একটি কুকুর, বিড়াল বা পাখি অনেকেরই পোষার শখ থাকে। সবচেয়ে আদরের ও শখের দৃষ্টিকোণ থেকে বিড়ালকেই অধিকসংখ্যক মানুষ পোষে, তাদেরকে পরিবারের সদস্যের মতো করে। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শৌখিন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েই বেড়ে উঠেছে বিড়াল। অনেকেই ভাবতে পারেন, হয়তোবা যেখানে ইঁদুরের উৎপাত অত্যধিক, সেখানেই মানুষ বিড়াল পুষে থাকে। আসলে কিন্তু তা নয়! বিড়াল মানুষের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে নির্মল আনন্দের খোরাকও যুগিয়ে থাকে। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও বিড়াল পরিবারের মাঝে সবার সাথেই বেড়ে ওঠে।
বহু বিখ্যাত মনীষীর জীবনের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে আজীবন বহাল তবিয়তে অন্যতম প্রিয় সঙ্গী হিসেবে জড়িয়ে রয়েছে বিড়াল। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, বহু বিখ্যাত শিল্পী, বিজ্ঞানী, রাজনীতিক, এমনকি কোনো কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী- এসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গেও দেখা যায় তাদের সবসময়কার সঙ্গী বিড়াল। তাই তাদের জীবনীর সাথে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে তাদের প্রিয় বিড়ালটিও।
এডওয়ার্ড লিয়র
প্রখ্যাত শিল্পী ও কবি এডওয়ার্ড লিয়র তার অধিকাংশ সময় কাটাতেন ‘ফস’-এর সঙ্গে। কিন্তু ‘ফস’-এর লেজটি ছিল কাটা। এই কাটা লেজের পেছনে ছিল অন্য কাহিনী। লিয়রের পরিচারক এই ছেদনকর্মটির সম্পাদনকারী। এর কারণ ছিল, তার প্রিয় বিড়ালটি যদি কখনো হারিয়ে যায়, তবে তাকে খুঁজে পাওয়া সহজ করে দেবে এই কাটা লেজটি! লিয়র তার প্রিয় ‘ফস’কে নিয়ে রচনা করেছেন কত শত ছড়া, কবিতা। এঁকেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে নানান ছবি। লিয়রের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা হলো ‘দ্য আউল অ্যান্ড পুসি ক্যাট’। এতোটাই প্রিয় ছিল তার বিড়ালটি যে, ‘ফস’ মারা যাওয়ার পর তার দেহ লিয়রের বাগানে কবর দেওয়া হয়েছিল। এমনকি লিয়র ‘ফস’-এর কবরের উপর স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করেছিলেন।
চার্লস ডিকেন্স
চার্লস ডিকেন্স ও তার স্ত্রী একদিন দেখলেন তাদের বাসার দরজার বাইরে একটি বিড়ালছানা মিউ মিউ করে ডাকছে। তারা সেই বিড়ালটিকে কোলে তুলে নিয়ে লালন-পালন করা শুরু করলেন। অল্প কিছুদিনের মাঝেই বিড়ালটি তাদের এতটাই প্রিয় এবং আদরের হয়ে উঠে যে, সেটি ছাড়া তাদের যেন কিছুই চলতো না। ডিকেন্স আদর করে বিড়ালটির নাম রাখলেন ‘উইলিয়াম’।
আরো কিছুদিন পর উইলিয়াম জন্ম দেয় একটি সুন্দর ফুটফুটে ছানা। তখন ডিকেন্স উইলিয়ামের নাম পাল্টে নতুন নাম রাখেন ‘উইলহেলমিনা’। মা বিড়াল এবং প্রিয় ছানাটি ছিল ডিকেন্সের অতি প্রিয় সঙ্গী। ডিকেন্সের কাছে ছানাটি এসে খেলার আবদার জানাতো তার লেখার টেবিলে দাগ কেটে। মা বিড়াল আর ছানার আবদার যেন লেগেই থাকতো সর্বক্ষণ। ডিকেন্স কিন্তু কখনো এসবের জন্যে বিরক্ত হতেন না, বরঞ্চ তার বেশ ভালোই লাগতো আবদারের মাঝে ডুবে থাকতে। তার বিড়ালটিকে নিয়ে একটি বিখ্যাত উক্তি ছিল এমন- “বিড়ালকে আদর ও ভালোবাসার থেকে অন্য কিছু কি বড় উপহার হতে পারে?”
এডগার এলান পো
প্রখ্যাত লেখক এডগার এলান পোর প্রিয় বিড়ালটির নাম হচ্ছে ‘ক্যাটরিনা’। পোর স্ত্রী একসময় দারুণ অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তার ঘরটিতে যাতে রুম হিটার দিয়ে গরম রাখা হয়। কিন্তু তখন পোর আর্থিক অবস্থা এতোটা ভালো ছিল না যে, রুম হিটারের ব্যবস্থা করবেন। তাই তিনি তার স্ত্রীর ঘরটিতে রুম হিটার লাগাতে পারেননি।
কিন্তু অদ্ভুত বুদ্ধি এল তার মাথায়। তার প্রিয় বিড়ালটিকে স্ত্রীর শয্যার পাশে সবসময় বসিয়ে রাখতেন, যাতে বিছানাটি অন্তত উষ্ণ থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ‘ক্যাটরিনা’ও বিশ্বস্ত সঙ্গীর মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় বসেই থাকতো। এই আবেগময়, আনুগত্যপূর্ণ ভালোবাসার দৃশ্য দেখে পো তার বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় গল্প ‘দ্য ব্ল্যাক ক্যাট’ লিখলেন।
মার্ক টোয়েইন
টম সয়্যারের অমর স্রষ্টা মার্ক টোয়েইন অসম্ভব বিড়ালভক্ত ছিলেন। তার প্রিয় পোষা কালো বিড়াল বাম্বিনো একবার হারিয়ে যায়। তখন টোয়েইন নিউইয়র্ক আমেরিকান নামের পত্রিকায় তার নিখোঁজ বিড়ালের বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপনের সারবস্তু ছিল- যদি কেউ তার নিখোঁজ বিড়ালটি নিউইয়র্ক শহরের ৫ নং এভিনিউয়ের ২১ নং বাড়ির ঠিকানায় ফিরিয়ে দিতে পারে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ৫ ডলার পুরস্কার দেয়া হবে। বিড়ালের বর্ণনা দিতে গিয়ে টোয়াইন তার বিজ্ঞাপনে লেখেন, “বাম্বিনো দেখতে বড় এবং গভীরভাবে কালো, পুরু, ভেলভী পশমযুক্ত। সাধারণ আলোতে তাকে খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। ”
উইনস্টন চার্চিল
উইনস্টন চার্চিলকে ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নেতা। তারও ছিল দারুণ বিড়ালপ্রীতি। তার বিড়ালপ্রীতির পেছনে ছিল একটি বিশেষ ঘটনা, যা চার্চিলকে প্রচন্ড নাড়া দিয়েছিল। তখন চার্চিল ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তার অফিসিয়াল বাসভবন ছিল ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। তিনি তার বাসভবনের অফিসে বসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতার খসড়া তৈরি করছিলেন।
মার্গেট শহরে সেই দিনের পরের দিনই ছিল তার রাজনৈতিক সমাবেশ। সবেমাত্র তিনি তার লেখাটি শেষ করে ফেলেছেন, ঠিক অমন মুহূর্তে তার নজরে পড়লো, তার ঘরেই দরজা ঠেলে একটি কালো বিড়াল ঢুকছে। একে তো চার্চিলের বিড়ালপ্রীতি ছিল অভাবনীয়। তার উপর বিড়ালটির এই আকস্মিক অনুপ্রবেশের ঘটনা তার কাছে মনে হতে লাগলো কোনো শুভ ঘটনার সংকেত। সেই ভেবে তিনি তখন থেকেই বাচ্চা বিড়ালটিকে ঘরেই রেখে দিয়েছিলেন। আদর করে নাম রাখলেন ‘মার্গেট’। অবাক করা হলেও সত্য যে, পরের দিনের চার্চিলের বক্তৃতা কেবল সফল বক্তৃতাই হয়নি, বরঞ্চ রাজনৈতিক দিক থেকে চার্চিলকে করে তুললো তুমুল জনপ্রিয়।
তারপরের ঘটনা আরো চমৎকার। সেই বিড়ালছানাটির যেন কপাল ফিরলো। সোজা চার্চিলের বেডরুম হয়ে গেলো তার পাকাপাকি স্থান। পরের দিন থেকেই চার্চিল বিড়ালছানাটিকে নিয়েই ঘুমাতেন। বিখ্যাত হওয়ার নেশায় যেন তিনি এটিকে কাছছাড়া করতেই চাইতেন না। অথচ মার্গেটের আগেও তার একটি বিড়াল ছিল। এর নাম ছিল ‘নেলসন’। মার্গেটের মতন নেলসনও কিন্তু চার্চিলের খুব প্রিয় ছিল। চার্চিল নেলসনকে তার সব গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও নিয়ে যেতেন।
চার্চিলের জীবনের শেষ মুহূর্তেও তার সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল আরো একটি বিড়ালছানা। নাম তার জক। চার্চিল জককে পরিচয় দিতেন তার ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে। চার্চিল এতোটাই বিড়ালপ্রেমী ছিলেন যে, তিনি তার প্রতিটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে জককে শুধু পাশেই রাখতেন না, খাবার টেবিলেও জককে ছাড়া তিনি খেতে বসতেন না। আর জকও হয়ে উঠেছিল প্রভুভক্ত। চার্চিলের মৃত্যুর সময়টিতেও জককে বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল মৃতদেহের পাশে সারাক্ষণ বসে থাকতে।
আইজাক নিউটন
‘ল অব গ্রাভিটি’ বা ‘অভিকর্ষজ ত্বরণ’ আবিষ্কারের কথা কার না জানা? প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন এই আবিষ্কারের জন্যেই চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন আজ পর্যন্ত। কিন্তু অনেকেরই অজানা যে, তিনি ‘ক্যাট ফ্ল্যাপ’ (Cat flap) এর উদ্ভাবক। ‘ক্যাট ফ্ল্যাপ’ হলো বিড়ালের ঘরের প্রবেশদ্বার। ঘরের মাঝে থাকে ছোট্ট একটা গর্ত বা প্রবেশদ্বার। এই প্রবেশদ্বারে থাকে পর্দার মতো একটা ফ্ল্যাপ। সেই গর্ত বা প্রবেশদ্বার দিয়েই বিড়াল গর্তে ঢুকতে এবং বেরোতে পারে। নিউটনের এই ‘ক্যাট ফ্ল্যাপ’ আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে তার প্রিয় বিড়ালের দৌরাত্ম্য।
একদিন নিউটন তার চিলেকোঠার ঘরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন। সেই ঘরটিতে ছিল ছোট্ট একটা জানালা। সেই জানালাটিকে তিনি একটি কালো কাগজ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন, কারণ তার পরীক্ষার অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ নিউটনের প্রিয় বিড়ালটি সেই জানালার কাগজে ঢাকা জায়গাটি দিয়ে যাওয়া-আসা শুরু করে তার গবেষণার দফারফা করে দিচ্ছিলো। নিউটন ব্যাপারটি খেয়াল করলেও তিনি তার প্রিয় বিড়ালের চলাচল বন্ধ করে দুঃখ দিতে চাননি। তিনি তাই একটি উপায় বের করে ফেললেন।
তিনি ঘরে ঢোকার দরজার মধ্যে ছোট্ট একটি গর্তের মতো তৈরি করলেন। সেই গর্তের উপর তৈরি করলেন হালকা ঢাকনার মতো একটি অংশ। সেই ঢাকনা বা ফ্ল্যাপটি এমনই যে, চাপ পড়ার সাথে সাথে তা খুলে যায় আবার নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। কালো কাপড়ের পর্দার মতো ফ্ল্যাপ তৈরি করায় বিড়ালটির যাতায়াতে আরো সুবিধা হলো। যেহেতু বিড়ালের নরম শরীর সহজেই গর্তে গলে যেতে পারে আর নিঃশব্দে যাতায়াত করতে পারে, তাই নিউটনের গবেষণায় আর কোনো প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি হলো না।
আমেরিকান প্রেসিডেন্টগণ
আব্রাহাম লিঙ্কন প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যিনি হোয়াইট হাউসে নিয়ে এসেছিলেন বিড়াল। তিনি তার প্রিয় পোষা দুটি বিড়ালের সাথেই অধিকাংশ সময় কাটাতেন। মূলত তারপর থেকেই অনেক প্রেসিডেন্ট একই পথ অনুসরণ করে এসেছেন। যেমন, রুজভেল্টের কথাতেই আসা যাক। ‘স্লিপার্স’ ছিল রুজভেল্টের প্রিয় বিড়াল। স্লিপার্সকে রুজভেল্ট সবরকম অফিসিয়াল ডিনারে নিয়ে যেতেন।
আমেরিকার আরেক জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন। তার প্রিয় বিড়ালের নাম ছিল ‘শকস’। অবশ্য ক্লিনটনের একটি পোষা কুকুরও ছিল। কুকুরটির নাম রেখেছিলেন ‘বাড্ডি’। তার পোষা বিড়াল এবং কুকুর দুটোই তার পছন্দের হলেও এ দুয়ের মাঝে মোটেই সদ্ভাব বজায় ছিল না। তারা দুজন দুজনকে এতটাই অপছন্দ করতো যে, সামনাসামনি পড়লেই তাদের লেগে যেতো ঝগড়া। হরহামেশাই তাদের মাঝে লেগে থাকা ঝগড়ার দৃশ্য দেখে ক্লিনটন প্রায়ই বলে উঠতেন, এ যেন ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ।
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি
বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে কে না চেনে? যেমনই তার জনপ্রিয়তা, তেমনই পরিচিত তার বিড়ালপ্রিয়তাও। তিনি খুব ভালোবাসতেন তার বিড়ালটিকে। তার অত্যন্ত বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘ম্যাডোনা উইথ দ্য ক্যাট’। ছবিটি তার প্রিয় বিড়ালটিকেই নিয়ে। এভাবেই তিনি রেখে গিয়েছেন তার প্রিয় বিড়ালের অস্তিত্ব তার সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে।
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল তার সেবাকর্মের মাধ্যমেই সৃষ্টি করেছিলেন অমরত্বের পথ। তিনি বিশ্বের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন একমাত্র তার সেবার মহিমা দ্বারা। নাইটিঙ্গেলের অত্যন্ত প্রিয় প্রাণী ছিল বিড়াল। আত্মমহিমায় উদ্ভাসিত নাইটিঙ্গেলের সংসার ছিল ১৭টি বিড়ালকে নিয়ে। ক্রিমেনের যুদ্ধ থেকে ফেরার পরপরই তিনি শুরু করেন বিড়াল নিয়ে তার গোছানো সংসার।
শুধুমাত্র তাদের লালন-পালনই মুখ্য ছিল না, বিড়ালগুলোকে নিয়েই হাসি আর খেলায় কেটে যেত তার সময়। ঐ বিড়ালগুলোর মাঝে তার সবচেয়ে পছন্দের বিড়াল ছিল ‘মি. বিসমার্ক’। বিসমার্ককে তিনি বলতেন ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিড়াল’। নাইটিঙ্গেল বিসমার্ককে এতোটাই পছন্দ করতেন যে, তার সব চিঠিপত্র এবং কাজকর্মের মাঝেই থাকতো তার থাবার চিহ্ন!
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার পাশে ছিল একমাত্র সেই ১৭টি বিড়াল। তিনি তখন দারুণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। নাইটিঙ্গেলের শেষ শয্যায় বিড়ালগুলো সর্বক্ষণ বসে থাকতো তার সঙ্গী হয়ে। তাদের মায়া-মমতার ছোঁয়া, সান্ত্বনা দেওয়ার ভঙ্গিমা, সহানুভূতি নাইটিঙ্গেলকে অন্যরকম এক তৃপ্তি দিয়েছিল। তাদের এই মমত্ববোধ ও সহানুভূতির ছোঁয়া যে মানুষের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়, তা নাইটিঙ্গেল মৃত্যুর আগেই সকলকে জানিয়ে গেছেন।
নাইটিঙ্গেলের মৃত্যু হয় ১৯১০ সালে। মৃত্যুর আগেই তিনি তার অতি প্রিয় বিড়ালগুলোর জন্যে সদব্যবস্থা করে গেছেন। তাদের দেখাশোনা এবং যাবতীয় দায়-দায়িত্বের বিষয়ে তিনি উইল করে গেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, তার বিশাল সম্পত্তির একটি বড় অংশ তিনি লিখে দিয়েছেন তার প্রিয় সঙ্গী সেই ১৭টি বিড়ালের নামেই! তিনি সত্যিই প্রমাণ করে গেছেন প্রাণীদের প্রতি তার ভালোবাসার অটুট মহিমা।
ফিচার ইমেজ- cerpin.com