সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার কথা মনে আছে? অত্যাচারী রাজার নির্দেশে যেখানে বিদ্রোহীদের পাঠানো হতো যন্তর মন্তর কক্ষে আর তাদের মগজ ধোলাই করে শেখানো হতো ‘যাবে যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান!’ নাহ, বৈজ্ঞানিকের তৈরি সেই মগজ ধোলাইয়ের কারখানা যন্তর মন্তরের কথা হচ্ছে না এখানে। বাস্তবের ‘যন্তর মন্তর’ একটি বিশাল মানমন্দির, যাতে রয়েছে একটি সূর্যঘড়ি। পৃথিবীর অক্ষের সাথে অতিভুজীয় সমান্তরালে নির্মিত এই ঘড়িটি সার্বক্ষণিকভাবে দিনের সঠিক সময় বলে যাচ্ছে কয়েকশ’ বছর ধরে।
সমগ্র ভারতজুড়ে পাঁচটি যন্তর মন্তর স্মৃতিস্তম্ভ আছে। এগুলো জয়পুর, নয়া দিল্লী, উজ্জাইন, মথুরা এবং বানারসে অবস্থিত। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মানমন্দিরটি রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত। জয়পুরের মানমন্দিরটিতে ২০টিরও বেশি যন্ত্রপাতি রয়েছে, যার মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সূর্যঘড়ির কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সূর্যঘড়িটি ‘বৃহৎ সম্রাট ইয়ন্ত্র’ নামে পরিচিত যা সময় নিরূপণের ক্ষেত্রে কখনো দুই সেকেন্ডের বেশি হেরফের করে না। সব মিলিয়ে এই বিস্ময়কর ভাস্কর্যটিকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক ভারতে আসেন এই যন্তর মন্তর নামক মানমন্দিরগুলো দেখতে। জয়পুর আর নয়াদিল্লীতেই অবশ্য ভিড়টা একটু বেশি থাকে। যারা জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সজ্জিত ভবনগুলো দেখে অভ্যস্ত, তাদের কাছে বিশাল পার্কের মধ্যে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা পাথরের তৈরি এই অদ্ভুত কাঠামোটিকে একটি মানমন্দির বলে মেনে নেয়া বেশ কষ্টসাধ্যই হবে। তবে মজার ব্যাপার হলো, অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অর্থাৎ ১৭২৪ থেকে ১৭৩৫ সালের মধ্যে নির্মিত এই ভবনগুলোর কাঠামোগত বা গঠনগত কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি। সে সময়ে দূরবিন সহ অন্যান্য যে আধুনিক যন্ত্র ইউরোপে প্রবর্তিত হতে শুরু করেছিল, সেগুলোর সাহায্য ছাড়াই নির্মিত এই মানমন্দিরটি গ্রহ-নক্ষত্র সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বেশ সঠিক তথ্য দিয়ে যাচ্ছে বিগত প্রায় ৩০০ বছর ধরে।
রাজপুত শাসক মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিং নির্মিত পাঁচটি মানমন্দিরের মধ্যে তিনটিই শুধুমাত্র ‘যন্তর মন্তর’ নামে পরিচিত। ‘যন্তর’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘ইয়ন্ত্র’ থেকে যার বাংলা অর্থ ‘যন্ত্র’, একইভাবে ‘মন্তর’ এসেছে সংস্কৃত ‘মন্ত্র’ থেকে যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘সূত্র’। সহজে সবাই যাতে মনে রাখতে পারে বা মানমন্দিরটি যেন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সেজন্য ছন্দ মিলিয়ে মানমন্দিরের নাম রাখা হয় ‘যন্তর মন্তর’। প্রায় ২০০ বছর আগে এই নামকরণের রহস্যের জট খোলা সম্ভব হয় ১৮০৩ সালে খুঁজে পাওয়া একটি পোড়ামাটির ফলক থেকে। রাজপুতের রাজা জয় সিং এমন এক যুগে বাস করতেন, যেখানে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামি মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল। যন্তর মন্তর মানমন্দিরটি এমন একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টার সাক্ষ্য দেয়, যার জ্ঞানপিপাসা ছিল। সমাজের যাবতীয় অন্ধবিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি নির্মাণ করেন যন্তর মন্তর।
নয়াদিল্লীর যন্তর মন্তরে ১৯১০ সালে স্থাপিত একটা যন্ত্রে লাগানো স্মারক মোতাবেক, এই মানমন্দির ১৭১০ সালে নির্মিত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে পরবর্তী গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এর কাজ ১৭২৪ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল। জয় সিংয়ের আত্মজীবনীবিষয়ক তথ্য এই উপসংহারে আসার পেছনে প্রমাণ যোগায়। এই মানমন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হলো বিভিন্ন যন্ত্র, যেগুলোকে বিশ্বে এ ধরনের যন্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো বলে মনে করা হয়।
যন্তর মন্তর মানমন্দিরে পাথরের তৈরি চারটি যন্ত্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘সম্রাট ইয়ন্ত্র’ বা সর্বোচ্চ যন্ত্র, যেটি মূলত ২৪ ঘন্টায় বিভক্ত সূর্যঘড়ি। জয় সিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি হিসেবে সমাদৃত হয় এটি। এখানে পাথরের তৈরি এক বিশাল ত্রিভুজ রয়েছে, যার উচ্চতা ২১.৩ মিটার, ভিত ৩৪.৬ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৩.২ মিটার। ত্রিভুজের ৩৯ মিটার লম্বা অতিভুজ পৃথিবীর অক্ষের সমান্তরালের এবং উত্তর মেরুর দিকে মুখ করে আছে। ত্রিভুজের দু’দিকেই ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড নির্দেশ করার চিহ্নসহ কৌণিক উচ্চতামাপক নির্দেশক রয়েছে। যদিও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সাধারণ সূর্যঘড়ির অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু জয় সিং সময় পরিমাপ করার এই মৌলিক যন্ত্রটিকে বিষুবাংশ এবং গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কযুক্ত স্থানাঙ্ক পরিমাপ করার এক নিখুঁত যন্ত্রে পরিণত করেছিলেন। এখানেই তিনি আর সবার চেয়ে আলাদা আর নির্মিত মানমন্দিরগুলো সবার জন্য বিস্ময়কর হয়ে রয়েছে।
এবার আসা যাক জয় সিংয়ের প্রসঙ্গে। জয় সিং ১৬৮৮ সালে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রাজপুতদের কাচাভেহা বংশের রাজধানী আম্বেরের মহারাজ ছিলেন। এই অঞ্চলটি দিল্লীর মুঘল শাসনের অধীনে ছিল। যুবক এই রাজকুমার হিন্দি, সংস্কৃত, ফারসি ও আরবি ভাষায় শিক্ষা লাভ করেছিলেন। এ ছাড়া গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা এবং জুডো ও ক্যারাতের ওপরও ছিল তার সমান দক্ষতা। কিন্তু বিশেষ একটি বিষয়ের ওপর রাজকুমার খুবই অনুরক্ত ছিলেন। তার সময়কার একটি পুঁথি থেকে জানা গেছে-
“সওয়াই জয় সিং যখন থেকে তার যুক্তিবিদ্যার ক্ষমতা ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন আর যতই সেই বিষয়ে পরিপক্কতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ততই তিনি গাণিতিক বিজ্ঞানের (জ্যোতির্বিদ্যার) প্রতি নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করেছিলেন।”
বাবার মৃত্যুর পরে ১১ বছর বয়সে জয় সিং আমবেরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, ১৭০০ সালের কথা এটি। কিছুদিনের মধ্যেই যুবক এই রাজাকে মুঘল সম্রাট দক্ষিণ ভারতে তার রাজদরবারে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার পণ্ডিত জগন্নাথের সঙ্গে জয় সিংয়ের পরিচয় হয়। জগন্নাথ পরে রাজার প্রধান সহকারী হয়েছিলেন। ১৭১৯ সালে মুহম্মদ শাহের শাসন শুরু না হওয়া পর্যন্ত যুবক মহারাজের রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। পরবর্তীতে জয় সিংকে নতুন মুঘল শাসকের সঙ্গে একটা সভা করতে রাজধানী দিল্লিতে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৭২০ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত এই সভাতেই জয় সিং এক মানমন্দির নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন, খুব সম্ভবত সেটি ১৭২৪ সালে বাস্তবায়িত হয়েছিল।
একটি মানমন্দির নির্মাণ করার জন্য কোন বিষয়টি মহারাজাকে অনুপ্রাণিত করেছিল, তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত নানা ধরনের গবেষণা চলছে। জানা যায়, জয় সিং উপলব্ধি করেছিলেন যে ভারতে পাওয়া পঞ্জিকা ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত তালিকাগুলো ভুলে ভরা ছিল এবং উপমহাদেশে জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে উন্নতি খুব স্থবির। তাই তিনি প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যমান গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে মিল থাকবে এমন নতুন নতুন তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য জয় সিং ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল ও জার্মানি থেকে প্রচুর বই সংগ্রহ করেছিলেন। তার রাজদরবারে তিনি হিন্দু, ইসলামিক ও ইউরোপীয় জ্যোতির্বিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ থেকে পণ্ডিতদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। তিনি জ্যোতির্বিদ্যার ওপর তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সর্বপ্রথম তথ্য সন্ধানকারী দলকে প্রাচ্য থেকে ইউরোপে পাঠিয়েছিলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন বই ও যন্ত্র নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অর্থ কিংবা শ্রমের মায়া না করে, ভারতীয় উপমহাদেশে যেন প্রকৃত জ্ঞানের বিকাশ ঘটে সে বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন জয় সিং।
আবার আসা যাক যন্তর মন্তর মানমন্দির প্রসঙ্গে। সম্রাট ইয়ন্ত্র ছাড়া মানমন্দিরের অন্য তিনটি কাঠামো হলো রাম, জয়প্রকাশ এবং মিশ্রা ইয়ন্ত্র। এই যন্ত্রগুলো সূর্য ও বিভিন্ন নক্ষত্রের বিষুবাংশ, কৌণিক দূরত্ব এবং দিগংশ পরিমাপ করার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়েছে। মিশ্রা নামক যন্ত্রটির সাহায্যে সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন শহরে কখন দুপুর হয়েছে তা-ও জানা সম্ভব। মিশ্রা ইয়ন্ত্র ছাড়া উল্লেখিত সব যন্ত্র জয় সিং উদ্ভাবন করেছিলেন যার মধ্যে অন্যতম একটির নাম চক্র ইয়ন্ত্র। ভারতে সেই সময়ে বিদ্যমান যেকোনো যন্ত্রের মধ্যে এগুলো ছিল অনেক বেশি জটিল ও ব্যবহারিক। পরবর্তীতে এগুলো সঠিক পঞ্জিকা ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত তালিকার প্রসার ঘটিয়েছিল বলে বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মানমন্দিরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কাঠামো এবং নকশা ছিল সুরুচিপূর্ণ ও মনোরম। দূরবিন ও তদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবিত না হওয়া পর্যন্ত এগুলো বহুমূল্য তথ্য প্রদান করেছিল। যদি বর্তমানে অন্যান্য যন্ত্রপাতির আবির্ভাবের ফলে এগুলো সেকেলে হয়ে গেছে। কিন্তু অত্যন্ত মেধাবী ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ ব্যক্তি কেন তার জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণায় ইউরোপে প্রাপ্তিসাধ্য কয়েকটা যন্ত্র ব্যবহার করেননি কিংবা কেন জয় সিং পাথরের তৈরি কাঠামোগুলো বানিয়েছিলেন, যদিও সেই সময়ে ইউরোপে দূরবিন, মাইক্রোমিটার এবং ভার্নিয়ের ব্যবহৃত হচ্ছিল? কেনই বা তিনি কোপারনিকাস ও গ্যালিলিওর সূর্যকেন্দ্রিক ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর সাথে পরিচিত ছিলেন না? অন্তত তার আবিষ্কারের ধরন দেখে তেমন প্রশ্ন মনে জাগাই স্বাভাবিক। এই বিষয়গুলো নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠে এসেছে এবং এখনো আসছে।
তখনকার দিনে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে যোগাযোগের অভাব এই যাবতীয় প্রশ্নের উন্মেষ হওয়ার পেছনে কিছুটা দায়ী। কিন্তু এটিই একমাত্র বাধা ছিল না। সে সময়কার ধর্মীয় পরিবেশকে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার পেছনের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ইউরোপে যাত্রা করতে অস্বীকার করেছিলেন। ইউরোপে যেতে হলে তাদের সমুদ্র পার হতে হবে যার অর্থ তাদের কাছে জাতভ্রষ্ট হওয়া। ইউরোপের যে সহযোগীরা জয় সিংকে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিল, তারা প্রধানত জেসুইট সম্প্রদায়ের পণ্ডিত ছিল। ভি. এন. শর্মা, যিনি জয় সিংয়ের জীবনী লিখেছিলেন, তার কথা অনুযায়ী সাধারণ ক্যাথলিক সদস্যদের সঙ্গে জেসুইট সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মীয় বিচারসভার ভয় দেখিয়ে গ্যালিলিও এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীর দ্বারা পোষিত এই ধারণাটি গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল যে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। গির্জার জন্য এই ধারণাটি ছিল ধর্মবিরুদ্ধ ও নাস্তিকতা। কাজেই কোপারনিকাস ও গ্যালিলিওর উদ্ভাবিত বস্তুগুলো অথবা সূর্যকেন্দ্রিক ধারণাগুলোকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহৃত নতুন নতুন যন্ত্রগুলোকে ইউরোপে জয় সিং প্রেরিত প্রতিনিধিরা তাদের কেনাকাটার তালিকায় কেন অন্তর্ভুক্ত করেননি তা নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।
প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের এই বিভেদ পাড়ি দিয়েও ভারতীয় উপমহাদেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচারণার জন্য জয় সিং যে উদ্যম দেখিয়েছেন নিঃসন্দেহে তা সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আর যন্তর মন্তর শুধুই একটি ভাস্কর্য বা স্থাপনা নয়, বরং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে একজন মানুষ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার নিদর্শন।