নব্বই দশকে এই স্বাধীন হওয়া দেশগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হলেও, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকেও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনগুলো তাদের স্বাতন্ত্র্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল, ব্যর্থতা ছিল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে। সংসদীয় গণতন্ত্রে দায়িত্বশীল আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয় সিভিল সোসাইটিও। সাংবিধানিক গণতন্ত্রের যাত্রা এই দেশগুলোতে শুরু হলেও, দুর্বল সংবিধানের সুযোগে অসীম ক্ষমতা ভোগ করতেন রাষ্ট্রপ্রধানেরা।
রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে আর কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এই শতাব্দীর শুরুর দিকে এসব দেশের পরিবর্তনকামী তরুণেরা বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় নামে সরকারের বিরুদ্ধে, কিছু দেশে সফলভাবে পরিবর্তন হয় সরকার। আন্দোলনগুলোকে একসাথে বলা হয় ‘রঙিন বিপ্লব’।