আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত রাষ্ট্র কোনটি, নিঃসন্দেহে আপনার উত্তর হবে ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইসরায়েলের জন্ম থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি কোনো না কোনো পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে ছায়ার মতো রক্ষা করে এসেছে। প্রথমদিকে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলকে রক্ষা করলেও সময়ের সাথে সাথে সেই জায়গা যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ও এর পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইসরায়েল অপরিহার্য হয়ে ওঠে। ক্রমেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কতটুকু তা এই উদাহরণ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র যতবার ভেটো দিয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই দিয়েছে ইসরায়েলের স্বার্থে।
ইসরায়েলের স্বার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে মোসাদসহ তাদের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা। ইসরায়েলের স্বার্থে বহির্বিশ্বে শত্রু দেশগুলোর উপর নজরদারি চালানো, হামলা পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় সবই করে তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। নিজেদের প্রয়োজনে মিত্র দেশগুলোর উপরও গোয়েন্দাগিরি করতে পিছপা হয়নি তারা। ইউরোপ থেকে আমেরিকা সকলেই বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে। গত শতাব্দীর আশির দশকে জোনাথন পোলার্ড নামক মার্কিন নেভাল ইন্টেলিজেন্সের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক বিশ্লেষক ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে আটক হন এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জোনাথন পোলার্ড ১৯৫৪ সালের ৭ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গ্যালভাস্টন শহরে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন ছোট, তখন তার পরিবার টেক্সাস থেকে ইন্ডিয়ানায় চলে যায়, যেখানে তার বাবা নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ছিলেন। পোলার্ড ১৯৭৬ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি সিআইএ-তে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পলিগ্রাফ টেস্টে ১৯৭৪-৭৮ সাল পর্যন্ত অবৈধ ড্রাগ নেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন এবং প্রত্যাখ্যাত হন। পরবর্তীতে তিনি ম্যাসাচুসেটসের টুফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন এবং কূটনীতির উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি মেরিল্যান্ডের নেভি ফিল্ড অপারেশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিসে চাকরি পান। এরপর ১৯৮৪ সালে তাকে মার্কিন নৌবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী সতর্কতা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নেভি ইন্টেলিজেন্সে চাকরি পাওয়ার পর তিনি তার উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে এমন সমস্ত সরকারি নথি দেখা শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
একসময় পোলার্ড স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগের অনেক তথ্য তার স্যুটকেসে করে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করতে থাকেন। ১৯৮৫ সালের ২৮ অক্টোবর তাকে অফিস থেকে তার স্ত্রীর গাড়িতে একটি বিশাল বান্ডিল বহন করতে দেখা যায়। তখন থেকে তার উপর নজরদারি শুরু হয়। ১৯৮৫ সালের ২১ নভেম্বর এফবিআই তাকে ওয়াশিংটনের ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করে, যেখানে তিনি এবং তার স্ত্রী আশ্রয়ের আশায় গিয়েছিলেন। পরের দিন তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পোলার্ড ১৯৮৭ সালে এক বিদেশি সরকারকে প্রতিরক্ষা তথ্য সরবরাহকারক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। তার স্ত্রী অ্যানকেও পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়, কিন্তু ১৯৮৯ সালে সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর অসুস্থতার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর পোলার্ডের সাথে বিচ্ছেদ ঘটে তার।
পোলার্ডকে গ্রেফতারের পরপরই ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চায় এবং সেই সাথে বলে যে এই অপারেশনে তাদের অনুমোদন ছিল না। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এক সরকারী বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কিত যেকোনো গোয়েন্দা তৎপরতা থেকে বিরত থাকা ইসরায়েলের নীতি।
পোলার্ডের বিষয়ে তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে কাজ শুরু করে। ইসরায়েলের অনুসন্ধানে জানা যায়, পোলার্ড ইসরায়েলি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেননি, বরং তিনি একটি ছোট ও স্বাধীন বৈজ্ঞানিক গোয়েন্দা ইউনিটের হয়ে কাজ করছিলেন। ইসরায়েলের সংসদ নেসেটের প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির এক উপকমিটি তদন্তের পর প্রতিবেদনে জানায়, রাফায়েল আইটনের নেতৃত্বে বৈজ্ঞানিক যোগাযোগ ইউনিট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো পরামর্শ ছাড়াই পোলার্ডকে নিয়োগ দেয়।
এরপর ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুতি দেয়, পোলার্ডকে নিয়োগ দেয়া গোয়েন্দা ইউনিটটি ভেঙে দেওয়া হবে। কিছুদিন উক্ত গোয়েন্দা ইউনিটটি ভেঙে দেওয়া হয় এবং সেই সাথে পোলার্ডকে হ্যান্ডলারের শাস্তি দেওয়া হয় ও চুরি হওয়া নথিপত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে তিনি ইসরায়েলকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে নিউ ইয়র্কে একজন ইসরায়েলী সামরিক কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে সেই গোয়েন্দা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে পোলার্ডকে পঞ্চাশ হাজার ডলার এবং একটি হীরার আংটি দেওয়া হয়েছিল।
পোলার্ড যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি কেবল এমন তথ্য সরবরাহ করেছেন যা ইসরায়েলের সুরক্ষার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের মধ্যে ইরাক এবং সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা প্রকল্প এবং লিবিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতে সোভিয়েত অস্ত্র চালানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১২ সালে সিআইএ-র এক নথি অনুযায়ী, ১৯৮৫ সালের অক্টোবরে তিউনিসে অবস্থিত পিএলও সদর দফতরে ইসরায়েল যে হামলা করে, যেখানে ৬০ জন নিহত হয়, তার স্যাটেলাইট সংক্রান্ত ছবি ও অন্যান্য তথ্য পোলার্ড দিয়েছিলেন।
বিচারকার্য শুরু হওয়ার পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি পোলার্ডের সাথে একটি প্লি বার্গেইনের ব্যবস্থা করেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য না করে কোনো মিত্রের কাছে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন। সরকারি পক্ষ বলে যে তারা সর্বোচ্চ সাজা চাইবে না। কিন্তু বিচারের আগে পোলার্ড এবং তার স্ত্রী আবেদনের চুক্তি লঙ্ঘন করে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন যেখানে তারা গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেন এবং আমেরিকান ইহুদিদেরকে তাদের পক্ষে আনার চেষ্টা করেন। এক সাক্ষাৎকারে পোলার্ড ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশকে দেওয়া তার সমস্ত তথ্যের বিষয় স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ৪ জুন পোলার্ড বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন।
পোলার্ডকে সাজা দেওয়ার আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব ক্যাস্পার ওয়েইনবার্গার বিচারকের কাছে একটি ৪৬ পৃষ্ঠার স্মারকলিপি জমা দেন যা পোলার্ডের মাধ্যমে সংঘটিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষার ক্ষতির রূপরেখা ছিল। তিনি পোলার্ডের কঠোর শাস্তির আহ্বান জানান। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় বিচারক অবশেষে পোলার্ডকে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
১৯৯৫ সালে পোলার্ড ইসরায়েলের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন এবং তার আবেদন গ্রহণ করে তাকে ইসরায়েলের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। যদিও প্রথমদিকে ইসরায়েলি সরকার পোলার্ডের বিষয়ে খুব বেশি কিছু করেনি, কিন্তু বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার স্বীকার করে যে পোলার্ড ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের জন্য কাজ করেছেন। নেতানিয়াহু ১৯৯৮ সালে মেরিল্যান্ডের ওয়াই প্ল্যান্টেশনে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার সময় পোলার্ডের প্রতি সহানুভূতির আবেদন জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোলার্ডের সমর্থকরাও নিয়মিতভাবে তাকে ক্ষমা করার জন্য আবেদন করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একবার পোলার্ডের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বললেও প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এই ধারণার কঠোর বিরোধিতা করেন। ক্লিনটনের মেয়াদ শেষে বিষয়টি আবারও উত্থাপিত হয় এবং সিনেটের গোয়েন্দা বিভাগের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রিচার্ড শেলবি ও বেশিরভাগ সিনেটর ক্ষমার বিষয়ে বিরোধিতা করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে পোলার্ডকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে । ২০০৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত পোলার্ডের প্যারোলের আবেদন নাকচ করে দেয়। পোলার্ড ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টে তাকে জায়নবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন এই আশায় যে এই স্বীকৃতি তাকে মুক্তির জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন অর্জন করতে পারবে। তবে ইসরায়েলি আদালত ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি তার আবেদন নাকচ করে দেয় ।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পোলার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টকে একটি ফেডারেল আপিল আদালতের রায় বাতিল করতে অনুরোধ করেন যা তার আইনজীবীদের বিচারের জন্য ব্যবহৃত নথিপত্রে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তার আইনজীবীরা জোর দিয়ে বলেছেন, পোলার্ডের মুক্তির জন্য তাদের নথিগুলোর প্রয়োজন আছে। ২০০৬ সালের ২০ মার্চ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট পোলার্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্যারোল বোর্ড পোলার্ডকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এই প্রত্যাখ্যানের প্রতিক্রিয়ায় আটজন প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাকে একটি চিঠি লিখে বলেন, পোলার্ডের জন্য প্যারোল প্রক্রিয়াটি গভীরভাবে ত্রুটিযুক্ত। চিঠিতে কয়েকজন সাবেক মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেন।
অবশেষে ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর প্রায় ৩০ বছর জেলে থাকার পর পোলার্ডকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্যারোল সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য তাকে পরবর্তী পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছর নিউ ইয়র্কে তাকে আবাসিক এলাকার মধ্যে থাকতে বলা হয়। তাকে জিপিএস যুক্ত ব্রেসলেট পরানো হয় এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করা হয়, সেই সাথে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। প্যারোল বোর্ডের যেকোনো সময় এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও বৃদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনুরোধ করেছিলেন পোলার্ডকে তার পাঁচ বছরের প্যারোলে কাটানোর জন্য ইসরায়েলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, কিন্তু তা নাকচ করা হয়। এরপর আরো কয়েকবার পোলার্ড ও তার আইনজীবীরা আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হন।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইপেকের নীতিমালা বিষয়ক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করে পোলার্ডের উপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে ইসরায়েলে যেতে দেওয়ার অনুমতি চান।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর পোলার্ডের প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মার্কিন বিচার বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর মেয়াদ আর বৃদ্ধি করেনি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পোলার্ড ইসরায়েলে যেতে চাইলেও স্ত্রী এস্তারের অসুস্থতার কারণে আর যাননি, এবং চিকিৎসাকালীন একমাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করেন। উল্লেখ্য, প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯৪ তিনি এস্তারকে বিয়ে করেন। এস্তার পোলার্ডের মুক্তির জন্য প্রচারণা চালিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন। অবশেষে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারা এক ব্যক্তিগত ফ্লাইটে ইসরায়েলে পৌঁছেন। নেতানিয়াহু পোলার্ডের হাতে ইসরায়েলি নাগরিকত্বের নথিপত্র তুলে দেন এবং তাদের ইসরায়েলে আগমনকে স্বাগত জানান।