প্রত্নতত্ত্ব সংক্রান্ত গবেষণা ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ২০১৮ সাল অত্যন্ত ঘটনাবহুল এবং ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় উন্মোচনের বছর ছিল। গ্রিক সাহিত্যের ট্রোজান যুদ্ধের বন্দীদের দ্বারা নির্মিত শহরের খোঁজ কিংবা মায়া সভ্যতার নতুন আরো অবকাঠামো থেকে শুরু করে এশিয়ায় প্রায় ২,০০,০০০ বছরের পুরনো মানব ফসিলের সন্ধান, সবমিলিয়ে ২০১৮ সালে প্রত্নতত্ত্বের আশ্চর্য ঘটনাগুলো নিয়ে সংক্ষেপে সাজানো হয়েছে আজকের লেখা।
ট্রোজান যুদ্ধের বন্দীদের নির্মিত হারিয়ে যাওয়া তেনেয়া শহরের প্রথম নিদর্শন গ্রিসে আবিষ্কৃত
গ্রিক সাহিত্য ও উপকথার ট্রোজান যুদ্ধে গ্রিকদের কাছে পরাজিত হয়ে ধ্বংস হয় ট্রয় নগরী এবং এই যুদ্ধের বন্দীদের দ্বারা নির্মিত হয় তেনেয়া নগরী। প্রায় ৩,০০০ বছর পর দক্ষিণ গ্রিসের ছোট একটি গ্রামে প্রত্নতত্ত্ববিদরা খুঁজে পেয়েছেন এই শহরের অস্তিত্বের প্রথম কোনো নিদর্শন।
প্রাচীন একটি রাস্তার সূত্র ধরে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি সমাধিক্ষেত্র এবং সেখানে দুইজন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা ও দুই শিশুর দেহবাশেষ পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া সমাধিক্ষেত্রে মানব হাড়ের পাশাপাশি আরও পাওয়া গিয়েছে স্বর্ণ ও রুপার মুদ্রাসহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যাদি। হারিয়ে যাওয়া তেনেয়া শহরের বিভিন্ন অবকাঠামোর প্রথম এই নিদর্শন প্রত্নতত্ত্ববিদদের জন্য ট্রোজান যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।
কিছু প্রিয় খাবারের সবচেয়ে পুরনো উৎস
বর্তমান পৃথিবীতে জনপ্রিয় খাবারের ছোট তালিকায় খুব সহজেই জায়গা করে নেবে বিয়ার কিংবা পনিরের মতো উপাদান, সাথে যোগ হতে পারে অলিভ অয়েলও। আজকের দিনে জনপ্রিয় হলেও প্রাচীন সভ্যতায়ও ছিল এগুলোর সরব উপস্থিতি, যা সত্যিই অবাক করার মতো। প্রত্নতত্ত্ববিদরা এ বছর খুঁজে পেয়েছেন হাজার বছরের পুরনো কিছু নমুনা, খাবারের প্রাচীন উৎস সন্ধানের ক্ষেত্রে যা যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
প্রায় ২০ বছর পূর্বে গবেষকরা সিসিলিতে খুঁজে পেয়েছিলেন মাটির কলসির মতো একটি পাত্র। চলতি বছরের এই পাত্র থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা খুঁজে পেয়েছে অলিভ অয়েলের নমুনা, যা প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালের! নতুন তথ্য থেকে পাওয়া তথ্যে আরও যোগ হয়েছে যে, ইসরাইল ও গ্রিসে পাওয়া নমুনার চেয়ে সিসিলির এই অলিভ অয়েল আরও পুরনো এবং সম্ভবত ব্রোঞ্জ যুগের শুরুর দিকের।
দীর্ঘদিন বালির নিচে চাপা থাকার পর ২০১০ সালে পুনরায় আবিষ্কৃত হয় প্রাচীন মিশরের পথামেসের সমাধিক্ষেত্র। এই সমাধিক্ষেত্রের একটি ভাঙা পাত্রে পাওয়া গিয়েছিল একধরনের কঠিন ও সাদা রঙের বস্তু। কিন্তু তখনও কেউ বুঝতে পারেনি আসলে ঠিক কী খুঁজে পেয়েছেন তারা। তবে তা রসায়নবিদদের হাতে যাওয়ার পর উন্মোচিত হয় রহস্য। খুঁজে পাওয়া অংশটি ছিল পনিরের একটি টুকরো, যা প্রায় ৩,৩০০ বছরের পুরনো।
বর্তমানের বিয়ারের সাথে আমাদের পূর্বপুরুষদের তৈরি করা বিয়ারের বিস্তর পার্থক্য। কিন্তু আজকের বিয়ার প্রেমীদের সাথে প্রাচীন বিয়ার প্রেমীদের তফাৎ আর কতটুকুই বা হতে পারে! ইসরাইলের একটি গুহায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা খুঁজে পেয়েছেন বিয়ার তৈরি করার একটি জায়গা বা ক্ষেত্র, যা প্রায় ১৩,০০০ বছর পুরনো। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গবেষকরা ধারণা করছেন যে, প্রাচীন মানুষেরা হয়তো শস্য ফলানো শুরু করেছিল খাবারের প্রাথমিক উৎসের জন্য নয়, বিয়ার তৈরি করতে!
ইসরাইলের প্রাচীন গির্জায় যিশুখ্রিস্টের দুর্লভ এবং সবচেয়ে প্রাচীন ছবি
ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির ধ্বংসপ্রাপ্ত শিভতা শহরের একটি গির্জার দেয়ালে পাওয়া গিয়েছে যিশুখ্রিস্টের একটি পোরট্রেট, যা প্রায় ১,৫০০ বছরের পুরনো দুর্লভ একটি ছবি।
প্রায় ঝাপসা হয়ে আসা ছবিটি হয়তো যিশুর ব্যাপ্টিজমের সময়ে আঁকা এবং ছবির যিশুর সাথে প্রথাগত পশ্চিমা ছবির যিশুর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত যিশুর প্রতিকৃতিতে দেখা যায় মাথায় লম্বা চুল ও মুখে দাড়ি, তবে দুর্লভ এই দেয়াল চিত্রের যিশুকে চিত্রায়িত করা হয়েছে ছোট কোঁকড়ানো চুল এবং কোনো দাড়ি ছাড়াই।
৮ বছরের শিশু উদ্ধার করেছে ভাইকিং যুগের পূর্বের তরবারি
সুইডেনের ৮ বছর বয়সী শিশু সাগা ভ্যানসেক ভিডোস্তার্ন লেকে খুঁজে পেয়েছে পুরনো ধাতব কাঠামোর মতো কিছু একটা। পরবর্তী গবেষণায় জানা যায়, তা ছিল অতি প্রাচীন একটি তরবারি। জোনকোপিন্স ল্যান্স জাদুঘরের গবেষকদের মতে, তরবারিটি কমপক্ষে ১,০০০ বছরের পুরনো এবং সম্ভবত ৫ম বা ৬ষ্ঠ শতক সময়কালের। তাহলে তরবারিটি হয়তো ভাইকিং যুগের চেয়ে শ’খানেক বছর পূর্বের!
জাদুঘর সংশ্লিষ্ট মাইকেল নর্ডস্টম বলেছেন, কেন তরবারিটি সেখানে ছিল, আমরা এখনও জানি না। একই জায়গায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আরও অনুসন্ধান করার পর আরও একটি ঐতিহাসিক জিনিস খুঁজে পান, যা তরবারিটির সময়কালের। যদিও নিশ্চিত নয়, তবে হতে পারে লেকের ঐ অংশটি হয়তো কোনো নরবলির স্থান ছিল।
আফ্রিকার বাইরে সবচেয়ে পুরনো মানব ফসিল
ইসরাইলের মাউন্ট কারমেলের মিসলিয়া গুহায় একদল আন্তর্জাতিক গবেষক দল খুঁজে পেয়েছেন মানুষের ঊর্ধ্ব চোয়ালের ফসিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গবেষক দলটি প্রকাশ করেন চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। ইসরাইলে পাওয়া মানুষের এই ফসিল প্রায় ১,৭৫,০০০ থেকে ২,০০,০০০ বছরের পুরনো! অর্থাৎ, আফ্রিকার বাইরে পাওয়া মানব ফসিলের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এটি।
নতুন এই আবিষ্কারের পূর্বে আফ্রিকার বাইরে পাওয়া সবচেয়ে পুরনো মানব ফসিলের বয়স ছিল ৯০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ বছরের মধ্যে। নতুন আবিষ্কৃত এই ফসিল, পূর্বের চেয়ে কমপক্ষে ৫০,০০০ বছর পুরনো হবে। যা থেকে গবেষকরা অনুমান করছেন যে, পূর্বের প্রতিষ্ঠিত ধারণার চেয়ে আরও আগে মানুষ আফ্রিকার বাইরে পা রেখেছিল। শুধু তাই নয়, গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মনে করা হচ্ছে যে, প্রাচীন মানুষের বিভিন্ন ভিন্ন গোত্রের মধ্যে একটা লম্বা সময় ধরে সম্ভাব্য মেলামেশা ও যোগাযোগ থাকতে পারে অর্থাৎ সেখানে সাংস্কৃতিক ও শারীরিক গঠনগত পরিবর্তনের যথেষ্ট সুযোগ ছিল।
দুর্ঘটনা থেকে নতুন আরও ৫০টি নাজকা লাইন
নাজকা লাইন হলো, ইনকা সভ্যতার পূর্বে নাজকা সভ্যতার মানুষের দ্বারা ভূমিতে খোদাই করা পেরুর দক্ষিণে মরু অঞ্চলের প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো রহস্যময় চিত্রলেখা বা প্রতীক। এই নাজকা লাইনগুলো ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই বছর এক ট্রাক ড্রাইভার ভুল করে নাজকা লাইনগুলোর মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ায়, প্রাচীন এই ঐতিহ্য অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু এই দুর্ঘটনা খুলে দিয়েছে গবেষণার নতুন দ্বার। এপ্রিলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে গবেষকরা ড্রোন দিয়ে কাজ করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছেন আরও নতুন ৫০টি চিত্রলেখা, যা সাধারণত মানুষের খালি চোখে দেখা যায় না।
নতুন চিত্রলেখা বা প্রতীকগুলোর মধ্যে কোনোটির বয়স হয়তো একবারে নাজকা সভ্যতার সূচনালগ্নের সমান। নাজকা লাইনের বেশিরভাগই অবশ্য জ্যামিতিক আকৃতির, কিছু প্রাণী ও গাছের আকৃতিও রয়েছে অবশ্য। ভূমিতে খোদাই করা এই লাইনগুলো আদতে সাধারণ মনে হলেও, পুরো চিত্র পেতে তা দেখতে হবে উপর থেকে। নতুন চিত্রলেখাগুলোর মধ্যে কিছু নাজকা সভ্যতারও পূর্বের তোপারা ও পারাকাস সভ্যতার বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ক্রীতদাস বোঝাই জাহাজের এক আফ্রিকানের সাক্ষাৎকার
কুদজো লুইস, পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনে জন্ম নেওয়া এক দুর্ভাগা আফ্রিকান। মাত্র ১৯ বছর বয়সে দাহোমিয়ান উপজাতিদের হাতে বন্দী হওয়ার পর লুইসকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তার জায়গা হয় ক্লোটিলদা নামের এক জাহাজে, যা ছিল আফ্রিকান ক্রীতদাস বোঝাই করে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো শেষ জাহাজ।
আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পূর্বে জাহাজটি আলাবামায় পৌঁছায়। লুইসকে খুঁজে বের করে ১৯৩০ সালের দিকে সাক্ষাৎকার নেন লেখিকা জোরা নিল হার্সটন এবং তার উপর একটি বইও লিখেন। কিন্তু তখন কোনো প্রকাশকই বইটি প্রকাশ করতে রাজী হননি।
শেষ পর্যন্ত, এই বছরের মে মাসে ‘ব্যারাকুন: দ্য স্টোরি অব দ্য লাস্ট ব্ল্যাক কার্গো’ নামে বইটি প্রকাশিত হয়। লুইসের বর্ণনায় উঠে আসে ক্রীতদাস প্রথার দরুন মানবতার দুর্বিষহ চিত্র। সাক্ষাৎকারে লুইস জানিয়েছিলেন কিভাবে তাদের ১২০ জনকে জোর করে প্রায় ৭০ দিনের সমুদ্র যাত্রার পর আমেরিকার উপকূলে নিয়ে আসা হয়, তাদের আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেওয়া হয় যেখানে তাদের ভাষায় কেউই কথা বলেন না এবং গৃহযুদ্ধের পর নতুন জীবনের কথা।
ভরাবহ ভূমিকম্পের দরুন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে প্রাচীন অ্যাজটেক মন্দির
মেক্সিকোতে গত বছর ৭.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বেশ ক্ষয়ক্ষতিসহ মেক্সিকোতে মারা যায় প্রায় ৩৬৯ জন মানুষ। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর, মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে ১৩ শতকের টিওপাঞ্জোলকো পিরামিডের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা এবং এই কাজে তারা অঞ্চলটি রাডার দিয়ে স্ক্যান করছিলেন। প্রাচীন এই অঞ্চলে গবেষকরা পিরামিডের ভিতরে আরও একটি পুরনো মন্দির খুঁজে পান, যা সম্ভবত ১১৫০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালের। মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়েছে পিরামিডের ভেতরে আরেকটি পিরামিডের মধ্যে।
পুরনো পিরামিডের উপরে নতুন পিরামিড তৈরি করার রীতি তলুহিকা সভ্যতায় সাধারণ ব্যাপার ছিল। যাই হোক, এই বছরে আরেকদল গবেষক এই পিরামিডের নিচে রহস্যময় ও লুকায়িত টানেল খুঁজে পায়। এই টানেল গিয়ে পৌঁছেছে পিরামিডের গভীরে একটি চেম্বারে, যা হয়তো মৃতদেহ সৎকারের জন্য ব্যবহার করা হতো। আরও ধারণা করা হচ্ছে যে, গুপ্ত এই টানেলটি হয়তো অ্যাজটেক, মায়া ও প্রাচীন কলম্বিয়ান সভ্যতার একটি শক্তিশালী মতবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট, যেখানে টানেলটি হয়তো একটি প্রতীকী পথ।
মায়া সভ্যতার ৬০,০০০ নতুন অবকাঠামো
গুয়াতেমালার পেতেনে সংরক্ষিত মায়া সভ্যতা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রায় ৮০০ মাইল জুড়ে গবেষকরা LIDR (Light Detection and Ranging) প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুঁজে পেয়েছেন নতুন প্রায় ৬০,০০০টি স্থাপত্য কাঠামো।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার খামার, বাড়ি ও রক্ষণাত্মক কাঠামো। এগুলো একেকটি বিস্তৃত রাস্তা ও খালের মাধ্যমে যুক্ত ছিল। গবেষণার তথ্যানুযায়ী মনে করা হচ্ছে যে, মায়া সভ্যতার এই শহর খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালের এবং যতটা ধারণা করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি মানুষ এই শহরে বাস করতো ও আরও অনেক বেশি যোগাযোগ ছিল নিজেদের মধ্যে।
অগ্নুৎপাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত পম্পেই নগরীর ভষ্মে হাজার বছরের পুরনো ঘোড়া ও সুসজ্জিত মন্দির
মাউন্ট ভিসুভিয়াসের আগ্নেয়গিরির প্রবল অগ্নুৎপাতের দরুন প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রাচীন রোমান নগরী পম্পেই। এই দুর্ঘটনায় নগরী ও এর আশেপাশের প্রায় ৩০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
এই নগরীর ভস্ম থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন চুনের প্রলেপে ঢাকা প্রায় অবিকৃত একটি ঘোড়ার দেহ ও দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের চূড়ান্ত পরিণতির দেহাবশেষ। তাছাড়া, গবেষকরা ছাইয়ের স্তূপ থেকে আবিষ্কার করেছেন প্রাচীন রোমান পরিবারের গৃহের পবিত্র মন্দির। উজ্জ্বল রঙের দেয়াল চিত্র ও সুসজ্জিত বাগান সমৃদ্ধ এই বাড়িটি হয়তো কোনো ধনী পম্পেই পরিবারের ছিল। এই ধরনের মন্দির সাধারণত গৃহের আত্মাদের সম্মানার্থে নির্মিত।