প্রকৃতির প্রতিটি উদ্ভিদ আর জীবেরই রয়েছে নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা। তবে এমন অনেক জীব রয়েছে প্রকৃতিতে, যেগুলোর সংস্পর্শ মানুষের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয়, কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের জীবের একটি বড় অংশ হলো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩ কোটির অধিক প্রজাতির কীটপতঙ্গ। সকল কীটপতঙ্গের সংস্পর্শ মানুষের জন্য ক্ষতিকর না হলেও, কিছু পোকামাকড় অবশ্যই অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিছু পোকামাকড় তো আবার সাধারণ লোকালয়ে পাওয়াই যায় না। তবে ভয় হচ্ছে সেসব পোকা নিয়ে, যেগুলো লোকালয়ে সচরাচর পাওয়া যায়। চলুন এমনই কিছু পোকামাকড়ের কথা জেনে আসি, যেগুলোর আশেপাশে গেলে আপনার বেশ ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।
বুলেট অ্যান্ট
শুরুতে আলোচনা করবো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের পিঁপড়া নিয়ে। প্যারাপনেরিনি গোত্রের এই পিঁপড়াগুলো আকারে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ডাইওপনেরা গোত্রের স্ত্রী পিঁপড়া বুলেট পিঁপড়ার চেয়েও ৩/৪ মিলিমিটার বড় হয়। যা-ই হোক, বুলেট পিঁপড়ার প্রধান বসতি হচ্ছে প্যারাগুয়ের রেইনফরেস্ট। এর বুলেটের মতো হুলের জন্যই এই নামকরণ। উঁহু, আক্ষরিক অর্থে বুলেটের আকার নয়, বরং এই পিঁপড়া আপনাকে হুল ফোটালে আপনার ত্বকে তা বুলেটের মতোই বিঁধবে! তাই বিজ্ঞানীরা এর নাম বুলেট পিঁপড়াই রেখে দিয়েছেন। অন্যদিকে এর কামড়ে আপনি মারা যাবেন না ঠিক, তবে ব্যথা থাকবে ২৪ ঘণ্টার বেশি। তাই স্থানীয়রা আদর করে একে ‘টুয়েন্টি ফোর আওয়ার অ্যান্ট’ বলে থাকে! বড় বড় গাছের নিচে কলোনি তৈরি করে এরা বসবাস করে। বিপদের আভাস পেলে একপ্রকার উৎকট গন্ধ ছড়ায় বুলেট অ্যান্ট। যদি এই গন্ধ পেয়েও সাবধান না হন, তবে আপনার কপালে শনি অপেক্ষা করছে। কারণে গন্ধে কাজ না হলে দলবেঁধে আক্রমণ করাই বুলেট পিঁপড়ার ঐতিহ্য!
ফায়ার অ্যান্ট
আবারো পিঁপড়া, তবে এবার সলিনোপসিডিনি গোত্রের ফায়ার অ্যান্ট। বিশ্বজুড়ে এই পিঁপড়ার ২০০ এর অধিক প্রজাতির সন্ধান পেয়েছে জীববিজ্ঞানীরা। বসবাস আফ্রিকান অঞ্চলে বেশি হলেও সারা বিশ্বেই কম বেশি পাওয়া যায়। অন্যান্য পিঁপড়ার মতো এরাও কলোনিতে বসবাস করে এবং একটি কলোনিতে একত্রে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কর্মী ফায়ার অ্যান্ট বসবাস করে, যাদের নিয়ন্ত্রণ করে একটি রানী ফায়ার অ্যান্ট। প্রতিদিন ১,৬০০ পর্যন্ত ডিম পাড়তে সক্ষম এরকম একটি কলোনির রানী প্রায় সাত বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। মাত্র ২ থেকে ৬ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই ক্ষুদ্র পিঁপড়ার নাম থেকেই নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন এর স্বভাব। স্বাভাবিকভাবে পিঁপড়া মহাশয় শান্তশিষ্ট হলেও একে বিরক্ত করলে আপনি ফেঁসে যাবেন নিশ্চিত। কেননা যখন এই পিঁপড়া একবার কাউকে এর শত্রু ভাবাপন্ন করে, তখন একটি কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় না শত্রুকে, ক্রমাগত দিয়েই চলে! আর এর কামড়ে ত্বকে সৃষ্টি হয় ছোট ছোট ফুসকুড়ি, ঠিক যেমন আগুনে পুড়লে হয়। নামের ব্যাপারটি বোঝা গেলো তো? একবার কামড় খেলে অন্তত সাত দিন বয়ে বেড়াতে হবে অসহ্য ব্যথা! আর অ্যালার্জি সহ নানারকম ত্বকীয় সমস্যা তো আছেই।
কিসিং বাগ
কিসিং বাগ অত্যন্ত অদ্ভুত একটি পতঙ্গ। এটি কামড় দেয় না, কিন্তু চুমু দেয়! আদতে কামড়ই দেয়, তবে কোনো এক অজানা কারণে এরা মানুষের ঠোটেই কামড় দেয়! হ্যাঁ, অদ্ভুত স্বভাবের এই পতঙ্গ একজন জাগ্রত মানুষের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে কিন্তু কামড় দেবে না। তবে যখনই আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন, সুযোগ বুঝে আপনার ঠোঁটে বসিয়ে দেবে কামড়। এজন্যই তো কিসিং বাগ এদের নাম। ব্যাস, শুরু হয়ে যাবে শরীরে জ্বালাপোড়া। একটি পূর্ণবয়স্ক কিসিং বাগের কামড় শরীরে ক্রিয়া করে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই। অন্যদিকে তাৎক্ষণিক লক্ষণ হিসেবে শরীরে আসতে পারে ছোট-বড় ফুসকুড়ি। এদের কামড়ের সাথে শরীরে প্রবেশ করে ‘ট্রাইপানোসোমা ক্রুজি’ নামক একপ্রকার জীবাণু। কেবল সরাসরি কামড় নয়, পোষা প্রাণীর মাধ্যমেও এই জীবাণু আপনার দেহে প্রবেশে সক্ষম। কেননা কুকুর, বিড়ালও বাদ যায় না কিসিং বাগের ‘কিস’ থেকে। এর কামড়ে সৃষ্ট রোগের নাম ‘সাঙ্গাস’। প্রতি বছর সাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মারা যাচ্ছে ১২ হাজার মানুষ।
বটফ্লাই
বটফ্লাই বা ডাঁশ পোকার লার্ভা মূলত স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে একটি অন্তর্নিহিত পরজীবী হিসেবে বসবাস করে। ওস্ট্রাইডা গোত্রের এই পোকা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে একসাথে সর্বোচ্চ ৩০টি ডিম পাড়ে যা থেকে লার্ভা সৃষ্টি হয় এবং চামড়ার নিচে বসবাস শুরু করে। তবে কয়েক প্রজাতির ডাঁশের লার্ভা অন্ত্রের মধ্যেও বড় হয়। ঘোড়া বা গরুর মতো প্রাণীর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো একটু জটিল হয় যখন ডাঁশ গিয়ে এদের নাকের ভেতরে ডিম পেরে আসে। আরো ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে ৩০ দিন পরই ত্বকের ভেতরে লার্ভার নড়াচড়া অনুভব করতে পারে ধারক প্রাণীটি! ৬০ দিনের মধ্যেই লার্ভার প্রয়োজনীয় বেড়ে ওঠার পর্ব শেষ হয় এবং বিভিন্ন উপায়ে পোষক দেহ ত্যাগ করে। এদের কামড়ে নানাবিধ ত্বকীয় রোগ হয়।
ইয়োলো জ্যাকেট
ভেসপিডিয়া গোত্রের ইয়োলো জ্যাকেট নামের এই পতঙ্গের বসবাস সবচেয়ে বেশি উত্তর আমেরিকায়। বাংলায় একে ভিমরুল বা বোলতা বলেই জানি আমরা। তবে কোনো সাধারণ বোলতা নয় ইয়োলো জ্যাকেট। কখনোবা একে মৌমাছি বলে ভুল করেন অনেক, আবার কখনো মনে হয় সাধারণ প্রজাতির বোলতা। কিন্তু ১২ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের এই পোকা একবার কামড় দেওয়া শুরু করলে নাছোড়বান্দার মতো ক্রমাগত কামড়েই যায়। যদিও এর বিষ অন্যান্য সাধারণ বোলতার বিষের মতোই, খুব একটা প্রভাব ফেলে না, তবে সমস্যা হচ্ছে এই বোলতা একটি কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয় না। দলবল নিয়ে একাধিক কামড় দিয়েই তবে ক্ষান্ত হয়। ফলে অধিক বিষ শরীরে প্রবেশ করে এবং যাদের দেহে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ব্যাপক ত্বকীয় সমস্যা হয়।
হানি বি
পৃথিবীতে বিদ্যমান ২০ হাজার প্রজাতির মাছির মধ্যে মাত্র সাত প্রজাতির হানি বি বা মৌমাছি রয়েছে, যাদের রয়েছে ৪৪টি উপপ্রজাতি। তবে আরো কিছু প্রজাতির হানি বি বা মৌমাছি থাকলেও শুধুমাত্র এপিস গণের মাছিগুলোকেই প্রকৃত মৌমাছি বলা হয়। এরা নিজেদের প্রতিরক্ষার্থে শত্রুকে কামড়াতে ওস্তাদ। যদিও এদের ক্ষুদ্র হুল দ্বারা নিঃসৃত সামান্য পরিমাণ বিষ খুব একটা ক্ষতিকর নয়, তথাপি অ্যালার্জির সমস্যা আছে এমন কোনো ব্যাক্তির মৌমাছির কামড়েও ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে অত্যাধিক কামড়ে! এক্ষেত্রে কামড়ের সংখ্যা এবং কতটুকু বিষ শরীরে প্রবেশ করে তার উপর নির্ভর করবে আক্রান্ত ব্যাক্তির অসুস্থতা।
প্রাথমিকভাবে কামড়ের সাথে সাথে সে স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হবে। তবে ব্যথা অল্প সময়ের মধ্যে চলে গেলেও কামড়ের স্থানে ত্বক ফুলে ওঠে, লাল হয়ে যায়। অধিক সংখ্যক কামড় খেলে বমি বমি ভাব এবং জ্বর হতে পারে। তাই মৌমাছি থেকে সাবধান থাকুন!
শিশি মাছি
উষ্ণপ্রধান আফ্রিকান অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে ভয় পায় যে পোকার কামড়, তা হচ্ছে গ্লোসিনাইডা গোত্রের শিশি মাছি। আফ্রিকার সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং রোগ ব্যাধি ছড়ানো কীটপতঙ্গের একটি এই মাছি। এর কামড়ে প্রাথমিকভাবে ‘স্লিপিং সিকনেস’ হলেও, অবহেলা করলে জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। এই মাছির সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এর জীবাণু বহনের ক্ষমতা। যেকোনো রোগের জীবাণু এই মাছি অনায়াসে বহন করে এবং অন্যান্য প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে দেয়। এই মাছির কামড়ে প্রতি বছর আফ্রিকায় প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ নিদ্রাজনিত দুর্বলতায় ভোগে এবং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মারা যায়।
কিলার বি
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের বসতি আফ্রিকাতেই। এই পোকামাকড়ের রাজ্যের আরেক শক্তিশালী সদস্যের নাম ‘কিলার বি’ যাকে আফ্রিকান মৌমাছিও বলা হয়। একত্রে প্রায় ৮০ হাজারের মতো কিলার বি কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কীটপতঙ্গের মধ্যে এরাই সবচেয়ে দুষ্টু স্বভাবের। কেননা কোনোরূপ কারণ ছাড়াই এরা আপনাকে আক্রমণ করতে পারে! আবার একবার এদের কলোনিতে কেউ কোনো সমস্যা সৃষ্টি করলে এরা প্রায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা যাবত সতর্ক হয়ে থাকে এবং কলোনির আশেপাশে যেকোনো প্রাণীর আনাগোনা দেখলেই দলবেঁধে আক্রমণ করে। একদল কিলার বি তেড়ে আসছে দেখে দৌড়ে পার পেয়ে যাবেন, ব্যাপারটা এত সহজও না। কারণ কিলার বি যার পেছনে ছোটে তাকে ধরতে সে তার কলোনি থেকে ১ মাইলের অধিক দূর পর্যন্ত যায়! বিষ ততটা ক্ষতিকর না হলেও একদল কিলার বি একসাথে কামড়ালে অনেক সময় মৃত্যুও ঘটতে পারে।
জায়ান্ট জাপানিজ হরনেট
জায়ান্ট জাপানিজ হরনেট হচ্ছে পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল প্রজাতির ভ্রমরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। আকৃতিতে ২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা এক একটি জাপানিজ ভ্রমর এক মিনিটের মধ্যে ৪০টি মৌমাছিকে কুপোকাত করতে সক্ষম! এরা বেঁচেও থাকে মৌমাছিরই লার্ভা খেয়ে। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৪০ জন মানুষ মারা যায় জাপানিজ ভ্রমরের কামড়ে। এদের বিষে একপ্রকার অ্যালার্জিক এজেন্ট থাকে, যা শরীরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। একদল জাপানিজ ভ্রমর ক্রমাগত কামড়ে অল্প সময়ের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম। একেকটি কলোনিতে প্রায় ৭০০ ভ্রমর বাস করে। এদের কলোনির কাছে কোনো প্রয়োজন এবং প্রস্তুতি ছাড়া তাই না যাওয়াই ভালো।
লনোমিয়া ক্যাটারপিলার
সবুজ, বাদামি আর কালো রঙের এক একটি লনোমিয়া শুঁয়োপোকা ২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। দেখতে যেমনই হোক না কেন, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক লনোমিয়া পোকার চেয়ে একটি লার্ভা লনোমিয়া অত্যাধিক বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক। কেননা এর বিষ মারাত্মক বিষাক্ত, যা প্রতি বছর ৫০০ এর অধিক মানুষের মৃত্যু জন্য দায়ী। তবে সুখের ব্যাপার হচ্ছে, লনোমিয়ার এক কামড়ে অত্যন্ত অল্প পরিমাণ বিষ মানবদেহে প্রবেশ করে যা সামান্য অসুস্থতার বেশি কিছু করতে পারে না। গবেষণায় বলছে, একজন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে কমপক্ষে ২০-১০০টি লনোমিয়ার কামড় খেতে হবে।
ড্রাইভার অ্যান্ট
হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের ক্লাসিক অ্যাডভেঞ্চার ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য কিংডম অব ক্রিস্টাল স্কালে’র একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একপ্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পিঁপড়া সংখ্যায় অতিশয় বড় এক দল নিয়ে আক্রমণ করে এবং কয়েকজন মানুষকে মূহুর্তের মধ্যেই মেরে ফেলে। এই পিঁপড়ার নাম হচ্ছে ড্রাইভার পিঁপড়া যা হলিউড সিনেমাতেই নয়, বাস্তব জীবনেও আপনাকে কয়েক মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে। কারণ, এদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে দলবদ্ধতা। এক-দুই লক্ষ নয়, ড্রাইভার পিঁপড়ার একেকটি কলোনিতে বাস করে ২ কোটির অধিক পিঁপড়া! ভয়ে শিউরে ওঠার মতোই একটি তথ্য হচ্ছে, যেকোনো ব্যাপারে এরা পুরো কলোনি একত্রে আক্রমণ করে! এমনকি বনের সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতিও ভয়ে পালায় যখন ড্রাইভার পিঁপড়ার ঝাঁক দেখে। প্রতিবার খাবারের সন্ধানে বের হলে ড্রাইভার পিঁপড়ার একটি কলোনির হাতে মারা পড়ে হাজারো জীবজন্তু!
সেন্টিপিড
সেন্টিপিড এর বাংলা শতপদী বা সহস্রপদী হলেও এর কিন্তু আসলে এতোগুলো পা নেই। আঞ্চলিক ভাষায় একে আমরা ‘চ্যালা’ কিংবা ‘দুমুখো সাপ’ বলেই চিনি। এই সেন্টিপিডকে ভয় পায় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু মানুষকে ভয় পায় না এমন সেন্টিপিডও খুঁজে পাওয়া ভার! হ্যাঁ, নিতান্তই বাধ্য না হলে চ্যালা আপনাকে কামড়া দেবে না বরং পালাবার রাস্তা খুঁজতে থাকবে। কিন্তু একবার এর সাঁড়াশির মতো অঙ্গ দিয়ে কামড়ে দিলে আপনার কপালে শনি আছে সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন! সাধারণত এদের কামড়ে প্রচণ্ড ব্যাথা, ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, চর্ম প্রদাহ, বমি বমি ভাব, সারাদেহে চুলকানি হতে পারে। কখনো কামড়ের স্থান অবশ হয়ে যায়। তবে বেশি বিষাক্ত সেন্টিপিডের কামড়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে! আশার ব্যাপার হচ্ছে এই অতি বিষাক্ত সেন্টিপিডগুলো খুব একটা সহজলভ্য নয়।