মাল্টার উত্তর-পশ্চিম উপকূল অবস্থিত ছোট্ট শহর মেল্যিনা। শহরটা থেকে গ্রাম গ্রাম গন্ধটা এখনও যায়নি। এজন্য মেল্যিনাকে গ্রাম বলেও ডাকা হয়। মেল্যিনা কয়েকটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। উঁচুতে অবস্থানের কারণে এখান থেকে আশেপাশের উপসাগরগুলোর দৃশ্য সুন্দরভাবে চোখে পড়ে। মেল্যিনা মূলত সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত। গোল্ডেন বে ও গাদিরা বে মেল্যিনার দুইটি জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত।
প্রচুর সমুদ্র সৈকতের কারণে মেল্যিনা একসময় পরিণত হয়েছিল জলদস্যুদের আখড়ায়। সেজন্য এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। মাল্টা নাইটস হসপিটালারদের অধীনে থাকার সময়ে তাদের উৎপাত বন্ধ হয়নি। তাই সেসময় শহরকে সুরক্ষিত করতে দূর্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া যা আজকে ‘রেড টাওয়ার’ নামে পরিচিত।
শহরের প্রতিরক্ষা আরো জোরদার করতে সৈকতে কামান বসানো হয়। তবে আজকের যে মেল্যিনাকে আমরা দেখি, তা মূলত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি। ব্রিটিশ প্রশাসনের দেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে মানুষ আবার এখানে আসতে শুরু করে। মাল্টার উত্তর অংশের একটি প্রাকৃতিক গুহায় পাওয়া যায় একটি ফ্রেসকো যাতে মাতা মেরি ও শিশু যিশুর ছবি আঁকা ছিল। সেজন্য ঐ এলাকার প্রতি মানুষের এক ধরনের ভক্তি-শ্রদ্ধা তৈরি হয়। বলা-বাহুল্য, জলদস্যুর আক্রমণ সেই ভয়কে বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই এখানে একটি চার্চ নির্মাণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই চার্চটি বর্তমানে ‘দ্য স্যাংচুয়ারি অব আওয়ার লেডি’ নামে পরিচিত। এছাড়া ঘুরে আসতে পারেন গাদিরা ন্যাচার রিজার্ভ থেকে। এখানে এলে মন ভরে পাখি দেখতে পারবেন। নানারকম পরিযায়ী পাখিদের অভয়াশ্রম এই রিজার্ভ।
বিশ্বের চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/