লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক বদ্ধ উন্মাদ। নারীরা তার লক্ষ্য। নারীদের দেখলেই হামলে পড়ছে সে। ছুরি চালাচ্ছে তাদের শরীরে। আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা শহরজুড়ে। পত্রপত্রিকায় সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হচ্ছে এই অজ্ঞাত হামলাকারীর খবর। প্রতিটা হামলার এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিবরণ ছাপা হচ্ছে যে, তা পড়ে গা শিউরে উঠছে সকলের। নারীরা রাতের বেলা একা ঘরের বাইরে পা রাখার সাহস পাচ্ছে না। পুরুষেরাও রাস্তাঘাটে চলাচল করছে ভীতসন্ত্রস্ত ভঙ্গিতে। বলা তো যায় না, উন্মাদটা যদি এবার নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের দিকে হাত বাড়ায়!
না পাঠক, এটা ভিক্টোরিয়ান যুগের হোয়াইটচ্যাপেল নয়। আমাদের কাহিনীর নায়কও (কিংবা খলনায়ক) সেই সাইকোপ্যাথ জ্যাক দ্য রিপার নয়। এটা তারও একশো বছর আগেকার ঘটনা, আর ঘটনাগুলো যে ঘটাচ্ছে, পত্রিকার সম্পাদকেরা তার নাম দিয়েছে ‘লন্ডন মনস্টার’।
লন্ডন মনস্টার শহরবাসীর মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে ১৭৮৮ থেকে ১৭৯০ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ সময়কালটা ১৮৮৮-৯১ সালের জ্যাক দ্য রিপার এবং ১৬৮০’র দশকের হুইপিং টমের মাঝামাঝি পর্যায়। কিন্তু অপর দুজনের যত বেশি নামডাক শোনা যায়, লন্ডন মনস্টারের ব্যাপারে অতটা শোনা যায় না। বেশিরভাগ মানুষ কোনোদিন তার নামই শোনেনি। অনেকটা যেন বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিল সে।
কিন্তু এমন অসাধারণ একজন ব্যক্তির পক্ষে কতদিন আর গা ঢাকা দিয়ে থাকা সম্ভব! গত শতাব্দীর শেষ দিকে ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে পুরনো অপরাধ বিষয়ক পোস্টার ঘাঁটতে গিয়ে তাকে আবিষ্কার করেন সুইডিশ-ব্রিটিশ রিউম্যাটোলজিস্ট, বিজ্ঞানী ও লেখক ইয়ান বোন্ডেসন। এতটাই অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি যে, লন্ডন মনস্টারকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দেন, এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ সালে প্রকাশ করেন The London Monster: A Sanguinary Tale বইটি। এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে ব্রিটিশ অপরাধ ইতিহাসের এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়।
চলুন পাঠক, আমরাও ঘুরে আসি একবার সেই সেই বিস্মৃতপ্রায় ইতিহাসের অলিগলি থেকে।
প্রথম আক্রমণ
১৭৮৮ সালে প্রথম লন্ডন শহরের বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে দীর্ঘকায় এক ব্যক্তির কথা। সে নাকি রাস্তাঘাটে কোনো বড় ঘরের নারীকে একা পেলেই নোংরা ভাষায় গালি দিতে শুরু করে। মাঝে মাঝে তাদের উপর হামলাও চালায় সে। কয়েকবার তীক্ষ্ণ কোনো জিনিস, যেমন- পিন, নারীদের শরীরে গেঁথে দিয়েছে। আর কয়েকবার ছুরি দিয়ে নারীদের শরীরে এমনভাবে আঘাত করেছে যে, পরনের কাপড় তো ছিঁড়ে গেছেই, সেই সাথে মাংসও কেটে গেছে।
প্রকাশ্যে আসা, লন্ডন মনস্টারের হাতে লাঞ্ছিত হওয়া প্রথম নারী হলেন মারিয়া স্মিথ। লন্ডনের এক ডাক্তারের তরুণী স্ত্রী ছিলেন তিনি। রাতের বেলা এক বন্ধুর বাসা থেকে বের হওয়ার পর, দরজার সামনেই তাকে একা পেয়ে হামলা চালায় লন্ডন মনস্টার। তার স্তন ও ঊরুতে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
হামলাকারীর প্রধান লক্ষ্য হলো নারীদের পশ্চাদ্দেশ ও ঊরু। এই দুই জায়গাতেই সবচেয়ে বেশিবার আঘাত হেনেছে সে। তবে কয়েকবার নারীদের মুখ বরাবরও হামলা চালিয়েছে। তবে প্রতিবারই কোনো সাহায্য আসার আগেই নির্বিঘ্নে নিজের কাজ সেরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে সে। ফলে মাত্র দুই বছরেই এমন অন্তত ৫০ জন নারীর উপর আক্রমণ ঘটানো সম্ভব হয় তার পক্ষে।
জনমনে আতঙ্ক
প্রথম কয়েকটি হামলার খবর জানাজানি হওয়ার পরই হামলাকারীকে নিয়ে লন্ডনবাসীর আগ্রহ চরমে পৌঁছায়। চারদিকে সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় সে। ঝোপ বুঝে কোপ মারে পত্রিকাওয়ালারা। যেই তারা দেখতে পেল মানুষের উৎসাহ এখন অজ্ঞাত হামলাকারীকে নিয়ে, অমনই তাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে, সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে গন্ডায় গন্ডায় সংবাদ তৈরি করতে লাগল। কিন্তু কাঁহাতক আর কেবল হামলাকারী বলে ডাকা যায় লোকটাকে। তার তো একটা নাম দেয়া দরকার। তবে হ্যাঁ, নামটা অবশ্যই প্রকাশিত সংবাদগুলোর মতোই চাঞ্চল্যকর ও ভীতিজাগানিয়া হতে হবে। সেরকম একটা নাম পাওয়াও গেল। কোনো একটা পত্রিকা তাকে ‘দ্য লন্ডন মনস্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করলে, বাকি পত্রিকাগুলোও লুফে নিল সেই নাম।
পত্রিকায় একদম গল্পের মতো করে ছাপা হতে থাকে লন্ডন মনস্টারের কাহিনী। এবং সেই গল্প লেখার ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা খেয়াল রাখলেন, নারীদের ব্যাপারটায় যেন বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই পত্রিকায় প্রকাশিত অধিকাংশ সংবাদে দেখা যায়, হামলার শিকার প্রায় সকল নারীই খুবই সুন্দরী, আকর্ষণীয়া এবং অতি অবশ্যই তাদের বয়স একেবারে কম।
লন্ডন মনস্টারের বদৌলতে কার্টুনিস্টরাও যেন মনমতো একটা কাজ পেয়ে যান। তারা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকতে থাকেন লন্ডন মনস্টারের কার্টুন। বেশিরভাগ কার্টুনেই তাকে শয়তান হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়। সেসব কার্টুনে দেখানো হয়, কীভাবে অসহায় নারীদের উপর বর্বরতা চালাচ্ছে সে। তবে কিছু কিছু কার্টুনিস্ট আবার এখানেও কালো রসের সন্ধান পেয়ে যান। একটা কার্টুনের শিরোনাম দেয়া হয়, “বুড়ি পরিচারিকারা স্বপ্ন দেখছে মনস্টারের”, যেখানে দেখানো হয় চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া দুই নারী কল্পনা করছে, তারাও যদি কম বয়সী ও সুন্দরী হতো, তবে তাদের উপরও ছুরি চালানো হতো!
তবে পত্রিকায় এসব বাড়াবাড়ি করা হলেও, লন্ডন মনস্টারকে নিয়ে জনমনে যে আতঙ্ক, তা একেবারে অমূলক নয়। সময়ের সাথে সাথে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে লন্ডন মনস্টারের। নিয়মিত হামলা চালানো শুরু করে সে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে যায় যে, রাস্তায় বেরোনোর আগে নারীরা রান্নাঘর থেকে কপারের বাসন-কোসন নিয়ে কাপড়ের নীচে ঢুকিয়ে নিতে শুরু করেন, যাতে তাদের পশ্চাদ্দেশ সুরক্ষিত থাকে।
পুরস্কার ঘোষণা
শহরের মানুষ যখন ভয়ে-আতঙ্কে দিশেহারা, তখন লন্ডন মনস্টারকে ধরিয়ে দেয়ার বিপরীতে বিশাল অংকের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। রাতের বেলা সশস্ত্র বাহিনী শহরের অন্ধকার রাস্তাগুলোতে টহল দিয়ে বেড়াতে থাকে, যেন অপরাধীকে হাতেনাতে ধরা যায়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। এমনকি ‘বো স্ট্রিট রানার্স’ নামের লন্ডনের পুলিশ বাহিনীও ব্যর্থ হয় লন্ডন মনস্টারকে ধরতে।
দানবের খেল খতম
দীর্ঘদিন কেটে গেল, কিন্তু এত চেষ্টা তদবির করেও ধরা গেল না লন্ডন মনস্টারকে। পুরস্কারের লোভে যারা প্রাণ বাজি রেখে চেষ্টা করছিল তাকে ধরার, তারাও হাল ছেড়ে দিল। কিছু কিছু সংশয়বাদী এবার আওয়াজ তোলা শুরু করল। তাদের সন্দেহ, আসলে হয়তো লন্ডন মনস্টার বলে কেউ নেই, সবটাই মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা। হামলার শিকার হওয়াদের ভাষ্যও সব মিথ্যা। এত ভয়ংকর একজন ব্যক্তি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ কেউ প্রাণে মরল না, এমন আবার হয় নাকি! একটা পত্রিকা তো লন্ডন মনস্টারের ঘটনাকে ‘শহুরে কিংবদন্তী’ হিসেবেও অভিহিত করতে শুরু করল।
কিন্তু ঠিক এমন সময়ই আকস্মিকভাবে বদলে গেল দৃশ্যপট। ১৭৯০ সালের জুন মাস তখন। এক বিকেলে অ্যানে পোর্টার নামের তরুণী হেঁটে যাচ্ছিলেন সেইন্ট জেমস পার্কের পথ ধরে। সঙ্গে তার অনুরাগী, মৎস্য ব্যবসায়ী জন কোলম্যান। হঠাৎ করেই ২৩ বছর বয়সী রাইনউইক উইলিয়ামস নামক এক তরুণকে দেখে চিনে ফেলল সে। জনকে বলল, “এই যে! এই লোকটাই লন্ডন মনস্টার!“
জন তখন অ্যানের প্রেমে পাগল। অ্যানেকে মুগ্ধ করে, তার মন জয় করার জন্য যেকোনো কিছু করতেই প্রস্তুত সে। একজন বদ্ধ উন্মাদের সাথে লড়াই করা তো কোনো ব্যাপারই নয় তার জন্য। তাই রাইনউইকের পিছু ধাওয়া করল সে। দৌড়ে রাইনউইক তার নিজের ডেরায় পৌঁছে গেল। কিন্তু সেখানে গিয়েও হাজির হলো জন। পাকড়াও করল রাইনউইককে। রাইনউইকের মধ্যে পাল্টা আক্রমণ তো পরের কথা, আত্মরক্ষারও বিন্দুমাত্র প্রয়াস লক্ষ্য করা গেল না। এবার সে বিনা বাধায় ধরা দিল জনের হাতে। জন তাকে টেনেহিঁচড়ে অ্যানের সামনে নিয়ে গেল। তাকে দেখে মুহূর্তেই মূর্ছা গেল অ্যানে।
অভিযোগ আনা হলো রাইনউইকের বিরুদ্ধে
জানা গেল রাইনউইকের পরিচয়। ওয়েলসে জন্ম তার। একসময় ভায়োলিন বাজাত সে। ব্যালে ডান্সারও ছিল। কিন্তু আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায়, সেসব ছেড়ে দিয়ে একটা ফ্যাক্টরিতে কাগজ ও তারের কৃত্রিম ফুল তৈরির কাজ নেয় সে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে যে, সত্যিই একদিন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অ্যানের উপর হামলা চালিয়েছিল সে। কিন্তু ঐ একবারই। এছাড়া আর কোনোদিন কোনো নারীর উপর হামলা চালায়নি, এবং তাকে যে লন্ডন মনস্টার বলা হচ্ছে, সেটাও সত্য নয়। অন্য সব আক্রমণের সময় তার শক্ত অ্যালিবাই ছিল, কিন্তু সেগুলোকে আমলে আনা হলো না।
শুরু হলো বিচার
দুই দফা বিচার চললো রাইনউইকের। হামলার শিকার অন্য নারীরা তাকে চিনতে পারল না। না চেনাই স্বাভাবিক, কেননা রাতের বেলা অন্ধকারে অতর্কিতে হামলা চালানো হলে হামলাকারীর মুখ দেখার অবকাশ কোথায়! এরপরও তাকে নিউগেট জেলখানায় ছয় বছরের কারাদন্ড দেয়া হলো। তখনকার প্রেক্ষাপটে এই সাজা অনেক কমই ছিল। কেননা তখন চুরির অপরাধেও অনেককে ফাঁসিতে ঝোলানো হতো। তাহলে রাইনউইকের এত কম শাস্তি কেন? এর কারণ সম্ভবত জুরিদের মনেও সন্দেহ ছিল তার অপরাধের বিষয়ে।
আসলেই কি সে দোষী ছিল?
রাউনউইক বরাবরই দাবি করে এসেছে যে, সে নিরপরাধ ছিল। জন ও অ্যানে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছে। কেননা তাকে ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে জন ১০০ পাউন্ড পেয়েছিল, যা ছিল তখনকার দিনে বিশাল অংক। আর এর কিছুদিন পরই অ্যানেকে বিয়ে করে সে। কিন্তু এরপরও রাইনউইককেই প্রকৃত অপরাধী ভাবার পেছনে দুটি কারণ ছিল। প্রথমত, তাকে গ্রেফতারের পর থেকেই লন্ডন মনস্টারের উপদ্রব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর আর কাউকে লন্ডন মনস্টারের হামলার শিকার হতে শোনা যায়নি। দ্বিতীয়ত, হামলাগুলোর মধ্যে দুটি হয়েছিল রাইনউইকের বিচরণক্ষেত্রের একেবারের কাছাকাছি; একটি তার লজিংয়ের কাছে, অপরটি সে যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করত সেটার কাছে।
শেষ কথা
আসলেই লন্ডন মনস্টার বলে কেউ ছিল কি না, রাইনউইক আদৌ দোষী ছিল কি না, এসব প্রশ্নের উত্তর হয়তো কোনোদিনই পাওয়া যাবে না। আদালতের দৃষ্টিতে সে দোষী ছিল, তাই তাকে আমাদের দোষী হিসেবেই মানতে হবে। তবে কেউ চাইলেই লন্ডন মনস্টারের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন। তারা বলতেই পারেন যে, দুই-একজন নারী হয়তো আসলেই কোনো বদ্ধ উন্মাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, কিন্তু পরে মানুষের মনে ভয় এমনভাবে জেঁকে বসে যে, যেকোনো ছোটখাট আক্রমণকেই তারা লন্ডন মনস্টারের আক্রমণ হিসেবে ধরে নিতে থাকে। কিন্তু আদতে সেগুলো সবই হয়তো ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাছাড়া সেই সময়ে যেহেতু এমনটা চাউর হয়েছিল যে লন্ডন মনস্টার কেবল কম বয়সী, সুন্দরী ও আকর্ষণীয়া নারীদেরই আক্রমণ করে, তাই অনেক নারীই সমাজে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে নিজেদেরকে আক্রমণের শিকার হওয়ার মিথ্যা দাবি করে থাকতে পারে। এমনটা কিন্তু সত্যিই হয়েছে। লন্ডন মনস্টার জেলবন্দি হওয়ার পর কয়েকজন নারীকে বলতে শোনা গেছে, আসলে তাদেরকে কেউ আক্রমণ করেনি!
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে রাইনউইকের কী হয়েছিল, তা আর জানা যায়নি। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় তার বয়স ত্রিশের আশেপাশে হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই তার আরও বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকার কথা। কী করেছে সে জীবনের পরবর্তী দিনগুলোতে? তাকে নিয়ে লেখা বইয়ের লেখক ইয়ান বোন্ডেসনের ধারণা, সে হয়তো ছাড়া পাওয়ার পর নিজের নাম বদলে হেনরি উইলিয়ামস রেখেছিল, এবং ফুলের ফ্যাক্টরিতেই আবারো কাজ শুরু করেছিল। তিনি আরো মনে করেন, আজকের দিনে হলে আদালতে অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে রাইনউইককে হয়তো কোনো শাস্তিই পেতে হতো না।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/