প্রকৃতি তার আপন গতিতে বয়ে চলে পাহাড়ি ঝর্ণার মতন। ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রকৃতির নিয়মের সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে হারিয়ে গেছে ডাইনোসর, ম্যামথ সহ দানবীয় সব প্রাণী। আবার বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে পিপড়ার মতো ক্ষুদ্র প্রাণীও। যোগ্যতম প্রাণীরাই শুধু টিকে থাকে- এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
আর ঔদ্ধত্যের চূড়ায় বসে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে প্রকৃতির নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা সীমা অতিক্রম করেছে, প্রতিবারই পরিণাম হিসেবে তাদের ওপর ধেয়ে এসেছে প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধ। প্রকৃতি কখনোই সীমা লঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করে না। এটা নিয়তির ধ্রুব খেল।
মানবসভ্যতার ইতিহাসেও রয়েছে এমন বহু বিপর্যয়ের ঘটনা। কিন্তু, ১৯৫৮ সালে চীনে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছিল, তা হয়তো কখনো কারো পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব ছিল না।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জনক মাও সে তুং একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, সময় হয়েছে পরিবেশ থেকে চড়ুই পাখি বিলুপ্ত করার। সে আদেশ যথাযথভাবে পালন করাও হয়েছিল। কিন্তু এমন অন্যায় সহ্য করেনি প্রকৃতি, ফলে শুরু হলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যে বিপর্যয়ে পরবর্তী তিন বছরের মাথায় প্রাণহানির সংখ্যা দিয়ে দাঁড়ায় ৪৫ মিলিয়নে।
এ সব কিছুর সূচনাটা হয়েছিল নয় বছর আগে।
১৯৪৯ সালে চীনের ক্ষমতা গেল কমিউনিস্ট পার্টির হাতে। চীনের অর্থনীতিকে অতি দ্রুত বদলে দিয়ে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সে বছর মাও সে তুং ‘দ্য গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ প্রকল্পের ঘোষণা দিলেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সরকারী অর্থায়নে চাষাবাদ তথা কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী কৃষিশিল্পকে পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের আওতাভুক্তকরণ। চীনকে কমিউনিস্ট সরকার ব্যবস্থায় রূপান্তরের অংশ হিসেবে ব্যক্তিপর্যায়ে ক্ষুদ্র চাষাবাদকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কৃষি বিপ্লবকে সফল করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল তারা।
কৃষিশিল্পকে সমন্বিত করতে মাও সে তুংয়ের নেয়া প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোর একটি ছিল ফসল রক্ষা করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার কাছে আসা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফসল খেয়ে ফেলে আমাদের চারপাশে বসবাসরত চড়ুই পাখির দল। আর তাই এ সমস্যার সমাধানে দেশ থেকে সব চড়ুই পাখি মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন মাও সে তুং।
এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকটিভিস্ট দাই কিংয়ের মতে,
প্রাণীদের ব্যাপারে মাও বিশেষ কিছুই জানতেন না। তিনি কখনো নিজের পরিকল্পনা নিয়ে কারো সাথে আলোচনাও করতেন না। আবার বিশেষজ্ঞদের মতামতেরও ধার ধারতেন না। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এদেরকে মেরে ফেলা হবে।
চীনা বিজ্ঞানীদের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে প্রতিটি চড়ুই পাখি খেয়ে ফেলে প্রায় ৪.৫ কেজি শস্যদানা। তাহলে প্রতি এক মিলিয়ন চড়ুই পাখি হত্যা করতে পারলে, আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষের খাদ্যসংস্থান করা সম্ভব হবে।
কিন্তু প্রায় ৯৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি থেকে রাতারাতি চড়ুই পাখি বিলুপ্ত করে দেয়া তো আর যেন-তেন কথা না। তাই কীভাবে চড়ুই পাখি মারা যায়, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণাও চালানো হয়েছিল। গবেষণা শেষে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জনসাধারণকে তাদের দায়িত্ব জানিয়ে দেয়া হলো।
শেষমেষ পদ্ধতিটা দাঁড়ালো এমন যে, প্রত্যেক নাগরিক নিকটবর্তী চড়ুই পাখির আবাসস্থল খুঁজে দিনভর পাখিগুলোকে তাড়া করে বেড়াবে। সকলে একসাথে বিকট শব্দের সৃষ্টি করবে যেন ভয়ে পাখিগুলো কোথাও নামতে না পারে। এভাবে উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে যখন পাখিগুলো নিচে পড়ে যাবে, তখনই ধরে মেরে ফেলতে হবে।
শুরু হলো দ্য গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন! দেশপ্রেমের (!) টানে দলে দলে চড়ুই নিধন কর্মসূচীতে ঝাঁপিয়ে পড়লো সকলে। সাংহাইয়ের একটি পত্রিকা সেই দিনটির বর্ণনা করেছিল এভাবে:
১৩ই ডিসেম্বর সকালে, সবখানে বেজে উঠলো চড়ুই পাখির বিরুদ্ধে যুদ্ধের দামামা। বড় ছোট সড়কগুলোতে দেখা গেল লাল পতাকা। চারিদিকে উঠে দাঁড়িয়েছে অসংখ্য কাকতাড়ুয়া, কুশপুত্তলিকা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারী অফিসের কর্মী, কারখানার শ্রমিক, কৃষক, পিপল’স লিবারেশন আর্মি সকলেই ছুটে চলেছে যুদ্ধের জয়গান গেয়ে। জিনসেং জেলায়, রাতারাতি তৈরি করে ফেলা হয়েছে ৮০ হাজার কাকতাড়ুয়া ও লক্ষাধিক রঙিন পতাকা। জিয়েতু সড়ক, জুহুই জেলা, ইয়াংপু সড়ক, ইউলিন জেলা সবখানেই দেখা গেছে কাকতাড়ুয়া।
মূলত, কম বয়সী মানুষের ঘাড়ে পড়েছে চড়ুই পাখি ধরা, তাড়া করা, বিষ দিয়ে মারার মতো কাজগুলো। আর বৃদ্ধ ও শিশুদের দেয়া হয়েছে প্রহরীর দায়িত্ব। শহরের কারখানাগুলোর শ্রমিকেরাও এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছে। এর আগে অবশ্যই তারা দিনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে নেবে বলেও নিশ্চয়তা দিয়েছে।
যেখানে মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, সেসব জায়গাতে সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রায় দেড় শতাধিক ফ্রি ফায়ার জোন স্থাপন করা হয়েছিল। নানইয়াং গার্লস মিডল স্কুলের রাইফেল টিমকে পাখি শিকার করার উপর বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
গৃহিণীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন থালা, বাটি, হাড়ি, পাতিল নিয়ে। চামচ বা লাঠির আঘাতে সেগুলোকে ঢোল হিসেবে ব্যবহার করে নাগরিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়েছিলেন তারা।
চড়ুই পাখির বাসা নষ্ট করা, ডিম ভেঙে ফেলা, গুলি করা, বন্দী করে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা ছিল সেদিনকার বীভৎস কর্মসূচীর মুখ্য অংশ। এভাবেই চড়ুই পাখির বিরুদ্ধে যুদ্ধ নেমেছিল সাংহাই শহরের বাসিন্দারা। হিসেব মতে, রাত আটটা পর্যন্ত প্রায় ১৯৪,৪৩২টি চড়ুই পাখি হত্যা করা হয়েছে।
এ তো গেল কেবল সাংহাইয়ের হিসাব। ধারণা করতে পারেন, সারাদেশে হত্যা করা চড়ুই পাখির সংখ্যাটা তাহলে কত হতে পারে?
কান্ট্রি ইকোনোমি ডট কম অনুযায়ী, ১৯৫৮ সালে চীনের জনসংখ্যা ছিল ৬৫৯,৯৪৩,০০০। সেক্ষেত্রে, প্রত্যেক নাগরিক যদি একটি করেও পাখি হত্যা করে থাকে, তাহলে সেদিন প্রাণ হারানো চড়ুই পাখির সংখ্যাটা হয়ে যায় প্রায় ৬৫৯ মিলিয়ন!
উল্লেখ্য, চীনে বহুবছর ধরে ইঁদুর, মাছি ও মশা নিধন কর্মসূচীও চলছিল। ‘ফোর পেস্টস ক্যাম্পেইন’ নামের এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল চীনা নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের পরিবেশকে আরও বেশি স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলা। মাও সে তুংয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অন্যতম ধাপ ছিল দেশে সবধরনের জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু, চড়ুই পাখি নিধন করা হয়েছিল কেবলই কৃষিকেন্দ্রিক উদ্দেশ্যে।
প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানই কোনো না কোনো শৃঙ্খলের অন্তর্ভুক্ত। এরা একে অন্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই কোনোভাবে এই উপাদানগুলোর কোনো একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, নষ্ট হয় পরিবেশগত ভারসাম্য। আর সবসময়ের মতো, সে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্বটা প্রকৃতিই নিজ কাঁধে তুলে নেয়। চীনাদের এমন নির্বোধ কর্মকাণ্ডের খেসারত দিতেও বেশি সময় লাগলো না। ধেয়ে এলো প্রকৃতির নির্মম আঘাত।
প্রথমত, শস্য দানার পাশাপাশি চড়ুই পাখি নানা ধরনের পোকামাকড়ও খায়। চড়ুই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় জ্যামিতিক হারে বেড়ে গেল সেসব পোকামাকড়ের সংখ্যা। এতে করে ফসলের ক্ষেত ছেয়ে যেতে লাগলো ক্ষতিকর পোকামাকড়ে। ফলস্বরূপ, যে শস্য বাঁচানোর জন্য এত কিছু করা হলো, সেই শস্য গেল পোকামাকড়ের পেটে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শস্যভাণ্ডার খালি হয়ে গেল। সাধারণ মানুষের মজুদ করা খাদ্যেও ঘাটতি দেখা দিলো। খাদ্য সংকটের মুখে পড়লো কোটি কোটি মানুষ। দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ। এ দুর্ভিক্ষ ‘দ্য গ্রেট ফেমিন’ নামে পরিচিত।
দুর্ভিক্ষ, খাদ্য ঘাটতির এসব ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই এলো নতুন এক ধাক্কা। ‘দ্য গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ প্রকল্প শুরু হবার পর, ১৯৫৯ সালের এপ্রিলে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি স্টিল বানানোর নির্দেশ দেয়া হলো, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল লৌহ-শিল্পের প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে ধরে ফেলা।
তৎকালীন সময়ে চীনের গৃহস্থালি কার্যে ব্যবহৃত হতো স্টিলের তৈজসপত্র। প্রতিটি বাড়ি থেকে লোহার পাত্র, থালা, বাটি, প্লেট বাজেয়াপ্ত করা হলো। জনগণকে বাড়ির উঠানে স্টিল বানানোর নির্দেশ দেয়া হলো। আরও বেশি ঝিমিয়ে গেল কৃষিকাজ।
দুর্ভিক্ষ ততদিনে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চীনা সরকারের অফিসিয়াল নথি অনুযায়ী, খাদ্য সংকটে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ছিল ১৫ মিলিয়ন। যদিও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মতে, সংখ্যাটা ৪৫ মিলিয়ন কিংবা ৭৮ মিলিয়নেরও বেশি।
চীনা সাংবাদিক ইয়ং জিসেং তার ‘Tombstone: The Great Chinese Famine‘ বইতে ৩৬ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন। চীনের অভ্যন্তরীণ বহু খুঁটিনাটি গোপন বিষয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করা বইটি প্রকাশ হবার কিছুদিনের মধ্যেই চীনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু, তাতে তো আর চীন সরকার এই কলঙ্কজনক অধ্যায়ের কালিমা মুছে ফেলতে পারেনি। ২০১২ সালে এনপিআরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ং বলেন,
সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী, সে সময় খাদ্য সংকটে মানুষ মানুষকে খেয়েছে, এমন হাজার হাজার কেস আছে। ক্ষুধার জ্বালায় বাবা-মা তাদের সন্তানকে খেয়েছে, সন্তান খেয়েছে তার বাবা-মাকে এমন ঘটনা ছিল অহরহ।
চড়ুই নিধনের পরিণামস্বরূপ চরম এ খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ ও খুনোখুনিতেও শেষ হলো না চীনাদের দুর্ভাগ্য। একে তো ১৯৬০ সালে চীনে শুরু হয় ভয়াবহ খরা, তার ওপর কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত নতুন কৃষি পদ্ধতিও ব্যর্থ হলো।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যাটা ছিল, চীনের কমিউনিস্ট সরকার বিশ্ববাসীর সামনে এ সকল সমস্যাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি কোনোভাবেই মজুদ করা খাদ্য জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করতে রাজি হলো না।
শস্যক্ষেত্রে কোনো ফসল না থাকলেও সরকারি গুদামে তখন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ ছিল। কিন্তু তবুও কোনো এক অদ্ভুত অজানা কারণে কেন্দ্রীয় সরকার সেসব খাদ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে কোনোরকম পদক্ষেপ নেয়নি। তার ওপর, সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ং বলেন,
সে সময়কার পুরো সত্য হয়তো কখনোই পুরোপুরিভাবে বিশ্ববাসীর সামনে আনা সম্ভব হবে না। কারণ, বর্তমানে দেশের সরকার, সমাজ সবকিছুরই উন্নতি হয়েছে। তাই, কারো পক্ষে সে সময়কার বীভৎসতা উপলব্ধি করা খুবই কষ্টকর। আমাদের ইতিহাসও ইচ্ছেমতো বদলে দেয়া হয়েছে। সত্যকে আড়াল করা হয়েছে। আর যে জাতি নিজেদের ইতিহাসের মুখোমুখিই দাঁড়াতে পারে না, তাদের কোনো সুন্দর ভবিষ্যতও থাকতে পারে না।
জনস্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম হিসেবে ফোর পেস্টস ক্যাম্পেইন ছিল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি প্রকল্প। অথচ, প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বিবেচনা না করে, চীনাদের করা এই ভুলের খেসারত তাদেরকে দিতে হয়েছিল কয়েক দশক ধরে। আর ক্ষতি যা হয়েছিল, তা ছিল অপূরণীয়। কিন্তু তবুও কি প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণের পরিণাম থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছে তারা?
গত বছর এক চীনা গবেষক দলের প্রকাশিত রিসার্চ পেপারে উঠে এসেছিল চীনাদের অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের ফলে করোনা ভাইরাস ঝুঁকির আদ্যোপান্ত। তবুও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন কিংবা ঝুঁকি এড়াতে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলস্বরূপ পুরো বিশ্ব আজ কাঁপছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশে। প্রযুক্তি ও আধুনিকতায় অন্যতম শীর্ষ দেশটি কি প্রকৃতির সৌন্দর্যে সহাবস্থান শিখতে পারবে? নাকি তাদের সামনে বারবারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে মানবতা?
একুশে বইমেলা ‘২০ উপলক্ষে রোর বাংলা থেকে প্রকাশিত বইগুলো কিনতে এখনই ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-
১) ইহুদী জাতির ইতিহাস
২) সাচিকো – নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক শিশুর সত্য ঘটনা
৩) অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে