বিংশ শতকের সবচেয়ে আলোচিত অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির মধ্যে অন্যতম হলো গ্লাসগো থেকে ইউস্টন যাওয়ার ট্রেনে ঘটে যাওয়া ডাকাতি। এটি দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি নামে বেশি পরিচিত। ১৯৬৩ সালে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া এ ডাকাতি পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। গণমাধ্যমের মতে এটি ছিল দ্য বিটলস-এর এর চেয়েও বড় বিস্ময়, ক্রাইম অব দ্য সেঞ্চুরি। এই ডাকাতি যতটা না বিখ্যাত ছিল অর্থ পরিমাণের জন্য, তারচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ডাকাতদের সুনিপুণ কারসাজির জন্য।
যে পরিমাণ পরিকল্পনা জড়িত ছিল এ ডাকাতির পেছনে, তা যে কাউকে অবাক করে দিতে সক্ষম। এই ডাকাতি কোনো রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্রের চেয়ে কম ছিল না, আর এরপর যা ঘটেছে তাও বেশ কৌতূহলোদ্দীপকই বটে। কুশলী চোর আর হার না মানা সিপাহীর এই ইঁদুর-বিড়াল গল্পটা তাই অর্ধশতক পর আজও তার আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম।
হয়তো আজকের দিনে এমন গল্প শুনতে শুনতে আর চলচ্চিত্রে রোমাঞ্চকর রূপায়ণ দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু তখনকার দিনে এই সত্য ঘটনা ওশান’স ছবির চেয়ে কম দুর্ধর্ষ বা ঘটনাবহুল ছিল না। এখনো শুধু ইউটিউব ঘাঁটলেই চোখে পড়ে এ বিষয়ে ৭-৮টি ডকুমেন্টারি, বিবিসি’র দুই পর্বের নাটক, গোটা দশেক বিশ্লেষণধর্মী বই ও জীবনী আর হাজারও প্রতিবেদন। বিশ্বের অপরাধ জগতের ইতিহাসে আজও ব্রুস রেনল্ডস, রনি বিগস্, বাস্টার এডওয়ার্ডস আর তাদের এই কাহিনী এক অনন্য বিস্ময়ের নাম।
কাহিনীটির পেছনে মূল হোতা ছিল ব্রুস রেনল্ডস নামের এক চোর। তার মতো সুদক্ষ এবং কুশলী চোর তৎকালীন লন্ডনে খুব একটা ছিল না। ছোটবেলা থেকে চুরির সাথে জড়িত ব্রুস ৩০ বছর বয়স পূর্ণ করার আগেই ১০ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছিলেন জেলে। একবার তিনি জেলে গিয়ে শিখলেন কীভাবে তালা ভাঙা যায়, আরেকবার গিয়ে শিখলেন ভেন্ডিং মেশিন কীভাবে খালি করা যায়। জেল ছিল তার জন্য এক প্রশিক্ষণকেন্দ্র।
তিনি নিজে অবশ্য ছিলেন অত্যন্ত সৌখিন এবং বেশ কেতাদুরস্ত একজন পুরুষ। বেন্টলি, রেঞ্জ রোভার ইত্যাদি গাড়িতে চড়ে আর দামি কাপড় গায়ে চাপানো ছিল তার অভ্যাস। আর ছিল পৃথিবীতে নিজের ছাপ রেখে যাবার অসামান্য খিদে। লন্ডন আর প্যারিসে পুরাকালের শিল্পকর্ম আর দামি গয়না চুরি করে কিছুটা নাম কামানো ব্রুস ততদিনে বুঝে গিয়েছিলেন, সবার নজরে আসতে হলে বড় কিছু করে দেখাতে হবে, এত অল্পে কাজ হবার নয়।
২৭ নভেম্বর, ১৯৬২ তাই রেনল্ডস্ সঞ্চালনা করেন লন্ডন হিথরো এয়ারপোর্টের পণ্যবাহী গাড়ি ডাকাতি। এই কাজে তার সহযোগী ছিল বাস্টার এডওয়ার্ডস, চার্লি উইলসন, রয় জেমস এবং গরডন গুডি। যদিও এই ডাকাতি থেকে তাদের আয় তেমন বিশেষ কিছু ছিল না, ৬২ হাজার পাউন্ডের মতো, কিন্তু তারা খুব সহজেই সবার নজরে চলে আসেন তাদের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা আর দক্ষ সম্পাদনার বদৌলতে। এমনকি লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসের তৎকালীন প্রধান নিয়ন্ত্রক ডিটেকটিভ থমাস (টমি) বাটলার ব্রুস রেনল্ডস ও তার সহযোগীদের উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করেন। কিন্তু যেহেতু সেসময় চোরদের হাতেনাতে ধরা ছাড়া অপরাধ প্রমাণের আর কোনো উপায় ছিল না, তাই তিনি অপেক্ষায় থাকেন রেনল্ডসের পরবর্তী অপরাধের। বাটলার সেসময় বেশ বিখ্যাত ছিলেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ত্রাস হিসেবে। তাকে ডাকা হতো ‘ওয়ান ডে টমি’ কিংবা ‘গ্রে হাউন্ড’ নামে। তার ব্যাপারে জনশ্রুতি ছিল যে, অপরাধী ধরতে তার নাকি সময় লাগে মাত্র একদিন।
কিন্তু এদিকে রেনল্ডস্রাও বসে নেই। গরডন গুডি আর বাস্টার এডওয়ার্ডস ততদিনে খোঁজ পান ব্রায়ান ফিল্ডস, একজন আইনজীবী থেকে ষাটের দশকের সবচেয়ে আলোচ্য ‘রয়াল মেইল’ এর ভেতরকার খুঁটিনাটি। যেহেতু এর সকল অর্থ রাজপরিবারের কোষাধ্যক্ষে জমা হতো আর একটি চলন্ত ট্রেন থেকে কিছু চুরির করার মতো কৌশলী কেউ তেমন একটা ছিল না, তাই এটি আন্ডারওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আকর্ষণ হয়েই রয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ব্রুস রেনল্ডসের চোখ যখন এই ‘হোলি গ্রেইল’-এ পড়ে, তিনি আর চোখ ফেরাতে পারেন না। তার বয়স ছিল, খিদে ছিল, আর সবচেয়ে বড় কথা ততদিনে তিনি এমন একটা বড় কাজের জন্য বেশ অভিজ্ঞও হয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পনায় বসে যান, কীভাবে কয়েক মিলিয়ন পরিমাণ ডলার বিল চলন্ত মেইল ট্রেন থেকে হাপিশ করে দেয়া যায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারে যে ট্রেন না থামিয়ে এ কাজ হাসিল করা প্রায় অসম্ভব। তাই তারা সাহায্য নেয় সাউথ-ইস্ট লন্ডন গ্যাং-এর, যাদের ট্রেন থামানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সুনাম ছিল। রজার কড্রি মূলত কাজটা করত শুধুমাত্র একটা ব্যাটারি আর চামড়ার দস্তানা দিয়ে রেল স্টেশনের সিগন্যাল পরিবর্তন করে।
তারা পরিকল্পনা করে যে প্রথম দুই বগি নিয়ে। এতে ছিল ব্যবহৃত পাউন্ড বিলগুলো (হাই ভ্যালু প্যাকেজ)। ইঞ্জিনসহ আলাদা করে ফেলবে বাকি ট্রেন থেকে, যে অংশে ৭৭ জন রেলওয়ে কর্মী থাকার কথা। কারণ তাদের ১৬ জনের পক্ষে এত জনকে সামাল দেয়া সম্ভব নয়। তারপর ১ মাইল দূরে ব্রাইডেগো ব্রিজের নিচে খালি করবে ট্রেন। কিন্তু যদি ট্রেন চালক সহযোগিতা না করে, তাহলে কী হবে? অতি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তরে আবির্ভাব ঘটে রনি বিগস্-এর। তিনি একজন ট্রেন চালকের সন্ধান দেন এবং নিজেও যুক্ত হয়ে যান দলটির সাথে।
বেশ কিছুদিন ধরে তাদের পরিকল্পনা চলতে থাকে গোপনে, সাংকেতিক ভাষায়, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়, ফুটবল খেলতে খেলতে খেলার মাঠে। একে একে সব ঠিক হয়ে গেলে রেনল্ডস্ ভাড়া নেয় ব্রাইডেগো ব্রিজ থেকে কিছু দূরে নির্জন বাকিংহ্যামশায়ারের লেদার-স্লাইড কটেজ, নিজেদের আস্তানা হিসেবে। পাশেই আর্মি বেজ ক্যাম্প থাকায় তারা তাদের হামার গাড়ি আর জিপগুলো আর্মিদের গাড়ির মতো রং করে নেয় এবং নিজেরাও আর্মিদের কাপড় পরে প্রস্তুত হয়।
অবশেষে আসে ৮ আগস্ট, ১৯৬৩ -এর রাত, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সিয়ার্স ক্রসিংয়ে রয়েল মেইল ট্রেনের চালক কড্রির জ্বালানো লাল সিগনাল দেখে থামায় ট্রেন, আর সাথে সাথে বাস্টার আর কয়েকজন মিলে লেগে পড়ে আলাদা করতে দুটো বগি আর ইঞ্জিন। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন চালক, জ্যাক মিলস ট্রেন চালাতে অসম্মতি জানায়, কেউ একজন মুগুর দিয়ে তাকে আঘাত করে বসে। কিন্তু যখন তাদের চালক ও চালাতে পারে না, আবার তারা মিলসকে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করে। ট্রেন অবশেষে বাকিংহ্যামশায়ার আর ব্র্যাডফোর্ডশায়রের সীমান্তে ব্রাইডেগো ব্রিজে এসে থামে। ৩০ মিনিটের মধ্যে সব ব্যাগ জিপে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় তারা। সতর্কতার জন্য রেনল্ডস আর গুডি আগে থেকেই ব্রাইডেগো ব্রিজের আশপাশে এক মাইলের ফোনের সংযোগ বিচ্যুত করে রাখে।
এবার তারা চলে লেদারস্লেড ফার্মের দিকে আর টাকা গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সারা রাত গুনে তারা যা দেখে তাতে তাদের চোয়াল হা’ হয়ে যাবার জোগাড়। প্রায় আড়াই মিলিয়নের বেশি পাউন্ড মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত তাদের সামনে থরে থরে বিছানো। যা তারা নিজেরাও কল্পনা করেনি। কিন্তু রেডিওতে ডাকাতির খবর প্রচার হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত পালাতে হয়। যাবার আগে তারা যতদূর পারে লেদারস্লেড ফার্মের সব জায়গা থেকে তাদের আঙুলের ছাপ মুছে ফেলে, কিন্তু ভুলে যায় পোস্ট অফিসের ব্যাগগুলোর কথা। পরে এই ব্যাগগুলো এবং ফেলে রাখা একটি মনোপলি সেটই তাদের ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু এদিকে রাষ্ট্র, সরকার, জনগণ সবাই হতচকিত হয়ে যায় এই ডাকাতি দেখে। জনগণের কাছে তারা রাতারাতি আধুনিক যুগের রবিন হুড বনে যায়। আর সরকার এটিকে নেয় অপমান হিসেবে; অপরাধীদের খুঁজে তাই যথাযথ শাস্তি দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এর সাথে জড়িতদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য প্রায় ২৫০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, যা সেসময়ে এক রেকর্ড সৃষ্টি করে।
সত্য-মিথ্যা, নানা রকমের তথ্য আসতে থাকে তদন্ত পরিচালনাকারী ফ্লাইং স্কোয়াড আর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে। আর এই ফ্লাইং স্কোয়াড এর প্রধান ছিলেন রেনল্ডসের আজীবন প্রতিদ্বন্দ্বী, টমি বাটলার। রেনল্ডস্ আর তার দলকে বাগে আনতে বদ্ধপরিকর বাটলার তাই সাবধানে সব তথ্যই যাচাই করতে থাকেন এবং ঘটনার পাঁচদিন পর পাওয়া যায় এমনই এক তথ্যদাতার কাছ থেকে লেদারস্লেড ফার্মের সন্ধান। সারা লন্ডন তন্নতন্ন খুঁজে ক্ষান্ত হওয়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেন সোনার খনির সন্ধান পায় অবশেষে।
ধীরে ধীরে জানা যায় জড়িত প্রায় ১৬ জনের নামই। ডাকাতরা ততদিনে যে যার মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ টাকা ফেলে বাঁচার চেষ্টা করেছে, কেউ দেশ ছেড়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যেখানে সেখানে ডাকাতির টাকা পাওয়া যাচ্ছিল। কিছু পাওয়া গিয়েছিল এক ভ্যানে, কিছু গাছের পাশে, কিছু পাওয়া গিয়েছিল ফোন বুথের পাশে। এতে করে পুরো লন্ডনবাসী যেন এই টাকার খোঁজে বেরিয়েছিল। টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে পুলিশ শশব্যস্ত সময় পার করলেও জনগণের মনে এ নিয়ে আনন্দ-উৎফুল্লতার কমতি ছিল না!
এই ঘটনা রাষ্ট্রের কর্তাদের প্রতি জনগণের অসন্তোষ একবারে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। পুরো লন্ডন যেন তখন গুপ্তধন শিকারে ব্যস্ত, পুলিশ কর্মকর্তারা চোরদের খোঁজে আর জনগণ খোঁজে ছড়িয়ে থাকা লুটের টাকার। এর মধ্যেই বাটলার ধরতে সক্ষম হন রেনল্ডস, এডওয়ার্ডস এবং জেমস হোয়াইট বাদে বাদবাকি সবাইকে। এই ১৩ জনকে নিয়েই ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় শুনানি। ব্রুস রেনল্ডসের পরিকল্পনার মাহাত্ম্য তখনই সবার সামনে আসে। এত বড় একটা ডাকাতি যা পুরো বিশ্বকে হকচকায়ে দিতে সক্ষম হয়, তাতে শুধু আহত হয় জ্যাক মিলস, তাও সামান্য পরিমাণ। আর ডাকাতদের বিরুদ্ধে শুধু আঙুলের আংশিক ছাপগুলো ছাড়া তেমন কিছুই প্রমাণ পায়নি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বা লন্ডন পুলিশ।
প্রায় ৫১ দিনের শুনানি শেষে জাস্টিস এডমন্ড ডেভিস সবাইকে চমকে দিয়ে ডাকাতদের প্রত্যেককে ২৫-৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তখনকার দিনে জোড়া খুনের জন্যেও এই সাজা বেশি ছিল, আর সে সময় শুধুমাত্র একটা জায়গায় আঙুলের ছাপ পাওয়ার প্রমাণ দিয়ে কাউকেই সাজা দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু জাস্টিস ডেভিস তাদের কোনো ধরনের সহানুভূতির অপ্রাপ্য ঘোষণা করে নজিরবিহীন এই দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।
পরে যদিও চার্লি উইলসন ও রনি বিগস্ জেল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, বাস্টার এডওয়ার্ডস আত্মসমর্পণ করেন এবং জেমস হোয়াইট ধরা পড়েন। কিন্তু আসল পরিকল্পনাকারী রেনল্ডস তখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যান। পরিবার নিয়ে তিনি তখন মেক্সিকোতে বসবাস করছিলেন আরাম-আয়েশেই। থাকতেন সবচেয়ে দামি হোটেলে, চালাতেন সবচেয়ে দামি গাড়ি। রেনল্ডসের শৌখিন স্বভাব তখন যেন পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হয়।
ছয় বছর এভাবেই পার হয়ে যায়। ততদিনে বাটলারের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রেনল্ডসকে ধরতে না পারলে তার নিজের গল্পটা যে অসম্পূর্ণই থেকে যেত। তাই তিনি তার কার্যমেয়াদ বাড়ান শুধু রেনল্ডস্কে জেলে পুরে এই গল্পের ইতি টানবার জন্য। অন্যদিকে ধীরে ধীরে টাকা ফুরাতে শুরু করলে রেনল্ডস্ও লন্ডন চলে আসেন। আর সেটাই শেষমেশ কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য।
লন্ডনে ফেরার ক’দিনের মাঝেই তার দরজায় কড়া নাড়েন বাটলার। আর ছয় বছরের এই চোর-পুলিশ খেলার শেষ হয় রেনল্ডসের এক বাক্যে, “অনেকদিন দেখা নেই, ব্রুস? সময় হয়েছে, এবার চলো।” আর জবাবটা নাকি হেসেই দিয়েছিলেন সদা মনোমুগ্ধকর রেনল্ডস, “জীবনটা এমনই টমি!”
ফিচার ইমেজ- Odyssey