বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে অনেকে ভাবছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি সেকেন্ডে জন্ম হচ্ছে ৪ জন মানুষের। মৃত্যুও কি হচ্ছে একই অনুপাতে? না, জন্মের সমানুপাতে মৃত্যু না হলেও মানুষ মরছে প্রতি মুহূর্তেই। প্রতি বছর পৃথিবীতে গড়ে ৫৬ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবী ত্যাগ করেন দুজন মানুষ! এই মৃত্যু কত বিচিত্রভাবে ঘটে, তার হিসাব নেই। তথাপি, কিছু প্রসিদ্ধ ব্যাপার আছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। কী সেই ব্যাপারগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক। উল্লেখ্য, এই তালিকাটি তৈরি করেছে ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’, ২০১৮ সালে। এটি ২০১৬ সালের হিসাবে। ২০১৭ কিংবা ২০১৮ এর তালিকা নিয়ে এখনো কাজ করছে ডব্লিউএইচও।
১০. সড়ক দুর্ঘটনা
সড়ক দুর্ঘটনা পৃথিবীতে অপমৃত্যুর সবচেয়ে বড় উৎস। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যক্রমে সংখ্যাটা বাড়ছে ক্রমাগত। তেমনিভাবে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাটা চমকে যাবার মতো। ২০১৭ সালে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩ লক্ষাধিক মানুষ। আর দুর্ঘটনাজনিত হতাহতের শিকার হন কিংবা অঙ্গহানি হয়ে মৃতের মতো বেঁচে থাকেন ৫-৬ কোটি মানুষ! এই বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রাণ চাইলেই যে বাঁচানো যেতো, তার প্রমাণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্ঘটনাপ্রবণ হওয়া। বছরে যে ১৩ লক্ষ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান, তার প্রায় ১১ লাখই উন্নয়নশীল দেশে! তবে আশার ব্যাপার হলো, গত ৩০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার হার ক্রমশ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, যানবাহনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নই এ ব্যাপারটি সফল করেছে।
৯. যক্ষ্মা
“যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এই কথার ভিত্তি নেই”, আসলেই নেই। কিন্তু তারপরও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর পৃথিবী থেকে ঝড়ে যাচ্ছে ১৪ লক্ষ প্রাণ! অবিশ্বাস্য, তা-ই না? ১৮ এবং ১৯ শতকেও পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ত্রাসের নাম ছিল যক্ষ্মা। যক্ষ্মা হলে তখন প্রকৃতপক্ষেই রক্ষা ছিল না। কিন্তু ২০ শতকের মধ্যভাগে সেলমান ওয়াকসমানের যক্ষ্মার প্রতিষেধক আবিষ্কার একে একটি মামুলি রোগে পরিণত করেছে। তথাপি টিবি বা টিউবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়ার দাপট যেন এতটুকু কমেনি। এখনো বছরে ৯ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন, যার মাঝে ১.৪ মিলিয়নের শেষ রক্ষা হয় না। তার উপর, ব্যাকটেরিয়ার ‘ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট’ হয়ে ওঠার ব্যাপারটা তো আছেই। তবে আশার ব্যাপার হলো, সানোফি ইন্টারন্যাশনাল, ওতুস্কা ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো কিছু নামিদামি ফার্মাসিউটিক্যালস ইতোমধ্যে যক্ষ্মার অধিক কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা করছে এবং অনেক দূর এগিয়েও গেছে।
৮. ডায়রিয়া
বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০ ঘাতকের তালিকায় যক্ষ্মার নাম দেখে যদি ভড়কে গিয়ে থাকেন, তাহলে আরো বিস্ময়ই অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। কেননা যক্ষ্মার চেয়েও বড় ঘাতক এখনো পর্যন্ত ডায়রিয়া! অবশ্য, ডায়রিয়ার প্রধান শিকার শিশুরাই। কলেরা ও আমাশয়ের মতো উদরাময় ব্যাধিতে ভুগে প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন, যার মাঝে ৫ লাখের অধিক ৫ বছরের কমবয়সী শিশু। পানিবাহিত এ রোগ সাধারণ দূষিত পানি পানেই ঘটে থাকে। অধিকাংশ সময়ই অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়। পানি এবং সোডিয়াম ও ক্লোরাইডের মতো ইলেকট্রোলাইট শরীর থেকে অতিমাত্রায় কমে গিয়ে রোগীর দেহে চরম পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ফলে, ডায়রিয়া হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. অল্টহাইমারস (আলঝেইমার)
অল্টহাইমারস হলো একধরনের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের প্রকট রূপ, যা রোগীর দেহে একধরনের অ্যামাইলয়েড প্রোটিন উৎপন্ন করে। এতে করে রোগীর বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে, যেমন- কথা বলা, কিছু মনে রাখা। এ রোগের কারণ এখনো পর্যন্ত চিকিৎসকদের অজানা। ফলে এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিকারও নেই। বিশ্বের একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অল্টহাইমারস নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছে। বায়োজেন, টাকেডা, জিনফ্যান্ডেলের মতো কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইতোমধ্যেই আশাতীত সাফল্য লাভ করেছে এ সংক্রান্ত গবেষণায়। প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া রোগের চিকিৎসা খুব শীঘ্রই মানুষের হাতের নাগালে হবে বলেই আশাবাদী চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
৬. ডায়াবেটিস
মানুষের শরীরে ইনস্যুলিন নামক একধরনের হরমোন থাকে, যা দেহে উৎপাদিত কিংবা খাদ্যের মাধ্যমে গৃহীত গ্লুকোজ প্রক্রিয়াকরণ ও শোষণে সহায়তা করে। কোনো কারণে দেহে ইনস্যুলিন উৎপাদন কমে গেলে কিংবা বাধাগ্রস্ত হলে গ্লুকোজের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এ অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে মহামারীর একটি হলো ডায়াবেটিস। এর কোনো প্রতিকার নেই। তবে নিয়ম করে ওষুধ খেয়ে এবং খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ এনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বর্তমানে পৃথিবীতে ৪০ কোটির অধিক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতিকারহীন এ রোগ বছরে কেড়ে নিচ্ছে ১৬ লক্ষ প্রাণ। সাধারণত বয়স্ক মানুষের ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি অধিক। একবার এ রোগে আক্রান্ত হলে আমৃত্যু নিয়ন্ত্রিত জীবনধারণ করতে হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনস্যুলিন প্রয়োগ করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল আকারে ইনস্যুলিন তৈরির উন্নত গবেষণা চলছে। ডেনমার্কের নভো নরডিস্ক ফার্মাসিউটিক্যাল ইতোমধ্যেই টাইপ-১ ডায়াবেটিসের জন্য ট্যাবলেট তৈরি করে ফেলেছে।
৫. ফুসফুস ক্যান্সার
সেরা ১০ ঘাতকের তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করেছে ফুসফুস ক্যান্সার। বিশ্বে প্রতি বছর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৬ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আবার এর দরুন মারা যাওয়া মানুষের শতকরা ৮৫ ভাগই ধূমপায়ী। স্পেন, হাংগেরি ও চীনে ফুসফুস ক্যান্সারে মৃতের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।
ক্যান্সার নিরাময়ের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উন্নত প্রযুক্তির কেমোথেরাপি অনেককেই সুস্থ করে তুলেছে, যদিও মৃত্যুর হারও কম নয়। তথাপি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বসে নেই। ক্যান্সারের নিরাময় আবিষ্কারের প্রতিনিয়ত যে গবেষণা চলছে, তার একটি সফল উদাহরণ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যাল। এই কোম্পানি ‘টাগ্রিসো’ নামক একটি ওষুধ তৈরি করেছে, যা ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ের বেশ কিছু লক্ষণ যেমন ক্ষুধামন্দা, বুক ব্যথা, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট দমন করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই তারা ক্যান্সারের নিরাময় আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।
৪. ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ
‘ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ’ বা সিওপিডি তালিকার আগের কারণগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ মানুষের মৃত্যুর কারণ। প্রতি বছর এ সংক্রান্ত রোগে ৩২ লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে! ব্রঙ্কাইটিস, এমফিসেমা, অ্যাজমা সহ বেশ কিছু ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ সিওপিডির অন্তর্ভুক্ত। এসকল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুস গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত ধূমপায়ীরাই সিওপিডির প্রধান শিকার। তবে অধূমপায়ীরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, বিশেষ করে অধিক জনবহুল শহরে। তাছাড়া দূষিত বায়ু এবং ধূমপায়ীর নিত্য সংস্পর্শেও একজন সুস্থ মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত, সিওপিডিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের হার আশংকাজনকভাবে বেশি।
৩. লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন
‘লোয়ার রেসপিরেটরি ট্যাক্ট ইনফেকশন’ বা এলআরটিআই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক রোগ। উন্নত চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও বছর বছর শ্বসন সংক্রান্ত এসব রোগ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এবং লাখো মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই রোগগুলো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং রোগীর ফুসফুস ও শ্বসনতন্ত্র আক্রান্ত করে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া এলআরটিআইয়ের প্রধান দুই উদাহরণ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৪০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে, যার একটা বড় অংশই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় এলআরটিআইয়ে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া, ফ্লু ভাইরাসগুলো প্রতিনিয়ত অভিযোজিত হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে ওঠায় মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে আনাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তবে এক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের ‘পলিফার ফার্মাসিউটিক্যালস’। তাদের তৈরি মিউরপেভাডিন নামক ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রতি ১০ জনের ৯ জনকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
২. স্ট্রোক
‘স্ট্রোক’ শব্দটি আমাদের কাছে বহুল পরিচিত একটি শব্দ। কেননা, প্রতিনিয়ত আমরা আমদের চারপাশে অসংখ্য মানুষের স্ট্রোক হতে দেখি। অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও অনেকেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পাশাপাশি স্ট্রোকে আক্রান্তদের মৃতের হারও উচ্চ। যখন কোনো কারণে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় কিংবা রক্তক্ষরণ হয়, তখন স্ট্রোক ঘটে। সাধারণত মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের দরুন রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে কিংবা রক্ত জমাট বেঁধে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যেতে শুরু করে। আবার উচ্চ মানসিক উত্তেজনায় মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণের কারণে স্ট্রোক ঘটে। বিশ্বজুড়ে স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ভয়াবহরকম বেশি। প্রতিবছর গড়ে কমবেশি ৬০ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকে প্রাণ হারাচ্ছেন! আধুনিককালে স্ট্রোকের উন্নত চিকিৎসা থাকলেও তা শতভাগ সুস্থতার নিশ্চয়তা দেয় না। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকেই বরং ঝোঁকা উচিত।
১. ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ
‘ইস্কেমিক হার্টি ডিজিজ’ বা ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’ বর্তমান বিশ্বে মানুষের সবচেয়ে বড় ঘাতক। ধমনী বা শিরার প্রাচীরে প্রচুর ফ্যাট বা ফ্যাট জাতীয় দ্রব্য জমা হলে এর ব্যাস সংকুচিত হয় এবং রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এখান থেকেই এ সমস্যার উদ্ভব। এই রোগ প্রতি বছর ৯০ লাখের অধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ। সাধারণত, অধিক চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদির কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়ায় রক্তনালীতে চর্বি জমতে থাকে এবং একসময় রক্তনালীর আয়তন এতোটা কমে আসে যে হৃদযন্ত্রে পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে রোগী মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।
ফুসফুস সংক্রান্ত রোগগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি হবার একটি কারণ এখানকার উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণ। তেমনি, হার্ট অ্যাটাকে মৃতের হার সবচেয়ে বেশি ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে, সেখানকার মানুষের অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করার অভ্যাসের কারণে। তাছাড়া, ইউরোপিয়ানরা জাংক ফুডেও বেশ অভ্যস্ত, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যা-ই হোক, প্রতি বছর প্রায় কোটি মানুষের প্রাণনাশকারী এ রোগ নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। অ্যাস্ট্রা-জেনেকা আর ফাইজার নামক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দুটো কার্ডিওভাস্কুলার রোগের নিরাময় তৈরিতে দীর্ঘকাল গবেষণা করে আসছে। তবে নিকট ভবিষ্যতে তা আশা করা অবাস্তব। তাই এখনো পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য ডাক্তারদের প্রধান পরামর্শ খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ।