যুদ্ধ মানে ধ্বংস। যুদ্ধ মানে দেশ দখলের লড়াই। যুদ্ধ মানে ট্যাংক-কামান আর গোলা-বারুদ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া শত্রুপক্ষের উপর। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে এ লড়াই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, মাত্র ৩৮ মিনিটেও যুদ্ধ শেষ হতে পারে!
হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছিল অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধের ক্ষেত্রে। মাত্র এক ঘন্টারও কম সময়ে এ যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। এত কম সময়ে শেষ হয়েছিল বলে অনেক ইতিহাসবিদ আবার ভ্রু কুঁচকান। তারা একে যুদ্ধ বলতে রাজি নন। কারণ এ যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে জাঞ্জিবারের পরাজয় ছিল নিশ্চিত। তাদের মত, যে যুদ্ধের ফলাফল আগে থেকেই স্পষ্ট, সেটাকে কি আর যুদ্ধ বলা যায়!
যা-ই হোক না কেন, সবকিছু ছাপিয়ে এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। অ্যাংগো-জাঞ্জিবার যুদ্ধ ইতিহাসের পাতায় ঠায় নিয়েছে সর্বকালের ক্ষুদ্রতম যুদ্ধ হিসেবে। আসুন জেনে নেয়া যাক ঐতিহাসিক ৩৮ মিনিটের এই যুদ্ধ সম্পর্কে।
১৮৯৬ সালের ২৭ আগস্ট অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের ব্যাপ্তি ছিল সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩৮ মিনিট। অনেকে আবার আনুষঙ্গিক ঘটনাসহ ৪০ মিনিট বলে থাকেন। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে ব্রিটিশরা জাঞ্জিবার উপর একচ্ছত্র অধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।
ঘটনার সূত্রপাত
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষাংশ। ২৫ আগস্ট, ১৮৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন জাঞ্জিবারের সুলতান হামিদ বিন তোয়াইনি। এরপর সিংহাসনে বসেন খালিদ বিন বারঘাস। কিন্তু ব্রিটিশরা চেয়েছিল অন্য কিছু। তাদের দাবি ছিল সুলতানের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসবেন হামাদ বিন মুহাম্মদ।
এর আগে ১৮৮৬ সালে জাঞ্জিবার সুলতানাত ব্রিটিশদের সাথে একটি চুক্তি করে। চুক্তির শর্ত ছিল সুলতানের মৃত্যুর পর নতুন কেউ সিংহাসনে বসতে হলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু ব্রিটিশদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিংহাসনে বসেন খালিদ বিন বারঘাস। ব্রিটিশরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
ব্রিটিশরা খালিদ বিন বারঘাস এবং তার সৈন্যদেরকে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করার জন্য নির্ধারিত সময় বেধে দেয়। কিন্তু খালিদ ব্রিটিশদের কথায় কর্ণপাত না করে রাজপ্রাসাদের আশেপাশে সৈন্যসংখ্যা বাড়াতে থাকেন। আর তিনি নিজে রাজপ্রাসাদের সিংহাসনে অবস্থান করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সূত্রপাত হয় অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধের।
প্রেক্ষাপট
জাঞ্জিবার ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ, যা বর্তমানে তানজানিয়ার অংশ। ১৪৯৯ সাল থেকে এটি পর্তুগিজদের অধীনে ছিল। ১৬৫৮ সালে ওমানের সুলতান পর্তুগিজদের বিতাড়িত করে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
এরপর ১৮৫৮ সালে সুলতান মাজিদ বিন সাঈদ এই দ্বীপকে ওমান থেকে স্বাধীন দাবি করেন। তখন ব্রিটিশরা মাজিদকে সমর্থন জানায়। মাজিদের পরের সুলতানরা জাঞ্জিবারকে গড়ে তোলেন স্বাধীন আধুনিক শহর হিসেবে। সমুদ্রের পাড়ে গড়ে তোলেন বিশাল এক রাজপ্রাসাদ।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, জমকালো এই রাজপ্রাসাদে প্রতিরক্ষার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। এজন্য বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। এসময় জাঞ্জিবার সুলতানের সাথে ব্রিটিশরা তাল মিলিয়ে চলছিলেন এবং তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৮৮৬ সালের পর থেকে জাঞ্জিবার সরকারের ওপর ব্রিটিশরা তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। ১৮৯০ সালে খলিফা মৃত্যুবরণ করলে আলী বিন সাঈদ সিংহাসনে বসেন। তিনি ঐ অঞ্চলে ব্রিটিশদের মদদে বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়া দাস প্রথা বন্ধ করে দেন।
সুলতান আলী বিন সাঈদ জাঞ্জিবারকে ব্রিটিশদের উপনিবেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। সেসময় ঐ অঞ্চলে ব্রিটিশদের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ছিলেন লয়েড ম্যাথিউস। সুলতান ম্যাথিউসকে তার মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সারির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ব্রিটিশরাও এই সুযোগে চুক্তিটা করে নেয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যতে কেউ সুলতান হতে গেলেই ব্রিটিশদের অনুমতি লাগবে।
সুলতান আলী বিন সাঈদের পর ১৮৯৩ সালে সিংহাসন অধিকার করেন সুলতান হামাদ বিন তাওয়াইনি। তিনি সুলতান থাকাকালে ব্রিটিশদের সাথে সম্পর্ক ভালই ছিল। কিন্তু রাজ্যের এক শ্রেণীর লোক ব্রিটিশদের সহ্য করতে পারত না। কারণ ব্রিটিশরা তাদের ঐতিহাসিক দাস প্রথা উচ্ছেদ করেছে। দাস প্রথা ঐ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এই লোকদের দমন করার জন্য সুলতান এক হাজার সদস্যের একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করেন। আর এই বাহিনী গঠনের পরামর্শ দিয়েছিল ব্রিটিশরাই। কিন্তু কিছুদিন পর চিত্র পাল্টে যেতে লাগলো। এই বাহিনীর সদস্যরাই বিভিন্ন ইস্যুতে ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । প্রায়ই ছোটখাট বিষয় নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে এই বাহিনীর বিরোধ লেগে থাকত। এজন্য ব্রিটিশদের কাছ থেকে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে সুলতানের কাছে।
২৫ আগস্ট সুলতান হামাদ বিন তাওয়াইনি আকস্মিকভাবে মারা যান। এরপর তার ভাতিজা খালিদ বিন বারঘাস তার অধীনস্ত সৈন্যদের নিয়ে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। ২৯ বছর বয়সী খালিদ সিংহাসনে আরোহন করে নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা দেন। তাকে সমর্থন যোগাচ্ছিল জার্মানরা।
কিন্তু ব্রিটিশরা চেয়েছিল সুলতান হামাদ বিন তাওয়াইনির মৃত্যুর পর হামাদ বিন মুহাম্মদকে সিংহাসনে বসাবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সুলতান আলী বিন সাঈদের মৃত্যুর পরও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছিলেন খালিদ বিন বারঘাস। সে সময় ব্রিটিশরা তাকে সতর্ক করে দিয়েছিল, তিনি যেন কোনোভাবেই এমন বিপদজনক সিদ্ধান্ত না নেন। তখন দমে গেলেও তিন বছর পর সুলতান হামাদের মৃত্যুর পর ব্রিটিশরা তাকে কোনোভাবেই দমাতে পারেনি।
খালিদ ব্রিটিশদের হুমকি উপেক্ষা করে তার সৈন্যদেরকে ক্যাপ্টেন সালেহর তত্বাবধানে দেন।
ক্যাপ্টেন সালেহকে নির্দেশ দেন রাজপ্রাসাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। খালিদ মাত্র একদিনের মধ্যে স্থানীয় লোকদের ধরে সৈন্যবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন। অবশেষে তারা ২,৮০০ সদস্যের একটি বাহিনী তৈরি করেন।
কিছু আর্টিলারি, মেশিনগান, গ্যাটলিং গান ও একটি ব্রোঞ্জ ক্যাননের মাধ্যমে গড়ে তোলেন সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া ‘এইচএইচএস গ্ল্যাসগো’ নামের একটি রাজকীয় যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে কিছু সৈন্যদের মাধ্যমে নৌবাহিনীও গঠন করেন। এই ‘এইচএইচএস গ্ল্যাসগো’ একসময় ব্রিটিশ রানী জাঞ্জিবারের সুলতানকে উপহার দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ব্রিটিশদের পক্ষে যুদ্ধে এসেছিল ১,০৫০ জন নিয়মিত সৈন্য। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাঁচটি রাজকীয় যুদ্ধজাহাজ। এর মধ্যে তিনটি ছিল ক্রুজার, আর বাকি দুটি গানবোট। ‘এইচএমএস থ্রাস’ নামে একটি বিখ্যাত গানবোট ছিল। সাথে ১৫০ জন দক্ষ নৌ সেনা। ব্রিটিশ নেভির দায়িত্বে ছিলেন সেন্ট জর্জ রওসন।
মূল যুদ্ধ
ব্রিটিশ কূটনৈতিক বাসিল কেভ খালিদকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং আলোচনার আহ্বান জানান। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে যায়। ব্রিটিশরা খালিদকে ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। এর মধ্যে যদি পতাকা নামিয়ে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ না করেন খালিদ, তাহলে তারা আক্রমণ করতে বাধ্য হবে।
২৬ আগস্ট হার্বার থেকে সকল প্রকার বাণিজ্যিক জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ নারী ও শিশুদেরকেও নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়। সেদিন রাত্রে ছিল থমথমে। অন্যান্য দিন শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শোনা যেত। কিন্তু সেদিন ছিল সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। কারণ পরদিন সকাল ৯টায় সময় শেষ হচ্ছে।
পরদিন সকালে খালিদ একজন প্রতিনিধি পাঠায় কেভের কাছে। তিনি যেন তাদের সৈন্য সরিয়ে নেন। কিন্তু কেভ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সুলতান যদি শর্ত মেনে নেন তবেই তারা সৈন্য প্রত্যাহার করবে। এরপর আবার প্রতিনিধি পাঠান খালিদ এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ব্রিটিশরা তাদের ওপর হামলা চালাবে না। কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রইল।
ঘড়িতে তখন ৮:৫৫ বেজে গেছে। অনেক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর জর্জ রওসন তার বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন। অবশেষে ৯:০২ মিনিটে ব্রিটিশরা রাজপ্রাসাদকে লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে। শুরু হয় যুদ্ধ। অপরদিকে সুলতান বাহিনীর পক্ষ থেকেও গুলি ছোড়া শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ধরে যায় রাজপ্রাসাদে। সুলতান খালিদের বাহিনী কিছু কামান আর্টিলারি নিয়ে রাজপ্রাসাদের সামনে অবস্থান করে।
এদিকে ব্রিটিশ নৌবাহিনী সুলতানের রাজকীয় ‘এইচএইচএস গ্ল্যাসগো‘ যুদ্ধজাহাজটি ডুবিয়ে দেয়। সুলতানের বাহিনী বিচ্ছিন্নভাবে গোলাবর্ষণ করছিল, কিন্তু কোনোভাবেই ব্রিটিশদের সাথে পেরে উঠছিল না। কারণ সুলতানের বাহিনীতে ছিল অদক্ষ জনগণ। এমনকি দাস-দাসী পর্যন্ত ছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্রিটিশদের তীব্র আক্রমণে সুলতানের সৈন্যরা পালিয়ে যেতে থাকে।
এরপর ৯:৪০ মিনিটে ব্রিটিশ সৈন্যরা রাজপ্রাসাদে ঢুকে আগুন দিয়ে পতাকা পুড়িয়ে দেয়। সমাপ্তি ঘটে যুদ্ধের। এ যুদ্ধে সুলতান বাহিনীর প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়। অপরদিকে মাত্র ১ জন ব্রিটিশ নাবিক আহত হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই ব্রিটিশরা হামাদ বিন মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসায়। এরপর জাঞ্জিবারের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশদের একচ্ছত্র অধিপত্য।
যুদ্ধের ব্যাপ্তি
৯:০২ মিনিটে গুলি করার সময়কে যুদ্ধের শুরু ধরা হয়, এবং ৯:৪০ মিনিটে পতাকা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এজন্য এই যুদ্ধের মূল সময় ধরা হয় আর ৩৮ মিনিট।
অনেকেই আবার ৯টার সময় যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে থাকে। কারণ, ৯টার সময় রওসন তার সৈন্যদের প্রস্তুত হতে বলেন। সেই হিসেবে অনেকে দাবি করেন যুদ্ধের মূল সময় ছিল ৪০ মিনিট।
অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধের ঘটনাকে ভিত্তি করে ২০১৫ সালে একটি শর্ট ডকুমেন্টারি মুক্তি পায়। ‘জাঞ্জিবার‘ নামের এই ডকুমেন্টারি পরিচালনা করেন রিচার্ড টোড।
যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত দেখে সুলতান খালিদ জার্মানদের সহায়তায় পালিয়ে যান। অবশেষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৬ সালে খালিদকে আটক করে ব্রিটিশরা। এরপর তিনি আর কখনোই সিংহাসনের দাবি করবেন না- এই শর্তে ব্রিটিশরা খালিদকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। ১৯২৭ সালে মোম্বাসায় খালিদ বিন বারঘাস মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর আরো ৬৭ বছর ব্রিটিশরা জাঞ্জিবারের ক্ষমতা দখল করে ছিল। ১৯৬৬ সালে তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ব্রিটিশদের অধিকার থেকে বের হয়ে আসে। এক বছর পর দেশটি তাঙ্গানিকা প্রজাতন্ত্রের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে। কিছুদিন পর তাঙ্গানিকার ‘তান’ এবং জাঞ্জিবারের ‘জান’ মিলিয়ে দেশটির নাম হয় ‘তানজানিয়া’। বর্তমানে ৯৫০ বর্গ মাইলের জাঞ্জিবার তানজানিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল।
পৃথিবীর ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ। সবচেয়ে কম সময়ের যুদ্ধ হিসেবে এটি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। অনেকেই ব্যঙ্গ করে এই যুদ্ধের নাম দিয়েছে ‘দ্য ব্রেকফাস্ট ওয়ার’।
পূর্ব থেকেই জাঞ্জিবার সুলতানের উপর ব্রিটিশদের কর্তৃত্ব ছিল। তাদের নির্দেশেই সুলতানরা সিদ্ধান্ত নিত। কিন্তু অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধের পর জাঞ্জিবার তাদের সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব হারিয়ে স্থায়ীভাবে ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়।