মূর্খ কালিদাসের মহাকবি হয়ে ওঠার গল্প

বাংলা ভাষার প্রধান উৎস হচ্ছে সংস্কৃত ভাষা। আরও সহজভাবে বললে সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি। আর সেই সংস্কৃত ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হলেন মহাকবি কালিদাস। প্রাচীন ভারতেরও তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। এটাই কালিদাস পণ্ডিতের সবচেয়ে বড় পরিচয়। তবে আমাদের সাথে কালিদাস পণ্ডিতের পরিচয়টা হয়ত ঘটেছে অন্যভাবে। আর সেটা হচ্ছে ‘ধাঁধাঁ’।

বর্তমানে ধাঁধাঁর প্রচলন কমে গেলেও আমাদের বাল্যকাল কেটেছে মজার মজার ধাঁধাঁর খেলায়। আর কালিদাসের ধাঁধাঁ ছাড়া যেন ধাঁধাঁর আসর জমতোই না। যেমন, কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা/ নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা? কিংবা, কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি/ আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে/ আর কত থাকে বাকী? যদিও এসব ধাঁধাঁ আদৌ কালিদাস পণ্ডিতের কিনা তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ আছে, তবে এতটুকু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তিনি প্রতিভাধর ছিলেন বিধায়ই তার নামে এসব ধাঁধাঁ প্রচলিত হয়ে আসছে।

কালিদাসের উপমা আর যুক্তিতে মুহ্যমান হয়ে এভাবেই তাকে কুর্নিশ করতেন সবাই; image source : prekshaa.in

কালিদাসের জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, মানে ইতিহাসবিদগণ তার জন্ম সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি। তার জন্মস্থান এবং জন্ম সন নিয়ে নানা মতামত প্রচলিত আছে। এজন্য আমরা ইতিহাসবিদদের অভিযুক্ত না করে বরং স্বয়ং কালিদাসকেই অভিযুক্ত করতে পারি! এত এত কবিতা লিখে গেলেন, অথচ একটি বইয়ের পেছনে নিজের জন্মবৃত্তান্তটা একটু লিখে যেতে পারলেন না? হা হা, আজকাল লেখকরা তো নিজের পরিচয়টা নিজেই লিখে দেন বইয়ের পেছনে!

কালিদাসের মতো একজন মহাকবির জন্ম-মৃত্যু কিংবা জন্মভূমি সম্পর্কে জানার শখ হয়তো রবীন্দ্রনাথেরও ছিল। এজন্যই রবীন্দ্রনাথ তার ক্ষণিকা কাব্যের সেকাল কবিতায় লিখেছেন-

হায় রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল!
পণ্ডিতেরা বিবাদ করে লয়ে তারিখ-সাল।

হারিয়ে গেছে সে-সব অব্দ,      ইতিবৃত্ত আছে স্তব্ধ-

গেছে যদি আপদ গেছে, মিথ্যা কোলাহল।

হায় রে গেল সঙ্গে তারি      সেদিনের সেই পৌরনারী

নিপুণিকা চতুরিকা মালবিকার দল।
কোন্‌ স্বর্গে নিয়ে গেল বরমাল্যের থাল!
হায় রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল!

কালিদাস কবে জন্মেছেন আর কোথায় জন্মেছেন তা নিয়ে দেশি-বিদেশি গবেষকরা অসংখ্য বই লিখেছেন। একেকজনের একেক রকমের দাবী! কেউ বলেছেন, যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক আগেই কালিদাসের জন্ম হয়েছে। তাদের মতে, কালিদাসের ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’ গ্রন্থের নায়ক অগ্নিমিত্র ছিল শুঙ্গ বংশীয় রাজা, বাস্তবে এ রাজার শাসনামল ছিল যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে, আর এই নাটকটি অগ্নিমিত্রের জীবদ্দশায়ই রচিত হয়েছিল, তাই কালিদাসের জন্য অবশ্যই যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে।

কালিদাসের ভাস্কর্য; image source : wikimedia.orgprekshaa.in

আবার কেউ কেউ বলেছেন, না, যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক পরে কালিদাসের জন্ম। তাদের মতে, কালিদাসের জন্ম হয়েছিল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি। কেননা, কালিদাস বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত এক গুপ্ত সম্রাটের সভাকবি ছিলেন। কালিদাসের অনেক রচনায় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনী ও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানেও সমস্যা হচ্ছে, ‘বিক্রমাদিত্য’ নাম দ্বারা আসলে সুনির্দিষ্ট কিছু বোঝার উপায় নেই। ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসে অন্তত ছয়জন রাজা ‘বিক্রমাদিত্য’ উপাধি ধারণ করে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন। ফলে, আমাদের জন্য কালিদাস সম্বন্ধীয় বিক্রমাদিত্যকে খুঁজে বের করাও বেশ কঠিন কাজ। তবে অধিক প্রচলিত মত হচ্ছে, গুপ্ত সাম্রাজ্যের সর্বাধিক খ্যাতিমান নৃপতি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, যার উপাধি ছিল ‘বিক্রমাদিত্য’, তার সভাকবি ছিলেন কালিদাস। আর এই রাজার রাজত্বকাল ছিল ৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪১৪ খ্রিস্টাব্দ। তারপরেও মূল কথা হচ্ছে, কালিদাস কবে জন্মেছিলেন সেই তথ্য কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারবে না। তাই আমরা সেসব তর্ক থেকে নাহয় দূরেই থাকলাম।

জন্মসালের মতো তার জন্মস্থান নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে। অনেক গবেষকের মতে, উজ্জয়িনী। সেকালে মালব রাজ্যের রাজধানী ছিল, যা এখন মধ্যপ্রদেশের একটি জেলা ও শহর। আবার অনেক গবেষকের মতে, বিদিশা, আধুনিককালে যার নামকরণ করা হয়েছে ভিলশা, এটিও মধ্যপ্রদেশের একটি শহর। আবার কেউ বলেন, দেবগিরি পাহাড়ের কাছে দশোর গ্রামে কালিদাসের জন্ম। কেউ কেউ বলেন, বিদর্ভ, যা এখন ‘বেয়ার’ বলে সকলে চেনে, এটিও এখন মহারাষ্ট্রের একটি প্রদেশ। আবার সংস্কৃত গবেষক লক্ষ্মী ধর কল্লার মতে, তিনি কাশ্মীরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে এসব তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কালিদাস জন্মেছিলেন ভারতের কোনো এক জায়গায়। এছাড়া এর পেছনে আরেকটি যুক্তি দেয়া যেতে পারে কালিদাসের কাব্যের ভেতর থেকেই; তা হলো, কালিদাস অন্ততপক্ষে চার বার ভারত পরিভ্রমণ করেছিলেন এবং কখনো একই পথে দ্বিতীয়বার যাননি। সব মিলিয়ে এ ধারণায় উপনীত হওয়া যায় যে, মধ্যপ্রদেশ বা এর আশেপাশে তার জন্ম হয়েছিল।

তবে মজার ব্যাপার হলো কালিদাস বাস্তবে একজন অশিক্ষিত-মূর্খ মানুষ ছিলেন। নিজের স্ত্রীও তার বোকামি নিয়ে হাসি-তামাশা করত। রাগে ক্ষোভে তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। কথিত আছে, এমতাবস্থায় তিনিও দস্যু রত্নাকরের মতো ‘কালি দেবী’র মতান্তরে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। এতেই মূর্খ কালিদাস হয়ে উঠলেন মহাকবি কালিদাস!

ছোটবেলায় বাবা-মা হারান কালিদাস। সর্বহারা শিশু কালিদাসের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাখাল গোত্রের লোকজন। রাখালদের কাছে লালিত-পালিত হওয়ায় কালিদাসের লেখাপড়ার কোনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তিনি দেখতে-শুনতে ছিলেন খুবই সুদর্শন। এতটাই সুদর্শন ছিলেন যে তাকে রাজপুত্রের মতো লাগত। আর সে কারণেই তার বিয়ে হয় এক সুন্দরী রাজকন্যার সঙ্গে। এ বিয়ে নিয়েও একটি মজার ঘটনা প্রচলিত আছে। কথিত আছে, উক্ত রাজকন্য নাকি রাজার খুবই অবাধ্য ছিলেন, তাই মন্ত্রীর পরামর্শে রাজা তার কন্যাকে শায়েস্তা করার জন্য কালিদাসের সাথে বিবাহ দিয়ে দেন।

রাজপুত্রের মতো চেহারা থাকলেও বাস্তবে কালিদাস ছিলেন লেখাপড়া না জানা এক মূর্খ যুবক। নিজের ভাল-মন্দ বিচার করার মতো ক্ষমতাও ছিল না তার। একদিন কিছু লাকড়ির দরকার হলে কালিদাস গাছে উঠে গাছের যে ডালে বসে আছেন সেই ডালটিই কাটতে শুরু করলেন। উক্ত গাছের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় এক পথিক কালিদাসের এমন বোকামি দেখে তাকে ডাল কাটার সঠিক উপায় বলে দিলেন, কিন্তু কালিদাস এতটাই মূর্খ ছিলেন যে, ঐ পথিকের পরামর্শও তিনি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন। ডাল কাটতে গিয়ে ডালের সাথে কালিদাস নিজেও মাটিতে পড়ে আহত হন। বোকামির এমন সংবাদ সারা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

মূর্খ কালিদাসের ডাল কাটার দৃশ্য; image source : Amazon.in

এমনিতেই বোকামির জন্য কালিদাস প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে বকা-ঝকা শুনতেন। ডাল কাটার বোকামি যেন তা আরও উস্কে দিল। স্ত্রীর এমন ব্যবহারে কালিদাস একদিন রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে ঘর থেকে বের হয়ে আত্মহত্যা করার জন্য নদীতে ঝাপ দিলেন। কিন্তু তিনি সেখানেও ব্যার্থ। নদী থেকে তাকে উদ্ধার করলেন দেবী কালি, আর সেই কৃতজ্ঞতায় তিনি হয়ে গেলেন দেবীর ‘কালি’র দাস। সে অনুসারেই তার নাম হয়ে গেল কালিদাস। শুধু যে দেবী কালি তার জীবন বাঁচালেন তা-ই নয়, তাকে দিলেন জ্ঞান ও বুদ্ধির আশীর্বাদ, তাতেই কালিদাস হয়ে উঠলেন মহাকবি। রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকির দস্যু থেকে সাধক হয়ে ওঠার গল্পের মতো কালিদাস মূর্খ থেকে হয়ে উঠলেন মহাকবি। তার বুদ্ধির তারিফ করতে গিয়ে তার নামে আজও প্রচলিত আছে হাজার হাজার জটিল ধাঁধাঁ। তিনি হয়ে উঠলেন প্রাচীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার।

কালিদাস দুটি মহাকাব্য লিখেছেন- ‘রঘুবংশম্’ এবং ‘কুমারসম্ভবম্’। নাটক রচনা করেছেন তিনটি- ‘বিক্রমোর্বশীয়ম্’, ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’ আর ‘অভিজ্ঞানশকু্ন্তলম্’। গীতিকাব্য লিখেছেন দুটি- একটি হলো ‘মেঘদূতম্’, যাকে আমরা বাংলায় ‘মেঘদূত’ বলে জানি এবং অন্যটির নাম ‘ঋতুসংহারমা’।

‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’ নাটকের একটি দৃশ্য; image source : prekshaa.in

কালিদাসের রচনাবলীর মধ্যে আমাদের কাছে দুটি গ্রন্থ সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গল্পের আকারে ‘শকুন্তলা’ লিখেছিলেন ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম্’ থেকে ভাবানুবাদ করে। আর অন্যটি হচ্ছে ‘মেঘদূতম’ বা ‘মেঘদূত’। বাংলায় এ পর্যন্ত বহুজন এই ছোট্ট কাব্যগ্রন্থটির অনুবাদ করেছেন। সংক্ষিপ্ত হলেও এটিই তার অমর কীর্তি; তার শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে স্বীকৃত। ‘মেঘদূতে’র বিষয়বস্তু নিয়ে হায়াৎ মামুদ লিখেছেন,

ছোট একটি গল্প, এবং একেবারেই বিশ্বাস করার মতো নয়। কুবের নামে কোটিপতি এক লোকের বাড়িতে চাকরি করে এক যক্ষ। গৃহভৃত্যটির নাম পর্যন্ত বলা হয়নি। ‘যক্ষ’ হলো লোকটির জাত-পাতের পরিচয়- যেমন জেলে, কুমোর, রাঁধুনি ইত্যাদি। যক্ষ বিয়ে করেছে সবেমাত্র। নতুন বৌ, ঘরসংসার গোছগাছ করায় যক্ষ ব্যস্ত। এর ফলে চাকরির কাজে বেচারার ত্রুটি ঘটতে লাগল। তখন রেগেমেগে কুবের তাকে শাস্তি দিল। তারা ছিল অলকাপুরীতে। অলকাপুরী হলো মানসসরোবরের কাছে কৈলাস পর্বতে এক শহর।

কুবের তাকে সোজা পাঠিয়ে দিল রামগিরি পাহাড়ে। প্রথমত, অত্যন্ত দূর। কেননা উত্তর প্রদেশের দক্ষিণাংশ ও মধ্যপ্রদেশের সংযোগস্থলে এর অবস্থান। দ্বিতীয়ত, জায়গাটি পাহাড়ি ও অরণ্যাঞ্চল। রাজধানী থেকে এসে এরকম বুনো জায়গায় একটি বৎসর একা একা নির্বাসনে থাকবে যক্ষ- এটাই তার শাস্তি। এর মধ্যে দশ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে, মাত্র দুটি মাস বাকি, তার পরেই সে ফিরে যেতে পারবে রাজধানী অলকাপুরীতে।

কিন্তু এরই মধ্যে এসে গেল আষাঢ় মাস। বর্ষা কাল। মেষের সে কী নয়ন-ভোলানো মনমাতানো রূপ! সমস্ত পর্বত ও অরণ্যানী নতুন সাজে সেজে উঠেছে যেন। দশটা মাস তার কোনো কষ্ট হয়নি, হঠাৎ এখন বাড়ির জন্য এমন মন কেমন করতে লাগল যক্ষের যে সে যেন পাগল হয়ে যায়। নববধূর জন্য কষ্ট হতে লাগল, শহুরে জীবনের আমোদ-আহ্লাদের জন্য শোক উথলে উঠল। তার ভয় হয়, বেচারি অভাগিনী বৌটি বেঁচে আছে তো। যক্ষ বেঁচে নেই ভেবে সে-ও যদি দুঃখ-শোকে মরে গিয়ে থাকে! সেকালে তো আর ডাকব্যবস্থা ছিল না যে যক্ষ স্ত্রীকে চিঠিপত্র লিখবে। কী করে এখন! হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। আচ্ছা, মেঘ তো উড়ে উড়ে দেশ-দেশান্তরে যায়; যদি মেঘকে অনুনয়-বিনয় করে বলি যে, ‘ভাই মেঘ, তুমি আমার খবরটা আমার স্ত্রীকে একটু পৌঁছে দিয়ে এস’, তো সে যাবে না?

এটাই হলো ‘মেঘদূতম্’ কাব্যের কাহিনী। পূর্বমেঘ জুড়ে মেঘকে বর্ণনা দিচ্ছে যক্ষ- কীভাবে কোন পথ দিয়ে মেঘ অলকাপুরীতে যাবে। আর উত্তরমেঘে যক্ষ বুঝিয়ে দিচ্ছে মেঘকে- রাজধানী অলকায় অত ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটের ভেতরে মেঘ কী করে চিনে নেবে যক্ষপ্রিয়াকে, তার হদিস। মেঘকে দূত হিসাবে পাঠানো হয়েছে বলেই কাব্যটির নাম মেঘদূত।

কালিদাস শুধু কবিতা বা নাটকের কারণেই আজকের দিনে গুরুত্বপূর্ণ নন। তার লেখালেখিতে রয়েছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ভূগোল ও রাজনৈতিক নানা উপাদান। তিনি আজও আমাদের অনুপ্রেরণার কারণ। ১৯৬৬ সালে তাকে নিয়ে ‘মহাকবি কালিদাস’ নামে একটি তামিল সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। তাকে নিয়ে হয়ত গবেষণা চলতে থাকবে আরও দীর্ঘকাল।

কালিদাসকে স্মরণীয় করে রাখতে তার নাটক অবলম্বনে নির্মিত ডাকটিকিট;  image source : amazinglive.site

ফিচার ইমেজ: prekshaa.in

সূত্রসমূহ

১। কালিদাসের মেঘদূত, অনুবাদক বুদ্ধদেব বসু, বোধি প্রেস, কলকাতা, সেপ্টেমবর ১৯৫৭   
২। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ সাহিত্যিক, হায়াৎ মামুদ, সাহিত্য প্রকাশ, নভেম্বর ২০০৭

Related Articles

Exit mobile version